দুর্গাপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষক আটক
রাজশাহী থেকে সংবাদদাতা: রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের
পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার হোজা নদীর পাশ থেকে ওই শিশুর
রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধর্ষক জামরুল ইসলাম
রতনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। নিহত ওই শিশুর নাম আলো। সে
উপজেলার বহরমপুর এলাকার হোটেল শ্রমিক কামরুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশ ও
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, দুপুরে একই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে জামরুল ইসলাম
রতন (১৮) শিশুকন্যা আলোকে পাশের ঝিল থেকে পদ্মফুল তুলে দেয়ার লোভ দেখিয়ে
নিয়ে যায়। পরে একটি পান বরজের মধ্যে ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এরপর
শিশুর লাশ পাশের হোজা নদীর পাশে ফেলে রাখে। এদিকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়িতে
আলোর দেখা না পেয়ে বাবা-মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে এলাকাবাসী হোজা নদীর
পাশ থেকে শিশুর লাশ দেখে তাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার
করে। অপরদিকে হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়ার সময় পাষণ্ড যুবক রতনকে ধরে
পুলিশে দেয় পাশের গ্রামবাসী। সেখান থেকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসার সময়
এলাকাবাসীর রোষানলে পড়ে। নিজেরাই ধর্ষককে শাস্তি দিতে পুলিশের পিকআপ থেকে
নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এলাকাবাসী। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর
সংঘর্ষও বাধে। এতে থানার এসআই সোহেল রানাসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা জানান, পুলিশ আসামিকে ধরে থানায়
নিয়ে আসার সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশবিক এ হত্যাকাণ্ডে
জড়িত যুবককে পিটুনি দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে এলাকাবাসী
উত্তেজিত হয়ে ওঠে। কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। তবে আসামিকে পুলিশের হেফাজতে
থানায় নেয়া হয়েছে।
সূত্র
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?
সূত্র
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন