সমালোচকদের মেধা - ইউরোপীয় সভ্যতা

কোন মন্তব্য নেই
সমালোচকদের মেধা
এই মুহূর্তে তিক্ত হলেও
যে বিষয়টি পরিস্কারভাবে বলা
প্রয়োজন তা হলো, একাধিক বিবাহ
সম্পর্কে যারা সমালোচনা করে তাদের
মেধা এবং বোধ-বুদ্ধি,
যিনা এবং ব্যাভিচারের মত নির্লজ্জ
অপরাধকে মোটেই অপরাধ মনে করে না।
তাদের নিকট যিনা কোন অপরাধই নয়।
তা না হলে জ্ঞানী মাত্রই
উপলব্ধি করতে পারে যে, এক স্ত্রীর
মাধ্যমে সব ধরনের পুরুষের পরিত”প্ত
হওয়া জরুরী নয়।
হ্যাঁ যারা মানুষকে কেবল একধরনের
জীবজন্তু
মনে করে এবং নারীকে যে কোন
উপায়ে সম্মত করত: যৌন
কামনা চরিতার্থ করে এবং পশুর ন্যায়
সম্পর্ক গড়ে আর ছিন্ন করে। এরপর
কারো সুখ দুঃখের সাথী হওয়ার
প্রয়োজন মনে করে না। নারীর
মুসীবতের সময় কাছে আসে না। তার
কলংকময় জীবনে সহায়ক হয় না।
কেননা তার যা স্বার্থ এবং উদ্দেশ্য
ছিল তা উদ্ধার হয়েছে, তাদের নিকট
যিনা কোন অপরাধ বলেই অনুভূত হয়
না। কিন্তু ইসলাম হচ্ছে মানুষের জন্য
স্বভাবসম্মত পাক পবিত্র বিধান।
যে বিধানে মানুষকে সামগ্রিকভাবে
সুসভ্য করে গড়ে তোলার
ব্যাবস্থা রয়েছে। এই বিধানে মানবতার
নামে পশুত্বের অবকাশ নেই।
বন্ধুত্বের সুবাদে জুলুম অত্যাচার
করার কোন উপায় নেই। তাই ইসলাম
কোন নারী থেকে উপকৃত হতে হলে তার
অধিকার আদায় করা এবং সুখ-দুঃখ
সর্বাবস্থায় মৃত্যু পর্যন্ত
সঙ্গী হওয়ার
প্রতিশ্র“তি প্রদানকে পূর্বশর্ত
হিসেবে আরোপ করেছে। যদি কোন
নারীর সাথে সম্পর্ক করণের ইচ্ছা হয়
তাহলে পারস্পরিক ইযযত, সম্মান
প্রদানের
মনমানসিকতা নিয়ে সবঅধিকার
আদায়ের আন্তরিকতা নিয়ে সম্পর্ক
করতে পারে। নারীর ন্যায্য প্রয়োজন
মিটানোর দায়িত্ব গ্রহণের
মাধ্যমে বৈবাহিক সম্পর্ক
করতে পারে অন্যথায় নয়। ইসলাম
এবং অন্যান্য ধর্মের
বিধানকে সম্মুখে রেখে জ্ঞান
এবং অভিজ্ঞতার
আলোকে তুলনা করলে পরিস্কার
ভাবে প্রস্ফুটিত হবে যে, উভয়
বিধানের মধ্যে কোনটি মানবতার
বিধান, আর কোনটি মানবতাবিবর্জিত
পশুত্বের বিধান! বুঝে আসবে যে, কোন
বিধানটির
সংশোধনী আনা অত্যাবশ্যক।
কোনটিকে রহিত করা দরকার আর
কোনটিকে স্থায়ীভাবে কার্যকর
করা প্রয়োজন।
ইউরোপীয় সভ্যতা
যারা একাধিক বিবাহকে কেন্দ্র
করে বৈবাহিক ইসলামী বিধানের
সমালোচনা করে তৃপ্তি বোধ করে,
তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি,
নারী অধিকার এবং নারীর সমান
অধিকারের বহুল প্রচারিত শ্লোগান
ধ্বনির আড়ালে নারীদের সম্মান ও
মর্যাদা হানিকর চিত্র কী আপনাদের
দৃষ্টিতে আসে না? পাশ্চাত্যের নারী-
পুরুষের সমান অধিকারের মোহনীয়
শ্লোগানে আপ্লুত এক শ্রেণীর
মানুষেরা একাধিক স্ত্রী গ্রহণের
ইসলামী বিধানের সমালোচনা করে থাকে,
অথচ তাদের সমাজে বয়ফ্রেণ্ড,
গার্লফ্রেণ্ড ইত্যাদি নামে অগণিত
নারী ভোগকে তারা কোন অপরাধ
মনে করে না। বরং একাধিক
বিবাহকে আপত্তিকর বলে মেয়েদের
ন্যায্য অধিকার আদায়ের ভার ও
দায়িত্ব
থেকে তারা নিজেদেরকে সুকৌশলে দুরে
রেখে অসংখ্য নারীকে ভোগের
পণ্যে পরিণত করেছে যারা আজ
অসহায়, ভিখারী। অবৈধ সন্তানের
পরিমান ভয়াবহ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে,
প্রসূত হতভাগ্য শিশু জানে না তার
মা জননী কে? আর তার
পিতাকে চিহ্নিত করাতো আইগত ভাবেই
নিষিদ্ধ। ১৯৫৯ জাতীয় সংসদ
বাৎসরিক জেমুগ্রাফ
রিপোর্টে বলা হয়েছে :
ক.
ইউরোপকান্ট্রি এবং পানামাতে শতকরা
৬০জন সন্তান অবৈধ জন্ম গ্রহণ
করে বরং শতকরা ৭৫জন
অবৈধভাবে জন্ম গ্রহণ করে।
খ. আমেরিকা এবং ইংল্যণ্ডে অবৈধ
সন্তানের জন্মহার আরো অধিক। অথচ
মুসলিম দেশগুলোতে শতকরা একজনও
অবৈধ সন্তান জন্ম নেয়
না বলে মন্তব্য। উক্ত রিপোর্টে এর
কারণ উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে,
মুসলিম দেশসমূহে একাধিক বিবাহ চালু
থাকার কারণে সেখানে অবৈধ সন্তানের
অবকাশ নেই।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে,
যারা একাধিক বিবাহের
সমালোচনা করে এবং খোদায়ী আইনে
পরিবর্তন ও সংশোধনী আনার
প্রচেষ্টায় রত রয়েছে। তারা এই
সমস্ত তথ্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ
করে না, এবং করতে চায় না।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :