মুম্বইয়ে ৯৫ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার

কোন মন্তব্য নেই
মানবজমিন ডেস্ক: ভারতের মুম্বইকে সবচেয়ে নিরাপদ শহর বলে ভাবা হতো। অথচ সেইমুম্বইয়ের রাস্তাঘাটে ৯৫ শতাংশ নারীই নিজেদের মোটেই নিরাপদ মনে করেন না। কারণ, সামপ্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদিনই মুম্বইয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ নারী রাস্তাঘাটে কোন না কোনভাবে অশ্লীল মন্তব্য, যৌন হয়রানি বা লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু তারপরও পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। সিফোর নামক একটি বাজার গবেষণা সংস্থাজরিপটি পরিচালনা করে। জরিপে ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস ও অক্সরা যৌথভাবে ৯৫ শতাংশ নারীর একান্ত সাক্ষাৎকার নেয়ার পর এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ খবর দিয়ে অনলাইনগালফ নিউজ জানিয়েছে, জরিপের তথ্য অনুযায়ী নানাধরনের হয়রানির শিকার ৬৮ শতাংশ নারীই কোন অভিযোগ করেন না। মাত্র ১৫ শতাংশ নারী পুলিশি সহায়তা চান। অন্যদিকে ৪ শতাংশ নারী থানায় লিখিত অভিযোগ করে থাকেন। মুম্বইয়ের উইমেন্স রিসোর্স সেন্টারের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা এলিস জেঙ্ক বলেন, জরিপের শুরুতে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, যৌন হয়রানির সংখ্যা হয়তো অনেক বেশি হবে। তবে, সে সংখ্যা যে এতবেশি হবে, তা ভাবিনি। জরিপের ফলাফলে বিস্মিত হইআমরা। তিনি বলেন, মুম্বই যে নারীদের জন্য নিরাপদ, এধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য পুরুষরাই ছড়িয়েছে। অথচ, প্রকৃত চিত্র বেশ ভয়াবহ। ১০০ জনের মধ্যে ৯৫ জন নারীই প্রতিদিন এসব হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের প্রতি অশ্লীল মন্তব্য ছুড়ে দেয়া থেকে শুরু করে শরীর স্পর্শ করা এমনকি তাদের ওপর যৌন হামলা পর্যন্ত চালানো হচ্ছে। জরিপের এ পরিসংখ্যানে জানা গেছে, মাত্র ৭ শতাংশ নারী হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেসহায়তা চান। এ ধরনের যৌন হয়রানির অপরাধ বাড়ার পেছনে কয়েকটি মূল কারণকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-লজ্জা বা ভয়ে পুলিশি সহায়তা না চাওয়া, পুলিশের উপর আস্থাহীনতা, অভিযোগ লিখতে পুলিশের অস্বীকৃতি এমনকি হয়রানির শিকার নারীকে পাল্টা দোষ চাপানোর সংস্কৃতি। ২০১১ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত মুম্বই পুলিশ যৌন হয়রানিরমাত্র ৪৭৩টি অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে।

কোন মন্তব্য নেই :