উপকার হাসিলের শর্ত

কোন মন্তব্য নেই
মাসআলা
ক. প্রথম কথা হলো কোন উপকার
হাসিলের জন্য অথবা লাভবান হওয়ার
জন্য বিশেষ অপারগতা ব্যতীত কোন
হারামকে হালাল অথবা হালালকে হারাম
করার অধিকার কারো নেই।
যারা শরীয়ত-নির্ধারিত
হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল
সাব্যস্ত করে, তার প্রতি কাফের
হয়ে যাওয়ার কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারিত
হয়েছে। আর ফটো একটি মারাত্মক
হারাম কাজ। সুতরাং উুপকারের স্বপ্ন
দেখে এটাকে বৈধ এবং জায়েয বলার
অধিকার কারো নেই। খ. দ্বিতীয়
কথা হচ্ছে, যদি কোন
কর্মকাণ্ডে ভালো-মন্দ এবং লাভ ও
ক্ষতি উভয় দিক বিদ্যমান থাকে,
তাহলে মন্দ ও
ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার
খাতিরে ভালো ও লাভের দিকটি পরিহার
করার সিদ্ধান্তই হচ্ছে শরীয়তের
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। মুজতাহিদগণ এই
সিদ্ধান্তের যুক্তি হিসেবেই এই
মূলধারা নির্ধারণ করেছেন। ﺩﻓﻊ
ﻣﻀﺮﺓ ﺍﻭﻟﻰ ﻣﻦ ﺟﻠﺐ ﻣﻨﻔﻌﺔ
অর্থাৎ ক্ষতি এবং উপকার একই
স্থানে একত্রিত
হলে ক্ষতি থেকে আত্মরক্ষার
দিকটিকে প্রাধান্য দিতে হবে। পবিত্র
কুরআনে মদ্যপানের অনেক বাহ্যিক
উপকারিতার কথা স্বীকার
করে ক্ষতির প্রবণতার কারণে তা পান
করা, তৈরি করা এবং এর
ব্যবসা বাণিজ্য করা সম্পূর্ণ হারাম
ঘোষণা করা হয়েছে। দুগ্ধ পানের
মাধ্যমে মানুষের বিরাট উপকার হয়,
মজা ও স্বাদ তো আছেই। কিন্তু
বিষমিশ্রিত দুধ ক্ষতিকর বলে কেউ
তা পান করে না, করার অনুমতিও নেই।
অনেক সময় বিভিন্ন রোগের কারণেও
দুধ পান করা নিষিদ্ধ হয়। যদি এই
ক্ষতি কেবল বস্তু-জগতের
সাথে সীমাবদ্ধ না হয়ে আখেরাতের
জীবনেও ক্রিয়াশীল হয়, তাহলে এই
ক্ষতি থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই সেই
লাভের কাজটিকে উপেক্ষা করতে হবে।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে ফটোর
উপকারিতা ও লাভ মেনে নিলেও
শরীয়তের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ও
দুনিয়া আখেরাতের মারাত্মক
ক্ষতি থেকে মুক্তির জন্যই এটি হারাম
এবং সম্পূর্ণ বর্জনীয় হিসেবে গণ্য
হয়।


Post by Dawtul Haq.Blog eidtor_Syed Rubel.ইহুদী, খৃষ্টান, হিন্দু ,বৌদ্ধ, নাস্তিক ও দেশের নারীবাদীদের ইসলামের বিরুদ্ধে করা সকল অপপ্রচারের দাঁত ভাঙ্গাঁ জবাব দেখুন এই পোস্ট টি থেকেশেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :