স্ত্রীদের বাইরে চাকরি করার আচরন বিধি।

কোন মন্তব্য নেই
স্ত্রীদের বাইরে চাকরি করার আচরন বিধি।

বোরখা পরিধান করে মুসলমান মহিলাদের বাইরে কাজ করতে নিষেধ নাই।
তবে তাদের কে কিছু আচরন বিধি মেনে চলতে হবে।
কারন, নারী এবং তার দায়িত্ব পালন যে কোন সমাজের মেরুদণ্ড ।
নারী জাতি যদি এই আচরন বিধি বা আদেশ _ নিষেধ গুলো মেনে চলে ,
তবেই নারীর মান মর্যাদা ও বাচে,
সমাজের পবিত্রতা ও স্হিরতা  ও রক্ষা পেতে পারে।      
সেই আচরন বিধি গুলো হচ্ছে নিম্নরুপঃ
১/ ইসলামের দৃষ্টিতে একজন মহিলার প্রধান কাজ ও প্রাথমিক দায়িত্ব
হলো স্ত্রী ধর্ম তথা মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা।
এই দায়িত্বের উপর যেন তার বাইরের চাকরি কে অগ্রাধিকার দেয় না হয় ,
আর এই দায়িত্ব পালনে তার চাকরি যেন গুরুতর ভাবে বাধা সৃষ্টি করে।

২/ তার বাইরের চাকরি যেন পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের কারন না হয়।
পরবর্তী তে অমিল -গরমিল (বিবাদ) এড়ানোর জন্য প্রথমেই
স্বামীর মতামত নেওয়ার প্রয়োজন।
আর অবিবাহিতা ব বা কুমারী নারীর মতামত নিতে হবে মুরুব্বিদের কাছ থেকে।
     
3/ নারীর উপস্হিতি,তার ব্যাবহার ,তার কথা -বার্তার সুর মোটের উপর
তার সার্বিক আচার-আচরন ইসলামের গণ্ডির মধ্যে থাকতে হবে।
অর্থাৎ কাজের নিকটে বেগানা পুরুষদের থেকে দৃষ্টিকে সংযত রাখতে হবে।
তার সাথে হাসি - তামাশা করা  যাবেনা।
ঠাট্ট মশকারী এড়িয়ে চলতে হবে, উত্তেজনা কর ভঙ্গী তে ( পা ভাজ করে ফেলে)
চলাফেরা করা যাবে না।
অর্থাৎ পরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার আশায় নিজেকে প্রীতি প্রদ করে তোলা,
টপন লয করে বা প্রকাশ্য ভাবে সুগন্ধি দ্রব্য বা প্রসাধনি ব্যাবহার করা চলবে না।
কারন হযরতআবু মুসা আশ আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেনঃ যে চক্ষু কু দৃষ্টি সহকারে কোন বেগানা পুরুষ অথবা নারী কে দেখে
দেখে সে ব্যভিচারী।
নারী সুগন্ধি মেখে যখন কোন মজলিশ দিয়ে গমন  করে তখন সেও তেমনি ব্যভিচারী।

(৪)নারীর চাকরির ধরন এমন হওয়া উচিৎ নয়,যা তাকে পুরুষের সাথে মিলে মিশে
কাজ করতে বাধ্য করে বা মেলামেশা করতে উৎসাহ দেয়।

(৫) নারীর চাকরির (পেশা) এমন হওয়া উচিৎ নয় , যা সমাজের মধ্যে নৈতিক
অবনতির কারন হয়,যা সমাজকে দূষিত করে,যা নিজের ধর্ম নীতি, মর্যাদা
বা সদাচারন কে প্রভাবিত করে অথবা তাকে কু-কর্মে প্রচোরনা দেয়।

(৬) একজন মহিলাকে এমন পদের চাকরি অন্বেষণ করা উচিৎ নয়,যে পদে নারীর
জাতির বিশেষ দক্ষতা (নৈপণ্যের) প্রয়োজন হয়,অর্থাৎ যে পদের চাকরি নারী ও শিশু
সন্তানদের প্রয়োজনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হয়।
যেমন শিশুদের স্কুলে বা মহিলাদের কলেজে অধ্যাপনা করা ,শিশুদের দুগ্ধ পান করানো,
ধাত্রীর কাজ করা,পরিচারিকার কাজ করা,মহিলা রোগীদের সেবা-শুশ্রষা করা,
সেলাইয়ের কাজ করা ইত্যাদি।
তাছাড়া ধাত্রী বিদ্যা, শিশু রোগ বিজ্ঞান, স্ত্রীরোগ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ের উপর
দক্ষতা সহ চিকিৎসাবিদ্যার কাজ করা।
এগুলো ছাড়া নারীর ঘাড়ে জোর করে বাইরের কাজের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে তার
অধিকার খর্ব করা অন্যায়।

"স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব কর্তব্য ও মুধুর মিলন" বই থেকে নেওয়া।
মাঃ জাকির হোসেন আজাদী।  
    
            

                                         



আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?

কোন মন্তব্য নেই :