ইয়াবা যেখানে ‘বাবা’

কোন মন্তব্য নেই


চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: বাল্লা সীমান্তে ‘বাবা’ নামে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। চিহ্নিত চোরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা ছড়িয়ে দিচ্ছে পাড়া মহল্লাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় লোকজনকে ম্যানেজ করে চলছে এ ব্যবসা। তবে এ ব্যাপারে নীরব রয়েছে পুলিশ-বিজিবি, নারকটিক্স বিভাগ। চুনারুঘাট উপজেলার ধলাইরপাড়, গাজীপুর ইউনিয়নের সাদ্দাম বাজার, আহমদাবাদ ইউপি’র চিমটিবিলখাস ও বাল্লা সীমান্তের দশ চোরাকারবারির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দুই শতাধিক মাদক চোরাকারবারি। এরা আমুরোড বাজার, আসামপাড়া বাজার ও সাতছড়িকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিদিন চালান দিচ্ছে লাখ লাখ টাকার মাদক। মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতে গিয়ে বিগত সময়ে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক দারোগাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন দারোগা হরিদাস। হরিদাসকে মাদক পাচারে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হলে এখন এসব নিয়ন্ত্রণ করছেন শাহীন নামের আরেক দারোগা। তিনি প্রতিদিন সরকারি কাজকর্ম ফেলে সাদা পোশাকে সীমান্ত অঞ্চলে টহল দিয়ে বেড়ান। তার সোর্স হিসেবে কাজ করছে কুখ্যাত এক মাদক ব্যবসায়ী। বর্তমানে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে চোরাই ব্যবসা পরিচালনা করছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না। এলাকাবাসী জানায়, জান-মাল নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। রাজনৈতিক নেতারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিজিবি-পুলিশ মাঝে মধ্যে চাকরি বাঁচানোর জন্য কিছু মাদক আটক করেন। ২-৩ দিনের ব্যবধানে আটক মালামালেরও আর খোঁজ পাওয়া যায় না। বাল্লা সীমান্তের মোকামঘাট, টেকেরঘাট, গুইবিল সীমান্তের দুধপাতিল, বড়ক্ষের, চিমটিবিলখাস এবং সাতছড়ি সীমান্তের ৫টি পয়েন্টসহ ছোট-বড় ২০টি পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান ঢুকছে দেশে। অনেক ব্যবসায়ী ওয়ারেন্ট ও মামলা মাথায় নিয়ে দিব্যি মাদক পাচার করছে। এ ব্যাপারে দারোগা শাহীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে সবরকমের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি রাতেও টহল অব্যাহত আছে।
 সূত্র
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :