কোরআন ও বিজ্ঞান
ইসলাম একমাত্র জীবন বিধান স্রষ্টার(আল্লাহর) পক্ষ থেকে আমাদের জন্য।
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।
দুঃখ লাগে যখন দেখি কোন মুসলিম
হয়ে গেছে নাস্তিক অথবা অমুসলিম।
কিন্তু কেন? ইসলাম থেকে সুন্দর
কি অন্য
কোন জীবন বিধান আছে? নাই,কিন্তু
তার
পর ও মুসলিমরা কেন এই সুন্দর ও সঠিক
ধর্ম বা জীবন বিধান কে বাদ
দিয়ে অন্য ধর্ম গ্রহন করছে?
নাস্তিক ও অমুসলিমদের কাছে বিজ্ঞান
হল মাপকাঠি। এবং আল্লাহ্ তা’আলার
দেওয়া জীবন বিধান এমন
হবে যা সর্বদা প্রমান করবে যে এই
বিধান আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে।
যদি কোরআন আল্লাহর বানী হয়
(অবশ্যই
কোরআন আল্লাহর বানী)
তাহলে অবশ্যই
এই কোরআন প্রমান
করবে যে ইহা আল্লাহর
কাছে থেকে এসেছে।
যেহেতু নাস্তিক ও অমুসলিমদের
কাছে বিজ্ঞান হল মাপকাঠি তাই
বিজ্ঞান এর সামনে কোরআন
কে দিয়ে দেখি বিজ্ঞান কি বলে। এই
পরীক্ষাটি কিভাবে কোরআন পাস
করে তা দেখুনঃ
১.মানুষ সৃষ্টি পানি দিয়ে।
[সুরা ফুরকান;৫৪]-বিজ্ ঞান
এটি প্রমান
করেছে।
২.মানুষকে ৩টি স্তরে সৃষ্টি করা হয়েছে।
[সুরা জুমার;৬]-বিজ্ঞা ন বলে ভ্রুন
মায়ের
পেটে ৩টি স্তরে আস্তে আস্তে বড়
হয়ে।
৩.ভ্রুন ১১ ও ১২তম পাজরের হাড়ের
মধ্যে থেকে বড় হয়।[সুরা তারিক;৫-৭]
-
বিজ্ঞান এটি প্রমান করেছে।
৪.নঘন্য পরিমান মিস্র
শুক্রানো থেকে সৃষ্টি হয় মানুষ।
[সুরা সাজদাহ;৮]-বিজ্ঞ ানও আমাদের
বলে শুক্রানোর কিছু অংশ থেকে মানুষ
সৃষ্টি হয়।
৫.আল্লাহ সমস্ত জীব-জন্তু
সৃষ্টি করেছেন
পানি দিয়ে।[সুরা নুর;৪৫]-বিজ্ঞান ও
এই
কথাই বলছে।
৬.পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত
গোলাকার।[সুরা নাযিয়াত;৩০]-বিজ
্ঞান
বলছে পৃথিবী সম্পূর্ণ গোলাকার না,
বরং একটু চাপটা(কমলালেবুর মত) আর
উট
পাখির ডিমও কমলালেবুর মত।
অর্থাৎ,পৃথিবী উট পাখির ডিমের মত।
৭.মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল।[
সুরা যারিয়াত;৪৭]-বিজ ্ঞান
এটি প্রমান
করেছে।
৮.আমি(আল্লাহ্)
আকাশকে করেছি সুরক্ষিত
ছাদ।[সুরা আম্বিয়া;৩২]-বিজ ্ঞান
আমাদের বলছে বায়ুমন্ডল এর ওজন
স্তর
সূর্যের
অতি বেগুনি রশ্মি থেকে পৃথিবীকে সুরক্ষন
করে।অর্থাৎ,কোরআ ন এই ওজন স্তর
এর
কথা বলছে।
৯.সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ
পথে বিচরণ করে।[সুরা আম্বিয়া;৩৪]-
বিজ্ঞান কিছু বছর আগেও মনে করত
সূর্য
স্থির,কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞান
বলছে সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিজ কক্ষ
পথে বিচরণ করে, যা কোরআন প্রায়
১৪০০ বছর আগেই বলেছে।
১০.সূর্য ও চন্দ্র নির্দিষ্ট সময়
পর্যন্ত
আবর্তন করে।[সুরা রদ/ রাদ;০২]-
বর্তমান
বিজ্ঞান এর সাথে একমত।
১১.আল্লাহ্ বায়ু প্রেরন
করেন,ফলে তা মেঘমালাকে সঞ্চালিত
করে।[সুরা রুম;৪৮]-বর্তমান
বিজ্ঞান এর
সাথে একমত।
১২.ভ্রুন দেখতে জোঁকের মত।
[সুরা আলাক;১-২]-বর্তম ান বিজ্ঞান
এর
সাথে একমত এবং প্রফেসর কিথমুর
এটি প্রমান করেছেন
এবং বলেছেনঃ “এটি আমার বলতে কোন
আপত্তি নেই যে এই কোরআন আল্লাহর
বানী এবং নবী মুহাম্মাদ আল্লার
রাসুল”(সাঃ)
১৩.চাঁদের আলো প্রতিফলিত আলো।
[সুরা ফুরকান;৬১]-বর্ত মান বিজ্ঞান
এর
সাথে একমত।
১৪.পরমানুর ক্ষুদ্র কনা রয়েছে।
[সুরা সাবা;৩]-বর্তমান বিজ্ঞান এর
সাথে একমত এবং তা হল
ইলেকট্রন,প্রোটন ,নিউট্রন।
কোরআনে আর বহু এরকম আয়াত আছে।
উপরের তথ্যগুলো বিজ্ঞান প্রমান
করেছে প্রায় ২০০-৩০০ বছর
আগে কিন্তু
কোরআনে তা লিখা হয়েছে ১৪০০ বছর
আগে। ১৪০০ বছর আগে কোন মানুষ
এসব
তথ্য জানতো না তাহলে কিভাবে কোন
মানুষ এসব লিখতে পারে? উত্তর
একটি তা হল এই কোরআন কোন মানুষের
বানী না, এই কোরআন আমাদের স্রষ্টার
বানী যিনি এই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
তার পরও যারা কোরানকে আল্লাহর
বানী বলে বিশ্বাস করে না তাদের
ক্ষেত্রে আমি কোরআনের এই
আয়াতটা বলবোঃ “তারা অন্ধ
তারা বধির,তারা দেখেও
দেখে না শুনেও শুনে না”
আমি এই পেজ এর একজন নতুন এডমিন,
মাইনুদ্দিন আহমেদ শুভ। আমার জন্য
দোয়া করবেন।
ইয়া আল্লাহ্ আমাদের ইমান মজবুত
করে দিন, আমাদের সকল ইবাদাত কবুল
করে নিন, আমাদের সকল গুনাহ
ক্ষমা করে দিন.........।।( আমিন)
{Mainuddin Ahmed}
Next Post l বিষয়টি ঘৃণার নয় লজ্জারও বটে ।
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন