আত্মমর্যাদার স্বভাব - সাধু সন্নাসী
আত্মমর্যাদার স্বভাবহযরত শাহ ওলীউল্লাহ বলেন, কেবল
মানুষই নয় বরং চতুষ্পদ পশুর মধ্যেও
আত্মমর্যাদার অনুভূতি বিদ্যমান
রয়েছে, তাই কোন দিন কোন পশু
জানোয়ারও নিজের স্ত্রীর
মধ্যে অংশীদারিত্ব
কে মেনে নেয়না এবং নিতে পারে না। এই
অনুভূতি মানুষের মধ্যে চরম
এবং সর্বাধিক। এ কারণেই নিজের
স্ত্রীর বেলায় অন্য কারো সাথে অবৈধ
ও গোপন সম্পর্কের সন্দেহ
হলে প্রতি যুগেই হানাহানী এমনকি খুন
খারাবীর ঘটনাও ঘটে থাকে। উন্নত
বিশ্বের ঐসমস্ত সভ্যতার দাবীদার
যারা একে আত্মমর্যাদাহানীকর
অথবা বেহায়াপনী মনে করে না এরা
প্রকৃত পক্ষে মানবতা এবং সভ্যতার
শত্র“, এদের
মানবতা এবং চরিত্রবিবর্জিত
অপকর্ম সভ্যজনের নিকট মোটেই
বৈধতার প্রমাণ নয় এবং হতে পারে না।
সাধু সন্নাসী
অনেক যোগী এবং সাধু
সন্নাসীরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন
করে বিবাহ ক্ষমতা এবং স্বভাবগত
তাড়নাকে নিব”ত করে ফেলে। পোশাক
পরিচ্ছেদ পরিধান করা গরম-
শিতে বস্ত্র ব্যবহার
করা এমনকি পানাহারের সৃষ্টিগত
স্বভাব চাহিদাকেও খতম করে থাকে।
কিন্তু এদের এই কর্মকাণ্ড অন্যদের
বেলায় প্রমাণ এবং নিপূণ স্বভাবের
দলীল হিসেবে মোটেই স্বীকৃত হয় না ।
যদি মুষ্টিমেয় লোকদের বিশেষ
কর্মকাণ্ড মানুষের প্রকৃত স্বভাবের
প্রমাণ হিসেবে স্বীকৃত হতে পারতো,
তাহলে যোগী এবং সাধু সন্নাসীদের
কর্মকাণ্ডও দলীল প্রমাণ
হিসেবে স্বীকৃত হতো। এদের
সংখ্যা পৃথিবীতে কম নয়, প্রত্যেক
যুগেই এদের সমাগম হয়েছে এবং হয়।
এদের এই স্বভাব বিরোধী কর্মকাণ্ড
মূলত: পৃথিবীর এবং মানবতার আসল
উদ্দেশ্য বিধ্বংস করণের নামান্তর।
অনুরূপভাবে উন্নত ও পশ্চাত বিশ্বের
উলঙ্গপনা ফ্রী সেক্স
এবং মানবতা বিবর্জিত সভ্যতাও
বিশ্ব মানবতাকে পশু
এবং জানোয়ারে রুপান্তরিত করার
নামান্তর। এদের এই
জানোয়ারী এবং হেমারী রুপায়ন পৃথিবীর
ধ্বংসলীলার তুলনায়ও অধিক ভয়াবহ।
শরীয়ত খোদয়ী বিধান হেতু
সে মানুষকে মানবতার স্বভাবে পরিপূর্ণ
করতে চায়, তাই ইসলামে সঠিক স্বভাব
বিরোধী সমস্ত কর্মকাণ্ডকে নিষেধ
ঘোষণা করা হয়েছে। স্ত্রীর
ব্যাপারে অংশীদারিত্বের অবকাশ
এবং যে কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে,
শরীয়তে এ ধরনের সবকিছুকে হারাম
করা হয়েছে। এ কারণেই হযরত
রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওয়াত
লাভের পূর্বে প্রচলিত যে সমস্ত
বিবাহে অংশিদারিত্বের অবকাশ ছিল
ইসলামী শরীয়া এ ধরনের সমস্ত বিবাহ
প্রথাকে সম্পূর্ণ রহিত এবং হারাম
করেছে।
সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।
No similar posts
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন