বিনোদন মানুষকে কি ভুলিয়ে রাখে?→পাতা ১←
প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন নালিখেছেন: মেরিনার বিনোদন মানুষের জীবনের অমূল্যসময় চুরি করে নিয়ে যায় মানুষের অজান্তেই। মানুষ যেন স্বেচ্ছায় নিজেকে ক্ষয় করারবা নিঃশেষ করার ব্রত নিয়ে বিনোদনের জালে ধরা দেয়। আসুনআমরা ভেবে দেখি বিনোদন আমাদেরকি কি ভুলিয়ে রাখে:
১। মানুষের ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব: বিনোদনের মাধ্যমেমানুষকে তার ক্ষুদ্রতা ও অসহায়ত্ব ভুলিয়ে রাখা হয়।
বিনোদনে ডুবে থাকলে মানুষ নিজেকে নিয়ে এবং মহাবিশ্বের সাথে নিজের সম্বন্ধ ও সমন্বয়নিয়ে ভাববার মত কোন অবসর পায় না (মাননীয় পাঠক! আপনি যদি ঢাকা শহরের বাসিন্দা হয়েথাকেন, তাহলে একবার ভেবে দেখুনতো শেষ কবে আপনি রাতের তারাভরা আকাশের দিকে ২ মিনিট চেয়েছিলেন? আরেকটু মনে করে দেখতে চেষ্টা করুন – খুব সম্ভবত রাতের তারাভরা আকাশের দৃশ্যটা আপনি শেষ টেলিভিশনের পর্দায় ’মিথ্যা মিথ্যা’ দেখেছিলেন, কোন সিনেমার দৃশ্য হিসেবে!)। বরং সে জল্পনা-কল্পনার এক বায়বীয় ও তাত্ত্বিক জগতে বসবাস করে – বাকচাতুর্যের এক ছায়াময় জগতে তার আধিপত্যবলে সে নানা রকম তত্ত্ব উদ্ভাবন করতে শুরুকরে। আজকালকার সাইন্স ফিকশনেরযুগে তো কল্পকাহিনী, কল্পনা আরবাস্তবতা সব মিলে মিশে একাকারহয়ে গেছে। আর তাই ’স্ট্রিং থিওরি’ থেকে ’ওমেগা পয়েন্ট’ এরমত কত বিচিত্র সব ’থিওরির’ উদ্ভব ঘটছে এবং ঘটবে। একজন মুসলিমকে মনে রাখতে হবে যে এসব তত্ত্ব কোন প্রতিষ্ঠিত সত্য নয় – suggestion বা সুপারিশ মাত্র। তাই ’থিওরি’ আসবে এবং ’থিওরি’ যাবে, এরই মাঝে আমাদের অবিচল ভাবে এই বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে যে, সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা কোন থিওরির variable নন বরং এই মহাবিশ্বের সবকিছু তাঁর মুখাপেক্ষী – আর তিনি যে সত্য আপনাকে জানিয়েছেন, তাই একমাত্র অপরিবর্তনীয় ধ্রুব সত্য। Big Bang বা Black Hole নিয়ে চিন্তা করে নিজেকে বিশাল একটা কিছু মনে করা মানুষ, আসলে, কত অসহায় যে নিজের পিঠটাও প্রয়োজনে সে ঠিক মত চুলকাতে পারে না – আর এসব নিয়ে সবচেয়ে বেশী যারা ভেবেছেন তাদের অন্যতম Stephen Hawking-এর কথা ছেড়েই দিলাম, কারণ তিনি তো প্রতিবন্ধী, স্বাভাবিক মানুষওনন, নিজের কথা নিজে বলতেও পারেন না। অথচ, আমাদের দেশের “কার্যত অবিশ্বাসী” আঁতেল মানুষজন থেকে শুরু করে, পৃথিবীর তাবত সন্দেহবাদী মানুষ Stephen Hawking-এর মত ”বিশাল” বিজ্ঞানীদের মুখের দিকে চেয়ে থাকেন আল্লাহ্ সত্যি আছেন কিনা সেটানিশ্চিত করার জন্য।
২। মানুষের মৃত্যুপথযাত্রা : বিনোদনের মাধ্যমে মানুষকে তার মৃত্যুপথযাত্রা ভুলিয়ে রাখা হয়। জন্মের পর মুহূর্ত থেকে মানুষযে মৃত্যুপথযাত্রী সেটা ভুলিয়ে রাখার জন্যই মূলত পৃথিবীর সব বিনোদনের আয়োজন। ধরুন আপনি অনেক আয়োজন করে, বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-পরিজনকে সাথে নিয়ে ছুটি কাটাবেন বলে একটা গাড়ীতে করেরওয়ানা করেছেন। আপনি কোন একটা হাইওয়েতে গাড়ী ছুটিয়েচলেছেন – আপনার মন খুব প্রফুল্ল, আপনি ক্যাসেট/সিডি প্লেয়ারে চড়া ভল্যুমে গান শুনছেন।
আরো পড়ুন......→বিনোদন মানুষকে কি ভুলিয়ে রাখে?←→পাতা ১←
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন