মহিলাদের স্তন ক্যান্সার ডা. শিমুল আখতার ( পাতা ২ )
কোন মন্তব্য নেই
স্তন ক্যান্সারের সতর্কতা অধিকাংশ স্তনের চাকা বা পিন্ড সাধারণত নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষাকালীন ধরা পড়ে। প্রতি মাসে মাসিক বন্ধ হওয়ার একদিন পর এবং ঋতু বন্ধ হওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে নির্ধারিতকোনো তারিখে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করা উচিত। গোসলের সময় আয়নার সামনে স্তন চেপে পরীক্ষা করতে হবে। দেখতে হবে কোথাও কোনো চাকা আছে কিনা, স্তনের আকৃতিতে পরিবর্তন, স্ফিতি কিংবা ত্বকে টোল পড়েছে কিনা। স্তনবৃন্ত চেপে ধরে দেখতে হবে কোনো কিছুর ক্ষরণ বা স্রাব বের হয় কিনা। স্তনে কোনো চাকা কিংবা পরিবর্তন লক্ষ্য করলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, অধিকাংশ স্তনের চাকাই ক্যান্সার নয়, তবে চিকিৎসক দিয়েপরীক্ষা করিয়ে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। মেমোগ্রাফি ও স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ স্তনের মেমোগ্রাফি করে স্তনের ক্যান্সার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। মেমোগ্রাফি একটি সহজস্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণ পদ্ধতি। বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মেমোগ্রাফি করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্তন ক্যান্সার নির্ণয়ে ক্যান্সার কোষকে বায়োপসি করলে ক্যান্সারের চরিত্রগুলো ধরা পড়ে এবং ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়। স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা শল্য চিকিৎসা প্রাথমিক অবস্থায় স্তনে সৃষ্ট চাকা কিংবা স্তন কেটে ফেলে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই ব্যবস্থা চালু আছে। রেডিও থেরাপি বিশেষ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিকিরণ রশ্মি, যা ক্যান্সার কোষমেরে ফেলে। এই সুবিধা ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ওসিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু থাকার কথা। কেমোথেরাপি ক্যান্সার বিধ্বংসী ওষুধ ব্যবহার। বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা নিজ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে শল্যচিকিৎসা, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি এককভাবে অথবা একসঙ্গে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে ক্যান্সার নিরাময়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার যথেষ্ট অগ্রগতি হচ্ছে। ক্যান্সার নির্ণয় এখন আর এ দেশে কোনো ঘটনাই নয়। ক্যান্সারচিকিৎসার জন্য সরকারিজভাবে ঢাকার মহাখালীতে স্থাপিত হয়েছেক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ হাসপাতাল। এই হাসপাতালে ক্যান্সারের শল্যচিকিৎসা ও কেমোথেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে।এ বছরের শেষ নাগাদ রেডিও থেরাপি চালু হওয়ারকথা। রেডিও থেরাপি চালু হলে ক্যান্সার চিকিৎসায় এটি একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে গড়েউঠবে। কেমোথেরাপির চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে অনেকেই এচিকিৎসা গ্রহণে ব্যর্থ হন। ক্যান্সারেও আশার আলো ক্যান্সার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। তারপরও ক্যান্সার নিরাময়ে আশার বাণী উচ্চারণ করছেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব, এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার নিরাময় করা সম্ভব এবং অধিকাংশ অনিরাময়যোগ্য ক্যান্সারের ব্যথা উপশম করা সম্ভব। ♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥ প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3 ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :