আপনি একজন গর্ভবতী মা, অতএব.... ডা. শিমুল আখতার ( পাতা ২)
কোন মন্তব্য নেই
আন্তিক পরিচর্যা গর্ভবতী মহিলারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন প্রায়ই। এজন্য সকালে এক গস্নাস হাল্কা গরম পানি পান করতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার ও হাল্কা পানীয় গ্রহণ করা উচিত। অরেঞ্জ জুস, দুধ, পানি ইত্যাদি পান করবেন। কড়া লিকারে চা পান করা উচিত নয়। কারণ ট্যানিন-এর প্রভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসব্জি, ফলমল গ্রহণ করতে পারেন। গর্ভবতীর মুখ ও দাঁতের যত্ন গর্ভাবস্থায় মুখ, দাঁত ও মাড়ির বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত। মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য সার্বিকভাবে দৈহিক সুস্থতা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখে। গর্ভবতীর স্তনের যত্ন প্রসবের পর নবজাত শিশুকে মায়েরবুকের দুধ পান করাতে হবে। মনে রাখতে হবে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। স্তনের অগ্রভাগে কোনো অসুবিধা থাকলে সে ব্যাপারে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সারিয়ে তুলতে হবে। শাল দুধ পানে শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধকক্ষমতা গড়ে ওঠে। এ সময়ে বিশেষভাবে তৈরি সাপোর্টিং ব্রাব্যবহার করতে পারেন। বুকের দুধপান করানোর সময় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন বুকের দুধ শিশুর নাসিকারন্ধ্রে বা চোখে গড়িয়ে না পড়ে। স্তনের চাপে অনেক সময় শিশুর শ্বাসরোধ হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিশুর মুখে নিপল রেখে কখনো ঘুমিয়ে যাবেন না। দেহ অথবা স্তনের চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু ঘটেছে এমন দুর্ঘটনাও বিরল নয়। গোসল ত্বকের মাধ্যমে শরীরের তরল বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে থাকে। তাই এর যত্ন নেয়া প্রয়োজন। গর্ভবতী অবস্থায় আরামদায়ক টাবেগোসল সেরে নিতে পারেন। সাওয়ারেও গোসল সেরে নেয়া যেতে পারে। খুব বেশি গরম পানিতে গোসল করা উচিত নয়। এতে করে ক্লান্ত হয়ে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন। প্রতিদিনই গোসল করা উচিত। ধুমপান গর্ভবতী অবস্থায় ধমপান করা মোটেই সমীচীন নয়। নিকোটিন পস্ন্যাসেন্টা অতিক্রম করে গর্ভস্থিত শিশুর সমূহ ক্ষতিসাধন করে। শিশুর ওজন কমে ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার পথেবাধার সমমুখীন হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক এ সময়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়হওয়া উচিত। গর্ভবতী হওয়ার পর স্বামীকে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে হবে। যেসব মহিলা একাধিকবার গর্ভপাতের শিকার হয়েছেন তারা প্রথম দিকেরকয়েক মাস অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে মেলামেশা করবেন। নতুন নতুন উপসর্গে উদ্বিগ্নতা নতুন গর্ভবতী মহিলা যে কোনো উপসর্গের মুখোমুখি হলেই তা সংশিস্নষ্ট চিকিৎসককে জানাবেন। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে বড়ো ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব।সামান্য পরিমাণ অনিয়মিত রক্তস্রাব, মুখ ও পা ফোলা, মাথাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখাদিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। পুষ্টি ও খাদ্য জনগোষ্ঠীর পুষ্টিগত অবস্থা ভালো হলে গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব ও নবজাত শিশু মৃত্যুহার কম থাকে। গর্ভবতী অবস্থায় মার খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা বাড়ে। খাদ্যের পরিমাণগত চাহিদার চেয়েগুণগত চাহিদা দেখা দেয় এ সময়ে। পুষ্টি-চাহিদার বৃদ্ধি ঘটে। কারণ বাড়ন্ত শিশুর চাহিদা মেটাতে হয়। মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হয়। প্রসবকালে শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয়। শিশুর প্রয়োজনীয় খাদ্য বুকের দুধের চাহিদা মেটাতে হয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, মিনারেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। এ ব্যাপারে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, একজনসুস্থ মাই সুস্থ শিশু লাভ করতে পারেন এবং সুন্দর মাতৃত্বরক্ষায় সচেতনতা প্রয়োজন। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :