39) সূরা আল-যুমার (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত সংখ্যা 75[বাংলা অর্থ সহ]

কোন মন্তব্য নেই
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺲَّ ﺍﻟْﺈِﻧﺴَﺎﻥَ ﺿُﺮٌّ
ﺩَﻋَﺎ ﺭَﺑَّﻪُ ﻣُﻨِﻴﺒًﺎ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺛُﻢَّ ﺇِﺫَﺍ
ﺧَﻮَّﻟَﻪُ ﻧِﻌْﻤَﺔً ﻣِّﻨْﻪُ ﻧَﺴِﻲَ ﻣَﺎ
ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺪْﻋُﻮ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻞُ
ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﻟِﻠَّﻪِ ﺃَﻧﺪَﺍﺩًﺍ ﻟِّﻴُﻀِﻞَّ
ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻗُﻞْ ﺗَﻤَﺘَّﻊْ
ﺑِﻜُﻔْﺮِﻙَ ﻗَﻠِﻴﻠًﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﻣِﻦْ
ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
(8
যখন মানুষকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ
করে, তখন
সে একাগ্রচিত্তে তার
পালনকর্তাকে ডাকে, অতঃপর
তিনি যখন তাকে নেয়ামত দান
করেন, তখন সে কষ্টের
কথা বিস্মৃত হয়ে যায়, যার
জন্যে পূর্বে ডেকেছিল
এবং আল্লাহর সমকক্ষ স্থির
করে;
যাতে করে অপরকে আল্লাহর
পথ থেকে বিভ্রান্ত করে।
বলুন, তুমি তোমার কুফর
সহকারে কিছুকাল জীবনোপভোগ
করে নাও। নিশ্চয়
তুমি জাহান্নামীদের
অন্তর্ভূক্ত।
And when some hurt
touches man, he cries
to his Lord (Allâh
Alone), turning to
Him in repentance,
but when He
bestows a favour
upon him from
Himself, he forgets
that for which he
cried for before, and
he sets up rivals to
Allâh, in order to
mislead others from
His Path. Say: ”Take
pleasure in your
disbelief for a while:
surely, you are (one)
of the dwellers of the
Fire!”
ﺃَﻣَّﻦْ ﻫُﻮَ ﻗَﺎﻧِﺖٌ ﺁﻧَﺎﺀ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ
ﺳَﺎﺟِﺪًﺍ ﻭَﻗَﺎﺋِﻤًﺎ ﻳَﺤْﺬَﺭُ
ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓَ ﻭَﻳَﺮْﺟُﻮ ﺭَﺣْﻤَﺔَ ﺭَﺑِّﻪِ
ﻗُﻞْ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ
ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺘَﺬَﻛَّﺮُ ﺃُﻭْﻟُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
(9
যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার
মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত
করে, পরকালের
আশংকা রাখে এবং তার
পালনকর্তার রহমত
প্রত্যাশা করে, সে কি তার
সমান, যে এরূপ করে না; বলুন,
যারা জানে এবং যারা জানে না;
তারা কি সমান হতে পারে?
চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই
করে, যারা বুদ্ধিমান।
Is one who is
obedient to Allâh,
prostrating himself
or standing (in
prayer) during the
hours of the night,
fearing the Hereafter
and hoping for the
Mercy of his Lord (like
one who disbelieves)
? Say: ”Are those who
know equal to those
who know not?” It is
only men of
understanding who
will remember (i.e.
get a lesson from
Allâh’s Signs and
Verses).
ﻗُﻞْ ﻳَﺎ ﻋِﺒَﺎﺩِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ
ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢْ ﻟِﻠَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﺣْﺴَﻨُﻮﺍ
ﻓِﻲ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ
ﻭَﺃَﺭْﺽُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﺳِﻌَﺔٌ ﺇِﻧَّﻤَﺎ
ﻳُﻮَﻓَّﻰ ﺍﻟﺼَّﺎﺑِﺮُﻭﻥَ ﺃَﺟْﺮَﻫُﻢ
ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺣِﺴَﺎﺏٍ
(10
বলুন, হে আমার
বিশ্বাসী বান্দাগণ!
তোমরা তোমাদের
পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ
দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের
জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর
পৃথিবী প্রশস্ত।
যারা সবরকারী, তারাই তাদের
পুরস্কার পায় অগণিত।
Say (O Muhammad
SAW): ”O My slaves
who believe (in the
Oneness of Allâh
Islâmic Monotheism),
be afraid of your Lord
(Allâh) and keep your
duty to Him. Good is
(the reward) for
those who do good
in this world, and
Allâh’s earth is
spacious (so if you
cannot worship Allâh
at a place, then go to
another)! Only those
who are patient shall
receive their rewards
in full, without
reckoning.”
ﻗُﻞْ ﺇِﻧِّﻲ ﺃُﻣِﺮْﺕُ ﺃَﻥْ ﺃَﻋْﺒُﺪَ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨْﻠِﺼًﺎ ﻟَّﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ
(11
বলুন, আমি নিষ্ঠার
সাথে আল্লাহর এবাদত
করতে আদিষ্ট হয়েছি।
Say (O Muhammad
SAW): ”Verily, I am
commanded to
worship Allâh (Alone)
by obeying Him and
doing religious deeds
sincerely for Allâh’s
sake only and not to
show off, and not to
set up rivals with
Him in worship;
ﻭَﺃُﻣِﺮْﺕُ ﻟِﺄَﻥْ ﺃَﻛُﻮﻥَ ﺃَﻭَّﻝَ
ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ
(12
আরও আদিষ্ট হয়েছি, সর্ব
প্রথম নির্দেশ
পালনকারী হওয়ার জন্যে।
”And I am
commanded (this) in
order that I may be
the first of those who
submit themselves to
Allâh (in Islâm) as
Muslims.”
ﻗُﻞْ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺧَﺎﻑُ ﺇِﻥْ ﻋَﺼَﻴْﺖُ
ﺭَﺑِّﻲ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﻳَﻮْﻡٍ ﻋَﻈِﻴﻢٍ
(13
বলুন, আমি আমার
পালনকর্তার অবাধ্য হলে এক
মহাদিবসের শাস্তির ভয় করি।
Say (O Muhammad
SAW): ”Verily, if I
disobey my Lord, I
am afraid of the
torment of a great
Day.”
ﻗُﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺃَﻋْﺒُﺪُ ﻣُﺨْﻠِﺼًﺎ ﻟَّﻪُ
ﺩِﻳﻨِﻲ
(14
বলুন, আমি নিষ্ঠার
সাথে আল্লাহ তা’আলারই
এবাদত করি।
Say (O Muhammad
SAW) ”Allâh Alone I
worship by doing
religious deeds
sincerely for His sake
only and not to
show-off, and not to
set up rivals with
Him in worship.”
ﻓَﺎﻋْﺒُﺪُﻭﺍ ﻣَﺎ ﺷِﺌْﺘُﻢ ﻣِّﻦ
ﺩُﻭﻧِﻪِ ﻗُﻞْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳﻦَ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺧَﺴِﺮُﻭﺍ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢْ
ﻭَﺃَﻫْﻠِﻴﻬِﻢْ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﺃَﻟَﺎ
ﺫَﻟِﻚَ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺨُﺴْﺮَﺍﻥُ ﺍﻟْﻤُﺒِﻴﻦُ
(15
অতএব, তোমরা আল্লাহর
পরিবর্তে যার ইচ্ছা তার
এবাদত কর। বলুন, কেয়ামতের
দিন তারাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত
হবে, যারা নিজেদের ও
পরিবারবর্গের তরফ
থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জেনে রাখ, এটাই সুস্পষ্ট
ক্ষতি।
So worship what you
like besides Him. Say
(O Muhammad SAW):
”The losers are those
who will lose
themselves and their
families on the Day
of Resurrection.
Verily, that will be a
manifest loss!”
ﻟَﻬُﻢ ﻣِّﻦ ﻓَﻮْﻗِﻬِﻢْ ﻇُﻠَﻞٌ ﻣِّﻦَ
ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻣِﻦ ﺗَﺤْﺘِﻬِﻢْ ﻇُﻠَﻞٌ
ﺫَﻟِﻚَ ﻳُﺨَﻮِّﻑُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻪِ ﻋِﺒَﺎﺩَﻩُ
ﻳَﺎ ﻋِﺒَﺎﺩِ ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﻥِ
(16
তাদের জন্যে উপর দিক
থেকে এবং নীচের দিক
থেকে আগুনের মেঘমালা থাকবে।
এ শাস্তি দ্বারা আল্লাহ তাঁর
বান্দাদেরকে সতর্ক করেন যে,
হে আমার বান্দাগণ,
আমাকে ভয় কর।
They shall have
coverings of Fire,
above them and
covering (of Fire)
beneath them; with
this Allâh does
frighten His slaves: ”O
My slaves, therefore
fear Me!”
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺍﺟْﺘَﻨَﺒُﻮﺍ ﺍﻟﻄَّﺎﻏُﻮﺕَ
ﺃَﻥ ﻳَﻌْﺒُﺪُﻭﻫَﺎ ﻭَﺃَﻧَﺎﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒُﺸْﺮَﻯ ﻓَﺒَﺸِّﺮْ
ﻋِﺒَﺎﺩِ
(17
যারা শয়তানী শক্তির পূজা-
অর্চনা থেকে দূরে থাকে এবং
আল্লাহ অভিমুখী হয়, তাদের
জন্যে রয়েছে সুসংবাদ। অতএব,
সুসংবাদ দিন আমার
বান্দাদেরকে।
Those who avoid At-
Tâghût (false deities)
by not worshipping
them and turn to
Allâh in repentance,
for them are glad
tidings; so announce
the good news to My
slaves,
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺴْﺘَﻤِﻌُﻮﻥَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝَ
ﻓَﻴَﺘَّﺒِﻌُﻮﻥَ ﺃَﺣْﺴَﻨَﻪُ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫَﺪَﺍﻫُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ
ﻫُﻢْ ﺃُﻭْﻟُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
(18
যারা মনোনিবেশ
সহকারে কথা শুনে, অতঃপর
যা উত্তম, তার অনুসরণ করে।
তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ
প্রদর্শন করেন এবং তারাই
বুদ্ধিমান।
Those who listen to
the Word [good
advice Lâ ilâha ill-
Allâh (none has the
right to be
worshipped but
Allâh) and Islâmic
Monotheism, etc.]
and follow the best
thereof (i.e. worship
Allâh Alone, repent to
Him and avoid
Tâghût, etc.) those
are (the ones) whom
Allâh has guided and
those are men of
understanding (like
Zaid bin ’Amr bin
Nufail, Salmân Al-
Fârisi and Abû Dhar
Al-Ghifârî). [Tafsir Al-
Qurtubi, Vol. 12, P.
244]
ﺃَﻓَﻤَﻦْ ﺣَﻖَّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻛَﻠِﻤَﺔُ
ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏِ ﺃَﻓَﺄَﻧﺖَ ﺗُﻨﻘِﺬُ ﻣَﻦ
ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
(19
যার জন্যে শাস্তির হুকুম
অবধারিত
হয়ে গেছে আপনি কি সে
জাহান্নামীকে মুক্ত
করতে পারবেন?
Is, then one against
whom the Word of
punishment justified
(equal to the one
who avoids evil). Will
you (O Muhammad
SAW) rescue him who
is in the Fire?
ﻟَﻜِﻦِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺍﺗَّﻘَﻮْﺍ ﺭَﺑَّﻬُﻢْ ﻟَﻬُﻢْ
ﻏُﺮَﻑٌ ﻣِّﻦ ﻓَﻮْﻗِﻬَﺎ ﻏُﺮَﻑٌ
ﻣَّﺒْﻨِﻴَّﺔٌ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ
ﺍﻟْﺄَﻧْﻬَﺎﺭُ ﻭَﻋْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻟَﺎ ﻳُﺨْﻠِﻒُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻤِﻴﻌَﺎﺩَ
(20
কিন্তু যারা তাদের
পালনকর্তাকে ভয় করে, তাদের
জন্যে নির্মিত
রয়েছে প্রাসাদের উপর
প্রাসাদ। এগুলোর
তলদেশে নদী প্রবাহিত।
আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আল্লাহ প্রতিশ্রুতির খেলাফ
করেন না।
But those who fear
Allâh and keep their
duty to their Lord
(Allâh), for them are
built lofty rooms; one
above another under
which rivers flow (i.e.
Paradise). (This is) the
Promise of Allâh: and
Allâh does not fail in
(His) Promise.
ﺃَﻟَﻢْ ﺗَﺮَ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﻣَﺎﺀ ﻓَﺴَﻠَﻜَﻪُ ﻳَﻨَﺎﺑِﻴﻊَ
ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺛُﻢَّ ﻳُﺨْﺮِﺝُ ﺑِﻪِ
ﺯَﺭْﻋًﺎ ﻣُّﺨْﺘَﻠِﻔًﺎ ﺃَﻟْﻮَﺍﻧُﻪُ ﺛُﻢَّ
ﻳَﻬِﻴﺞُ ﻓَﺘَﺮَﺍﻩُ ﻣُﺼْﻔَﺮًّﺍ ﺛُﻢَّ
ﻳَﺠْﻌَﻠُﻪُ ﺣُﻄَﺎﻣًﺎ ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ
ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﺬِﻛْﺮَﻯ ﻟِﺄُﻭْﻟِﻲ ﺍﻟْﺄَﻟْﺒَﺎﺏِ
(21
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ
আকাশ থেকে পানি বর্ষণ
করেছেন, অতঃপর
সে পানি যমীনের
ঝর্ণাসমূহে প্রবাহিত করেছেন,
এরপর তদ্দ্বারা বিভিন্ন রঙের
ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর
তা শুকিয়ে যায়,
ফলে তোমরা তা পীতবর্ণ
দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ
তাকে খড়-কুটায় পরিণত
করে দেন। নিশ্চয়
এতে বুদ্ধিমানদের
জন্যে উপদেশ রয়েছে।
See you not, that
Allâh sends down
water (rain) from the
sky, and causes it to
penetrate the earth,
(and then makes it to
spring up) as water-
springs and
afterward thereby
produces crops of
different colours, and
afterward they
wither and you see
them turn yellow,
then He makes them
dry and broken
pieces. Verily, in this,
is a Reminder for
men of
understanding.
ﺃَﻓَﻤَﻦ ﺷَﺮَﺡَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺻَﺪْﺭَﻩُ
ﻟِﻠْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﻓَﻬُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻧُﻮﺭٍ ﻣِّﻦ
ﺭَّﺑِّﻪِ ﻓَﻮَﻳْﻞٌ ﻟِّﻠْﻘَﺎﺳِﻴَﺔِ ﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢ
ﻣِّﻦ ﺫِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻓِﻲ
ﺿَﻠَﺎﻝٍ ﻣُﺒِﻴﻦٍ
(22
আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের
জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন,
অতঃপর সে তার পালনকর্তার
পক্ষ থেকে আগত আলোর
মাঝে রয়েছে। (সে কি তার
সমান, যে এরূপ নয়) যাদের
অন্তর আল্লাহ স্মরণের
ব্যাপারে কঠোর, তাদের
জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ
গোমরাহীতে রয়েছে।
Is he whose breast
Allâh has opened to
Islâm, so that he is in
light from His Lord
(as he who is non-
Muslim)? So, woe to
those whose hearts
are hardened against
remembrance of
Allâh! They are in
plain error!
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻧَﺰَّﻝَ ﺃَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺚِ
ﻛِﺘَﺎﺑًﺎ ﻣُّﺘَﺸَﺎﺑِﻬًﺎ ﻣَّﺜَﺎﻧِﻲَ
ﺗَﻘْﺸَﻌِﺮُّ ﻣِﻨْﻪُ ﺟُﻠُﻮﺩُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ
ﻳَﺨْﺸَﻮْﻥَ ﺭَﺑَّﻬُﻢْ ﺛُﻢَّ ﺗَﻠِﻴﻦُ
ﺟُﻠُﻮﺩُﻫُﻢْ ﻭَﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢْ ﺇِﻟَﻰ
ﺫِﻛْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺫَﻟِﻚَ ﻫُﺪَﻯ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻳَﻬْﺪِﻱ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ ﻳَﺸَﺎﺀ ﻭَﻣَﻦ
ﻳُﻀْﻠِﻞْ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﻤَﺎ ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﻫَﺎﺩٍ
(23
আল্লাহ উত্তম
বাণী তথা কিতাব নাযিল
করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ,
পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের
লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার
উপর, যারা তাদের
পালনকর্তাকে ভয় করে, এরপর
তাদের চামড়া ও অন্তর
আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়।
এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর
মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ
প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ
যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন
পথপ্রদর্শক নেই।
Allâh has sent down
the best statement, a
Book (this Qur’ân), its
parts resembling
each other in
goodness and truth,
oft-repeated. The
skins of those who
fear their Lord shiver
from it (when they
recite it or hear it).
Then their skin and
their heart soften to
the remembrance of
Allâh. That is the
guidance of Allâh. He
Guides therewith
whom He pleases
and whomever Allâh
sends astray, for him
there is no guide.
ﺃَﻓَﻤَﻦ ﻳَﺘَّﻘِﻲ ﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ ﺳُﻮﺀَ
ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏِ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻗِﻴﻞَ
ﻟِﻠﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ ﺫُﻭﻗُﻮﺍ ﻣَﺎ ﻛُﻨﺘُﻢْ
ﺗَﻜْﺴِﺒُﻮﻥَ
(24
যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন তার
মুখ দ্বারা অশুভ আযাব
ঠেকাবে এবং এরূপ
জালেমদেরকে বলা হবে,
তোমরা যা করতে তার স্বাদ
আস্বাদন কর,-সে কি তার
সমান, যে এরূপ নয়?
Is he then, who will
confront with his face
the awful torment on
the Day of
Resurrection (as he
who enters
peacefully in
Paradise)? And it will
be said to the
Zâlimûn (polytheists
and wrong-doers,
etc.): ”Taste what you
used to earn!”
ﻛَﺬَّﺏَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻬِﻢْ
ﻓَﺄَﺗَﺎﻫُﻢْ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏُ ﻣِﻦْ ﺣَﻴْﺚُ
ﻟَﺎ ﻳَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ
(25
তাদের পূর্ববর্তীরাও
মিথ্যারোপ করেছিল,
ফলে তাদের কাছে আযাব
এমনভাবে আসল,
যা তারা কল্পনাও করত না।
Those before them
belied, and so the
torment came on
them from directions
they perceived not.
ﻓَﺄَﺫَﺍﻗَﻬُﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺨِﺰْﻱَ ﻓِﻲ
ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻟَﻌَﺬَﺍﺏُ
ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ
ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
(26
অতঃপর আল্লাহ
তাদেরকে পার্থিব
জীবনে লাঞ্ছনার স্বাদ
আস্বাদন করালেন, আর
পরকালের আযাব হবে আরও
গুরুতর, যদি তারা জানত!
So Allâh made them
to taste the disgrace
in the present life,
but greater is the
torment of the
Hereafter if they only
knew!
ﻭَﻟَﻘَﺪْ ﺿَﺮَﺑْﻨَﺎ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ ﻓِﻲ
ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ ﻣِﻦ ﻛُﻞِّ ﻣَﺜَﻞٍ
ﻟَّﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺘَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ
(27
আমি এ কোরআনে মানুষের
জন্যে সব দৃষ্টান্তই
বর্ণনা করেছি,
যাতে তারা অনুধাবন করে;
And indeed We have
put forth for men, in
this Qur’ân every
kind of similitude in
order that they may
remember.
ﻗُﺮﺁﻧًﺎ ﻋَﺮَﺑِﻴًّﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﺫِﻱ ﻋِﻮَﺝٍ
ﻟَّﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺘَّﻘُﻮﻥَ
(28
আরবী ভাষায় এ কোরআন
বক্রতামুক্ত,
যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে।
An Arabic Qur’ân,
without any
crookedness (therein)
in order that they
may avoid all evil
which Allâh has
ordered them to
avoid, fear Him and
keep their duty to
Him.
ﺿَﺮَﺏَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣَﺜَﻠًﺎ ﺭَّﺟُﻠًﺎ ﻓِﻴﻪِ
ﺷُﺮَﻛَﺎﺀ ﻣُﺘَﺸَﺎﻛِﺴُﻮﻥَ ﻭَﺭَﺟُﻠًﺎ
ﺳَﻠَﻤًﺎ ﻟِّﺮَﺟُﻞٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻳَﺎﻥِ
ﻣَﺜَﻠًﺎ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺑَﻞْ ﺃَﻛْﺜَﺮُﻫُﻢْ
ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
(29
আল্লাহ এক দৃষ্টান্ত
বর্ণনা করেছেনঃ একটি লোকের
উপর পরস্পর বিরোধী কয়জন
মালিক রয়েছে, আরেক ব্যক্তির
প্রভু মাত্র একজন-তাদের
উভয়ের অবস্থা কি সমান?
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।
কিন্তু তাদের অধিকাংশই
জানে না।
Allâh puts forth a
similitude: a (slave)
man belonging to
many partners (like
those who worship
others along with
Allâh) disputing with
one another, and a
(slave) man
belonging entirely to
one master, (like
those who worship
Allâh Alone). Are
those two equal in
comparison? All the
praises and thanks be
to Allâh! But most of
them know not.
ﺇِﻧَّﻚَ ﻣَﻴِّﺖٌ ﻭَﺇِﻧَّﻬُﻢ ﻣَّﻴِّﺘُﻮﻥَ
(30
নিশ্চয় তোমারও মৃত্যু
হবে এবং তাদেরও মৃত্যু হবে।
Verily, you (O
Muhammad SAW)
will die and verily,
they (too) will die.
ﺛُﻢَّ ﺇِﻧَّﻜُﻢْ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻋِﻨﺪَ
ﺭَﺑِّﻜُﻢْ ﺗَﺨْﺘَﺼِﻤُﻮﻥَ
(31
অতঃপর কেয়ামতের দিন
তোমরা সবাই তোমাদের
পালনকর্তার
সামনে কথা কাটাকাটি করবে।
Then, on the Day of
Resurrection, you will
be disputing before
your Lord.
ﻓَﻤَﻦْ ﺃَﻇْﻠَﻢُ ﻣِﻤَّﻦ ﻛَﺬَﺏَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻛَﺬَّﺏَ ﺑِﺎﻟﺼِّﺪْﻕِ
ﺇِﺫْ ﺟَﺎﺀﻩُ ﺃَﻟَﻴْﺲَ ﻓِﻲ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ
ﻣَﺜْﻮًﻯ ﻟِّﻠْﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ
(32
যে ব্যক্তি আল্লাহর
বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এবং তার
কাছে সত্য আগমন করার পর
তাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে,
তার চেয়ে অধিক যালেম আর
কে হবে? কাফেরদের বাসস্থান
জাহান্নামে নয় কি?
Then, who does more
wrong than one who
utters a lie against
Allâh, and denies the
truth [this Qur’ân, the
Prophet (Muhammad
SAW), the Islâmic
Monotheism, the
Resurrection and the
reward or
punishment
according to good or
evil deeds] when it
comes to him! Is
there not in Hell an
abode for the
disbelievers?
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻱ ﺟَﺎﺀ ﺑِﺎﻟﺼِّﺪْﻕِ
ﻭَﺻَﺪَّﻕَ ﺑِﻪِ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻫُﻢُ
ﺍﻟْﻤُﺘَّﻘُﻮﻥَ
(33
যারা সত্য নিয়ে আগমন
করছে এবং সত্যকে সত্য
মেনে নিয়েছে; তারাই
তো খোদাভীরু।
And he (Muhammad
SAW) who has
brought the truth
(this Qur’ân and
Islâmic Monotheism)
and (those who)
believed therein (i.e.
the true believers of
Islâmic Monotheism),
those are Al-
Muttaqûn (the pious
and righteous
persons - see V.2:2).
ﻟَﻬُﻢ ﻣَّﺎ ﻳَﺸَﺎﺀﻭﻥَ ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢْ
ﺫَﻟِﻚَ ﺟَﺰَﺍﺀ ﺍﻟْﻤُﺤْﺴِﻨِﻴﻦَ
(34
তাদের জন্যে পালনকর্তার
কাছে তাই রয়েছে,
যা তারা চাইবে।
এটা সৎকর্মীদের পুরস্কার।
They shall have all
that they will desire
with their Lord. That
is the reward of
Muhsinûn (good-
doers - see V.2:112).
ﻟِﻴُﻜَﻔِّﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻢْ ﺃَﺳْﻮَﺃَ
ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﻭَﻳَﺠْﺰِﻳَﻬُﻢْ
ﺃَﺟْﺮَﻫُﻢ ﺑِﺄَﺣْﺴَﻦِ ﺍﻟَّﺬِﻱ
ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ
(35
যাতে আল্লাহ তাদের মন্দ
কর্মসমূহ মার্জনা করেন
এবং তাদের উত্তম কর্মের
পুরস্কার তাদেরকে দান করেন।
So that Allâh may
remit from them the
evil of what they did
and give them the
reward, according to
the best of what they
used to do.
ﺃَﻟَﻴْﺲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜَﺎﻑٍ ﻋَﺒْﺪَﻩُ
ﻭَﻳُﺨَﻮِّﻓُﻮﻧَﻚَ ﺑِﺎﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ
ﺩُﻭﻧِﻪِ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻀْﻠِﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﻤَﺎ
ﻟَﻪُ ﻣِﻦْ ﻫَﺎﺩٍ
(36
আল্লাহ কি তাঁর বান্দার
পক্ষে যথেষ্ট নন? অথচ
তারা আপনাকে আল্লাহর
পরিবর্তে অন্যান্য উপাস্যদের
ভয় দেখায়। আল্লাহ
যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন
পথপ্রদর্শক নেই।
Is not Allâh Sufficient
for His slave? Yet
they try to frighten
you with those
(whom they worship)
besides Him! And
whom Allâh sends
astray, for him there
will be no guide.
ﻭَﻣَﻦ ﻳَﻬْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻓَﻤَﺎ ﻟَﻪُ ﻣِﻦ
ﻣُّﻀِﻞٍّ ﺃَﻟَﻴْﺲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻌَﺰِﻳﺰٍ
ﺫِﻱ ﺍﻧﺘِﻘَﺎﻡٍ
(37
আর আল্লাহ যাকে পথপ্রদর্শন
করেন,
তাকে পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই।
আল্লাহ কি পরাক্রমশালী,
প্রতিশোধ গ্রহণকারী নন?
And whomsoever
Allâh guides, for him
there will be no
misleader. Is not
Allâh All-Mighty,
Possessor of
Retribution?
ﻭَﻟَﺌِﻦ ﺳَﺄَﻟْﺘَﻬُﻢ ﻣَّﻦْ ﺧَﻠَﻖَ
ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ
ﻟَﻴَﻘُﻮﻟُﻦَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻗُﻞْ ﺃَﻓَﺮَﺃَﻳْﺘُﻢ ﻣَّﺎ
ﺗَﺪْﻋُﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻥْ
ﺃَﺭَﺍﺩَﻧِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻀُﺮٍّ ﻫَﻞْ ﻫُﻦَّ
ﻛَﺎﺷِﻔَﺎﺕُ ﺿُﺮِّﻩِ ﺃَﻭْ ﺃَﺭَﺍﺩَﻧِﻲ
ﺑِﺮَﺣْﻤَﺔٍ ﻫَﻞْ ﻫُﻦَّ
ﻣُﻤْﺴِﻜَﺎﺕُ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻪِ ﻗُﻞْ
ﺣَﺴْﺒِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻞُ
ﺍﻟْﻤُﺘَﻮَﻛِّﻠُﻮﻥَ
(38
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস
করেন, আসমান ও যমীন
কে সৃষ্টি করেছে?
তারা অবশ্যই বলবে-আল্লাহ।
বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি,
যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট
করার ইচ্ছা করেন,
তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত
যাদেরকে ডাক,
তারা কি সে অনিষ্ট দূর
করতে পারবে?
অথবা তিনি আমার
প্রতি রহমত করার
ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত
রোধ করতে পারবে? বলুন,
আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট।
নির্ভরকারীরা তাঁরই উপর
নির্ভর করে।
And verily, if you ask
them: ”Who created
the heavens and the
earth?” Surely, they
will say: ”Allâh (has
created them).” Say:
”Tell me then, the
things that you
invoke besides Allâh,
if Allâh intended
some harm for me,
could they remove
His harm, or if He
(Allâh) intended
some mercy for me,
could they withhold
His Mercy?” Say :
”Sufficient for me is
Allâh; in Him those
who trust (i.e.
believers) must put
their trust.”
ﻗُﻞْ ﻳَﺎ ﻗَﻮْﻡِ ﺍﻋْﻤَﻠُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ
ﻣَﻜَﺎﻧَﺘِﻜُﻢْ ﺇِﻧِّﻲ ﻋَﺎﻣِﻞٌ
ﻓَﺴَﻮْﻑَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
(39
বলুন, হে আমার কওম,
তোমরা তোমাদের জায়গায় কাজ
কর, আমিও কাজ করছি।
সত্ত্বরই জানতে পারবে।
Say: (O Muhammad
SAW) ”O My people!
Work according to
your way, I am
working (according
to my way). Then
you will come to
know,
ﻣَﻦ ﻳَﺄْﺗِﻴﻪِ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﻳُﺨْﺰِﻳﻪِ
ﻭَﻳَﺤِﻞُّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﻣُّﻘِﻴﻢٌ
(40
কার কাছে অবমাননাকর আযাব
এবং চিরস্থায়ী শাস্তি নেমে
আসে।
”To whom comes a
disgracing torment,
and on whom
descends an
everlasting torment.”
ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ
ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺎﻟْﺤَﻖِّ ﻓَﻤَﻦِ
ﺍﻫْﺘَﺪَﻯ ﻓَﻠِﻨَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﻣَﻦ ﺿَﻞَّ
ﻓَﺈِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﻀِﻞُّ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧﺖَ
ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﺑِﻮَﻛِﻴﻞٍ
(41
আমি আপনার প্রতি সত্য
ধর্মসহ কিতাব নাযিল
করেছি মানুষের কল্যাণকল্পে।
অতঃপর যে সৎপথে আসে,
সে নিজের কল্যাণের জন্যেই
আসে, আর যে পথভ্রষ্ট হয়,
সে নিজেরই অনিষ্টের
জন্যে পথভ্রষ্ট হয়।
আপনি তাদের জন্যে দায়ী নন।
Verily, We have sent
down to you (O
Muhammad SAW) the
Book (this Qur’ân) for
mankind in truth. So
whosoever accepts
the guidance, it is
only for his ownself,
and whosoever goes
astray, he goes astray
only for his (own)
loss. And you (O
Muhammad SAW) are
not a Wakîl (trustee
or disposer of affairs,
or keeper) over them.
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﻰ ﺍﻟْﺄَﻧﻔُﺲَ ﺣِﻴﻦَ
ﻣَﻮْﺗِﻬَﺎ ﻭَﺍﻟَّﺘِﻲ ﻟَﻢْ ﺗَﻤُﺖْ ﻓِﻲ
ﻣَﻨَﺎﻣِﻬَﺎ ﻓَﻴُﻤْﺴِﻚُ ﺍﻟَّﺘِﻲ
ﻗَﻀَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕَ
ﻭَﻳُﺮْﺳِﻞُ ﺍﻟْﺄُﺧْﺮَﻯ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺟَﻞٍ
ﻣُﺴَﻤًّﻰ ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﺂﻳَﺎﺕٍ
ﻟِّﻘَﻮْﻡٍ ﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ
(42
আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ
করেন তার মৃত্যুর সময়, আর
যে মরে না, তার নিদ্রাকালে।
অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত
করেন, তার প্রাণ ছাড়েন
না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন
এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে।
নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল
লোকদের
জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
It is Allâh Who takes
away the souls at the
time of their death,
and those that die
not during their
sleep. He keeps those
(souls) for which He
has ordained death
and sends the rest for
a term appointed.
Verily, in this are
signs for a people
who think deeply.
ﺃَﻡِ ﺍﺗَّﺨَﺬُﻭﺍ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺷُﻔَﻌَﺎﺀ ﻗُﻞْ ﺃَﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻟَﺎ
ﻳَﻤْﻠِﻜُﻮﻥَ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻌْﻘِﻠُﻮﻥَ
(43
তারা কি আল্লাহ ব্যতীত
সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে?
বলুন, তাদের কোন এখতিয়ার
না থাকলেও
এবং তারা না বুঝলেও?
Have they taken
others as intercessors
besides Allâh? Say:
”Even if they have
power over nothing
whatever and have
no intelligence?”
ﻗُﻞ ﻟِّﻠَّﻪِ ﺍﻟﺸَّﻔَﺎﻋَﺔُ ﺟَﻤِﻴﻌًﺎ ﻟَّﻪُ
ﻣُﻠْﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ
ﺛُﻢَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ
(44
বলুন, সমস্ত সুপারিশ
আল্লাহরই ক্ষমতাধীন,
আসমান ও যমীনে তাঁরই
সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই
কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত
হবে।
Say: ”To Allâh
belongs all
intercession. His is
the Sovereignty of
the heavens and the
earth, then to Him
you shall be brought
back.”
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ
ﺍﺷْﻤَﺄَﺯَّﺕْ ﻗُﻠُﻮﺏُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﺎ
ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ ﺑِﺎﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺫُﻛِﺮَ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﺇِﺫَﺍ ﻫُﻢْ
ﻳَﺴْﺘَﺒْﺸِﺮُﻭﻥَ
(45
যখন খাঁটিভাবে আল্লাহর নাম
উচ্চারণ করা হয়, তখন
যারা পরকালে বিশ্বাস করে না,
তাদের অন্তর সংকুচিত
হয়ে যায়, আর যখন আল্লাহ
ব্যতীত অন্য উপাস্যদের নাম
উচ্চারণ করা হয়, তখন
তারা আনন্দে উল্লসিত
হয়ে উঠে।
And when Allâh
Alone is mentioned,
the hearts of those
who believe not in
the Hereafter are
filled with disgust
(from the Oneness of
Allâh () and when
those (whom they
obey or worship)
besides Him [like all
false deities other
than Allâh, it may be
a Messenger like ’Iesa
(Jesus) son of
Maryam (Mary), ’Uzair
(Ezra), an angel, a
pious man, a jinn, or
any other creature
even idols, graves of
religious people,
saints, priests, monks,
etc.] are mentioned,
behold, they rejoice!
আরো পড়ুন Read more Ayahs: 46-75

কোন মন্তব্য নেই :