তেতুল এতো নোংরা ভাষা হল কি করে?পড়তে ও শেয়ার করতে ভুল করবে না।

কোন মন্তব্য নেই


আল্লামা শফী পর্দা গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে নারী কে তেতুল হিসাবে উপমা দিয়েছেন।

বুঝাতে চেয়েছে তেতুল যেমন নারীর কাছে প্রিয় তেমনি ভাবে নারী পুরুষদের কাছে
তেমনি প্রিয়।
তেতুল পর্দার ভিতরে থাকলে যেরকম সুরক্ষিত থাকে ধুলো বালি পড়ে না ঠিক তেমনি ভাবে নারী যদি পর্দার ভিতরে থাকে তা হলে লম্পট পুরুষের কুদৃষ্টি ও  পড়বে না।

উদাহরণ স্বরূপ আমি আরও কিছু বলতে চায় খাবার খুলা রাখলে যেমন করে মাছি ভন ভন করে, ঠিক তেমনি ভাবে নারী যদি খুলা মেলা থাকে তা হলে লম্পট পুরুষও
তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে।

কিন্তু এ কথা কে সুশীল লেবাশ ধারীরা চুতিয়া শীলরা বলতেছে এটা অন্তত্য কুরুচি পূর্ণ নোংরা ভাষা।
তারা বলতেছে এই রকম কুরুচি পূর্ণ নোংরা ভাষা আর কোন কবি বা সাহিত্যিকেরা ব্যাবহার করেনি।
কিন্তু আমার এই পোস্ট দ্বারা আপনারা বুঝে যাবেন নারী কে নিয়ে কারা কি রকম
কুরুচি পূর্ণ ভাষা ব্যাবহার করেছে।
 
গতকাল  প্রথম আলো ওরফে হলুদ আলোর পত্রিকার লেখক তার তেতুল তথ্য বলতেছে
আল্লামা শফী কথা মেনে নিলে আমি আজ থেকে আমার মাকে,আমার মেয়ে কে,
আমার বোনকে, আমার স্ত্রীকে আজ থেকে তেতুল মনে করবো?
ভাবতেই ঘৃণা লাগে ।
তিনি আরও বলেছেন এদের মতো লোকদের কে ঢাকায় কোথার কার কোন কারাগারা রাখা উচিৎ।

আমি প্রথম আলো ও লেখকের কাছ থেকে জানতে চাই বাংলাদেশের কুলাঙ্গার হুমায়ূন আযাদ বলেছিলেন "গর্ভবতী নারী হচ্ছে গর্ভবতী পুশুর মতো" আপনি আপনার মা এবং স্ত্রীকে তাই মনে করেন?
হুমায়ূন আযাদ আরও বলেছেন " চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক
নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা। নাউযুবিল্লাহ, কি জঘন্য চেতনা।
যে জন্ম দাতা হয়ে নিজের মেয়ের সাথে সঙ্গম করতে চায় এর চেয়ে  জঘন্য ঘৃণাত্তক কাজ আর কি হতে পারে?
প্রথম আলো ও তার লেখকের কাছ থেকে জানতে চাই আপনি আপনার মেয়ে কে
হুমায়ূন আযাদের মতো ভাবেন?
এর পর শংকর বলেছেন
"কম বয়েসি মেয়ে হল রসগোল্লার মত যেখানে রাখবে সেখানেই পিঁপড়া ধরবে।"
তার পর বুদ্ধ দেব বলেছেন
'একজন মেয়ে যাকে মন দিতে পারে, তাকে শরীরটা দেওয়া কিছুই নয়।
এই শরীরে আছে কি? অথচ আশ্চর্য! ৯৯ ভাগ পুরুষের কাছে এবং সমাজ যারা গড়েছেন কাছে এই শরীরটাই দামী।"  
রাস্তায় দিয়ে যখন একটি বেপর্দা মেয়ে হেটে যায় তখন রাস্তায় বখাটে ছেলে গুলি
দেখে বলে কি সুন্দর মাল, মামা সুপার সেক্সি, দারুন ফিগার সহ নানার ধরনের
বাজে মন্তব্য করে যা মুখ দিয়ে আন্তেও লজ্জা বোধ করি।
এই সব কথা কি কুরুচি পূর্ণ নয়? এই গুলি অশ্লীল নয়? এই গুলি কি নারীর অবমাননা নয়?
কি জবাব দিবেন আপনারা?
আমারা জানি আমাদের কথা আপনাদের কাছে গ্রহন যোগ্য হবেনা।
কেনোনা আপনারা বাকা পথে হেটে অভ্যাস  সোজা পথের পথিক আপনারা নয়?

আচ্ছা নারী যদি তেতুল জাতীয় না হতো,বেপর্দা মেয়েদের কে দেখলে পুরুষদের কাম
 ভাব না জাগত, দিলের ভিতর লালা না ঝড়তো তাহলে আজ কেনো দেড় বছরের দুধের বাচ্ছা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে?
আজ কেন ৪র্থ শ্রেণীর মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতেছে?
কেন বখাটেদের হাতে মেয়েরা ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে?  
আপনাদের তৈরি করা নৈতিক শিক্ষা কি মেয়েদের কে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা
করতে পারতেছে?
আজ পর্যন্ত মাদ্রাসা পড়ুয়া কয়টি ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে,
আর স্কুল কলেজ ভার্সিটি কয়টি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে?
মাদ্রসা পড়ুয়া কয়টি ছাত্র ধর্ষণ করেছে আর স্কুল কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া কয়টি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে তা অবশ্যয় আপনাদের জানা আছে।      
তাহলে এখানে পর্দা কুফল হলো কি করে?
আসলে পর্দা করা কুফল নয় পর্দা করলে বখাটে দের ও লুচ্চা লেখকদের লুচ্চামী
বন্ধ হয়ে যাবে যার কারনে তারা পর্দার ঘোর বিরোধী।
তা না হলে পর্দা করা ইসলামের ফরজ বিধান।
পর্দা নারী পুরুষ উভয়েই মানতে বাধ্য।
যারা পর্দা মানে বা পরিবার থেকে তার মেয়ে কে বাধ্য করা পর্দা মানার জন্য তাহলে
তাদের সমস্যা কোথায়?
সমস্যা টা একটু আগেই বলেছি পর্দা করলে লুচ্চাদের লুচ্চামী বন্ধ হয়ে যাবে।
     
তার পর আল্লামা শফী বলেছেন, আপনি আপনার মেয়ে এতো লেখা পড়া করান, করার পর মেয়ে নিজেই একটা ছেলে নিয়ে পালিয়ে যায়, তাই আপনি আপনার মেয়েকে ফোর, ফাইভ পর্যন্ত পড়ান, তার পর বলেছেন গার্মেনসের মেয়েরা  সকাল ৭/৮ টা বাজে কাজে যায় ফিরে রাত ৮ টা  থেকে  ১০ টা বাজে কোথায় কার সাথে কি করে
তুমি কি জানো? আমি আল্লামা শফির কথা দ্বিমত পোষণ করি, আমি তার কোথার সংশোধন আনতে চায়, তিনি সঠিক ভাবে বলতে পারেন নি?    

মেয়েরা ও লেখা পড়া করবে, তবে বর্তমানের বেহাইয়াপনা মতো নয়,
তারা ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
শিক্ষা গ্রহন করতে গিয়ে নিজের দেহ লম্পট ভোগ বাদী পুরুষদের কাছে বিলিয়ে
দিবে তা মুসলিম সমাজে মেনে নেওয়া যায়।
আজ কালের ছেলে মেয়েরা কি জঘন্য অনৈতিক কাজে লিপ্ত আছে তা ভাবতেই ঘৃণা
বুকটা ভরে যায়।     
ক্লাশ রুমেই একে অপরকে জড়িয়ে  শুরু করে দেয়, বুঝা যায় তাহারা স্বামী স্ত্রী।
বিভিন্ন পার্কে বা হোটেলে অথবা নির্জন কোন স্থানে শুরু করে দেয় অসামাজিক কার্যকলাপ।
এই সবের বহু প্রমাণ আমার হাতে আছে চুতিয়া শীলরা যদি দেখতে চান আমি আপনাদের কে দেখাতে পারবো।
এর ফোনের মাধ্যমে যত প্রকার অশ্লীল কথা আছে সবই বলে।
বিশ্বাস না হলে ফোন অপারেটর দের কাছে থেকে খবর নেন।
ফোন অপারেটরেরা ভালই করে বর্তমানের প্রজন্মের অপকর্মের কথা।
বর্তমানের স্কুল কলেজ ভার্সিটির মেয়েদের যদি সতীত্ব পরিক্ষা করা হয় তা হলে শতকরা ৩০ জনের নারীর সতীত্ব পাওয়া যায় কিনা আমার সন্দেহ হয়।

বর্তমানের অতি আধুনিক ছেলে মেয়েদের অপকর্মের যে সব ভিডিও আমি অনুসন্ধান
করে পেয়েছি তা যদি প্রকাশ করি তাহলে মেয়েদের ঘর থেকে বের হতে দায় হবে।
ছেলেরা ও কম নয়, তাই বলে মেয়েরা পিছিয়ে নেই? , মেয়েরা যদি এক সাথে ১০-
১৫ জনের সাথে প্রেমের নামে নষ্টামী করে তেমনি ভাবে ছেলেরাও প্রেমের নামে ১৫-২০ টি মেয়ের সাথে প্রেমের নামে তাদের দেহ ফ্রি ভাবে ভোগ করে।
আমি এই সমস্ত মেয়েদের কে বাদুরের খাওয়া ফল হিসাবে উপাত্ত দিলাম।
বর্তমান যে অবস্থা চলতেছে তাতে কিছু দিন পরে আমাদের দেশের মেয়েদের থেকে
কুমারিত্ব মেয়ে পাওয়া সোনার হরিণ হয়ে যাবে।
ছেলে মেয়েরা একের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাবে, বর্তমানেই অনেক ভাই ও আপু
আমার কাছে প্রশ্ন করে তারা কিভাবে চিনবে তার সঙ্গীনি বিয়ের আগে অন্য কারো
সাথে যৌন ক্রিয়া লিপ্ত হয়েছে কিনা?
জবাবে আমি তাদের কে বলি আপনি যে রকম হবেন আপনার সঙ্গিনী তেমনই হবে।
কারন মহান আল্লাহ তিনি কারো উপর অবিচার করেন না।

নারীর অধিকার নিয়ে যারা লাফালাফি করতেছে সেই সমস্ত পুরুষদের কাছ থেকে
জানতে চাই নারীর অধিকারের নামে আপনারা যারা নিজেদের ঘাড়ের বুঝা নারীদের
উপর চাপিয়ে দিতে চান দয়া করে আপনার বলুন, নারীদের ঘাড়ের বুঝা আপনারা
বহন করবেন কি না?
যেমন তিন বেলার রান্না, সন্তান গর্ভ ধারন ও প্রসব করা,সন্তান কে বুকের দুধ পান করা,   প্রতি মাসে মাসিকের যন্ত্রনা ভোগ করা ইত্যাদি।

আপনারা যদি এই সব নিজের ঘাড়ে নিতে পারেন তা হলে আপনি আপনার স্ত্রী কে
অথবা আপনার মেয়ে কে দিয়ে যা খুশি তায়ই করান আমাদের আপত্তি নেই।  
 আমি এমন কুলাঙ্গার ছেলে হতে চায় না আমি বেচে থাকতে আমার মা কে কাজ
করে খেতে হবে, আমি এমন হতচ্ছেড়া স্বামী হতে চায় না আমি বেচে থাকতে আমার স্ত্রীর কে বাহিরে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে হবে।
আমি এমন হতভাগা ভাই হতে চায় না আমি বেচে থাকতে আমার বোন চাকরি করে
আমারে খাওয়াবে।        

আমি মুসলিম মেয়েদের কাছ থেকে জানতে চাই আপনার কার কথা মানবেন যে
আপনাকে সৃষ্টি করে এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন তার কথা মানবেন, নাকি
যারা দুনিয়ার লোভ লালসায় মাতিয়ে তোমাকে জাহান্নামের লাকড়ি বানাতে চায়
তাদের কথা মানবেন?
তোমার রব তোমাকে হুকুম করেছেন তুমি যাতে পর্দা কর।
তোমার রব তোমাকে নিষেধ করেছেন তুমি যাতে বেগানা পুরুষের সাথে মিলিত না হও। যদি হও তা হলে তুমি যেনা করবে।
তুমি যদি তোমার রবের নিষেধ সত্ত্বেও এমন টা কর তা হলে তোমাকে জাহান্নামে
নিক্ষেপ করা হবে, যার ইন্দন হবে মানুষ এবং পাথর।
আমি কুরআনের কিছু আয়াত নিচে দিলাম।
আল্লাহ তায়লা কে বাদ দিয়ে (যাদের কে মাবুদ বানাতো) তাদের কে এক সাথে জাহান্নামের রাস্তা দেখিয়ে দাও।কুরআন ৩৭/২৩। 

হে অপরাধীরা তোমাদের আজ অবশ্য জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব ভোগ করতে হবে।
কুরআন ৩৭/৩৮। 

তোমরা যা কিছু (দুনিয়ায়) করতে (আজ) তোমাদের কেবল তারই প্রতিফল দান করা হবে। কুরআন ৩৭/৩৯।

তবে আল্লাহ তায়ালার নিষ্ঠাবান বান্দাদের কথা আলাদা,
তাদের জন্যে রয়েছে আল্লাহ তায়ালার সুনির্দিষ্ট  রেযেকের ব্যবস্থা। কুরআন ৩৭/৪০-৪১।

আমি নিষেধ করতেছি না  যে মেয়েরা বেশি লেখা পড়া করতে পারবে না বা বাহিরে কাজ করতে পারবেনা?
মেয়েরা সব কিছুই করতে পারবে তবে পর্দার আইন মেনে করতে হবে আইন লঙ্গন করে নয়।
মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্টান হতে হবে পুরুষদের থেকে ভিন্ন, মেয়েদের কর্ম ক্ষেত্রে হতে হবে পুরুষদের থেকে ভিন্ন।

কারণ ঘরের ভিতর বসে থাকা পর্দা নয়?
পর্দা মানে হচ্ছে পর পুরুষ থেকে নিজে কে আড়াল করা।
এবং নিজেও পরপুরুষ কে না দেখা।
এখন আপনি যদি ঘরের বাহিরে যেতে চান তা হলে অবশ্য আপনাকে হিজাব পরিধান করতে হবে।

এখন যদি আপনি বলেন আমি পর্দা মানব না তা হলে আমাদের কিছু করার নেই।
আমাদের কাজ হল ইসলামের মূল নীতি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া।
আর আল্লাহর রাসূল বলেছে জাহান্নামের অধিকাংশ মানুষ হবে নারী।
আর আল্লাহর রাসুলের কথা তো মিথ্যা হতে পারেনা।
তবে মরার পর আপনাদের কপালে শনির দশা যে আছে সেটা ভুলে যাবে না।

পরিশেষে বলতে চায়ঃ তেতুল দেখলে মেয়েদের কি পরিমাণ লালা ঝরে তাদের আন্দোলন থেকে বুঝা যায়।
আর তেতুল যদি এতো কুষিত ভাষা হয়ে থাকে তা হলে এটা খেতে এতো গণ্ডার পাগল হন কেন?

আর যেসব পুরুষেরা বলে বেপর্দা নারীদের কে দেখলে আমার কাম ভাব জাগেনা তাদের কে বলতে চায় আপনার অল্পতে জাগবেনা,
কারণ আপনি ডাইরেক্ট ইনজেকশন দেখে অবশ্ত, তাই আপনার অল্পতে ইয়ে হয় না আর কি।






আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :