বাকী লাশ গেলো কোথায়?

কোন মন্তব্য নেই
প্রিয় পাঠক গত শনি বারে দেশে ঘটে গেলো ভয়ংকর ২ টি দুর্ঘটনা। একটি হল ঢাকা আশুলিয়ার গার্মেনসে ভয়াভহ আগুন। ২য় টি হল চট্রগ্রামে বহদ্দার হাটে নতুন ওভার ব্রিজ ধসে পড়া। আশুলিয়ার গার্মেনসে ভয়াভহ আগুন লেগেছে। তখন কাজ করতে ছিল ৩হাজার শ্রমিক। রাতের ১০ টার সংবাদে শুনলাম ২০০ জন কে উদ্দার করে হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। সকাল ১০ টার সংবাদে দেখলাম ১২৫ জনের পুড়ে যাওয়া লাশ উদ্দার করা হয়েছে। তা হলে এখানে ৩২৫ জন হল। আমার প্রশ্ন হল বাকী ২ হাজার ৬শ ৭৫ জন শ্রমিক গেলো কোথায়? তারা কি এদেশের কেউ নয়? নাকি তারা গরীব হয়ে জম্ম নেয়া ছিল অপরাধ? আমাদের সরকার বলে তিনি দুনিতি করে না। সরকার যদি দুনিতি না করে থাকে তা হলে নির্মাণ করা নতুন ওভার ব্রিজ ধসে পড়ে কেনো? ১৫ মিটার করে ৩ টি গার্ডার ভেঙ্গে পড়েছে। গার্ডার ভেঙ্গে পড়ার সময় ৪৫ মিটার জায়গাতে অনেক লোক ছিল। না হলেও ২ থেকে ৩ শ মানুষ গার্ডারের নিচে পড়ে নিহত হয়েছে। অথচ আমাদের মিডিয়ারা মাত্র ৫ জন নিহত হয়েছে বলে প্রচার করতেছে। আমি বুঝতে পারতেছি না মিডিয়ার সত্য প্রকাশ করতে বাধা কোথায়? যে মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ সত্য জানতে পারবে? সেই মিডিয়া যদি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তা হলে দেশ এগিয়ে যাবে কি করে। দেশের চেয়ে আমাদের মিডিয়ারা বেশি দুনিতি গ্রস্ত। এই কথা বলাতে যদি মিডিয়ারা আমার পিছনে লেগে যায়? এতে আমি ব্লগার সৈয়দ রুবেল এর কোনো সমস্যা নেই। কয়েক হাজার মানুষের সাথে আমি না হয় চালান হয়ে যাবো । এক দিন আগে পরে সবাই কে মরতে হবে। ফেসবুকে অনেকে বলতেছে ৩০ লক্ষ লোক দিয়ে এই দেশ পেয়েছি। মাত্র ৩০০শ লোক দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারবোনা। ফেসবুকে একটি পেজে একটি জোকস পড়ে ছিলাম গত কিছু দিন আগে। জোকস টি ছিল_ভাগনে মামা কে বলতেছে মামা রাতে মামির কি হয়ে ছিল? মামঃ কয়টা বাজে? ভাগনেঃ রাত ১২ টার পড়ে। মামাঃএইসব বুঝার বয়স তোর হয় নাই? ভাগনেঃ বললেই বুঝবো। মামাঃঠিক আছে আমি রাতে জানালা খুলে রাখবো তুই দেখে নিস। তবে মনে রাখবি আমি হলাম সরকার, তোর মামি হল দেশ, তুই জনগন। পরের দিনঃ মামাঃ কি বুঝলি? ভাগনেঃ হুম,সরকার দেশ কে মারে আর জনগন তাকিয়ে দেখে। আমাদের ও সেই একই অবস্তা। আমাদের সরকার দেশ কে শাসন নয় বরং লুটে পুটে খাচ্ছে। কারন চোর চোরকে চিনে। সরকার যদি দুনিতি না করতো তা হলে নতুন ওভার ব্রিজ নির্মাণ হওয়ার পরেই কয়েন তা ভেঙ্গে পরবে? যে ব্রিজ নিজের ভার নিজেই বহন করতে পারেনা ? সে ব্রিজ কি ভাবে হাজার হাজার যান বাহনের বহন করবে? এই বিষয় টি অনুসন্ধান করলেই বুঝা যাবে দেশে কি পরিমান দুনিতি হচ্ছে। পদ্না সেতুর বেলায় যে এই রকম হতনা এইটি বাদ দেয়া যায় না। কারন এটা হওয়ার আগে ধরা পরেছে। আর এ দিকে দুদক তাদের কে ফেরেস্তা বলে অভিহিত করতেছে। এতে বুঝা যায় দুদক নিজেই দুনিতি গ্রস্ত । যারা দুনিতি করে? আবার তারাই দুনিতির বিরদ্দে কথা বলে। অর্থাৎ নিজের পায়খানা নিজেয় খায়। যারা জনগনের টাকায় খেয়ে সোনার খাটে ঘুমায়? তারা কি করে সাধারন জনগনের কষ্ট বুঝবে। কারন তারা মহা দুনিতি বাজ। দুনিতি করতে নাহি লাজ। আমার আর কিছু বলার নাই। বাকী যা কিছু বলার আপনাই বলুন। আল্লাহ হাফেজ। ব্লগার_ সৈয়দ রুবেল। লেখক_জানার আছে অনেক কিছু। শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব । প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :