তোমরা যারা নাস্তিক,তাদের কে বলছি?

কোন মন্তব্য নেই


হে নাস্তিক ভাই আপনার কাছে যদি ধর্ম ভালো না লাগে সেটা আপনার ব্যাক্তি গত ব্যাপার।
আপনি ধর্মের আইন নিয়ম মানবেন না সেটা আপনার স্বাধীনতা।
কিন্তু আপনি আপনার স্বাধীনতার নামে অন্যের ধর্মের উপর আক্রমন করবেন কেনো?
আপনি চিন্তা করে দেখুন তো আপনারা যারা ধর্ম মানেন না তাদের সংখ্যা কত?
আর যারা ধর্মের আইন মানে তাদের সংখ্যা কত?
আপনি ধর্ম মানে না বলেই আমরা আপনাকে নাস্তিক বলি।
আর তাতেই আপনাদের গায়ে চুলকানি উঠে যায়?
অথচ এদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম।
আমরা আমাদের প্রিয় নবীকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালো বাসি।
আপনারা আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলবেন
সেটা আমাদের গায়ে লাগবেনা সেটা ভাবেন কি করে?
শুধু আপনাদের কারনেই দেশে এই পরিস্তিতি তৈরি হয়েছে।
আপনারা যদি এই দেশের তৌহিদী জনতার মনে
আঘাত না দিতেন তা হলে এই ভয়ঙ্কর গর্জন
আপনাদের শুনতে হতোনা।

হে নাস্তিক ভাই আপনারা বলেন আপনারা নাকি শিক্ষিত।
কিন্তু কাজের বেলাতে তো সেটা প্রমান করতে পারেন না।
আপনার মতের সাথে আরেক জনের মত না মিললে তাকে
 কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করতে হবে
এটা কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনাদের।
এটা আপনাদের কেমন ভদ্রতা?
আপনারা লেখা পড়া করে কি এই সব নোংরামি ভাষা শিখেছেন?
তা হলে একজন অশিক্ষিত ও আপনার মাঝে পার্থক্য কোথায়?  
আপনারা না বলেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে আর কেউ নাই?
তা হলে আপনারাই কেনো আপনাদের কথা
মানেন না?

আপনারা বলতে পারেন তোমরা আমাদের কে হত্যা করতেছো কেনো?
আমি বলবো আপনি মনে করতেছে তারা আপনাদের কে হত্যা করতেছে আসলে
আপনাদের কে নয়?
তারা হত্যা করতেছে ধর্মদ্রোহীদের কে নাস্তিকদের কে নয়।
যারা নাস্তিক তারা কখনো অন্যের ধর্মের ক্ষতি করবেনা।
কারন তারা নিজেরাই ধর্ম মানেনা তা হলে এটা নিয়ে ঘাটা ঘাটি করবে কেনো?
বরং যারা ধর্ম বিদ্বেষী তারাই ধর্মকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলবে।
এবং সেটা কোনো বিশেষ ধর্মের উপর।
যারা সত্যিকারের নাস্তিক?
তারা কোনো বিশেষ ধর্মের উপর আক্রমন করবেনা?
তারা সব ধর্মেরেই সমালোচনা করবে।
এবং যুক্তি সহকারে,গালিগালাজ করে অথবা কুরুচিপূর্ণ ভাষার মাধ্যমে নয়।
আর এটায় হলো শিক্ষাগত যোগ্যতা।

আমি আপনাদের কে ছোট্ট একটি উদাহরণ দেয়ঃ
মনে করুন আমি নাস্তিক আপনি মুসলিম অথবা অন্য কোনো ধর্মের অনুসারি?
আমি ধর্ম মানিনা বলেই আমি নাস্তিক।
এখন আমি নাস্তিক হয়ে যদি আপনার কোনো ক্ষতি না করে আমি আমার পথে চলি?
আপনি আপনার পথে চলেন?
তা হলে আপনি আমার কোনো ক্ষতি করবেন?
এমন কি সাধারন ক্ষতি ও?
এখন আমি আপনার বিশ্বাসের উপর আঘাত হানি?
আপনার বিশ্বাস এর উপরে কোনো ভাবেই যুক্ত নয়?
তা হলে আপনার কাছে কেমন লাগবে?
অথবা আমি আপনার মা বাবার নামে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় অপবাদ দিলাম?
আপনার মা বাবা এর সাথে কিছুতেই যুক্ত নয়?
আপনি আপনার মা বাবাকে নিজের প্রানের চাইতে বেশি ভালোবাসেন?
তা হলে এই কুরুচিপূর্ণ কথা গুলি আপনার কাছে কেমন লাগবে?
যদি ভদ্র বাবা মায়ের ঘরে জন্ম নিয়ে থাকেন তা হলে অবশ্যয় খারাপ লাগবে।
ঠিক তেমনি ভাবে আমরা নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি
আমাদের প্রিয় নবীকে।  
আপনারা যদি সেই নবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করেন?
তা হলে আমাদের মনে কি আঘাত লাগবেনা?
আপনি ধর্ম মানবেন না সেটা আপনার স্বাধীনতা।
কিন্তু আপনি অন্যের ধর্মের উপর আঘাত করে কথা বলবেন সেই
স্বাধীনতা তো আপনাকে দেওয়া হয়নি?
আপনি আপনার পথে চলবেন সেটা আপনার স্বাধীনতা,
কিন্তু আপনি আরেক জনের চলার পথ রুদ্ধ করে দাড়াবেন
এটা আপনার কেমন মানবতার নীতি?
আপনি আপনার চেতনায় নিয়ে থাকুন,
আমাদের কে আমাদের চেতনা নিয়ে থাকতে দিন।।
এটায় হবে স্বাধীনতা।
আপনি আপনার নাস্তিকতার মত প্রকাশ করুন
কোনো ধর্মের উপর আক্রমন ছাড়া।
আমি আমার মত প্রকাশ করবো আমার ধর্মের দ্বারা,
আপনার উপর আক্রমন ছাড়া।
তা হলে এটায় হবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
আপনি যদি এটা না করে বিশেষ ধর্মের উপর
কুরুচিপূর্ণ ভাষায়  আক্রমন করে কথা বলবেন?
সেটা নাস্তিকতা হবেনা সেটা হবে ধর্মদ্রোহীতা।
আর যারা এই সব করবে তাদের কে তো
তৌহিদী জনতা গনধোলায় দিবে এটায় তো স্বাভাবিক।
আপনি অপকর্ম করবেন আর সেটার বিচার করা যাবেনা এটা কেমন যুক্তি?
এটা আপনাদের কেমন মানবতা?
তা হলে যারা অপরাধ করেনা তাদের দোষ কোথায়?
আপনারা বলেন আমরা যদি ইসলামের প্রতি অবমাননা করে থাকি,
তা হলে আল্লাহ বলেছে এর বিচার পরকালে করবেন?
তা হলে আমি আপনাকে বলি আল্লাহ তায়ালা বলেছে সকল অবিচারের
বিচার একদিন আল্লাহ করবেন।
সে দিন তাহার হাত থেকে কেউ রেহায় পাবেনা?
তা হলে আপনারা সাঈদি,নিজামি,আরও অনেকের বিচার করতেছেন?
তা হলে তাদের বিচার এখানে করতেছেন কেনো?
তাদের কে আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিন।
আল্লাহ তো তাদের বিচার করবেন।
আপনি বলতে পারেন আমরা তো পরকাল কে বিশ্বাস করিনা।
আমি ও বলবো আপনাদের এই দুনিতিবাজি কথা আমরা ও বিশ্বাস করিনা।
আপনারা নাস্তিক হয়ে যদি বিচার চাইতে পারেন?
তা হলে আমরা আস্তিক হয়ে কেনো আপনাদের অপকর্মের বিচার চাইতে পারবো না?
আপনারা নাস্তিক হয়ে যদি বলতে পারেন তা হলে আমরা কেনো বলতে পারবোনা
সাঈদি সহ বাকি অপরাধীদের কে মুক্তি দিন।
তাদের বিচার আল্লাহ করবেন।
আপনাদের করার দরকার নাই।
নাকি মাহমুদুর রহমান স্যারের কথা মেনে নিবো যে মুসলমানদের মানবধিকার
থাকতে নেই।
আমি জানি মাহমুদুর রহমান স্যার আপনাদের প্রধান শত্রু।
তিনি আপনাদের নাস্তিকতার আড়ালে ধর্মদ্রোহীতার মখোশ ধর্ম প্রান মানুষদের
কাছে খুলে দিয়েছে।
  
তার পর ও তার নামটি নিলাম।
কারন তিনি আমার প্রিয় সম্পাদক।

আমরা যদি এই মতবাদ নিয়ে চলি তা হলে সমাজে অপরাধ বেড়ে যাবে।
যারা নিরাপরাধ তারা ও অপরাধ করতে উৎসাহী হবে।
তারা বলবে যারা অপরাধ করেও যদি দোষী না হয়
তা হলে আমাদের অপরাধ করতে বাধা কোথায়?
এই ধরনের মত বাধ যদি মানুষের ভিতরে থাকে 
তা হলে সমাজে শান্তি আসবেনা।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে যারা অপরাধী তাদের কে
ধরে অপরাধ অনুযায়ি শাস্তি দিতে হবে।
ধর্ম তো সেই কথায়ই বলে ?
তা হলে ধর্মের অপরাধ কোথায়?
ধর্মের অপরাধ হল আপনারা অবাধ যৌনতার বিশ্বাসী,
আর ধর্ম সেটার কঠোর বিরোধী বিশেষ করে ইসলাম।
যার কারনে আপনাদের মনে এতো চুলকানি?
বেশি চুলকায়েন না তালে ক্ষত আরো বেড়ে যাবে।           

হে নাস্তিক ভাই আমি আপনাদের কাছ থেকে জানতে চাই?
আপনারা ধর্ম মানবেন না সেটা আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
কিন্তু আপনি বিশেষ ধর্মের উপর আক্রমন করে কি লাভ?
কি সুখ  কি শান্তি পান?
আমি আপনার বিরুদ্ধে লিখে আপনাকে অস্তির করে তুলবো?
আপনিও আমার প্রিয় নবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় লিখে আমাকে
অস্তির করে তুলবেন?
এতে আপনি শান্তি পেলেন কোথায়?
আমি নিজেও শান্তি পেলাম কোথায়?
আপনারা না শান্তি প্রিয় মানুষ?
আমরা সবাই জানি মনের শান্তি বড় শান্তি?
এই উত্তেজনার পথে থাকলে তা হলে  আমরা শান্তি পেলাম কোথায়?
মনে শান্তি পেতে হলে আমাদের সবার উচিত উত্তেজনার পথ পরিহার করে
সুন্দর ভাবে একে অপরের মত বাদের জবাব দেওয়া।
আপনি আপনার মত বাদ  প্রকাশ করবেন সুন্দর ভাবে যুক্তি
সহ কারে কোনো রকম বিদ্বেষ পূর্ণ বক্তব্য ছাড়া।
আমিও আমার মত বাদ প্রকাশ করবো কোনো রকম বিদ্বেষ ছাড়া,
সুন্দর ভাবে যুক্তি সহকারে।
আমি যদি আপনার মতবাদের যুক্তি সহ কারে উত্তর না দিতে পারি সেটা
আমার ব্যার্থতা।
পবিত্র কোরআনে ও  একই কথা বলা আছে যে,
আসো সেই কথায় যা তোমাদের ও আমাদের মাঝে এক।
আপনার কালেমার অর্ধেক অংশ বিশ্বাস করেন আমরা সম্পূর্ণ
অংশ বিশ্বাস করি।
আপনারা বিশ্বাস করে কোনো ইলাহ নাই?
আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নাই।
আপনার আমার মাঝে পার্থক্য হলো আপনি সৃষ্টিকর্তা বিশ্বাসী নন,
আমি সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসী।
আপনি সৃষ্টিকর্তার বিশ্বাসী না হয়ে কেনো তার বিধান কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায়
প্রবন্ধ লিখবেন?
আপনি তো ধর্মের বিরোদ্ধে লিখে নিজের বিশ্বাস কে ভঙ্গ করতেছেন?
যারা বিশেষ ধর্মের বিরোদ্ধে লিখে তারা  নাস্তিক নয় তারা  ধর্ম বিদ্বেষী।
আপনি যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন তা হলে আমি আপনাকে স্বাগতম জানাবো।
আর আপনি যদি ধর্ম বিদ্ধেষী হয়ে থাকেন তা হলে আমি আপনাকে
ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবো।

কেননা আমার মা বাবা মুসলিম সে হিসাবে আমি মুসলিম।
কিন্তু আপনার মা বাবা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আপনি মুসলিম
হতে চান না?
আপনি নিজ চোখে দেখতে চান সৃষ্টিকর্তা আছে কি না?
নিজ চোখে তাকে দেখলে আপনি বিশ্বাস করবেন।
না দেখলে বিশ্বাস করবেন না?
এটা হল আপনাদের মতবাদ?
এবার আমার মতবাদ ভালো করে চোখ কান খুলা রেখে শুনুন।
আমি জানি বিজ্ঞান বলে  মানুষ না খেয়ে বাচতে পারে ৩০ দিন।
কিন্তু বিজ্ঞান আরো বলে মানুষ অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে মাত্র ২ মিনিট।
প্রতি সকাল ৮ টা বাজে নাস্তা করি,
সকাল ১০টা বাজে,বিকাল ৩ টা বাজে এবং রাত্রে ১০ টা বাজে ভাত খায়।
প্রতি চার বেলা খাবার খায় বলে আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে খাবার বলে
কিছু আছে?
যদি না থাকে আমি কি খেয়ে বেচে থাকি?
খাবার আছে বলেই তো ৩০ দিনের জায়গাতে ২০ বছর ধরে বেচে আছি।
কিন্তু বিজ্ঞান বলে অক্সিজেন না থাকলে মানুষ বাঁচতে পারে মাত্র ২মিনিট।
আমি আপনাদের মতবাদ মেনে নিলাম।
কারন অক্সিজেন যদি না থাকতো আমি জন্মের ২ মিনিট পরেই মারা যেতাম।
অক্সিজেন আছে বলেই আমি আজ ২০ বছর ধরে বেছে আছি।
কিন্তু আক্সিজেন বলে কিছু আছে সেটা আমি চোখে দেখতে পাইনা?
আপনারা আমাকে দেখান?
না দেখাতে পারলে আমি ও আপনাদের সাথে সুর মিলিয়ে বলবো
যাকে দেখিনা আমি তাকে মানিনা?
তা হলে আপনারা বলতে পারেন তোর মতো রুবেলে যদি অক্সিজেন না মানস
তাতে অক্সিজেনের কি?
তা হলে আমি বলবো আপনারা ও তো অক্সিজেন আছে সেটা নিজ চোখে দেখতে পান না?
তা হলে সেটা কেনো বিশ্বাস করেন?
আপনারা না বলেন যাকে দেখিনা তাকে মানিনা?
তা হলে অক্সিজেন বলে কিছু আছে সেটা কেনো মানেন আমরা জানতে চাই?
আপনাদের ভণ্ডামি এখানেই ধরা পরে যাবে।

উপরের কথা গুলো আমার প্রথম পয়েন্ট।
এখন আমি ২য় পয়েন্ট বাতাস নিয়ে আলোচনা করবো।
বাতাসের জন্য কারেন্ট আমাকে খুব জ্বালাতন করতেছে।
বর্তমানে বৈশাখ মাস।
এই মাসে  দেশের সব প্রান্তে ঝড় তুফান হয় বেশি।
এই বাতাস যখন অনেক বেশি গতি বেগে ছুটে যায় তখন এই বাতাসের
আঘাতে মানুষের বাড়ি ঘর,গাছ পালা  লন্ড ভন্ড করে দিয়ে যায়।
আবার সেই একেই বাতাস তীব্র গরমে আমাদের কে শীতল করে দেয়।
এই বাতাস আমাদের কে এক দিকে ক্ষতি করে আরেক দিকে উপকার ও করে।
কিন্তু আমরা তাকে দেখতে পাইনা?
এখন আমি যদি আপনাদের ধারনা মেনে নেই তা হলে আমাদের পৃথিবীতে
বাতাস নেই।
আর যদি বাতাস না থেকে থাকে তা হলে এই সব হয় কি করে?
এমন কি বাসায় মাথার উপর ফ্যান ঝুলিয়ে গরমে আরাম করে যে বাতাস খান?
সেই বাতাস কি চোখ দিয়ে দেখেন?
না দেখলে সেই বাতাস আছে বলে কেনো বিশ্বাস করেন?
আপনারা বলেন যাকে দেখিনা তাকে মানিনা?
তা হলে সেই বাতাস কেনো মানেন আমরা জানতে চাই?
আপনাদের ভণ্ডামি এখানে ও ধরা পরে গেছে।
এখন আপমাদের কাছে আমার প্রশ্ন হল যে অক্সিজেন
এবং বাতাস থাকার পর আপনারা চোখ দিয়ে দেখতে পান না?
অথচ এই গুলি মহান আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন?
তার সৃষ্টি অক্সিজেন,বাতাস খালি চোখে যদি দেখতে না পান?
যে এগুলি সৃষ্টি করেছেন তাকে খালি চোখে কি ভাবে দেখতে পাবেন?
যত সব পাগলের প্রলাপ।
বুঝিনা আপনারা এতো লেখা পড়ার করার পর ও কেনো এই বিষয় গুলি
আপনাদের মাথায় প্রবেশ করেনা?

আপনারা বলেন  সৃষ্টিকর্তা নেই?
আমরা যখন বলি সৃষ্টিকর্তা না থাকলে এই সৌর জগৎ কে সৃষ্টি করেছেন?
কে সৃষ্টি করেছেন এই মানব জাতিকে?
কে সৃষ্টি করেছেন গাছ পালা,পুশু পাখি,জীবন মরন কে?        
জবাবে আপনারা বলেন এই গুলো এমনেতেই হয়ে গেছে?
এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো দুনিয়ার এতো কিছু এমনেতেই হয়ে গেলো?
কিন্তু বিজ্ঞান কেনো এমনেতেই হলো না?
আজ বিজ্ঞানের কেনো এতো কিছু আবিস্কার করতে হচ্ছে মানুষের জীবন মাত্রা উন্নত করার জন্য?
এমন কি আমি যে কম্পিউটার দ্বারা এই পোস্ট টি লিখতেছি সেটা ও তো বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে।
এমন কি যে মাধ্যমে আমরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করি সেটাও বিজ্ঞানের তৈরি?
সৌর জগতের এতো কিছু এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে গেলো অথচ এই গুলো সৃষ্টি হতে পারলোনা
এটা কেমন যুক্তি সঙ্গত কথা?

এমন কি আমরা তিন বেলা যে খাবার খেয়ে বেচে  আছি সে খাবার ও তো এমনেতেই হয়না
রান্না করে খেতে হয়?          

সৌর জগতের এতো কিছু এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে তা হলে এই খাবার গুলো
এমনেতেই হয়ে যেতে পারেনা?
এমনেতেই হয়ে গেলো তো আমাদের মা বোনদের এতো কষ্ট করতে হয়না।

এর পর ও যদি বলেন সৌর জগতের যা কিছু আছে সব এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে গেছে,
কোনো সৃষ্টিকর্তা এই গুলো কে সৃষ্টি করে নাই?
তা হলে আমিও বলবো কম্পিউটার, ইন্টারনেট সহ বিজ্ঞানের দ্বারা যত কিছু আবিস্কার
হয়ে এই গুলো বিজ্ঞান আবিস্কার করে নাই,
এমনেতেই হয়ে গেছে।
শুধু বিজ্ঞান নিয়ে এমনেই  চিল্লাচিল্লি,ব্যাঙ্গের মতো লাফা লাফি করেন।         

আপনারা আবার বলতে পারেন তোর মতো রুবেলে যদি বিজ্ঞান না মানস তাতে বিজ্ঞানের
ক্ষতি কি?
তা হলে আমি ও বলবো ওরে হতছেড়া  তোর মতো সারা পৃথিবীর মানুষও যদি মহান 
আল্লাহ কে না মানে
তাতে মহান আল্লাহর ক্ষতি কি?
ক্ষতি তোর আমার,
জাহান্নামের আগুনে জ্বললে তুই আমি জ্বলবো।
নাস্তিক ভাই তুমি যতই জান্নাত জাহান্নাম  অবিশ্বাস করো না কেন?
মনে রেখেও জান্নাত জাহান্নাম অবশ্যয় আছে।
বিজ্ঞান ছাড়া যেমন কম্পিউটার তৈরি হয় না এ যেমন পানির মতো ক্লিয়ার?
ঠিক তেমনি ভাবে  সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এই কিছু এমনেতেই সৃষ্টি হয়ে যায়নি?
সৃষ্টিকর্তা অবশ্যয় এক জন আছেন।

নাস্তিক ভাইদের কে বলবো,
ভাই আপনি যদি ধর্ম না মানেন সেটা আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়।
কিন্তু আপনি অন্য ধর্মের বিশ্বাসের উপর তো আঘাত দিতে পারেন না।
আপনার বিশ্বাস আপনার অন্তরে লালন করুন,
আমাদের বিশ্বাস আমাদের অন্তরে লালন করবো।

আর দয়া করে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।
পরিবেশ কে  অসামাজিকতার হাত থেকে রক্ষা করুন।

মুসলিম ভাইদের কে বলতেছি,
আপনারা ধর্মদ্রোহীদের পোস্ট পেলে লাইক কমেন্ট করবেন না।
বরং রিপোর্ট মেরে চলে আসবেন।
তারা যদি আপনাকে কু রুচি পূর্ণ ভাষায় গালি আপনি দিবেন না।
কারন কোনো পাগলা কুত্তা আপনার পায়ে যদি কামড় দেয়?
তা হলে কি আপনি এই পাগলা কুত্তার পায়ে কামড় দিয়ে প্রতিশোধ নিবেন?
নিবেন না।
তাই কেউ যদি আপনাকে গালা গালি করে তার পর ও আপনি তাকে গালাগালি করবেন না।
বরং তার সাথে ভালো ব্যাবহার করুন।
এটা আমাদের রাসুল্লাহ (সাঃ) এর শিক্ষা।

আরও অনেক কিছু বলার ছিলো।
কিন্তু সময়ের অভাবে  এর বেশি কিছু বলতে পারি নি।
আমার লেখার মাঝে কোনো ভুল থাকলে দয়া করে ক্ষমার নজরে দেখবেন।
আমার কথার দ্বারা আপনারা যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তা হলে ছোট ভাই হিসাবে
আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।

আমার কথা যুক্তি সঙ্গত হলে শেয়ার করবেন।
আপনার একটি শেয়ার করার কারনে অনেকের হাতে পৌছে যাবে।

আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য আপমাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন এ কামনায়.........
আল্লাহ হাফেজ।
....................................

Share on Facebook

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ।
এই পোস্ট গুলি কি আপনি পড়েছেন?

বিষয়ঃ বর্তমানের পেক্ষাপট

এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :