কীলগার থেকে সাবধান

কোন মন্তব্য নেই
 কীলগার থেকে সাবধান ...
কীলগার হল এমন একটি সফটওয়্যার যার
দ্বারা আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত
ব্যক্তির কী-বোর্ডের সকল
কী প্রেসিং জানতে পারবেন। কীলগার
সাধারণত হার্ডওয়অর এবং প্রোগ্রাম,
এই দুই ভাবেই ধরনের হয়ে থাকে।
হার্ডওয়অর কীলগার পিসির কী-
বোর্ডের
সাথে বা ইউ.এস.বি পোর্টে লাগানো হয়।
একটি হার্ডওয়্যার কীলগার দেখতে AA
সাইজের ব্যাটারির সাইজের মতন।
অন্য
দিকে প্রোগ্রামিং কীলগার
ব্যবহারে কিছুটা সহজ এবং নিরাপদ।
এসব কীলগার সফটওয়্যার
দিয়ে আপনি সহজেই কারও ব্যক্তিগত
প্রোফাইল হ্যাক করতে পারবেন।
বিভিন্ন কোডার শ্রেণীর হ্যাকাররা এ
সব কীলগার তৈরি করে থাকে।
কীলগার জাতীয় সফটওয়্যারকে তিন
ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
১. ইন্সটলার কীলগার
২.রিমোট কীলগার
৩. RAT কীলগার
►ইন্সটলার কীলগারঃ এসব কীল গার
অন্যন নিদৃষ্ট কম্পিউটারেইন্সটল
করতে হয়। সাধারণ সফটওয়্যারের মতন
একে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ইন্সটলার কীল গার সাধারনত
একটি নিদৃষ্ট কম্পিউটারেই তার
হ্যাক করা ডাটা সংরক্ষণ করে।
ইন্সটলার কীল গার অন্যান্য কীল গার
হতে অধিক শক্তিশালী এবং নিরাপদ
হয়ে থাকে। তবে এটি কেবল সেই
কম্পিউটারের উপর প্রযোজ্য
যেটি হ্যাকার ব্যবহার করে।
►রিমোট কীলগারঃ এগুলো দূর
থেকে ইন্টারনেট সংযোগের
মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার
নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। এসব
কীলগারের মাধ্যমে পৃথিবীর এক
প্রান্ত থেকে অন্য
প্রান্তে হ্যাপারা তাদের
অনুসন্ধান চালাতে পারে। এসব
কীলগারে টোরাজন হর্স ভাইরাস
ব্যবহার করা হয়।
RAT কীলগারঃ RAT এর পূর্ণ রূপ হলও
Remote Administrator Tool এর
মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত
থেকে অন্য প্রান্তে হ্যাপারা তাদের
অনুসন্ধান
চালাতে পারে এবং একটি কম্পিউটারের
সকল সিস্টেমই RAT হ্যাকারদের
নিয়ন্ত্রণে এনে দিতে পারে। এসব RAT
কীলগারে torajon.win32 ভাইরাস
ব্যবহার করা হয়।
বেশ কিছু দিন
ধরে যেকোনো টেকি সাইটে ঢুকলে একই
কথা , একই টাইটেল “
ফ্রিতে ইন্টারনেট চালান ” ।
এটা নিয়ে অনেকে অনেকভাবে মন্তব্য
করছেন , অনেকে অনেক কথা বলছেন ।
অনেকে বলছে এতদিন অমুক অপারেটর
আমাদের বাঁশ দিচ্ছে , এখন
আমরা তাদের
দিব কিংবা এক কথায় কেউ বলছে অমুক
অপারেটরকে বাঁশ দিন ,
অনেকে বলছে বেকার
যুবকরা ফ্রিতে ইন্টারনেট
চালাবে ইত্যাদি এরকম নানা কথা ।
কিন্তু এদিকে যে আমাদের দেশের যুবক
দের কতবড় সর্বনাশ হচ্ছে তা নিশ্চয়ই
কারও মাথায় নেই ।
আমাদের খুবই পছন্দের সফটওয়ার PD-
Proxy এটা যারা ফ্রি ইন্টারনেট
চালাচ্ছেন তাদের বেশীরভাগ ওই ইউস
করছেন । কিন্তু ফ্রি ইন্টারনেট
চালানোর মাশুল ভুগতে হচ্ছে ।
এবার মুল কথায় আসি , PD-Proxy
আসলে একটা কিলগার, মালওয়ার !
আপনাদের এন্টিভাইরাস নিশ্চয়ই
এটাকে ডিটেক্ট করতে পারেনি ।
এটা দিয়ে চুরি হয়ে যাচ্ছে আপনার
কম্পিউটার এর ডাটা , আপনার একাউন্ট
এর পাসওয়ার্ড আরও কতকি ।
হয়ে যাচ্ছে আপনার একাউন্ট হ্যাক ।
হ্যাঁ আমিও পিডি প্রক্সি ১ মাস ইউস
করেছি । হটাৎ একদিন আমার এক বন্ধু
আমার পিসিতে কিলগার প্রবেশ করায়,
এবং আমাকে আমার ফেবু আইডির
পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেয় । তথন্
আমি এক
ভাইয়ার পরামর্শে ফায়ারওয়েল ইউস
করি । ফায়ারওয়াল ইউস করার পর
হঠাৎ বুঝতে পারলাম
যে পিডিপক্সি একটা কিলগার,
মালওয়ার
। তখনই আমি আমার সব একাউন্ট এর
পাসওয়ার্ড চেন্জ করলাম ।
কিভাবে এরকম সমস্যা হতে বাচবেন ?
১) লাষ্টেড আপডেট কৃত এন্টিভাইরাস
ইউস করুন ।
২)ফায়ারওয়াল ইউস করুন ।
৩) অযথা কোন লিন্কে ক্লিক করবেন
না ।
৪) ডাউনলোডকৃত ফাইল ওপেন করার
আগে স্কান করে নিন ।
৫) আপনার পাসওয়ার্ড এর
পরে একটা স্পেস দিন ।
ফ্রিতে ইন্টারনেট চালানোর
আগে দুবার ভেবে দেখবেন এবং সতর্ক
থাকবেন । ভালো থাকুন ।
আচ্ছা, আপনি যে মডিফাই
করা অপেরাটি ব্যবহার করেছেন
সেটাযে আপনার পাসওয়ার্ড
যে মডিফাই
করেছে তার
কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেনা তার
কী গ্যারান্টি? আপনি তো আর কোন
প্রোগ্রামার না !
ফ্রী এস এম এস সম্পর্কে 'ইমরান ভাই'
লিখেছেন, মনে করুন, আপনি কোন
ফ্রী মেসেজ পাঠানোর সাইট
থেকে ফ্রী মেসেজ পাঠালেন, এসময়
সাইড
এডমিনরা মেসেজ সেন্ড হওয়া ও
ডেলিভারীর রুট এ
একটা ব্যবস্থা রাখে যাতে করে আপনার
ব্যবহৃত নাম্বার ও বিভিন্ন
গুরুত্বপুর্ণ তথ্যগুলো মেইল
আকারে এডমিন এর হাতে চলে যায় |
একে ক্লোনিং বা ডাটা ইমেজ ও
বলতে পারেন ।
এই ক্ষেত্রে অনেকে জানতে চাইবেন,
'ভিন দেশী এডমিন কি করবে আমাদের
ডাটা দিয়ে ?!' সোশ্যাল মার্কেটিং
ব্র্যান্ড এসএমএস এসএমএস মার্কেটিং
ইনবক্স স্পার্মিং আরো ভয়াবহ রহস্য হল
কিওয়ার্ড সেভিং সিস্টেম
এডমিন তার সাইট এ কিছু নির্দিষ্ট
কিওয়ার্ড সেট করে রাখে ,
যাতে আপনার
মেসেজ এ ওই শব্দ গুলো থাকলে ও
বিশেষ
মেসেজ গুলো ফোল্ডার ভিত্তিক
সে সুবিধা মত আলাদা সংরক্ষণ
করতে পারে ! ! !
কিওয়ার্ড গুলো হতে পারে
ফেসবুক, পেপল, ক্রেডিট কার্ড,
পাসওয়ার্ড, পাস, আইডি, সিক্রেট এমন
হাজারো স্পর্শকাতর শব্দ
বুঝতেই পারছেন ক্ষতির
মাত্রা টা কি পরিমাণ হতে পারে ?
অনেকেই বলবেন আমি তো বেশ কয়েক
বারনএলাম-গেলাম ক্ষতি তো হলো না!
উত্তর হবে:
হ্যাকার বা চোর কি প্রতিদিন
চুরি করে ?
মনে রাখতে হবে এসব কাজ বছরে দু
বছরে নিয়মিতই ঘটে থাকে ,
কিছুদিন আগে টুইটার এর প্রায় কয়েক
লাখ আইডি রাতারাতি হ্যাকড
হয়েছিলো !
আপনারা হয়ত জানেন
ফ্রী এসএমএস এর জনপ্রিয় সাইট
গুলো ইন্ডিয়া, ফিলিপাইন ,
ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এর মতো দেশ
থেকে চালানো হয়
প্রযুক্তি, কোডিং, স্ক্রিপ্ট,
হ্যাকিং সবদিক থেকে এরা কত অভিজ্ঞ
তা কি বলে দিতে হবে ? ?
এখন ,নশেষ কথা. . .
. . .আপনি কি চাইবেন ?
আপনার ই কারণে বিব্রত হোক আপনার
ঘনিষ্ট কেউ !
বা আপনার দেখানো ফ্রী এসএমএস এর
ফাদেঁ পা দিয়ে সর্বস্ব হারায়ে অসহায়
হৌক কেউ !
আমি কখনোই চাইবোনা ।
আরেকটা কথা, এর সাথে যোগ
হয়েছে আরেকটা ফাঁদ ।
"তা হচ্চে mcnet
এয়ারটাইম, ৩০০ টাকা ফ্রী টকটাইম "

ঐটা সম্পর্কেও হুবহু একি কথা ।
বিশ্বাস করলে করবেন,
না করলে ভাগেন।
লাইক দিতে চাইলে লাইক দেন, শেয়ার
করতে চাইলে করেন, এমনকি রিপোর্ট
করতে চাইলেও করেন । আমার কাজ শুধু
সতর্ক করা, বাকিটা আপনাদের কাছে |


বিষয়ঃকম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট
share on facebook
আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :