স্বাস্থ্য সমস্যা এবং ডাক্তারি সমাধান প্রফেসর ডাঃ এ এইচ মোহামমদ ফিরোজ এফসিপিএস, এমআরসিপি, এফআরসিপি (পাতা ১)
কোন মন্তব্য নেই
সেলুলিটি সেলুলিটি হলো নারীদের উরু এবং পশ্চাৎদেশে মাংসের ফুলে ওঠা বাছোট ছোট কণার মতো হয়ে ওঠা। সেলুলিটি সাধারণভাবে নারীদের হয়ে থাকে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষের সেলুলিটি হতেদেখা যায়। ডাক্তারদের মতে সেলুলিটির চিকিৎসায় সার্জারির প্রয়োজন পড়ে অনেক সময়। তবে প্রাথমিকভাবে মেডিকেশনের দ্বারাও এর চিকিৎসার ব্যাপারে অনেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ উৎসাহী। স্থূলতা স্থূলতা সমস্যায় পুরুষের চেয়ে নারীরা ভোগে বেশি। প্রথমত ফ্যাটি খাদ্যের প্রতি নারীদের আকর্ষণ স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ। তবে বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী নিয়ম মতো চললে স্থূলতা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নারীদের বিভিন্ন সময় ওজন বৃদ্ধি এবং হ্রাসজনিত সমস্যা দেখা দেয় এ ব্যাপারেও বিএমআই সাহায্য করতে পারে। হারসুটিজম নারীদের শরীরে অতিরিক্ত লোম থাকাকে হারসুটিজম বলা হয়। অনেকনারী আতঙ্কিত হন এই ভেবে যে তাদের শরীরে মাত্রাতিরিক্ত পুরুষ হরমোনের প্রভাবে এই রকম অতিরিক্ত লোম গজায়। তবে সাধারণত ভেলাস চুল হরমোনের প্রভাবে গজায় না, কিন্তু টারমিনাল চুল হরমোনের প্রধান্যে গজাতে পারে। অতিরিক্ত চুল গজানোর এই সমস্যাকয়েকটি নির্দিষ্ট কারণের ওপর নির্ভরশীল। *. এড্রোজেন মেটাবলিজম *. এড্রোজেন প্রোডাকশন *. এক্সাজেনাস এড্রোজেন খাদ্য সমস্যা এবং এর ডাক্তারি উপসর্গ এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা, বুলিমিয়া নার্ভোসা, বিনজি খাদ্য সমস্যা ইত্যাদির প্রধান ডাক্তারি উপসর্গ হলো- এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা *. শরীরে ওজন ৮৫ ভাগ কমে যাওয়া *. ওজন বৃদ্ধিজনিত ভয় *. শরীরের ওজন এবং আকারের মধ্যে অমিল *. এমোনেরিয়া। বুলিমিয়া নার্ভোস *. খাদ্যের ব্যাপারে অনীহা *. খাওয়ার আগে বা পরে বমি বমি ভাব *. শরীরের আকার এবং ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা *. এনোরেক্সিয়া নার্ভোসা অনুপস্থিতি। ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা ত্বক ক্যান্সার নারীদের জন্য এটি একটি অত্যন্তঝুঁকিপূর্ণ ত্বকের ক্যান্সার। সাধারণত ৩০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী নারী এতে আক্রান্ত হয় বেশি। ককেশীয় নারীদের এই ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করে থাকেন গর্ভবতী অবস্থায় যদি নারী আক্রান্ত হন তবে তার গর্ভের শিশুরও এই সমস্যা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, হরমোন ইত্যাদির সাময়িক প্রভাবে মেলানোমা বেড়ে গিয়ে এরকম ক্যান্সারের সচনা করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ইন্ট্রাহেপাটিক নারীর গর্ভাবস্থায় তার লিভারে ঘামাচির কণার মতো উঠলে তাকে ইন্ট্রাহেপাটিক বলে। বহু নারীরএই সমস্যা হতে পারে। ইন্ট্রাহেপাটিকের চিকিৎসা ওষুধের দ্বারা সম্পন্ন করা যায়। ইন্ট্রাহেপাটিক চলাকালীন সময়ে নারীর আরো কিছু পার্শ্ব সমস্যা হতে পারে যেমন- *. পলিমরফিক *. গর্ভাবস্থার ঝুঁকি *. হারপিস জেসটেটিওনিস *. ইমপেটিগো *. হারপিটোফরমিস ইত্যাদি ত্বকের সমস্যায় এই সময়ে নারী আক্রান্ত হতে পারে। মনোপজকালীন যোনি থেকে রক্তপাত প্রাক মনোপজকালীন অথবা মেনোপজকালীন নারীর যোনি থেকে রক্তপাত একটি স্বাভাবিক সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে এর কারণমুখে সেবনযোগ্য জন্মবিরতিকরণ পিলের প্রভাব। তবে এরকম সমস্যাসব নারীরই হয় না। অনেক ক্ষেত্রে হরমোন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপির বিষয়ে আলোচনা শোনা যায়যে এরকম সমস্যায় এটি খুব ভালো কাজ দেয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ২০ ভাগ নারীর জন্য হরমোন রিপেস্নসমেন্ট থেরাপি কার্যকর হয়ে থাকে। অনেক ডাক্তার মনে করেন সার্জারি অনেক সময় ভালো কাজ দেয়। বিশেষ করে ইউটেরাস বা জরায়ু মত্রথলি এবং মত্রনালীর সমস্যায় সার্জারি সবচেয়ে উপযোগী হয়ে ওঠে। হাইপারপ্রোলাকটিনোমিয়া নারীর বুকের দুধের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন হচ্ছে প্রোলাকটিন। কখনো কখনো নারীর বুকের দুধ ছাড়াও নারীর স্তনবৃন্ত বা নিপল দিয়ে এক ধরনের তরলের ক্ষরণ ঘটতে পারে। একে ‘হাইপারপ্রোলাকটিনোমিয়া’ সমস্যা বলা হয়। আরো পড়তে থাকুন পাতা ২

কোন মন্তব্য নেই :