ইসলামের দৃষ্টিতে অসামাজিক বা নিষিদ্ধ যৌনাচার(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
ইসলাম কখনো অসামাজিক বা নিষিদ্ধ যৌনাচার সমর্থন করেনা।
বরং ইসলামের কঠোর বিধান রয়েছে এই সবের বিরোধে।
প্রাকৃতিক যৌনচারের মূল কারণ পুরুষের কাছে স্ত্রীর এবং স্ত্রীর কাছে পুরুষের অভাব।
বেশী বয়স পর্যন্ত অবিবাহিত থাকা যুবক যুবতি
অথবা এমন বিপন্তীক পুরুষ বা বিধবা
স্ত্রী, যারা সমাজের ভয়ে অন্য কোন স্ত্রী বা পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে
পারেন না,তারা অপ্রাকৃতিক মৈথুনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
সামাজিক এবং আইনের দৃষ্টি কোন থেকে স্ত্রীর যোনি ছাড়া আর কোন জায়গায় মৈথুন
করাটা কে অনুচিত এবং অপরাধ বলে গণ্য করা হয়, এই রকম পশু এবং একই লিঙ্গের ব্যাক্তির সঙ্গে ও মৈথুন করা কে অপরাধ বলে মনে করা হয়।
প্রাচিন যুগেও অপ্রাকৃতিক মৈথুন যারা করতো,সেই সব পুরুষ এবং স্ত্রী কে দণ্ড দেবার ব্যবস্থা ছিল, অপ্রাকৃতিক মৈথুন সব চেয়ে বেশি প্রচলিত হচ্ছে হস্তমৈথুন,
পৃথিবীতে যত পুরুষ আছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশে ও বেশি পুরুষ আছে এমন
যারা জীবনের কোন না কোন সময়ে হস্তমৈথুন নিশ্চয়ই করেছে। স্ত্রীদের মধ্যে হস্তমৈথুন অভ্যাস কম থাকে,কিন্তু ৫০ শতাংশ স্ত্রীদের মধ্যে হস্তমৈথুনের অভ্যাস
লক্ষ করা গেছে। সাধারণতঃ এই অভ্যাস কিশোরবস্থায় সৃষ্ট হয়। ছেলে মেয়েরা
কাম সুখের প্রথম অনুভব হস্তমৈথুনের মাধ্যমেই পায়। এরপর ধীরে ধীরে এই
সুখ প্রাপ্ত করার জন্য ওরা নিয়মিত রূপে হস্তমৈথুনের করতে শুরু করে দেয়।
এমন দেখা গেছে যে , হস্তমৈথুনের কিশোর - কিশোরীরা ওদের বড়োদের কাছ থেকেই শিখে।
স্কুল - কলেজে বেশী বয়সের ছাত্র - ছাত্রীরা কম বয়সের ছাত্র হস্তমৈথুনের অভ্যস্ত।
মেয়েরা এর থেকে ও আগে এগিয়ে যায় এবং নিজের যোনিতে কোন লম্বা এবং
মোলায়েম জিনিষ ঢুকিয়ে কাম-সুখ পাবার চেষ্টা করে।
একাজের জন্য ওর মূলা, গাজর,বেগুন বা কলা ব্যাবহার করে।
এই সব জিনিষ খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় এবং এদের আকারও অনেকটা পুরুষদের লিঙ্গের মতই হয়।
কিছু কিছু পুরুষ স্ত্রীর অভাবে এবং কিছু - কিছু স্ত্রী পুরুষের অভাবে সমলৈঙ্গিক মৈথুনের করতে প্রথমে তো বাধ্য হয়,কিন্তু ধীরে ধীরে ওরা এই জাতীয় মৈথুনে
এতটা আনন্দ পেতে থাকে, যতটা আনন্দ বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে পেত না।
প্রাচীন যুগে গ্রীসে এবং মিশরে সমলৈঙ্গিক মৈথুনকে অত্যন্ত সন্মানীয় দৃষ্টিতে দেখা হত। আরব ইত্যাদি দেশে তো আজও মৈথুনের খুব বেশী প্রচলন রয়েছে।
ইউরোপের কিছু দেশে তো স্ত্রী বেশ্যাদের মতই পুরুষ বেশ্যাদের ও দেখা মেলে।
এরা সমলৈঙ্গিক মৈথুন করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে।
ভারতের কম বয়সের কিশোরদের সঙ্গে এবং হিজড়দের সঙ্গেও অনেক পুরুষ মৈথুন করে।সমলৈঙ্গিক মৈথুনে যেসব পুরুষেরা অত্যধিক কাম- সুখ পান,তারা নিজেদের
পত্নী এবং অন্যান্য স্ত্রীদের সঙ্গেও ঐভাবে মৈথুন করেলে গর্ভসঞ্চরারে ভয় থাকবেনা
এবং স্ত্রীদের কৌমার্যও অক্ষুন থাকবে। যদি কোন স্ত্রীর সঙ্গে কিছু দিন এই ভাবে
মৈথুন করা যায়, তা হলে সেই স্ত্রী নিজের যোনিতে পুরুষ লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে মৈথুন
করলে ততটা আনন্দ পাবেনা।
সমলৈঙ্গিক মৈথুন যারা করে, সেই সব স্ত্রী পুরুষ নিজের - সঙ্গী কে নিজের স্ত্রী বা স্বামী
হিসেবে মনে করে সেই ভাবে ওকে আলিঙ্গন বা চুম্বন করে, ঠিক যেভাবে ও নিজের
বাস্তবিক স্ত্রী বা স্বামীকে আলিঙ্গন করে চুম্বন করে। ওদের প্রণয় ক্রিয় স্বাভাবিক প্রণয়
প্রণয় ক্রিয়ার মতই হয়।
সেসব স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রীদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হয়, ওদের ব্যাবহার স্পষ্টরূপে পুরুষত্ব
উঁকি মারতে থাকে।
স্ত্রীদের মধ্যে সমলৈঙ্গিক মৈথুনের অভ্যস্তকে লেসবিয়নবাদ বলা হয়।
সমলৈঙ্গিক মৈথুন অভ্যস্ত স্ত্রীরা এক অপরের জননেন্দ্রিয়ে হাত দিয়ে রগাড়ায়,চুমু খায় , চাটে একে অপরের যৌনির মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ভগনাসাকে রগড়ে পরস্পর কে উত্তেজিত করে তোলে। এই সব স্ত্রীদের মধ্যে মুখ মৈথুন এর অভ্যস্ত লক্ষ করা যায়।
এই সব পাপাচার থেকে আল্লাহ আমাদের কে হেফাজত করুন।
আমিন।
আদর্শ নারী ও স্বামীর খেদমত বই থেকে নেওয়া।
Join to fcebook
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন