স্তন ক্যান্সার, কারণও প্রতিকার part 2

কোন মন্তব্য নেই
দুশ্চিন্তা
দুশ্চিন্তায় মাথাব্যথা, ঘুম কম হওয়া, বিরক্ত হওয়াএবং ক্লান্ত হয়ে পড়ার সাথে সাথে ম্যাস্টালজিয়াবাড়তে পারে। এই কারণে স্ট্রেস কমানো প্রয়োজন। রিলাক্সেশন করায় উপকৃত হতে পারেন।
ব্রা
সঠিক ফিটিং ব্রা অনেক সাহায্য করে। উল্লেখ্য আমাদের দেশের মেয়েরা ৯০%ই বেঠিক সাইজের ব্রাপরেন।
হরমোন থেরাপি
যদি উপসর্গ খুব বেশি হয় তাহলে হরমোন থেরাপি দেয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন হরমোন খাবার সময় গর্ভধারণ করা যাবে না। এইওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই রোগীর খুব কষ্ট না থাকলে দেয়া হয় না।
জেনে রাখুন এইচডিসি স্তনের ক্যান্সার নয় এবং আপনার স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয় না। তবে এইচডিসি হলে যে আপনার স্তনের ক্যান্সার হতে পারে না তা নয়। সে জন্য নতুন কোনো উপসর্গ বানতুন কোনো গুটি দেখা দিলেআপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
স্তন ক্যান্সার কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
মাসে অন্তত একবার নিবিড় পর্যবেক্ষণের দ্বারা স্তনের যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ এবং অনুভব করা যায়। স্তনের আকার বা গড়নের পরিবর্তনের পেছনে বহু কারণ থাকতে পারে, যার বেশির ভাগই ক্ষতিকর কিছু নয়, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রেস্তনের পরিবর্তনই মূলত স্তন ক্যান্সারের প্রথম এবং প্রাথমিক চিহ্ন হিসেবে কাজ করে।
স্তনের সাধারণ পরিবর্তন
সাধারণত নারী মেনোপজের আগে স্তনের দুধ দানকারী টিস্যুসমূহ ঋতু শুরুর আগে আগে কার্যক্ষম হয়ে ওঠে। কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে স্তন হয় নরম অথবা বগলের কাছাকাছি জায়গায় স্তনে গোটার মতো হতে পারে। সাধারণত মহিলাদের ঋতু বন্ধের বছরখানেক আগে স্তনের এ ধরনের পরির্তন স্বাভাবিক। আবার মৃগীরোগবা হিস্টিরিয়ায় আক্রান্তমহিলাদের স্তনে এ সকল পরিবর্তন মাসে মাসে দেখা দিতে পারে এবং ঋতুচক্র শেষ হলেই স্তন আবার স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কাজেই স্তন পর্যবেক্ষণেরসবচেয়ে ভালো এবং উপযুক্ত সময় হচ্ছে প্রতি মাসে ঋতুচক্র শেষ হওয়ার ঠিক পরপর। এমনকি মহিলাদের মেনোপজের পরও প্রতি মাসের ওই একই তারিখে স্তনপর্যবেক্ষণ করা উচিত। তবে মনে রাখা জরুরি এ পর্যবেক্ষণ মাসে একবারেরবেশি করা ঠিক নয়। এতে করেস্তনের ছোটখাট পরিবর্তন পরিষকার ও সঠিকভাবে লক্ষ করা যায় না।
কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন
*. প্রথমত শরীরের ওপরের অংশ অনাবৃত করে আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে। যে কোনো একটি স্তন একটি থেকে অপরটি আকারে বড় বাছোট হতে পারে। এটি একেবারে স্বাভাবিক।
*. এরপর সামনের দিকে ঝুঁকে লক্ষ করতে হবে স্তন দুটির একটি অপরটির চেয়ে ভিন্নভাবেদোলে বা নড়ে কি না। পরবর্তীতে দুটো স্তনই ধরে উপরের দিকে তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ করতে হবে স্তনের শীর্ষের চামড়ায় কোনো গর্ত বা খাঁজ সৃষ্টি হয়কি না।
*. এরপর স্তন ধরে চাপ দিয়েছেড়ে দিয়ে কয়েক সেকেন্ড পরই পুনরায় চাপ দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে লক্ষ করতে হবে স্তনের পুরো এলাকাজুড়ে কোথাও কোনো গর্ত, খাঁজ বা সমতল কিছু সৃষ্টি হয় কি না।
*. পাশাপাশি অবশ্যই লক্ষ করতে হবে স্তনবৃন্ত দুটি ভিন্ন দুমুখী কিনা অথবা একটি আরেকটির চেয়ে ভেতরে ঢুকানো কি না।
*. দু হাত মাথা বরাবর সোজাউঁচু করে ধরে লক্ষ করতেহবে। এ অবস্থায় স্তন দুটির যে কোনো একটির আকারে পরিবর্তন ঘটায় কি না।
*. পর্যবেক্ষণের যদি সব ক্ষেত্রেই উত্তর হ্যাঁহয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
স্তন সমস্যায় যখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে
অনুভূতি
স্তনে যদি কোনো বাজে অস্বস্তিকর ব্যথা বিশেষ করে যে কোনো একটি স্তনে ব্যথা হয় এবং ব্যথার ধরন যদি নতুন এবং টানা বা ক্রমাগত হয়।
স্তনবৃন্তের পরিবর্তন
স্তন থেকে যদি কোনো ধরনেরতরলজাতীয় পদার্থ নির্গত হয়, যা দুধ নয় অথবা যদি স্তনবৃন্ত থেকে রক্তক্ষরণ হয় বা সেখানে নীল আর্দ্র এলাকার সৃষ্টি হয় যা সহজে আরোগ্যযোগ্য নয়।
দুটি স্তনের আকারে যদি পরিবর্তন লক্ষণীয় হয়, বিশেষ করে বাহু নড়াচড়ার ফলে এবং স্তন উঁচু করে ধরলে সৃষ্টি হয়। স্তনের কোনো একটি অংশ যদি অপর স্তনের একই জায়গা থেকে আলাদা হয় অথবা স্তনে যদি কোনো গোটা বা পুরু মোটা এলাকা সৃষ্টি হয় অথবা স্তনে যদি কোনো থলথলে এলাকা সৃষ্টি হয় এবং যদি তা নতুন হয়।
ছোটখাটো পরিবর্তনের বেলায় সতর্ক থাকা উচিত। ছোটখাটো এসব পরিবর্তন হয়তো অল্পমাত্রার ক্যান্সার নির্দেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসা চমৎকার ফলাফল দেবে।
চিকিৎসকে সবকিছু খুলে বলা উচিত। কারণ তিনিই স্তনের পর্যবেক্ষণ সর্বোৎকৃষ্ট উপায়ে করতে সক্ষম। বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে ম্যামোগ্রাম নামক স্তনের জন্য বিশেষ ধরনের এক্স-রের মাধ্যমে ক্যান্সারের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েও শনাক্ত করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে চিকিৎসকের কাছে সময় নিয়ে সবকিছু খুলে বলার মানে কারো সময় নষ্ট করা নয়। সতর্ক ও আন্তরিক হলে এর প্রতিরোধ ও আরোগ্য সম্ভব।
ডা. বশির আহমেদ তুষার

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন
www.facebook.com/sayed.rubel3

কোন মন্তব্য নেই :