সিমাহীন দূর্ভোগ মাজার জিয়ারত কারীদের। ছন্দবেশী ও ভিক্ষুরা লাগামহীন।

কোন মন্তব্য নেই
দেশের ভিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাজারের ভক্তরা ছুটে আসেন মাজার জিয়ারত করতে। আসেন ওলি আউলিয়াদের দোয়া নিতে। কিন্তু যখন মাজারে এসে পৌছে তখন নানান প্রতরণায় তারা পড়ে। এই পোস্টে সব কিছু তুলে ধরবো। বাত্তি গোলাপ জল বিক্রয়তাদের ঘেরাও । গাড়ী থেকে নামার আগেই একদল এসে ঘেরাও করে বাত্তি গোলাপজল বিক্রয় করতে। এক আগরবাতি এক গোলাপ জল দিয়ে বলতে থাকে ভাই লন ১০ টাকা আপা লন ১০ টাকা। কেউ না নিলে জোড় করে হাঁতে দিয়ে দেয় অথবা পকেটে ডূকিয়ে দেয়। আবার বলে দে ভাই নিয়ে যান যাবার সময় টাকা দিয়ে যাবেন। এরপর ও কেও না নিলে জোড় করে দিয়ে দেয়। তখন তাঁরা বাধ্য নিতে । আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে এক আগরবাতি এক গোলাপজল মাত্র ১০ টাকায় কিভাবে বিক্রয় করে এই ডিজিটাল বাংলাদেশে। যারা স্বইচ্ছে দোকান থেকে বাত্তি গোলাপজল কিনতে যা সেই একই বাত্তি গোলাপজল কিনতে হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে। আর সব চেয়ে বড় কথা হল এই সব বাত্তি গোলাপজল কোনও ঘ্রাণ নেই। এমন কি এইসব গোলাপজল যে পানি দিয়ে বানানো হয়েছে সেই পানি ও পবিত্র না। এইসব গোলাপ জলের ভিতরে ময়লাও পাওয়া যায়। অথচ এইসব গোলাপজল ছিটানো হচ্ছে আল্লাহর ওলিদের মাজারে । এইসব গোলাপ জল মাজার ভিক্তিক দোকান দারেরা বানিয়ে বিক্রয় করে। সারা দিনে মাজারে যেসব গোলাপ জলের খালি বোতল জমা হয় ? তা সন্ধ্যা পর মাজারের দোকানদার দের কাছে শ হিসাবে বিক্রয় করা হয়। এইসব গোলাপ জলের গাঁয়ে লেখা আসে রি্গার্ড আর লেভেলে লেখা আসে আজমির। তবে কিছু দোকানে রি্গার্ডের গোলাপ জল আসে। যারা চায় তাদের কে দেয়া হয়। ছন্দবেশী ও ভিক্ষুরা লাগামহীন। মাজার গুলোতে আছে অসংখ্য ছন্দবেশী ও ভিক্ষুক। তাদের কাছে অসহায় মাজার জিয়ারত কারীরা। ছন্দবেশীরা মাজার জিয়ারত কারীদের হাত থেকে নান্নান কৌশলে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। তারা ভিভিন্ন ছন্দবেসে থাকে। তাদের এক মাত্র কাজ হল শলে কৌশলে মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। যদি কেউ টাকা না দিতে চায়লে তাকে ভিভিন্ন ভয় ভীতি দেখানো হয়। এমন কি এই সব ছন্দবেসে লম্পটেরা মেয়েদের গায়েও হাত দেয়। আপনি যতক্ষন পর্যন্ত তাদেরকে টাকা না দিবেন ততক্ষন পর্যন্ত তারা আপনার পিছনে সুপার গু আঠার মতো লেগেই থাকবে। এমন কি আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার ও করবে। আপনি তাদের কে ১০_২০ টাকা দিয়ে মন ভরাতে পারবেন না। নিম্ননে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হয়। এখানেই শেষ নয় তারা আপনাকে বলবে আমাকে এইটা কিনে দে ওটা কিনে দে। একটা সাদা লুঙ্গী কিনেদে; এক টা গামছা কিনেদে, এক টা বড় মোম বাত্তি কিনেদে,একতা তসবিহ কিনেদে। এমন ভাবে বলবে মনে হবে আপনি তার গোলাম। আপনি তাকে যা কিছু কিনে দিবেন ? কিছু ক্ষন বাদে তা ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে আসবে। কারন তারা আপনার আমার চেয়ে অনেক বড় লোক। তারা স্বভাবের ফকির অভাবের না। এরা এক ওয়াক্ত নামাজ ও পড়েনা। প্রশাব করে পানিও নেয়না। এমন কি তারা নটি বেশ্যাদের নিয়ে আমোদ ফুর্তিতে বেস্ত। এমন কি ঘরে বসে গাজা ও খায় আবার ঘরের বউ কে গরুর মতো পিটায় । আমার নিজ চোখে দেখা। এদের মাঝে অনেকে আছে দেড় হাত লম্বা দাড়ী এক হাত লম্বা মুছ। লাঠি দিয়ে গুতিয়ে পথ বাহির করা লাগে। আপনারা এতো ক্ষণ ছন্দবেশী লম্পটদের কথা শুনলেন। এবার আসুন ভিক্ষুকদের কথা বলি। ভিক্ষুকদের অবস্তান তো আরও করুণ। বড় বড় নারী পুরুষের সাথে ছুটো বাচ্ছারাও আছে। আপনি তাদের কে ভিক্ষা না দিয়ে যতোটুক বিপদে পরবেন ? বরং তাদের কে ভিক্ষা দিয়ে এর চেয়ে শত গুণ বেশি বিপদে পরবেন। আপনি তাদের কে যত ক্ষণ পর্যন্ত ভিক্ষা না দিবেন? তারা ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার পিছনে ঘুরবে। এমন কি গাড়ী তে ওঠেও আপনি রেখায় পাবেন না। তারা আপনার গাড়ীর পিছনে ও দৌড়াবে যতক্ষণ পর্যন্ত ভিক্ষা না দিবেন। ২ টাকা ৫ টাকা দিলে নিবেনা। ১০ টাকার কমে দিলে ছুড়ে ফেলে দিবে। এক জন কে দিলে সাথে আরও ২০ থেকে ৩০ জন আপনাকে ঘেরাও করবে। আপনাকে নিয়ে টানা খেঁচড়া শুরু হয়ে যাবে। মাজারের এলাকাতে এই সব চিত্র নিত্য দিনের। ছন্দবেশী ও ভিক্ষুদের লাগামহীনের কথা সবই জানে মাজার কর্তৃপক্ষ। এর পরও তারা কোন ব্যবস্তা নেয় না। অথচ মাজার গুলোতে প্রতি মাসে মানতের কোটি কোটি টাকা ওঠে। আর এইসব টাকা মাজারের দায়িত্ব রত খাদিমরা লুটে পুটে খায়। একটি টাকাও মাজারে ব্যয় করে না। যাবতীয় কাজ সরকারে করে। তারপরে ও মানুষ মাজারে বস্তা ভর্তি টাকা ঢালে। কোনো ফকির মিসকিন ২ টাকা চাইলে তার পেটে লাঠি মারে। এই সব নির্বোদের কাছে জীবিত মানুষদের চেয়ে মৃত ব্যক্তিদের কদর বেশি। বস্তা ভর্তি টাকা মাজারে না ঢেলে যদি গরীবদের পিছনে ঢালা হতো? এই দেশ কবেই উন্নত হয়ে যেতো। কোনো বিদেশী লাল কুত্তা দালালদের সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন হতো না। জানিনা এই সব নির্বোধের বোধ হবে কবে? ব্লগার-সৈয়দ রুবেল। ব্লগ_জানার আছে অনেক কিছু। *********************************************** এই লেখাটি শেয়ার করে অন্যদের কে জানতে দিন । সবাই কে ধন্যবাদ। আপনি যদি কোনো পেইজের অথবা কোনো ব্লগ বা ওয়েব সাইটের প্রশাসক হয়ে থাকেন? তা হলে নিজ দায়িত্তে শেয়ার করুণ আপনার পেইজে অথবা আপনার ব্লগে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি ও ভালো থাকুন। এই কামনাই- আল্লাহ হাফেজ। প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :