পুরুষত্বহীন সমস্যা মোকাবিলায় নারীর ভমিকা ২
কোন মন্তব্য নেই

রোগ নির্ণয়
প্রথম পর্বের পরে.... যে কোনো ধরনের পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসার জন্য তার রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজন রয়েছে। ডাক্তারকে জানতে হয় পুরুষের ক্রমাগত যৌন সমস্যা কেন সৃষ্টিহচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়মনোদৈহিক কারণের চাপ শরীরের উপর এসে পড়ে এবং এই জন্য পুরুষ উত্থান সমস্যায় ভোগে। রোগ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারকে যে বিষয়গুলো জানতে হয় -
১. রোগীর পারিবারিক ডাক্তারী ইতিহাস।
২. রোগীর ব্যক্তিগত ডাক্তারী ইতিহাস।
৩. রোগীর শারীরিক পরীক্ষা।
৪. রোগীর লিঙ্গ পরীক্ষা।
৫. ল্যাবটেস্ট।
৬. মিনেন সোটা মালটিফেজিক পারসোনালিটি ইনভেনটোরী।
রোগীর পারিবারিক ডাক্তারী ইতিহাস এবং রোগীর ব্যক্তিগত ডাক্তারী ইতিহাস জানা এই জন্য জরুরি যে এতে করে রোগ নির্ণয় করা সুবিধা হয়। ডাক্তার বুঝতে পারেন পুরুষত্বহীনতার এই সমস্যাটির কারণ শারীরিক নয় মানসিক। অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এলকোহল সেবনজনিত কারণে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয় এবং এটি স্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করে। অনেকে আবার যৌনতার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেএবং অনেকের অকাল বীর্যপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোগীর শারীরিক পরীক্ষা নীরিক্ষার মধ্যে প্রধান বিবেচ্য বিষয় থাকে তার রেসপিরেটোরী এবং কার্ডিওভাসকুলার ঠিক মত কাজ করছে কিনা তা লক্ষ্য করা। এছাড়াও স্নায় এবং তলপেট ব্যবস্থা কতটুকু সুস্থ আছে এটিও ডাক্তারদেকে জানতে হয়। লিঙ্গ পরীক্ষার সময় ডাক্তার যেবিষয়গুলো লক্ষ্য করেন -
*. প্রিপিউজ- ফাইমোসিসের জন্য
*. মত্রনালীর মুখ-স্টেনোসিসের জন্য
*. অন্ডথলি- হাইড্রোসেলের জন্য
*. করপরা কেভারনোসা-যে কোনো প্রকার ফাইব্রোসিসের জন্য
ল্যাবরেটরী টেস্ট
ল্যাবরেটরীতে ডাক্তার রোগীর বিভিন্ন শারীরিক বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন। এতে করে দ্রুত সমস্যা নির্ণয় করা সহজ হয়। ল্যাবরেটরিতে পুরুষত্বহীনতার জন্য যে সমস্ত টেস্ট করানো হয় সেগুলো হলো -
*. সিবিসি
*. ইএসআর
*. মত্র পরীক্ষা
*. লিভারের এনজাইম পরীক্ষা
*. বীর্য পরীক্ষা
*. থুথু পরীক্ষা
*. এসএম এ ১২
*. টেস্টোস্টেরন স্তর পরীক্ষা
*. প্রেল্যাকটিন স্তর পরীক্ষা
পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা
পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসার ব্যাপারে অধিকাংশ পরামর্শ এসেছে মাস্টার এবং জনসনের কাছ থেকে। তারা তিনটি বিষয়ে প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে থাকেনযে, কেন একজন পুরুষ পুরুষত্বহীনতায় ভোগে। এই তিনটিকারণকে বিশেস্নষণ করে তারা এমনকিছু কৌশল এবং পদ্ধতির কথা বলেন যাতে করে পুরুষত্বহীনতা সমস্যা কাটানো যায়। তাদের গবেষণার বিষয় তিনটি হলো -
১. যৌনতার ব্যাপারে পুরুষ এবং নারীর ভ্রান্ত ধারণা।
২. পুরুষের পুরনো চিন্তা ভাবনা এবং উঁচু মাত্রার শারীরিক এবং মনোদৈহিক চাপ। বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার যৌনতারব্যাপারে আলোচনা কম হওয়া। মনে রাখা উচিত স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার যৌন আলোচনা যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে পারে।
৩. পুরুষত্বহীন পুরুষের মানসিক চাপ বেশি থাকে সেই কারণে স্ত্রীর বা যৌন সঙ্গিনীর উচিত তাকে আশ্বস্ত করা যে এটি কোনো রোগ নয়।
মাস্টার এবং জনসনের পুরুষত্বহীনতার ব্যাপারে দেয়া পরামর্শগুলো হলো-
*. যৌন সঙ্গী এবং সঙ্গিনীর মধ্যে খোলামেলা যৌন আলোচনা করা উচিত। এটি পরসপরের যৌনানুভূতিকে চাঙ্গা করতে পারে এবং পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা সৃষ্টি করে।
*. যৌনতার ব্যাপারে কোনো প্রকারভ্রান্ত ধারণা পোষন করা উচিত নয়। নারী এবং পুরুষ উভয়েরই উচিত যৌনতার ব্যাপারে একজন অন্যজনকে সাহায্য করা। এর ফলে যৌন অনুভূতি এবং পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা তৈরি হতে পারে।
*. যদি নারী বা পুরুরো যে কারো একজনের যৌনতার ব্যাপারে কোনোপ্রকার সন্দেহ, ভয় ভীতি বা দুশ্চিন্তা কাজ করে তাহলে সাথে সাথে তা ডাক্তারকে জানানো উচিত। অনেক নারী যৌনতার ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতাখুব পছন্দ করে। হয়তো তার যৌন সঙ্গ বা স্বামী ওরাল সেক্স পছন্দ করছে অথচ নারী সেটি পছন্দ করছে না। এতে করে উভয়েরযৌন অনুভূতির মধ্যে একটা পার্থক্য তৈরি হতে পারে। এ ব্যাপারটির দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
*. পরসপরের সাথে গভীর স্পর্শের সম্পর্ক থাকা উচিত ।
*. পুরুষের যদি উত্তেজনা কম থাকে সে ক্ষেত্রে নারীর উচিত পুরুষকে উত্তেজিত করে তোলা। নারী বিভিন্ন ভাবে পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে।
বিশেষ করে নারী তার স্তন, স্তনবৃন্ত, ক্লাইটোরিস ইত্যাদি উত্তেজক শারীরিক অংশের স্তপর্শ দ্বারা পুরুষকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে।
*. পুরুষত্বহীনতা সমস্যা মোকাবেলায় নারীর ভমিকা রয়েছেখুব বেশি। নারী পুরুষকে বিভিন্নভাবে উত্তেজিত করে আবার তাকে শিথিল করে তার লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়াতে পারে। স্ত্রী দিনে অন্তত তিন চার বার স্বামীর লিঙ্গের দৃঢ়তা বাড়াতে এ কাজটি করতে পারে।
*. লিঙ্গের উত্তেজনা দীর্ঘক্ষণ ধরে না রেখে পুরুষের উচিত একবার লিঙ্গ শিথিল করে আবার লিঙ্গের উত্তেজনা তৈরি করা। এতে করে পুরুষত্বহীনতার সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
এই পোষ্টটি লিখেছেন
অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ
এমবিবিএস এফসিপিএস এমআরসিপি এফআরসিপি
E-mail : professorfiroz@yahoo.com
মনোজগত
ভাল লাগলে ফেসবুকে শেয়ার করুন । লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :