অরক্ষিত আদালতপাড়া-৩
অপর্যাপ্ত পুলিশ, তাই নিরাপত্তায়ও ঢিলেমি
ঢাকা, অক্টোবর ০১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা ১৪ হাজার, এর মধ্যে গড়ে ৫ হাজার প্রতিদিন আসেন আদালতে, তাদের সঙ্গে আসেন কয়েক হাজার মোহরার।এর সঙ্গে যোগ হয় হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী।
প্রতিদিন যে স্থানে এত মানুষ সমবেত হয়, সেখানে নিরাপত্তার জন্য আলাদা বন্দোবস্ত থাকা প্রয়োজন বলে আদালত সংশ্লিষ্টরামনে করছেন।
অপ্রতুল নিরাপত্তার কথা স্বীকার করে আদালতপাড়ায় কর্মরতঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকার আদালতে ১০০টি এজলাসের জন্য মাত্র রয়েছে ১৭৫ জন কনস্টেবল। সেক্ষেত্রে প্রতিএজলাসের ভাগে পড়ে দেড় জন।
"এসব পুলিশ সদস্যদের হাতে অস্ত্র রাখার নিয়ম নেই। সুতরাংকাক্সিক্ষত নিরাপত্তা এদের কাছথেকে আশা করা যায় না," বলেন তিনি।
২০০৫ সালে জেএমবির বোমাহামলার পর আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিলো। তবে সময় গড়ালে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এখন আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। যে কোনো সময় যে কিছু ঘটে যেতে পারে। জেএমবির বোমাহামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করারদিকে নজর দেওয়া হলেও এখন আর সেদিকে দৃষ্টি নেই।"
গত বছরের অক্টোবর মাসে মহানগর দায়রা জজ, জেলা জজ, মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত, কোর্ট হাজতে আটটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু যেখানে এজলাস ১০০টি, সেখানে এ সংখ্যা অনেক কম বলে আইনজীবীদেরবক্তব্য।আদালতপাড়াকে ঝুঁকিমুক্ত করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি শেখ হেমায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।
তারা বলেন, প্রথমেই আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাসের বারান্দা থেকে হকার, ভিক্ষুক উচ্ছেদ করতেহবে। দরকার প্রবেশ পথগুলোতে কড়া পুলিশ পাহারা। তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে।
পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুর বলেন,"কারাগার থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার আসামিকে আদালতে আনা হয়। এদের হিসাব রাখতে হয় পুলিশকে। এর সঙ্গে আদালতের নিরাপত্তার দিকেও দৃষ্টি রাখতেহয়। সব মিলিয়ে কাজটি কঠিন।"
তবে বিশেষ কোনো ব্যক্তির হাজিরার দিনে দাঙ্গা পুলিশের দল নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আদালত এলাকায় কাজ করে বলে তিনি জানান।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ই পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেবলেন, স্বল্প সংখ্যক পুলিশের পক্ষে বিশাল এ অঙ্গনের দায়িত্বঠিকভাবে পালন সম্ভবপর নয়।
তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত। কারণ আদালত এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর জঙ্গিরা এর আগেও আদালতকেই তাদের লক্ষ্যস্থল করেছিলো। তাই আগামীতে যে কোনো হুমকি প্রতিরোধে আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আলী আসগর স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, রমনা বটমূলে গ্রেনেড হামলা, জঙ্গিদের বিভিন্ন হামলার মামলাগুলোর বিচার হচ্ছেএ আদালতে।
"এত গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারের সময়ে ঘটে যেতে পারে যে কোনো ঘটনা। আগে থেকে বন্দোবস্তনা থাকলে বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে," বলেন তিনি।
আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বলেন,"বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনো আইনজীবী কিংবা বিচারপ্রার্থী রাস্তায় নয়, বরং আদালতপাড়ায় এসেএখন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন। তাই এখানকার নিরাপত্তায় আরো মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এমআই/১০২০ ঘ.
প্রতিদিন যে স্থানে এত মানুষ সমবেত হয়, সেখানে নিরাপত্তার জন্য আলাদা বন্দোবস্ত থাকা প্রয়োজন বলে আদালত সংশ্লিষ্টরামনে করছেন।
অপ্রতুল নিরাপত্তার কথা স্বীকার করে আদালতপাড়ায় কর্মরতঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকার আদালতে ১০০টি এজলাসের জন্য মাত্র রয়েছে ১৭৫ জন কনস্টেবল। সেক্ষেত্রে প্রতিএজলাসের ভাগে পড়ে দেড় জন।
"এসব পুলিশ সদস্যদের হাতে অস্ত্র রাখার নিয়ম নেই। সুতরাংকাক্সিক্ষত নিরাপত্তা এদের কাছথেকে আশা করা যায় না," বলেন তিনি।
২০০৫ সালে জেএমবির বোমাহামলার পর আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিলো। তবে সময় গড়ালে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "এখন আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। যে কোনো সময় যে কিছু ঘটে যেতে পারে। জেএমবির বোমাহামলার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করারদিকে নজর দেওয়া হলেও এখন আর সেদিকে দৃষ্টি নেই।"
গত বছরের অক্টোবর মাসে মহানগর দায়রা জজ, জেলা জজ, মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত, কোর্ট হাজতে আটটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু যেখানে এজলাস ১০০টি, সেখানে এ সংখ্যা অনেক কম বলে আইনজীবীদেরবক্তব্য।আদালতপাড়াকে ঝুঁকিমুক্ত করতে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি শেখ হেমায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।
তারা বলেন, প্রথমেই আদালত প্রাঙ্গণ ও এজলাসের বারান্দা থেকে হকার, ভিক্ষুক উচ্ছেদ করতেহবে। দরকার প্রবেশ পথগুলোতে কড়া পুলিশ পাহারা। তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে।
পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুর বলেন,"কারাগার থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ হাজার আসামিকে আদালতে আনা হয়। এদের হিসাব রাখতে হয় পুলিশকে। এর সঙ্গে আদালতের নিরাপত্তার দিকেও দৃষ্টি রাখতেহয়। সব মিলিয়ে কাজটি কঠিন।"
তবে বিশেষ কোনো ব্যক্তির হাজিরার দিনে দাঙ্গা পুলিশের দল নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আদালত এলাকায় কাজ করে বলে তিনি জানান।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ই পুলিশের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেবলেন, স্বল্প সংখ্যক পুলিশের পক্ষে বিশাল এ অঙ্গনের দায়িত্বঠিকভাবে পালন সম্ভবপর নয়।
তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত। কারণ আদালত এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর জঙ্গিরা এর আগেও আদালতকেই তাদের লক্ষ্যস্থল করেছিলো। তাই আগামীতে যে কোনো হুমকি প্রতিরোধে আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আলী আসগর স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, রমনা বটমূলে গ্রেনেড হামলা, জঙ্গিদের বিভিন্ন হামলার মামলাগুলোর বিচার হচ্ছেএ আদালতে।
"এত গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিচারের সময়ে ঘটে যেতে পারে যে কোনো ঘটনা। আগে থেকে বন্দোবস্তনা থাকলে বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে," বলেন তিনি।
আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো বলেন,"বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোনো আইনজীবী কিংবা বিচারপ্রার্থী রাস্তায় নয়, বরং আদালতপাড়ায় এসেএখন নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন। তাই এখানকার নিরাপত্তায় আরো মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিবি/এমআই/১০২০ ঘ.
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন