ভালোবাসা এবং যৌনতা ২

কোন মন্তব্য নেই
মিলনকালীন যৌনাঙ্গে
ব্যথার মানসিক কারণ
*. যৌনপুলকের ঘাটতি
*. যৌনসুখ ও শিহরণের অভাব
*. যৌনতা বা সেক্স সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার অভাব
*. যৌনাঙ্গে আঘাত পাওয়ার প্রতি ভয় বা ফোবিয়া
*. গর্ভাবস্থায় যৌনমিলন
*. গর্ভবতী হওয়ার ভয়
*. শৈশবে যৌন অত্যাচারমূলক অভিজ্ঞতাবা সেক্সুয়াল অ্যাবিউস
*. সাইকোলজিক্যাল বা মেন্টালি আঘাত
*. সেক্স সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা
*. যোনি পিচ্ছিল না হওয়া বা যোনির শুষ্কতা অর্থাৎ মানসিকভাবে যৌনক্রিয়ায় পর্যাপ্ত উত্তেজনার অভাব বা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে না পারা
*. সঙ্গী বা সাথীর মাঝে কোনো ব্যাপারে বনিবনা বা ভুল বোঝাবুঝি অথবা প্রেম-ভালোবাসার অভাবেও এ সমস্যার উদ্ভব হতে পারে
মিলনকালীন যৌনাঙ্গে ব্যথার দৈহিক কারণ
*. জরায়ুতে টিউমার যেমন-ফাইব্রয়েড
*. নারীর ইউরেথ্রাতে সংক্রমণ
*. যোনির শুষ্কতা
*. যোনিতে ক্ষত/ইনফেকশন যেমন-হারপিস
*. যোনির সারভিক্স, ডিম্বনালি বা ফেলোপিয়ান টিউব অথবা গর্ভাশয়ে ইনফেকশন
*. শ্রোণিচক্রের বা পেলভিসের প্রদাহজনিত ব্যাধি
*. অপারেশন-পরবর্তী কোনো জটিলতায় যোনি দেয়ালে চাপ অনুভূতির কারণে
*. এন্ডোমেট্রিওসিস
*. সন্তান প্রসব-পরবর্তী যোনির অপারেশনের জটিলতা
*. হঠাৎ করে সতীচ্ছদ ছিন্ন হওয়া
*. নারীর যোনির পর্দা বা সতীচ্ছদ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি মোটা হওয়া
*. মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তির পরে যোনিদেয়াল শুষ্ক ও পাতলা হয়ে যাওয়া
*. জন্মনিরোধক ফোম, কনডম বা ডায়াফ্রাম অথবা জেলির কারণে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়া
মিলনকালীন নারীর যৌনাঙ্গে ব্যথার লক্ষণ ও উপসর্গ
*. পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করাতে গেলে যোনিতে ব্যথা সৃষ্টি হয়
*. সঙ্গমকালীন যোনি অঞ্চলে দারুণ ব্যথা পাওয়া
*. যৌনতার বা সেক্সের বিভিন্ন ভঙ্গিতেও যোনিএরিয়ার ব্যথা-বেদনা হতে থাকা
*. যৌনমিলন বা সেক্স করার সময় সামান্য নড়াচড়াতেইব্যথা তীব্র হয়ে যাওয়া
*. মিলনের সময় নারী যোনিতে Discomfort অনুভব করতে থাকে
*. যৌনমিলন নারীর কাছে ঘৃণা বা অতৃপ্তি অথবা যাতনার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
*. নারী বিরক্ত হয়ে ওঠে
*. যৌনমিলনে ভীতসন্ত্রস্তথাকে, ফলে তার মাঝে তৈরি হয় Sen phobia
*. নারী স্বামীর সান্নিধ্য থেকে পালিয়েবেড়ায় বা দূরে দূরে থাকে
জটিলতা
*. এ সমস্যায় নারীর আত্মসম্মানবোধ হ্রাস পায়
*. যৌন অনুভূতিবোধ বিকৃত হয়ে যায়
*. ব্যক্তিত্বজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়
*. মানসিক সমস্যা দেখা দেয় (কোনো কোনো ক্ষেত্রে)
এ রোগে করণীয়
অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে রোগীর পুরো মেডিকেল ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ইনভেস্টিগেশন করাতে হবে।উপসর্গগুলোর ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ করা দরকার। প্যাপ স্মিয়ারসহ যোনির যে কোনো অ্যাবনরমাল ক্ষরণের কালচার টেস্ট করাতে হবে। আসল রোগ, আঘাতবা ইনজুরি অথবা যোনির গঠনগত ত্রুটি থাকলে সেগুলোর উপযুক্ত ডাক্তারদ্বারা চিকিৎসা করাতে হবে। মানসিক কারণ দায়ী থাকলে Sen Education ওমনোবিশেষজ্ঞের কাউন্সিলিং বা সাইকোথেরাপির দরকার হবে।সেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা ধারণা অর্জন করতে হবে এবংযৌনতা সম্পর্কে নেতিবাচকধারণা পরিহার করে ইতিবাচক ধারণা ও মনোভাব রোগীকে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে।

কোন মন্তব্য নেই :