মুসলমানের হাঁসি ৫/সাপের তওবা
কোন মন্তব্য নেই
একটি সাপের ঘটনা বর্ননা করছি । আমার কাছে যারা তালিম গ্রহন করতে আসে প্রথমেই আমি তিরস্কার করি না ।মানুষ যখন আমাকে সুঁই ফোটাই তখন আমি উহ ! করে উঠি মাত্র ।সে শব্দটি শোনা যায় ।আর যে লোকটি আমাকে সুই ফুটালো তার শব্দটি শোনা যায় না ।ফলে লোকে ভাবে আমি জালেম আর লোকটি মজলুম । এভাবে লোকে মজলুকে জালেম আর জালেমকে মজলুম মনে করে । তিরস্কার না করার কারণে আমার অবস্তা হয় তা নীচের ঘটনাটি দ্ধারা বুঝা যারে ।এক সাপ তার জীবনে কতবার মানুষকে দংশন করেছে আর আল্লাহ কত সৃষ্টিকে কষ্ট দিয়েছে সে চিন্তা করে বিচলিত হয়ে পড়লো ।এখন তওবা করে ভাল হয়ে যাবে এ চিন্তা করে সে এক পীরে সাহেবের কাছে গিয়ে মরীদ হলো এবং তওবা করলো যে আর কখন ও কাউকে দংশন করবে না ।একথা সমস্ত বন জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়লো যে সাপটা পীরের কাছে মুরীদ হয়েছে এবং আর কাউকে দংশন করবে না বলে তওবা করেছে ।সব জন্তু নিরাপদ হলো ।ব্যাঙ্গ সে সাপের পীঠে বসে থাকে ,ইঁদুর এসে লেজ কামড়িয়ে টানাটানি করে ।আর সাপ সবর করে । ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি এসে তার মাংসের কণা ছিড়ে নিয়ে উড়ে যায় ।পিঁপড়ার দল মনের আনন্দে তার দেহ ফুটা করে রক্ত শুষে নেয় ,সে ছবর করে । একদিন পীর সাহেব সে রাস্তা দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন ।দেখলেন সাপটির দেহ ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে ।পীর সাহেব জিঙ্গেস করলেন ,এ কি অবস্হা তোর ? সাপ বললো হুজুর এসব আপনার মুরীদ হওয়ার বরকত ।জঙ্গলের জন্তুরা আমার তওবা করার কথা শুনে নিশ্চিন্ত মনে আমাকে জুলুম করে চলেছে । কিন্তু আমি য তওবা ভঙ্গ করতে পারিনা পারি না ,তাই ছবর করে চলেছি । পীর সাহেব বললেন আরে নাদান আমি তোকেছোবল মারা থেকে তওবা করিয়েছিলাম ফোস করা থেকে নয় ,প্রয়োজনে বোধে ফোঁস করে উঠিস । নিজের হেফাজতের জন্যে মাঝে মাঝে ফোঁস করে উঠার প্রয়োজন আছে । আমি ও সেরূপ মানুষের বিশৃঙখলা আচারন থেকে বাঁচার জন্যে ফোঁস করে উঠি । যদি এরূপ না করি তবে চারদিক থেকে লোকে আমাকে এভাবে ঘিরে ধরবে যে সকল গুরুত্বর্পূন পড়ে থাকবে ।
সমাপ্ত
আল্লাহ হাফেজ ।
রচনা আশরাফ আলী থানবী রঃ ।
মুসলমানের হাঁসি থেকে নেওয়া ।

কোন মন্তব্য নেই :