প্রতারকের খপ্পরে রাজিয়া
কোন মন্তব্য নেই
র, নোয়াখালী থেকে: প্রেমিক জাহিদ হোসেনের সঙ্গে ঘরবাঁধার স্বপ্ন পূরণ হলো না সুলতানা রাজিয়ার। গত ২২শে অক্টোবর রাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জাহিদের ঠাঁই হলো জেলহাজতে।কক্সবাজার সদর উপজেলার টেকপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে সুলতানা রাজিয়া দুই বছর ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক জাহিদ হোসেনের (৩৫) সঙ্গে প্রেম ছিল। মোবাইল ফোনের ক্রস কানেকশনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের মাধ্যমে প্রায়ই মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কথা হয়। দু’জন দু’জনকে ভালবেসে ফেলে। আস্তে আস্তে তা গড়িয়ে যায় ঘনিষ্ঠ হওয়ার দিকে। এরই মধ্যে ওদের দু’বছর চলে গেছে। একে অপরকে পাওয়ার জন্য তারা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। গত ১৯শে অক্টোবর প্রেমিকা সুলতানা রাজিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য কক্সবাজারে যায় জাহিদ। এসময় একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা শুনার পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে উঠে। এসময় প্রেমিক জাহিদ অবিবাহিত বলে দুইজনের মধ্যে বিয়ের কাজটি শেষ করার সিদ্ধান্তনেয়। সুলতানা রাজিয়া প্রেমিক জাহিদ হোসেনের হাত ধরে ওই দিন কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে এসে এক আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রীপরিচয় দিয়ে রাত্রি যাপন করে। পরের দিন তারা দু’জনে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে জাহিদ হোসেনের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এসময় জাহিদের আত্নীয়-স্বজন জাহিদ যে বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক এই কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গে সুলতানা রাজিয়া চিৎকার শুরু করে। পরে এলাকার লোকজনের কাছে প্রেমিকা সুলতানা ঘটনাটি বিস্তারিত জানায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের আটককরে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সুলতানা রাজিয়ার অভিভাবকদের এনে তাকে ওদের হাতে তুলে দেয়। নিরুপায় রাজিয়া তার বাবার সঙ্গেকক্সবাজারে ফিরে যায়। পুলিশ জাহিদকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই :