শাহাদাতের প্রতিক্রিয়া - স্মরণীয় আদর্শ

কোন মন্তব্য নেই
শাহাদাতের প্রতিক্রিয়া
জুমাদাল উলা অষ্টম হিজরী, ৫৫ বছর
বয়সে মুতার ময়দানে হযরত যায়েদ
ইবনে হারিসা শাহাদাত বরণ করেন।
যায়েদের শাহাদাত বরণের সংবাদ শোনার
সাথে সাথে মদীনা পাকে নেমে আসে
শোকের ছায়া। ভরাক্রান্ত
হৃদয়ে অশ্র“সিক্ত চোখে বিশ্ব রাসূল
সমবেত সাহাবাদের নির্দেশ দেনঃ
ﺍﺳﺘﻐﻔﺮﻭﺍﻻﺧﻴﻜﻢ ﻗﺪﺩﺧﻞ ﺍﻟﺠﻨﺔ
ﻭﻫﻮ ﻳﺴﻌﻲ
“তোমরা তোমাদের ভাইয়ের
মাগফিরাতের জন্য দোয়া কর,
সে দৌড়ে জান্নাতে প্রবেশ করছে।”
রাসূলে পাক স্বয়ং মুনাজাত বলেনঃ
ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻏﻔﺮ ﻟﺰﻳﺪ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻏﻔﺮ
ﻟﺰﻳﺪﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻏﻔﺮ ﻟﺰﻳﺪﺛﻼﺛﺎ
‘হে আল্লাহ পাক!
যায়েদকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ পাক!
যায়েদকে ক্ষমা করুন, হে আল্লাহ পাক!
যায়েদকে ক্ষমা করুন।’ যায়েদের
শাহাদাত বরণের কারণে রাসূলে পাকের
দু’চোখ অশ্র“সিক্ত হলে সাহাবী সাআদ
ইবনে উবাদা প্রশ্ন করলেন,
“ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কান্নার
হেতু কি? রাসূল বললেনঃ বন্ধুর
সাথে বন্ধুর মিলনের আশায়।”
স্মরণীয় আদর্শ
রাসূলের প্রতি আনুগত্য,
ভালোবাসা হযরত যায়েদকে যে উর্ধ্ব
মকামে সমাসীন করেছিল
তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
হ্যা, এ কারণেই রাসূলও তাকে স্নেহ
করতেন, ভালোবাসতেন। তাকে নিজের
পুত্রতুল্য মনে করতেন। তিনি বলতেন,
“যায়েদ আমার প্রাণাধিক প্রিয়।”
রাসূল এবং যায়েদের
মধ্যে কে মহব্বতকারী আর
কে যে প্রেমাস্পদ- এ পার্থক্য
করা সত্যিই দুষ্কর!
ভালোবাসা এবং ভালোবাসার মূল্যায়নের
ইতিহাসে যার কোন নজীর নেই।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব ।প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
Next যায়েদের স্মরণে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) - হযরত যায়েদের গুণাবলী

কোন মন্তব্য নেই :