যৌন জীবন ও লজ্জা শরম...

কোন মন্তব্য নেই


মুসলিম পরিবারে লজ্জা এক বিরাট সম্পদ। এই লজ্জা নৈতিক চরিত্রকে রক্ষা করে।
ইসলাম লজ্জা-শরমের যে ব্যাখ্যা দান করেছে পৃথিবীর কোন সভ্যতায় , কোন জাতির মধ্যে , কোন ধর্মেও নেই।
হিন্দু ধর্ম তো যৌনিস্থান ও পুংলিঙ্গকে পূজা পর্যন্ত করে। শিবের উত্তেজিত লিঙ্গ যৌনি গহ্বরে প্রবেশ করে আছে,
হিন্দুরা সেটাকে পূজা করে। পৃথিবীতে বর্তমানে যারা নিজেদেরকে সুসভ্য জাত বলে দাবী করে ,
পোষাক তাদের কাছে লজ্জা আবরণের মাধ্যম নয়। সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম। ওদের নারী-পুরুষগণ শত সহস্র মানুষের
সামনে যৌন ক্রিয়া করে, উলঙ্গ হয়ে গোসল করে। কিন্তু ইসলামে পোশাক দ্বারা নারী- পুরুষের গোপন অঙ্গ আবৃতি
করার গুরুত্ব বেশী, সৌন্দর্য প্রকাশের গুরুত্ব কম। পর পুরুষ- নারী তো দূরে থাক, স্বামী স্ত্রী একে অপরের সামনে
বস্ত্রহীন উলঙ্গ হওয়াকেও ইসলাম পছন্দ করে না। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ স্ত্রীর নিকটে গমন
করলে তার উচিত সতরের দিকে লক্ষ্য রাখা , গর্দভের ন্যায় উভয়ে যেন উলঙ্গ হয়ে  না পড়ে।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, তিনি কোন দিন তার স্বামী মহানবীর (সাঃ) এর লজ্জাস্থান দেখেননি।
মানুষ নিবৃতে কোনস্থানে একাকী উলঙ্গ থাকবে ,এ অনুমতি না দিয়ে বলেছেন আল্লাহর সামনে তোমরা বেশী লজ্জা করো।
বিশ্ব নবী (সাঃ) বলেছেন, সাবধান! কখনো উলঙ্গ থাকবে না। কারণ তোমাদের সাথে আল্লাহর ফেরেস্তা আছে।
তারা তোমাদের থেকে পৃথক হন না। তারা তখনই পৃথক হন  যখন তোমরা স্ত্রীর সাথে যৌন ক্রিয়া করো এবং মল ত্যাগ করতে
যাও, সুতরাং ফেরেস্তাদের কে লজ্জা করো ও তাদেরকেও সম্মান দেখাও।

বিষয়ঃ ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর কর্তব্য ও মধুর মিলন।


আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :