আল্লাহর প্রতি ঈমান ও ভরসা - যুবকের আকীদা
আল্লাহর প্রতি ঈমান ও ভরসাআল্লাহর প্রতি দৃঢ় ঈমান ও
ভরসা মানব জীবনের কল্যাণের
পথে বড় সহায়ক। এরূপ ঈমান ও
ভরসা মানুষকে বস্তু-আকর্ষণ
থেকে মুক্ত করে এবং আখেরাতের
প্রতি ধাবিত করে। ফলে মানুষ বস্তু
জড়তামুক্ত হয়ে অপরাধ ও গোনাহের
কাজ থেকে সংযত
হতে পারে এবং আখেরাতের সৌভাগ্য
অর্জনে ধন্য হয়। পবিত্র কুরআনে এ
দিকটির প্রতি আলোকপাত করে ইরশাদ
হয়েছেঃ
ﻭﻣﻦ ﻳﺘﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺠﻌﻞ ﻣﺨﺮﺟﺎ
ﻭﻳﺮﺯﻗﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﻻ ﻳﺤﺘﺴﺐ
ﻭﻣﻦ ﻳﺘﻮﻛﻞ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻬﻮ ﺣﺴﺒﻪ
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺎﻟﻎ ﺍﻣﺮﻩ ﻗﺪ ﺟﻌﻞ ﺍﻟﻠﻪ
ﻟﻜﻞ ﺷﻴﺊ ﻗﺪﺭﺍ
অর্থাৎ ‘যে আল্লাহকে ভয়
করে আল্লাহ তার জন্য পথ বের
করে দেন এবং তাকে রিযিক দান করেন
বে-হিসাব। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর
উপর ভরসা করে তার জন্য তিনিই
যথেষ্ট হয়ে যান। নিশ্চয়ই আল্লাহ তার
কাজ পূর্ণ করে থাকেন। আল্লাহ
প্রতিটি জিনিসের জন্য একটি পরিমাণ
নির্ধারণ করে দিয়েছেন।’
রাসূলে পাক ইরশাদ করেন,
যে ব্যক্তি নিজেকে আখেরাতের
চিন্তায় নিমগ্ন রাখে তার জন্য
আল্লাহ পাকই যথেষ্ট। আর
যে ব্যক্তি জড় বস্তুর চিন্তায় আবদ্ধ
হয় তার ধ্বংস অনিবার্য। পৃথিবীর
বুকে মানুষ ব্যতীত আরও অসংখ্য
সৃষ্টি রয়েছে। তাদের জীবন যাপনের
অন্ন-বস্ত্রের কোন
স্থায়ী ব্যবস্থা নেই, তাদের নেই থাকার
নির্ধারিত স্থান। তারা কেবল স্রষ্টার
উপরই ভরসা করে। আর আল্লাহ পাক
সত্যিই তাদের সব
ব্যবস্থা করে থাকেন। কিন্তু মানুষ
মেধা-বুদ্ধির অধিকারী হয়েও এই সত্য
অনুধাবনে উদাসীন। এ কারণেই তাদের
লাঞ্ছনা-বঞ্চনার জীবন যাপন
করতে হয়। পক্ষান্তরে এই যুবক তার
জীবনে ঈমান ও আল্লাহর উপর
ভরসাকে পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
হজ্জ্বের বিরাট সফরে সে কেবল
আল্লাহর সত্ত্বার উপরই নির্ভরশীল
ছিল। পবিত্র কুরআনের পাঁচটি শব্দই
ছিল তার একমাত্র সহায়-সম্বল। এর
উপর ভরসা করে সে তার অভীষ্ট
লক্ষ্য অর্জনে ব্রতী হয়,
প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। আল্লাহ পাক
তার প্রচেষ্টাকে বিফল করেন নাই।
তাকে করেছেন চিরকালের জন্য
সৌভাগ্যবান।
যুবকের আকীদা
যুবকের আকীদা ছিল এই যে,
আমাকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন,
সুতরাং তিনিই আমার জন্য যথেষ্ট।
মানুষের সৎপথে চলা উচিত। সৎ পথের
পথ প্রদর্শক হচ্ছেন আল্লাহ পাক।
মানুষ যা চিন্তা করে তা ভুলও
হতে পারে, বরং ভুল হওয়াই অনিবার্য।
কিন্তু আল্লাহ পাক নির্ভূল,
তিনি সুবহান। তাই তার
দিকনির্দেশনা নির্ভুল এবং মানুষের
জন্য স্থায়ী কল্যাণের উপায়।
আশ্রয়দাতা কেবল আল্লাহ পাক, অন্য
কেউ নয়। কেননা সৃষ্টি মাত্রই
আশ্রয়ের মুখাপেক্ষী, তাই স্রষ্টার
বদলে কোন সৃষ্টি কাউকে আশ্রয়
দিতে সক্ষম নয়। আল্লাহ মহাজ্ঞানী।
যা মানুষ জানে না এবং কল্পনাও
করতে পারে না তাও আল্লাহ পাকের
জানা আছে। তাই মুমিনের
অবস্থা সম্পর্কে তিনি অভিজ্ঞ।
মুমিনের কষ্ট-দুর্ভোগের পিছনেও
থাকে বিরাট উপকারিতা এবং সুখ-
শান্তির পিছনেও থাকে গভীর রহস্য।
তাই সর্বাবস্থায় আল্লাহর
প্রতি আনুগত্যশীল থাকা বাঞ্ছনীয়।
কষ্ট সহ্য ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করাই
মুমিনের শান। কেননা ধৈর্যের পরিণাম
অতীব কল্যাণকর। পবিত্র কুরআন ও
হাদীসে এ সমূহ বিষয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ
বর্ণনা রয়েছে। আল্লাহর
বর্ণনা অসত্য নয়, হতেই পারে না। এই
আকীদা-বিশ্বাসই যুবকের
জীবনে সফলতা বয়ে এনেছে।
Next Post দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য - অহমিকা অন্তরের ব্যধি
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন