প্রতিহিংসার শিকার সাকিব!

কোন মন্তব্য নেই

খেলাধুলার ইতিহাসে বোধহয়
এটা নজীরবিহীন : একজন খেলোয়াড়ের
জন্মদিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও
প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী একইসাথে জন্ম দিনের
শুভেচ্ছা জানানো, তা-ও বাংলাদেশের
মতো প্রচণ্ড দ্বিধা-বিভক্ত দেশে।
হ্যাঁ, সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রেই
ঘটেছে সেটা। বিশ্বের নাম্বার ওয়ান
অলরাউন্ডার যে বাংলাদেশের গর্বও।
এতেই বোধহয় তার জন্মদিনের
মুহূর্তটাও মনে রেখেছেন ওই দুই
রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব তাদের
হাজারো ব্যাস্ততার মাঝেও। অথচ
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)
তিনি উপেক্ষিত। আইপিএলে এই
ক্রিকেটারের
সাথে বাজে আচরণে এখন ব্ধু
গোটা বাংলাদেশ। কলকাতা নাইট
রাইটার্স (কেকেআর) যে চরম
হীনমন্যতা ও প্রতিহিংসার পরিচয়
দিয়েছেন
তাকে না খেলিয়ে সে আলোচনা এখন
সর্বত্র।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আগের
বছরও খেলেছেন সাকিব। এবং বেশ
দাপুটে উপস্থিতি ছিল তার। কিন্তু
এবার প্রথম দুই
ম্যাচে তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু
বাংলাদেশই কেন
কোলকাতা এমনকি গোটা ভারতের
ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝেও জিজ্ঞাসা।
কেন খেলানো হচ্ছে না ওকে? এ
নিয়ে প্রচুর লেখালেখিও হয়েছে ভারতীয়
পত্রপত্রিকায়। প্রশ্নও
করা হয়েছে দলের ক্যাপ্টেন গৌতম
গাম্ভীরকে, দলের ম্যানেজারকে। কিন্তু
সবাই ধমকের সুরে এড়িয়ে গেছেন তা।
তবে প্রথম ম্যাচের চেয়েও দ্বিতীয়
ম্যাচে তাকে বসিয়ে রাখাটা ছিল
রহস্যজনক। এটা যে ইচ্ছাকৃত সেটারই
স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। কেকেআর গত
ম্যাচে খেলেন রাজস্থান রয়েলসের
বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচের ন্যায় এ
ম্যাচেও বাজে ভাবে হেরেছে কেকেআর।
প্রশ্ন উঠেছে বিদেশী কোঠায় একজন
কম
খেলিয়ে সে স্থানে যে ক্রিকেটারকে খেলানো হয়
তার নাম দেবেন্দ্র বিদ্যা দাস। যার
পুরা ক্যারিয়ারে একটি মাত্র হাফ
সেঞ্চুরী। কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ
তো না-ই বরং বোলিংও করেননি এক
ওভারও। অলরাউন্ডার
সাকিবকে এমনিতেই নেয়া যেত এই
ক্রিকেটারের স্থানে।
সেটা না করে সকিবকে বসিয়ে রাখা রহস্যজনক।
সমালোচকরা বলছেন এর জবাবে অনেক
কথা।
সেটা এশিয়া কাপে ভারতকে হারানো।
আবার বাংলাদেশের মত একটা দেশের
ক্রিকেটার বিশ্বের এক নাম্বার
অলরাউন্ডার- সেটা আবার টেস্ট
ওয়ানডে দুটিতেই- এখানেই সহ্য
হচ্ছে না সাকিবকে। নতুবা প্রথম
ম্যাচে হারের পর এমন একজন
অলরাউন্ডারকে বসিয়ে রাখার
যুক্তি কী?
ঠিক একই কাজ তামিম ইকবালের
বেলায়ও। যদিও
পুনে জিতে যাচ্ছে দুটি ম্যাচই। তবুও
তামিমকে খেলানো যায় অনায়াসে।
তামিমকে না খেলানো নিয়েও প্রশ্ন
অনেক। আগামীকাল কেকেআরের
খেলা রয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্চার্স
ব্যাঙ্গালুরুর সঙ্গে। পুনের অবশ্য
খেলা নেই কাল। ফলে কাল
সাকিবকে খেলানো হবে কি-না সেটাই
এখন সাবার সজাগ দৃষ্টি। এদিকে সকিব
তামিম দলে না থাকাতে আইপিএল
দেখা নিয়েও বাংলাদেশে অনাগ্রহের
সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই টিম
লিস্টে সাকিব তামিমকে না দেখে অণ্য
চ্যানেল বা কাজকর্ম নিয়ে ব্যাস্ত
থাকেন বলে জানিয়েছে। সত্যিই তো।
অবজ্ঞা করা হলে বাংলাদেশের
ক্রিকেটপ্রেমীরাও তো জবাব দেবে।
প্রক্রিয়াটা বোধহয় এভাবেই
সেরে নিচ্ছেন তারা! কারণ সাকিব
তো বাংলাদেশেরই গর্ব।


♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :