যায়েদ নবীর পুত্র - যায়েদের প্রতি স্নেহ-মমতা

কোন মন্তব্য নেই
যায়েদ নবীর পুত্র
যুবক যায়েদের এ বক্তব্য রাসূলের
হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
তিনি আবেগে যুবক যায়েদের হাত
ধরে হরম শরীফে প্রবেশ করত
আল্লাহর ঘরের
সম্মুখে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেনঃ হে মানব
সমাজ! তোমাদের
সাক্ষী রেখে আমি বলছি, আজ
থেকে যুবক যায়েদ আমার পুত্র।
হৃদয়স্পর্শী এই দৃশ্য পরিদর্শন
করে পিতা হারিসা এবং তার
চাচা কাআব প্রশান্ত মনেই
বাড়ি ফিরে আসে। তাকে বিশ্ব রাসূলের
খিদমতেই রেখে আসতে তারা সম্মত
হয়। সেদিন থেকে যায়েদ আর
ইবনে হারিসা (হারিসার পুত্র) নয়;
বরং যায়েদ ইবনে মুহাম্মদ (মুহাম্মদের
পুত্র যায়েদ) হিসেবে পবিত্র
মক্কা নগরীতে প্রসিদ্ধ হয়ে যায়।
যায়েদের প্রতি স্নেহ-মমতা
বিশ্ব রাসূলের সাথে একজন কৃতদাস
হিসেবে সর্বপ্রথম যুবক যায়েদের
সম্পর্ক স্থাপিত হয়। মক্কার
মানবতা ও সভ্যতা বিবর্জিত
পরিবেশে কেউ তাকে বুকে টেনে নিবে,
তাকে স্নেহ-মায়া দিয়ে আপনজন
হিসেবে কেউ কোলে টেনে নেবে, যুবক
যায়েদ কখনো তা ভাবতে পারে নি।
যায়েদের কথা শুনে কেউ ঘর থেকে বের
হয়ে তাকে স্বাগত জানাবে, দাসত্বের
দাগমুক্ত করে তার কপালে কেউ চুমু
খাবে এবং তার সাথে গলা মিলাবে, দাস
ও মনিবের মধ্যে যে কোন তফাৎ নেই,
সবাই এক আল্লাহর সৃষ্টি-এরূপ বিরল
সম্মান লাভে ধন্য হবে, যুবক যায়েদ
তা কোনদিনই ভাবতে পারে নাই। হযরত
আয়শা (রাঃ) বলেন, “যায়েদ যখনই
এসে বিশ্ব রাসূলকে ডাকত, তখন
রাসূলে পাক যে অবস্থায়ই থাকতেন,
সত্ত্বর বের হয়ে যায়েদের কপালে চুমু
খেয়ে তার কুশল জিজ্ঞাসা করতেন।”
যায়েদের প্রতি রাসূলের স্নেহ,
অনুকম্পা, আকর্ষণ, সদাচরণ ও
ইহসানের কারণেই যায়েদ ছিল রাসূলের
প্রতি অত্যাধিক আনুগত্যশীল। এ
কারণেই মাতা-পিতা ও আত্মীয়-
স্বজনের উপর রাসূলকে প্রাধান্য
দিতে যুবক যায়েদ কুণ্ঠাবোধ করেনি।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

Next গর্হিত প্রথার অবসান - যয়নবের তালাক

কোন মন্তব্য নেই :