মাতা-পিতার খেদমত - যুবতীর অপকর্ম

কোন মন্তব্য নেই
মাতা-পিতার খেদমত
হযরত উমর ফারুকের খেলাফতের
যুগে এই তাবেয়ী যুবক হযরত উমরের
অত্যন্ত স্নেহভাজন ব্যক্তি ছিল।
তিনি যুবকটিকে অত্যন্ত স্নেহ
করতেন। স্নেহের কারণও ছিল।
যুবকটি ছিল খুবই ইবাদতগোযার।
প্রয়োজনীয় কাজ থেকে অবসর হলেই
তাকে সর্বদা মসজিদে ইবাদত-রিয়াজত,
নামায, পবিত্র কুরআনের তেলাওয়াত
আর জ্ঞান চর্চায় নিমগ্ন দেখা যেত।
বস্তুতঃ এমন যুবক কোন
বস্তুবাদী বাদশাহের নিকট অপছন্দনীয়
বা বেকার মনে হতে পারে, কিন্তু হযর
উমরের মত সাহাবী, বিশ্ব রাসূলের
শ্বশুর ও আমীরুল মুমিনীনের
দৃষ্টিতে এমন যুবকের কদর ও সম্মান
অধিক হওয়াই স্বাভাবিক। এরূপ
যুবককেই আল্লাহ পাক হাশরের ভয়াবহ
দিনে আরশের নীচে ছায়া দান
করে সম্মাানিত করবেন
বলে বুখারী শরীফের হাদীসে উল্লেখ
রয়েছে। এই তাবেয়ী যুবকের উপরোক্ত
গুণ ব্যতীত আরেকটি গুণ এই ছিল যে,
সে এশার নামায আদায় করে দৈনিক
বৃদ্ধ পিতার খেদমতে নিয়োজিত হতো।
পিতার সব ধরণের সেবা ও খেদমত নিজ
হাতে করত। কারণ তার বিশ্বাস ছিল,
মাতা-পিতার খেদমত জান্নাত লাভের
অন্যতম উপায়। পক্ষান্তরে তাদের
সাথে কঠোর ভাষায় কথা বলা, তাদের
কষ্ট দেয়া, বেয়াদবী করা, তাদের
অবাধ্য হওয়া অমার্জনীয় অপরাধ,
ধ্বংসের কারণ। সূরায়ে বণী ঈসরাইলে এ
সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ বিদ্যমান
রয়েছে।
যুবতীর অপকর্ম
এই যুবকের প্রতি আকৃষ্ট ছিল এক
যুবতী। পিতার খেদমতে যাওয়ার
পথে সেই যুবতী প্রতিদিনই এই যুবক-
তাবেয়ীকে বিরক্ত করত
এবং তাকে পাপাচারে লিপ্ত করার
অপপ্রয়াস চালাত। কিন্তু
তাবেয়ী যুবক নিজেকে অপরাধ
থেকে সংযত রাখত। অবশেষে একদিন
যুবতীর আহবানে সাড়া দিয়ে যুবতীর
বাড়ী পর্যন্ত সে যায়। বাড়ীর দরজায়
পৌঁছার পর হঠাৎ এই আয়াতটি তার
মনে পড়ে যায় এবং তার
সম্মুখে সেটি ভেসে উঠে।
ﺍﻥ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﺗﻘﻮ ﺍﺫﺍ ﻣﺴﻬﻢ ﻃﺎﺋﻒ
ﻣﻦ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺗﺬﻛﺮﻭ ﻓﺎﺫﺍﻫﻢ
ﻣﺒﺼﺮﻭﻥ
অর্থ ঃ যারা খোদভীরু তাদের উপর
শয়তানের আগমন ঘটার সাথে সাথেই
তারা সতর্ক হয়ে যায় এবং তখনই
তাদের বিবেচনা শক্তি জাগ্রত
হয়ে উঠে।
এই আয়াতের মর্মবাণী অনুধাবনের
সাথে সাথে যুবকটি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে
এবং বেহুশ হয়ে পড়ে থাকে।
বাড়ী ফিরতে অনেক বিলম্ব
হয়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকজন তার
তালাশে বের হয় এবং যুবতীর বাড়ীর
সামনে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায়
দেখে ধরাধরি করে বাড়ীতে নিয়ে যায়।

Next post অপবাদ রটনা - যুবকের মৃত্যু

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :