নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না তাসলিমা নাসরিন:

কোন মন্তব্য নেই

নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না


taslima-2
তাসলিমা নাসরিন:
লেখিকা ও মুক্তচিত্মাবিদ তাসলিমা নাসরিন সম্প্রতি তার ব্লগে মত্মব্য করেছেন আমি নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না। তিনি ভারতের মণিথরে নগ্ন নারীদের প্রতিবাদ সমন্ধে বলেছিলেন, আমি মনে করি ধর্ষণের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদের মূল্য খুব বেশি । হরমোনের দোষ নয় ছেলেরা ধর্ষণ করে পার পাবে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে. এটা কী রকম । পুরুষের দেহে এমন কোনও হরমোনও নিঃসরণ হয় না যে মেয়েদের দেখলেই ঝাপিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগবে । হরমোনের দোষ দিয়ে লাভ নেই. এটা নিশ্চিত ভাবে একটা সামাজিক সমস্যা । পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা মনে করে তারা সর্বশক্তিমান । বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে নারী. পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও কিনত্ত পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার রেশ থেকেই গিয়েছে । আসলে এই ব্যবস্থাটা তো বহু প্রাচীন । এটা নির্মল করতে গেলেও সময় লাগবে ।
যে ধর্ষক সে চার বছরের শিশুকেও ধর্ষণ করবে । তার কাছে ৪ বা ৪৪ আলাদা কোনও ব্যাপার নয় একটা ছোট্ট বাচ্চা. বাচ্চাটার কথা ভাবল না । চার বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ করা. আর প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ধর্ষণ করা . . দুটোই সমান অপরাধ । এই নয় যে চার বছরের বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিচ্ছে সে খুব সৎ বিবেকবান । সে ভাবছে না আমি বরঞ্চ এক জন ষোড়শীকে ধর্ষণ করি । যে ধর্ষণ করতে পারে. সে সব বয়সের নারীকেই করতে পারে । ধর্ষনের শিকার হয়ে বোরখা পরা বা উলঙ্গ হওয়া সমান ব্যাপার । দুটোতেই মেয়েরা ভিকটিম। অনেকেই বলেন মেয়েদের পোশাক নাকি ছেলেদের নষ্ট করে দেয় । তার মানে মেয়েদের পোশাক দেখে ছেলেদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায় । যদি বেড়ে যায়ই. তার দায় কেন মেয়েরা নেবে ? ছেলেদের সমস্যা ছেলেরাই সমাধান করবে । যা পরতে ভাল লাগে তাই পরবে মেয়েরা । তবে সমাজের বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নয় । ইচ্ছা থেকে । একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে । তার যদি ইচ্ছা হয় দেহ প্রদর্শন করতে. সে করবে । তবে লালসার শিকার হয়ে নয় । কোনও মেয়ে যদি দেহ প্রদর্শন করে বিজ্ঞাপন করে. এবং তা করতে যদি তার ভাল লাগে তাহলে আপত্তি কিসের .? ছেলেদের পোশাক নিয়ে তো কখনও কোনও কথা ওঠে না।
কটা মেয়ে অর্গাজম সম্বন্ধে জানে এই সমাজে নারীর শরীর ব্যবহার করা হয় পুরুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য । মেয়েরা সেক্স সম্বন্ধে যত কম জানবে. ততই যেন ভাল । ছেলেদের দেখে মেয়েদের আগ্রহ জাগলে. তখন .? মেয়েদের যে ইচ্ছার কথা কখনও বলা হয় ? কোনও ছেলেকে দেখলে আমারও তো ইচ্ছা জাগতে পারে । কই আমি তো কখনও ঝাপিয়ে পড়ি না । তাহলে ছেলেরা কেন ঝাপাবে ? কেন ধর্ষণ করবে ? মেয়েদের কামনা মেটানোর কাজ পুরুষের নয়. ব্যাপারটা এক তরফা মেয়েরা হচ্ছে ছেলেদের কামনা মেটানোর যন্ত্র । এটা একটা একতরফা ব্যবস্থা । কোনও মেয়ে যৌন আকাঙক্ষা প্রকাশ করলে. এ মা. ছি ছি. . . এ মেয়ে খারাপ. এ মেয়ে বেশ্যা । মেয়েদেরও যে যৌন চাহিদা আছে সেটা মনেই করা হয় না । যৌনতা পুরুষের সম্পত্তি. মেয়েরা পণ্য মেয়েরা হবে ছেলেদের শিকার । পুরুষ তার কামনা চরিতার্থ করতে নারীর কাছে যাবে. নারী তাকে তপ্ত করবে । এটাই যেন নারীর কাজ । মেয়েরা হচ্ছে একটা মাংসের যন্ত্র । তাসলিমা বলেন, মেয়েরাও ধর্ষণ করুন একটা কলামে লিখেছিলাম কথাটা । পুরুষেরা এই যে ধর্ষণ করে যাচ্ছে তার প্রতিবাদে । অনেক সময় অভিযোগ ওঠে মেয়েরাও পুরুষদের প্রলোভিত করছে. বিছানায় নিচ্ছে । তা প্রলোভিত করুক. সিডিউস করে বিছানায় নিক । বলপ্রয়োগ কেন ? ধর্ষণ কেন ? আর কটা মেয়েই বা পুরুষদের প্রলোভিত করছে .? ব্যতিক্রম তো উদাহরণ হতে পারে না ।
- See more at: http://unsbd.com/?p=24468#sthash.FPpvTEvm.dpuf
 taslima-2

লেখিকা ও মুক্তচিত্মাবিদ তাসলিমা নাসরিন সম্প্রতি তার ব্লগে মত্মব্য করেছেন আমি নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না। তিনি ভারতের মণিথরে নগ্ন নারীদের প্রতিবাদ সমন্ধে বলেছিলেন, আমি মনে করি ধর্ষণের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদের মূল্য খুব বেশি । হরমোনের দোষ নয় ছেলেরা ধর্ষণ করে পার পাবে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে. এটা কী রকম । পুরুষের দেহে এমন কোনও হরমোনও নিঃসরণ হয় না যে মেয়েদের দেখলেই ঝাপিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগবে । হরমোনের দোষ দিয়ে লাভ নেই. এটা নিশ্চিত ভাবে একটা সামাজিক সমস্যা । পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা মনে করে তারা সর্বশক্তিমান । বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে নারী. পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও কিনত্ত পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার রেশ থেকেই গিয়েছে । আসলে এই ব্যবস্থাটা তো বহু প্রাচীন । এটা নির্মল করতে গেলেও সময় লাগবে ।

যে ধর্ষক সে চার বছরের শিশুকেও ধর্ষণ করবে । তার কাছে ৪ বা ৪৪ আলাদা কোনও ব্যাপার নয় একটা ছোট্ট বাচ্চা. বাচ্চাটার কথা ভাবল না । চার বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ করা. আর প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ধর্ষণ করা . . দুটোই সমান অপরাধ । এই নয় যে চার বছরের বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিচ্ছে সে খুব সৎ বিবেকবান । সে ভাবছে না আমি বরঞ্চ এক জন ষোড়শীকে ধর্ষণ করি । যে ধর্ষণ করতে পারে. সে সব বয়সের নারীকেই করতে পারে । ধর্ষনের শিকার হয়ে বোরখা পরা বা উলঙ্গ হওয়া সমান ব্যাপার । দুটোতেই মেয়েরা ভিকটিম। অনেকেই বলেন মেয়েদের পোশাক নাকি ছেলেদের নষ্ট করে দেয় । তার মানে মেয়েদের পোশাক দেখে ছেলেদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায় । যদি বেড়ে যায়ই. তার দায় কেন মেয়েরা নেবে ? ছেলেদের সমস্যা ছেলেরাই সমাধান করবে । যা পরতে ভাল লাগে তাই পরবে মেয়েরা । তবে সমাজের বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নয় । ইচ্ছা থেকে । একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে । তার যদি ইচ্ছা হয় দেহ প্রদর্শন করতে. সে করবে । তবে লালসার শিকার হয়ে নয় । কোনও মেয়ে যদি দেহ প্রদর্শন করে বিজ্ঞাপন করে. এবং তা করতে যদি তার ভাল লাগে তাহলে আপত্তি কিসের .? ছেলেদের পোশাক নিয়ে তো কখনও কোনও কথা ওঠে না।

কটা মেয়ে অর্গাজম সম্বন্ধে জানে এই সমাজে নারীর শরীর ব্যবহার করা হয় পুরুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য । মেয়েরা সেক্স সম্বন্ধে যত কম জানবে. ততই যেন ভাল । ছেলেদের দেখে মেয়েদের আগ্রহ জাগলে. তখন .? মেয়েদের যে ইচ্ছার কথা কখনও বলা হয় ? কোনও ছেলেকে দেখলে আমারও তো ইচ্ছা জাগতে পারে । কই আমি তো কখনও ঝাপিয়ে পড়ি না । তাহলে ছেলেরা কেন ঝাপাবে ? কেন ধর্ষণ করবে ? মেয়েদের কামনা মেটানোর কাজ পুরুষের নয়. ব্যাপারটা এক তরফা মেয়েরা হচ্ছে ছেলেদের কামনা মেটানোর যন্ত্র । এটা একটা একতরফা ব্যবস্থা । কোনও মেয়ে যৌন আকাঙক্ষা প্রকাশ করলে. এ মা. ছি ছি. . . এ মেয়ে খারাপ. এ মেয়ে বেশ্যা । মেয়েদেরও যে যৌন চাহিদা আছে সেটা মনেই করা হয় না । যৌনতা পুরুষের সম্পত্তি. মেয়েরা পণ্য মেয়েরা হবে ছেলেদের শিকার । পুরুষ তার কামনা চরিতার্থ করতে নারীর কাছে যাবে. নারী তাকে তপ্ত করবে । এটাই যেন নারীর কাজ । মেয়েরা হচ্ছে একটা মাংসের যন্ত্র । তাসলিমা বলেন, মেয়েরাও ধর্ষণ করুন একটা কলামে লিখেছিলাম কথাটা । পুরুষেরা এই যে ধর্ষণ করে যাচ্ছে তার প্রতিবাদে । অনেক সময় অভিযোগ ওঠে মেয়েরাও পুরুষদের প্রলোভিত করছে. বিছানায় নিচ্ছে । তা প্রলোভিত করুক. সিডিউস করে বিছানায় নিক । বলপ্রয়োগ কেন ? ধর্ষণ কেন ? আর কটা মেয়েই বা পুরুষদের প্রলোভিত করছে .? ব্যতিক্রম তো উদাহরণ হতে পারে না ।

আমার মন্তব্যঃ তা হলে তুমি রাস্তায় নগ্ন হয়ে হাঁট,কাপড় পড়ে হাঁট কেন? যাও না কেন আফ্রিকার জঙ্গলে,
ভারতে পড়ে রইছো কেন? তোর মতো কুত্তার জাত যদি আমাদের সমাজে থাকতো তা হলে এই সমাজ টা কবেই ধ্বংস হয়ে যেতো।
তোদের কে গ্রহন যোগ্যতা শুধু তোদের মতো কুত্তাদের কাছেই।
সভ্য শিক্ষিত সমাজের কাছে তোদের কোন গ্রহন যোগ্যতা নেই।
তোদের কপাল শুধু লাথি খাওয়ার।
আমাদের দেশ সভ্য বলেই তোদের মতো কুত্তাদের কে লাথি মেরে বিদায় করে দিছে।          

নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না


taslima-2
তাসলিমা নাসরিন:
লেখিকা ও মুক্তচিত্মাবিদ তাসলিমা নাসরিন সম্প্রতি তার ব্লগে মত্মব্য করেছেন আমি নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না। তিনি ভারতের মণিথরে নগ্ন নারীদের প্রতিবাদ সমন্ধে বলেছিলেন, আমি মনে করি ধর্ষণের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদের মূল্য খুব বেশি । হরমোনের দোষ নয় ছেলেরা ধর্ষণ করে পার পাবে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে. এটা কী রকম । পুরুষের দেহে এমন কোনও হরমোনও নিঃসরণ হয় না যে মেয়েদের দেখলেই ঝাপিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগবে । হরমোনের দোষ দিয়ে লাভ নেই. এটা নিশ্চিত ভাবে একটা সামাজিক সমস্যা । পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা মনে করে তারা সর্বশক্তিমান । বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে নারী. পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও কিনত্ত পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার রেশ থেকেই গিয়েছে । আসলে এই ব্যবস্থাটা তো বহু প্রাচীন । এটা নির্মল করতে গেলেও সময় লাগবে ।
যে ধর্ষক সে চার বছরের শিশুকেও ধর্ষণ করবে । তার কাছে ৪ বা ৪৪ আলাদা কোনও ব্যাপার নয় একটা ছোট্ট বাচ্চা. বাচ্চাটার কথা ভাবল না । চার বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ করা. আর প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ধর্ষণ করা . . দুটোই সমান অপরাধ । এই নয় যে চার বছরের বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিচ্ছে সে খুব সৎ বিবেকবান । সে ভাবছে না আমি বরঞ্চ এক জন ষোড়শীকে ধর্ষণ করি । যে ধর্ষণ করতে পারে. সে সব বয়সের নারীকেই করতে পারে । ধর্ষনের শিকার হয়ে বোরখা পরা বা উলঙ্গ হওয়া সমান ব্যাপার । দুটোতেই মেয়েরা ভিকটিম। অনেকেই বলেন মেয়েদের পোশাক নাকি ছেলেদের নষ্ট করে দেয় । তার মানে মেয়েদের পোশাক দেখে ছেলেদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায় । যদি বেড়ে যায়ই. তার দায় কেন মেয়েরা নেবে ? ছেলেদের সমস্যা ছেলেরাই সমাধান করবে । যা পরতে ভাল লাগে তাই পরবে মেয়েরা । তবে সমাজের বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নয় । ইচ্ছা থেকে । একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে । তার যদি ইচ্ছা হয় দেহ প্রদর্শন করতে. সে করবে । তবে লালসার শিকার হয়ে নয় । কোনও মেয়ে যদি দেহ প্রদর্শন করে বিজ্ঞাপন করে. এবং তা করতে যদি তার ভাল লাগে তাহলে আপত্তি কিসের .? ছেলেদের পোশাক নিয়ে তো কখনও কোনও কথা ওঠে না।
কটা মেয়ে অর্গাজম সম্বন্ধে জানে এই সমাজে নারীর শরীর ব্যবহার করা হয় পুরুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য । মেয়েরা সেক্স সম্বন্ধে যত কম জানবে. ততই যেন ভাল । ছেলেদের দেখে মেয়েদের আগ্রহ জাগলে. তখন .? মেয়েদের যে ইচ্ছার কথা কখনও বলা হয় ? কোনও ছেলেকে দেখলে আমারও তো ইচ্ছা জাগতে পারে । কই আমি তো কখনও ঝাপিয়ে পড়ি না । তাহলে ছেলেরা কেন ঝাপাবে ? কেন ধর্ষণ করবে ? মেয়েদের কামনা মেটানোর কাজ পুরুষের নয়. ব্যাপারটা এক তরফা মেয়েরা হচ্ছে ছেলেদের কামনা মেটানোর যন্ত্র । এটা একটা একতরফা ব্যবস্থা । কোনও মেয়ে যৌন আকাঙক্ষা প্রকাশ করলে. এ মা. ছি ছি. . . এ মেয়ে খারাপ. এ মেয়ে বেশ্যা । মেয়েদেরও যে যৌন চাহিদা আছে সেটা মনেই করা হয় না । যৌনতা পুরুষের সম্পত্তি. মেয়েরা পণ্য মেয়েরা হবে ছেলেদের শিকার । পুরুষ তার কামনা চরিতার্থ করতে নারীর কাছে যাবে. নারী তাকে তপ্ত করবে । এটাই যেন নারীর কাজ । মেয়েরা হচ্ছে একটা মাংসের যন্ত্র । তাসলিমা বলেন, মেয়েরাও ধর্ষণ করুন একটা কলামে লিখেছিলাম কথাটা । পুরুষেরা এই যে ধর্ষণ করে যাচ্ছে তার প্রতিবাদে । অনেক সময় অভিযোগ ওঠে মেয়েরাও পুরুষদের প্রলোভিত করছে. বিছানায় নিচ্ছে । তা প্রলোভিত করুক. সিডিউস করে বিছানায় নিক । বলপ্রয়োগ কেন ? ধর্ষণ কেন ? আর কটা মেয়েই বা পুরুষদের প্রলোভিত করছে .? ব্যতিক্রম তো উদাহরণ হতে পারে না ।
- See more at: http://unsbd.com/?p=24468#sthash.FPpvTEvm.dpuf

নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না


taslima-2
তাসলিমা নাসরিন:
লেখিকা ও মুক্তচিত্মাবিদ তাসলিমা নাসরিন সম্প্রতি তার ব্লগে মত্মব্য করেছেন আমি নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না। তিনি ভারতের মণিথরে নগ্ন নারীদের প্রতিবাদ সমন্ধে বলেছিলেন, আমি মনে করি ধর্ষণের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদের মূল্য খুব বেশি । হরমোনের দোষ নয় ছেলেরা ধর্ষণ করে পার পাবে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে. এটা কী রকম । পুরুষের দেহে এমন কোনও হরমোনও নিঃসরণ হয় না যে মেয়েদের দেখলেই ঝাপিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগবে । হরমোনের দোষ দিয়ে লাভ নেই. এটা নিশ্চিত ভাবে একটা সামাজিক সমস্যা । পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা মনে করে তারা সর্বশক্তিমান । বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে নারী. পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও কিনত্ত পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার রেশ থেকেই গিয়েছে । আসলে এই ব্যবস্থাটা তো বহু প্রাচীন । এটা নির্মল করতে গেলেও সময় লাগবে ।
যে ধর্ষক সে চার বছরের শিশুকেও ধর্ষণ করবে । তার কাছে ৪ বা ৪৪ আলাদা কোনও ব্যাপার নয় একটা ছোট্ট বাচ্চা. বাচ্চাটার কথা ভাবল না । চার বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ করা. আর প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ধর্ষণ করা . . দুটোই সমান অপরাধ । এই নয় যে চার বছরের বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিচ্ছে সে খুব সৎ বিবেকবান । সে ভাবছে না আমি বরঞ্চ এক জন ষোড়শীকে ধর্ষণ করি । যে ধর্ষণ করতে পারে. সে সব বয়সের নারীকেই করতে পারে । ধর্ষনের শিকার হয়ে বোরখা পরা বা উলঙ্গ হওয়া সমান ব্যাপার । দুটোতেই মেয়েরা ভিকটিম। অনেকেই বলেন মেয়েদের পোশাক নাকি ছেলেদের নষ্ট করে দেয় । তার মানে মেয়েদের পোশাক দেখে ছেলেদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায় । যদি বেড়ে যায়ই. তার দায় কেন মেয়েরা নেবে ? ছেলেদের সমস্যা ছেলেরাই সমাধান করবে । যা পরতে ভাল লাগে তাই পরবে মেয়েরা । তবে সমাজের বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নয় । ইচ্ছা থেকে । একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে । তার যদি ইচ্ছা হয় দেহ প্রদর্শন করতে. সে করবে । তবে লালসার শিকার হয়ে নয় । কোনও মেয়ে যদি দেহ প্রদর্শন করে বিজ্ঞাপন করে. এবং তা করতে যদি তার ভাল লাগে তাহলে আপত্তি কিসের .? ছেলেদের পোশাক নিয়ে তো কখনও কোনও কথা ওঠে না।
কটা মেয়ে অর্গাজম সম্বন্ধে জানে এই সমাজে নারীর শরীর ব্যবহার করা হয় পুরুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য । মেয়েরা সেক্স সম্বন্ধে যত কম জানবে. ততই যেন ভাল । ছেলেদের দেখে মেয়েদের আগ্রহ জাগলে. তখন .? মেয়েদের যে ইচ্ছার কথা কখনও বলা হয় ? কোনও ছেলেকে দেখলে আমারও তো ইচ্ছা জাগতে পারে । কই আমি তো কখনও ঝাপিয়ে পড়ি না । তাহলে ছেলেরা কেন ঝাপাবে ? কেন ধর্ষণ করবে ? মেয়েদের কামনা মেটানোর কাজ পুরুষের নয়. ব্যাপারটা এক তরফা মেয়েরা হচ্ছে ছেলেদের কামনা মেটানোর যন্ত্র । এটা একটা একতরফা ব্যবস্থা । কোনও মেয়ে যৌন আকাঙক্ষা প্রকাশ করলে. এ মা. ছি ছি. . . এ মেয়ে খারাপ. এ মেয়ে বেশ্যা । মেয়েদেরও যে যৌন চাহিদা আছে সেটা মনেই করা হয় না । যৌনতা পুরুষের সম্পত্তি. মেয়েরা পণ্য মেয়েরা হবে ছেলেদের শিকার । পুরুষ তার কামনা চরিতার্থ করতে নারীর কাছে যাবে. নারী তাকে তপ্ত করবে । এটাই যেন নারীর কাজ । মেয়েরা হচ্ছে একটা মাংসের যন্ত্র । তাসলিমা বলেন, মেয়েরাও ধর্ষণ করুন একটা কলামে লিখেছিলাম কথাটা । পুরুষেরা এই যে ধর্ষণ করে যাচ্ছে তার প্রতিবাদে । অনেক সময় অভিযোগ ওঠে মেয়েরাও পুরুষদের প্রলোভিত করছে. বিছানায় নিচ্ছে । তা প্রলোভিত করুক. সিডিউস করে বিছানায় নিক । বলপ্রয়োগ কেন ? ধর্ষণ কেন ? আর কটা মেয়েই বা পুরুষদের প্রলোভিত করছে .? ব্যতিক্রম তো উদাহরণ হতে পারে না ।
- See more at: http://unsbd.com/?p=24468#sthash.FPpvTEvm.dpuf

নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না


taslima-2
তাসলিমা নাসরিন:
লেখিকা ও মুক্তচিত্মাবিদ তাসলিমা নাসরিন সম্প্রতি তার ব্লগে মত্মব্য করেছেন আমি নগ্নতায় আক্রমণাত্মক কিছু দেখি না। তিনি ভারতের মণিথরে নগ্ন নারীদের প্রতিবাদ সমন্ধে বলেছিলেন, আমি মনে করি ধর্ষণের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রতিবাদের মূল্য খুব বেশি । হরমোনের দোষ নয় ছেলেরা ধর্ষণ করে পার পাবে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে. এটা কী রকম । পুরুষের দেহে এমন কোনও হরমোনও নিঃসরণ হয় না যে মেয়েদের দেখলেই ঝাপিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগবে । হরমোনের দোষ দিয়ে লাভ নেই. এটা নিশ্চিত ভাবে একটা সামাজিক সমস্যা । পিতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা মনে করে তারা সর্বশক্তিমান । বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে নারী. পুরুষের সমান অধিকার থাকলেও কিনত্ত পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার রেশ থেকেই গিয়েছে । আসলে এই ব্যবস্থাটা তো বহু প্রাচীন । এটা নির্মল করতে গেলেও সময় লাগবে ।
যে ধর্ষক সে চার বছরের শিশুকেও ধর্ষণ করবে । তার কাছে ৪ বা ৪৪ আলাদা কোনও ব্যাপার নয় একটা ছোট্ট বাচ্চা. বাচ্চাটার কথা ভাবল না । চার বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ করা. আর প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে ধর্ষণ করা . . দুটোই সমান অপরাধ । এই নয় যে চার বছরের বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিচ্ছে সে খুব সৎ বিবেকবান । সে ভাবছে না আমি বরঞ্চ এক জন ষোড়শীকে ধর্ষণ করি । যে ধর্ষণ করতে পারে. সে সব বয়সের নারীকেই করতে পারে । ধর্ষনের শিকার হয়ে বোরখা পরা বা উলঙ্গ হওয়া সমান ব্যাপার । দুটোতেই মেয়েরা ভিকটিম। অনেকেই বলেন মেয়েদের পোশাক নাকি ছেলেদের নষ্ট করে দেয় । তার মানে মেয়েদের পোশাক দেখে ছেলেদের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায় । যদি বেড়ে যায়ই. তার দায় কেন মেয়েরা নেবে ? ছেলেদের সমস্যা ছেলেরাই সমাধান করবে । যা পরতে ভাল লাগে তাই পরবে মেয়েরা । তবে সমাজের বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে নয় । ইচ্ছা থেকে । একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে । তার যদি ইচ্ছা হয় দেহ প্রদর্শন করতে. সে করবে । তবে লালসার শিকার হয়ে নয় । কোনও মেয়ে যদি দেহ প্রদর্শন করে বিজ্ঞাপন করে. এবং তা করতে যদি তার ভাল লাগে তাহলে আপত্তি কিসের .? ছেলেদের পোশাক নিয়ে তো কখনও কোনও কথা ওঠে না।
কটা মেয়ে অর্গাজম সম্বন্ধে জানে এই সমাজে নারীর শরীর ব্যবহার করা হয় পুরুষকে আনন্দ দেওয়ার জন্য । মেয়েরা সেক্স সম্বন্ধে যত কম জানবে. ততই যেন ভাল । ছেলেদের দেখে মেয়েদের আগ্রহ জাগলে. তখন .? মেয়েদের যে ইচ্ছার কথা কখনও বলা হয় ? কোনও ছেলেকে দেখলে আমারও তো ইচ্ছা জাগতে পারে । কই আমি তো কখনও ঝাপিয়ে পড়ি না । তাহলে ছেলেরা কেন ঝাপাবে ? কেন ধর্ষণ করবে ? মেয়েদের কামনা মেটানোর কাজ পুরুষের নয়. ব্যাপারটা এক তরফা মেয়েরা হচ্ছে ছেলেদের কামনা মেটানোর যন্ত্র । এটা একটা একতরফা ব্যবস্থা । কোনও মেয়ে যৌন আকাঙক্ষা প্রকাশ করলে. এ মা. ছি ছি. . . এ মেয়ে খারাপ. এ মেয়ে বেশ্যা । মেয়েদেরও যে যৌন চাহিদা আছে সেটা মনেই করা হয় না । যৌনতা পুরুষের সম্পত্তি. মেয়েরা পণ্য মেয়েরা হবে ছেলেদের শিকার । পুরুষ তার কামনা চরিতার্থ করতে নারীর কাছে যাবে. নারী তাকে তপ্ত করবে । এটাই যেন নারীর কাজ । মেয়েরা হচ্ছে একটা মাংসের যন্ত্র । তাসলিমা বলেন, মেয়েরাও ধর্ষণ করুন একটা কলামে লিখেছিলাম কথাটা । পুরুষেরা এই যে ধর্ষণ করে যাচ্ছে তার প্রতিবাদে । অনেক সময় অভিযোগ ওঠে মেয়েরাও পুরুষদের প্রলোভিত করছে. বিছানায় নিচ্ছে । তা প্রলোভিত করুক. সিডিউস করে বিছানায় নিক । বলপ্রয়োগ কেন ? ধর্ষণ কেন ? আর কটা মেয়েই বা পুরুষদের প্রলোভিত করছে .? ব্যতিক্রম তো উদাহরণ হতে পারে না ।
- See more at: http://unsbd.com/?p=24468#sthash.FPpvTEvm.dpuf

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :