নতুন বিয়ে করেছেন? আপনি আর আপনার সঙ্গীটি বেশ আনন্দেই দিন কাটাচ্ছেন।
কিন্তু আপনি কি জানেন প্রায় সব নতুন বিবাহিত দম্পতিরাই সাধারণ কিছু ভুল
করে থাকে? আপনিও ভুল করছেন না তো? কারণ প্রথম দিকের দাম্পত্য সম্পর্কের
প্রভাব সারা জীবন থাকবে। তাই আসুন দেখে নেয়া যাক নতুন বিবাহিত দম্পতিরা
সাধাণরত কি কি ভুল করে থাকে।
বিয়ের পর অন্তত প্রথম একটা বছর নিজেদেরকে একটু বেশি সময় দেয়া উচিত। তাহলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হবে এবং ভালোবাসার বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।
বিয়ের পর খরচ করুন বুঝে শুনে। কারণ বিয়ের সময় এমনেতেই অনেক খরচাপাতি হয়। তাই বিয়ের পরে খুব বেশি খরচ না করাই ভালো। যে খরচটি না করলেও চলে সেটা এড়িয়ে চলুন। কোথায় কত খরচ করছেন সেটা একটি ডায়রিতে তুলে রাখুন। তাহলে হিসাব রাখতে সহায়তা হবে।
লেখকঃ নুসরাত শারমিন লিজা।
পর্যাপ্ত সময়ের অভাব
বিয়ের পরে মধুচন্দ্রিমা আর আত্মীয়দের বাসায় দাওয়াত খাওয়ার ব্যস্ততা তো থাকেই। আজ খালার বাসায় দাওয়াত তো কাল চাচী শ্বাশুড়ীর বাসায়। এভাবেই কেটে যায় ছুটির দিন গুলো। আর অন্যান্য দিন তো অফিসের কাজকর্ম থাকে। কাজের ফাঁকে ঠিক মতো কথা বলারই ফুসরত মিলে না। কিন্তু দুজনে দুজনের সাথে কাটানোর জন্য দরকার কিছু একান্ত সময়। যেই সময়টাতে শুধুই জন মিলে গল্প করে কাটিয়ে দিতে পারবেন ঘন্টার পর ঘন্টা অথবা দূরে কোথাও বেড়াতে গিয়ে হাত ধরে হাটবেন অনেকখানি।বিয়ের পর অন্তত প্রথম একটা বছর নিজেদেরকে একটু বেশি সময় দেয়া উচিত। তাহলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হবে এবং ভালোবাসার বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।
সন্তান নেয়ার চিন্তা
বিয়ে করার সাথে সাথেই অনেকে সন্তান গ্রহনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু বিয়ের পর প্রথম একটা বছর অন্তত সন্তান নেয়ার চিন্তা না করাই ভালো। বিয়ের পর দু/এক বছর নিজেদেরকে সময় দিন। দুজনে দুজনার সঙ্গ উপভোগ করুন মন ভরে। এরই ফাঁকে নিজেদেরকে সন্তানের দ্বায়িত্ব নেয়ার যোগ্য করে তুলুন এবং মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে নিন। সন্তান গ্রহণের পর সন্তানের দেখাশোনা করতে গিয়ে নিজেদেরকে তেমন সময় দেয়া যায়না। তাই বিয়ের পর পরই সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্ত না নেয়াই ভালো।অতিরিক্ত খরচ
বিয়ে করেছেন মাত্র। এখন তো অনেক খরচ। বিভিন্ন বাসায় বেড়াতে যেতে মিষ্টি নেয়া, উপহার নেয়া ছাড়াও নিজ বাসায় মেহমানদারির খরচ তো আছেই। আর নতুন শ্বশুরবাড়িতেও তো কিছুটা বাড়তি খরচ করতেই হয়। আবার নতুন সংসারের জন্য কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুও কেনা হয়। সব মিলিয়ে পকেট পুরোই খালি।বিয়ের পর খরচ করুন বুঝে শুনে। কারণ বিয়ের সময় এমনেতেই অনেক খরচাপাতি হয়। তাই বিয়ের পরে খুব বেশি খরচ না করাই ভালো। যে খরচটি না করলেও চলে সেটা এড়িয়ে চলুন। কোথায় কত খরচ করছেন সেটা একটি ডায়রিতে তুলে রাখুন। তাহলে হিসাব রাখতে সহায়তা হবে।
ঝগড়া ঝাটি
দুজন মানুষ দু ধরণের পরিবেশে বেড়ে ওঠে। তাই দুটি মানুষের মধ্যে মতের অমিল থাকতেই পারে। কোনো কিছু নিয়ে মতের অমিল দেখা দিলে সেটা নিয়ে ঝগড়াঝাটি না করে একজন আরেকজনকে বুঝিয়ে বলুন। একে অপরের মতামত কে গুরুত্ব দিন। উঁচু গলায় কথা বলা, পুরোনো প্রেমের সম্পর্কের কথা টেনে আনা, দুই পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তিকর কথা বলা এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। একজন বেশি রেগে গেলে অপরজন মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। কোনো অবস্থাতেই স্বামী স্ত্রীর ঝগড়াকে গালাগালির পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না।অনিয়মিত শারিরীক মিলন
বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে কেউ কেউ সঙ্গীর সাথে শারীরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়া কমিয়ে দেন। অনেকেই সারাদিন কাজের পর ক্লান্ত হয়ে ফিরে সঙ্গীর দিকে তেমন মনোযোগ না দিয়েই ঘুমিয়ে পরেন। এমনকি রোমান্টিক সময় কাটানোরও প্রয়োজনবোধ করেন না কেউ কেউ। কিন্তু বিয়ের পর দাম্পত্য সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য শারীরিক মিলনের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। নিয়মিত সঙ্গীর সাথে শারীরিক ভাবে মিলিত হলে সম্পর্ক দৃঢ় হয় এবং ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।লেখকঃ নুসরাত শারমিন লিজা।
২টি মন্তব্য :
Onek sundor kotha bolechen thanks.
kub valo
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন