সাহসী নারী তসলিমা নাসরিন অথবা নারী এক প্রকার বৃক্ষ -৯

কোন মন্তব্য নেই
("উন্মাদের মতো দেশ দেশ করে দেশের
কিনারে এসে দেশকে স্পর্শ
করতে দু'হাত বাড়িয়ে আছি।/আমি তবু
দেশ
বলে তোমাকে ডাকি,বড়ো ভালোবেসে
ডাকি।/কিছু সত্য উচ্চারণ
করেছি বলে আমি দেশদ্রোহী,")
নারীর বেঁচে থাকাটুকু সকল পুরুষই চায়।
কারণ নারীকে তাদের প্রয়োজন।
প্রয়োজন ভোগের জন্য, বংশরক্ষার
জন্য।নারী না হলে কর্তৃত্ব করবার,
শক্তি খাটাবার, গলার জোর, গায়ের
জোর দেখাবার জায়গা কোথায় পুরুষের!
তাই নারীকে বাঁচিয়ে রেখে নারীর ওপর
চড়াও হবার ইচ্ছা সকল ভদ্রলোকের।
নারী বিবেকবুদ্ধি দ্বারা অধিক চালিত
বলে বা মমতা ও ভালোবাসা ধারণ
করবার
ক্ষমতা সে বেশি রাখে বলে হিংস্র
যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে না, এর অর্থ এই
নয়, সে দুর্বল।সন্তানের প্রতি তার
মায়া জন্মে, ভালোবাসার কাছে সে নত
হয়, নিমগ্ন হয়, এর অর্থ এই নয়,
নারী ভিতু, লজ্জাবতী।নারীকে ভয়
এবং লজ্জা শিখিয়েছে সমাজের পুরুষেরা।
পুরুষেরা 'বেশ্যা' কে গাল দেয় ঠিকই
কিন্তু বেশ্যা ছাড়া তাদের চলেও না,
তারাই নিজেদের স্বার্থে নিজেদের
নাগালের মধ্যে বেশ্যালয় খুলেছে।মূলত
পুরুষের রসনা তৃপ্ত করবার জন্যই
নারীকে একবার ঘরবন্দি হতে হয়,
আরেকবার ঘরছাড়া।নারী কিন্তু নারীই,
সে বেশ্যা হোক, সে কুলবধূই হোক।
দুর্ভোগ পোহাবার জন্যই তার জন্ম।
তার সকল ইচ্ছে, তার সকল সাধ ও
স্বপ্নের ঘরে আগুন
জ্বালিয়ে সে পুরুষের ঘর আলোকিত
করে।
বাংলাদেশের মাদ্রাসার
ছাত্ররা পরীক্ষায় নকল করে, কোরান
শরীফ টয়লেটের ভিতির
লুকিয়ে রেখে,টুপির মধ্যে ছিড়ে ভাঁজ
করে। ঈশ্বর কোন দিনও চোখ
খুলবে না। সে ক্ষমতা তার নেই।
সরকার নাসরিনকে আনবে না। ভোট
হারানোর ভয়ে। জনগন ভন্ড
হলে কি হবে, ধার্মিক! নাকি ভন্ডরাই
ধার্মিক হয়? জনগনকেই
দাবী তুলতে হবে,
তসলিমাকে ফিরিয়ে আনো।
তসলিমা নাসরিন এক কথায় সৎ।
আমাদের সমাজে মুখোশ পরা ভদ্র
লোকের অভাব নেই-
যারা একেকটি ভদ্রবেশী শয়তান!!
তাসলিমা নাসরিন একজন আধুনিক ও
সৎ সাহসী মহিলা বলেই অকপটে তার
সাথে যে অন্যায় আচরন
করা হয়েছে এবং যে সমস্ত
মুখোশধারী বুদ্ধিজীবিরা তা করেছেন
তাদের কথা প্রকাশ করে তাদের মুখোশ
উন্মোচিত করতে পেরেছেন।
সে ক্ষেত্রে তাসলিমা নাসরিন কে নয়-
বরং আমাদের উচিৎ ঐ সমস্ত
বুদ্ধিজীবিদের ঘৃনা করা। অথচ
বাস্তবে আমরা উলটো তাসলিমা
নাসরিনকে এ জন্য দায়ী করে তার
বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছি।
এটা আমাদের পুরুষতান্ত্রিকতার নগ্ন
প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।প্রয়াত
হুমায়ূন আজাদ আমাকে একবার
বলেছিলেন, " গাধা এবং ছাগলদের
বুঝানোর দ্বায়ীত্ব তোমার নয়।
তুমি শুধু লিখে যাও।" তসলিমা নাসরিন
দেশে ফিরার সুযোগ পাক
এইটা আমি মনে প্রানে চাই। দেশে কত
শত মহিলা নিজেদের কত মানুষের
বিছানায় টাকার বিনিময়ে বা নিজ
ইচ্ছায় সপে দেন কই তাদের তো দেশ
থেকে বিতাড়িত করেন না ।
তসলিমাকে তাড়িয়ে যদি আপদ
ছাড়ানো যেত তাহলে দেশ অনেক উন্নত
হতো এই অবস্থায় থাকতো না । আর
ব্যক্তি জীবন নিয়ে লেখাতে অনেক
বিব্রতকর কিছু আসবেই একটা সাধারণ
মেয়েকেই জিজ্ঞেস করলে যদি সে সঠিক
কথা বলে তাহলেই দেখা যাবে তার
জীবনেও অনেক কিছু আছে। দোষ
তসলিমার সে অকপটে স্বীকার করছে।
কিন্তু যার যার সাথে করছে তাদের
কি শাস্তি হলো তাদের
তো আমরা মাথায় তুলে রাখছি।
মুসলমানের
সমস্যা হলো তারা ভালো মন্দের বিচার
বিবেচনা না করেই সিদ্ধান্ত
নিয়ে ফেলেন।
ভারতীয় লেখক-যিনি আপনাদের
অনেকেরই অতি প্রিয়-সমরেশ মজুমদার
কিম্বা বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। তাঁরাও
কিন্তু তাঁদের লেখাতে অনেক সেক্সুয়াল
আর বিতর্কিত লেখা লিখে থাকেন।
প্রখ্যাত এক ভারতীয় লেখক তাঁর
লেখাতে লিখেছেন বিদ্যার
দেবী স্বরস্বতী মুর্তি দেখলেই
ছেলে বেলাতে তার কাম ভাব উদ্রেগ হত
এবং অনেক সময় তাঁর ঋতু স্খলিত
হয়ে পড়ত।সে লেখা নিয়েও কিন্তু কম
বিতর্ক হয় নি।কিন্তু তার পর ও
তাঁকে ভারত সরকার দেশ
থেকে বিতাড়িত করেনি।আমাদের
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর
লেখনীতে বহু ধর্মের গুনগান
করে গেছেন।অথচ শুধু মাত্র মুসলমানের
ঘরে জন্ম বলেই আপনারা তাঁকে মাথায়
তুলে নৃত্য করেন।আমি নিজেও তাঁর
একজন ভক্ত।কিন্তু আমার প্রশ্ন-
তিনি যদি নারী হতেন তাহলে তাঁর
যা চরিত্র ছিলো-
আপনারা তাঁকে কি চোখে দেখতেন?
যতদুর জানা যায়-তিনি সিপলিস
রোগে আক্রান্ত হয়ে নির্বাক
হয়েছিলেন।দয়া করে বলবেন কি,সিপলিস
রোগ কেনো হয়?মুসলিম
চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হুসাইনের
১৯৭০ সালে একটা চিত্র কর্ম
কে হিন্দু ধর্মের
অবমাননা হিসেবে আখ্যায়িত কর হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে শিবসেনা কতৃক
মৃত্যর হুমকি মাথায় নিয়ে ১৯৯৬
সালে মকবুল ফিদা ভারত ত্যাগ করে।
তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে মানুষ
যে সমস্ত কথা(ভুল এবং মিথ্যা)
গুলো বলে তা হলো- ১/নাইমুল ইসলাম
আর তসলিমার সম্পর্ক।২/ ২৭
জনের সাথে মেলা মেশা করছে।৩/ লেখক
ইমদাদুল হক মিলন !!! ৪/নবী রসুলসহ
বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের
মানহানীকর লেখা লিখে। ৫/
তসলিমা হাসিনা খালেদাকে গালি দিচ্চেন
আর মমতাকে সার্পোট দিচ্ছেন ।
তিনি মূলত ধান্ধাবাজি করছেন ।
কমু্নিস্টদের বাদ
দিযে তিনি পেটি বুর্জোয়াদের
পক্ষে গেলেন ।
তিনি পালে হাওয়া দিচ্চেন ।
কলকাতা থাকতে হলে মমতা দরকার
হবে । ৬/তসলিমা নাসরীনের
প্রতি তেমন একটা শ্রদ্ধাবোধ নেই -
তাঁর লেখা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বিতর্ক
সৃষ্টি করে সহজে খ্যাতি পাওয়ার
পাব্লিসিটি স্টান্ট মনে হয়েছে। ৭/
তসলিমাকে আমাদের দেশের
বিরুদ্ধে ব্যবহার
করছে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব।৮/
তসলিমা নাসরিন নিজে তো অসৎ।৯/
উনি পুরুষদের এত এত চারিত্রিক
ত্রুটি-
বিচ্যুতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন,
অথচ নিজেই বিবাহিত পুরুষদের
সাথে রাত্রি যাপন করেছে।১০/
তিনি সরকারী চাকরীর তথ্য গোপন
করে ভিন্ন পাসপোর্টে কলকাতা যাবার
পথে এয়ার পোর্টে আটকে যান। ১১/
তসলিমা ব্যক্তিত্বের বিকার
ভোগা এক অতৃপ্ত আত্মা, যিনি নিজের
অস্তিত্ব জাহিরের জন্য দুনিয়ার
সবকিছু নষ্ট করে ফেলতে বিন্দুমাত্র
দ্বিধা করেন না। ১২/ইসলামের
বিরুদ্ধে কথা বলে ডিগ্রি পাওয়া অনেক
সহজ।১৩/ধর্মগ্রন্হের ভুল
ধরা কি লেখকের কাজ?
ধর্মগ্রন্হগুলো তো ব্যক্তিগত
বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে।
সেটাকে সমালোচনা করে উনি কি খুব
বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন?১৪/যুগ
যুগ ধরে দেশে দেশে ইহুদি নাসারারা
মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
থেকেছে। তসলিমা তার ব্যাত্ক্রিম নন,
তিনিও ইসলামকে না জেনেই তার
'অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী' জ্ঞান
দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে খড়্গ
তুলে নিয়েছেন। ১৫/তছলিমার মত
আর ১০ জন
বাঙ্গালী নারী থাকলে বাংলাদেশে
পতিতালয় দরকার হতো না। ১৬/
তিনি একবার বিবিসি কে সাক্ষাত
দেওয়ার সময় তার একহাতে ছিল
কোরআন অন্য হাতে ছিল সিগেরেট,
তা বসার ভঙ্গি ও সাক্ষাতের
কথাবর্তা খুবই খারাপ ছিল।১৭/
উনি প্যারিসে গিয়ে অন্ত্রর্বাস
পড়ে ছবি তুললেন কেন?১৮/সে এই
রকম দুই টুকরা কাপড় পড়ে পোজ দিল
কেন?১৯/সে হলো মানবী কুলের
একজন বিকৃত জীব,
যে যুক্তি না মেনে পাগলের মত মন্তব্য
করেন।২০/তসলিমা নাসরীন
যেটা করেছে সেটা ইন্টেনশনাল
কুরআনের অবমাননা।


লিখেছেনঃ রাজিব খান



শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :