১৪ ফ্রেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক বিশ্ব পতিতা দিবস!

২টি মন্তব্য







ব্লগার-সৈয়দ রুবেল 

কি ভাই/বোন, আমি কি এই কথাটি মিথ্যা বলেছি?

কোন মুসলিম ভাই বোনের জন্য কি ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী দরকার আছে?
কেননা মুসলিম উম্মার সম্পূর্ণ জীবনটাই তো ভালোবাসার।
সেখানে ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী দরকার কি?
হ্যাঁ ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী তাদের দরকার আছে, যাদের জীবনে ভালোবাসা নেই।
১৪ ফ্রেব্রুয়ারী আধুনিক পতিতা(প্রেমিক-প্রেমিকা) দের  দরকার আছে যারা বিয়ে করেনি। ১৪ ফ্রেব্রুরায়ী ভালোবাসা দিবসের নামে তরুণ তরুণীরা লিপ্ত হবে অবাধ যৌনতার। রেস্টুরেন্টের পর্দার ভিতরে বা পার্কে, পাহাড়ে অথবা ঝোপ ঝাড়ে চিপাচাপায় দুই জন মিলিত অসামাজিক কার্যকলাপে ।
প্রেমিকা তার প্রেমিকের আবদার মিটাতে নিজেকে বিনা মূল্যে ভোগ করতে দিবে, প্রেমিকেও তার প্রেমিকাকে বিনা মূল্যে ভোগ করবে।
এটাই চলছে, এবং চলতে থাকবে আগামী বছর গুলোতেও।

আপনি আবার আমাকে ভুল বুঝবেন না, কেননা আমি পতিতা শুধু মেয়েদের কে বলছিনা। কেননা পতিতা শুধু নারীরা না, পুরুষেরাও। তারা একে অপরের ডান ও বাম হাত। পতিতা নারীরা ভোগ করায়, আর পতিতা পুরুষেরা ভোগ করে। অর্থাৎ দুটাই পতিতা।



এই ১৪ ফ্রেব্রুয়ারী ভালোবাসার দিবসে  কত হাজার বোন তার সতীত্ব বিলিয়ে দিবে তার কথিত প্রেমিকের কাছে তার কোন হিসাব নেই।  কত হাজার বোন ধর্ষিত হবে তার প্রেমিকের দ্বারা তার কোন সঠিক তথ্য আমরা জানতে পারবো না। কেননা তারা যা কিছু করবে আমাদের চোখের আড়ালে করবে। আর বিভিন্ন পার্কে অথবা রেস্টুরেন্টে যাদের কে দেখা যাবে তাদের অধিকাংশ থাকবে স্বামী স্ত্রী। কেননা বর্তমানে আমাদের সমাজের স্বামী স্ত্রীরাও ভালোবাসা দিবসের নামে একটু আমোদ ফুর্তি করে আর কি!

আপনি কি স্বামী বা স্ত্রী? আপনি যদি স্বামী স্ত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কোনো প্রয়োজন নেই লোক দেখানো ভালোবাসা দিবস পালন করা।
কারন আপনাদের প্রতিটি মুহূর্ত হল ভালোবাসার। আপনারা একে অপরকে কত টুকু ভালোবাসেন সেটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন।  
তবে আমি এতোটুকু বলতে পারি, সে স্বামীই তার স্ত্রীকে সব চেয়ে বেশি ভালোবাসে, যে স্ত্রী শত অপরাধ করলেও কোনো প্রকার গালিগালাজ, মারধর না করে তাকে আদর করে বুকে টেনে নিয়ে বলে আজকে অপরাধ করেছো তো কি হয়েছে, আগামীকাল শুধরে নেবে।
 এখন আমাদের দেশে কয়টা স্বামী পাওয়া যাবে যে তার স্ত্রীর গায়ে একটা টুকাও দেয়নি?  

স্ত্রীদের কথা কি বলব? তারাও কম নয়? স্বামী কে বলে এটা-ওটা এনে দিও, ঠিক মত এনে না দিতে পারলে শুরু করে দেয় ঘেন ঘেন-পেন পেন।
আপনি ঘেন ঘেন-প্যান প্যান না করে বলতে পারেন, তুমি আজ পারছো না তো কি হয়েছে, আরেক দিন এনে দিও অথবা তোমার যখন সুবিধা হয় তখন এনে দিও। খোঁজ নিয়ে দেখেন তো এরকম স্ত্রী আমাদের সমাজে কয়টা আছে?  

আমি ঐ সমস্ত ভালোবাসা দিবস পানলেওয়ালাদের কে বলব, আগে ঘরের ভালবাসা ঠিক করে, তারপর আমাদের সামনে ভালোবাসা  অভিনয় করতে আসেন।  আপনারা যদি সত্যি একে অপরকে এতো ভালোবেসে থাকেন তাহলে প্রতি দিন পালন করে দেখান।

আমি তরুণ-তরুণীদের কে বলব, ভালোবাসা দিবসের নামে পতিতাগীরি বন্ধ করেন। বিবাহ বহীভূর্ত যৌনতা মুসলিম তো পরে,  স্বভ সমাজের কাজও হতে পারে না। আপনি অস্বভ সমাজের এটাই তার প্রমাণ।   

আপনাদের ভুলে গেলে চলেবে না যে একজন ন্যায় বিচার কারী আছেন, যার আদালতে থেকে কেউ রেহায় পাবে না। প্রত্যকেই স্বীয় কৃতকর্মের কারণে জবাব দিহি করতে হবে।  মনে করবে না এটা ভারত, বাংলাদের দেশের আদালত?
সে দিন কোনো সাক্ষী লাগবেনা। আপনার দেহের প্রত্যকেটি অঙ্গ আপনার কৃতকর্মের সাক্ষী।
আপনার কী বিশ্বাস হয় যে সৃষ্টিকারী বলতে কিছু নেই?
অন্যের মাথায় মস্তিক আছে, আপনার মাথায় মস্তিক নাকি গোবর আছে সেটা কি আপনার মাথা ভেঙ্গে মস্তিক খুলে দেখেছেন?
এই কথাটা এই জন্যই বললাম যে, আপনারা তো যাকে দেখেন না, তাকে বিশ্বাস করেন না। নিজের মাথায় মস্তিক আছে নাকি ছাঁয় গোবর আছে সেটা না দেখে কিভাবে বিশ্বাস করেন?

১৪ ফ্রেব্রুয়ারী যে সব গন্ড মূর্খরা ভালোবাসা দিবস পালন করে, আমি সেই সব গন্ড মূর্খদের কে বলতে  চাই, কোনো বিশেষ দিনে ভালবাসা নয়, বছরে ৩৬৫ দিন, আমাদের মনে ৩৬৫ দিনই ভালোবাসা থাকতে হবে।

প্রমাণ স্বরূপ নিচে কিছু ছবি প্রকাশ করলাম।
অপরাধ হলে আমাকে ছোট ভাই হিসাবে ক্ষমা করবেন।

সতর্কতাঃ ছবি গুলি এই জন্যই প্রকাশ করলাম যে, তাদের মা-বাবারা দেখুক
তাদের চোখের আড়ালে তাদের ছেলে-মেয়েরা কি অপকর্মই না করে।
কাউকে হেয়েও করা উদ্দেশ নয়!
সৈয়দ রুবেল বিডি!
syedrubelbd@yahoo.com 

১৪ ফ্রেব্রুয়ারীর কৃতকর্ম সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সবাই গণ শেয়ার করুণ!  


তারা পরকিয়া লিপ্ত



তারা কেউ স্বামী স্ত্রী নয়! 



রেস্টুরেন্টের ভিতরে অসামাজিক কাজ




২টি মন্তব্য :

Tuhin Rana বলেছেন...

sabash mama egie jan.

নামহীন বলেছেন...

অনেক সুন্দর কথা বলেছেন।