এই সব কি হচ্ছে এই দেশে? একজন বোনের বোবা কান্না
মাথার মধ্যে আগুন জ্বলছে। অক্ষমতায় সমস্ত হাত পা কাপছে।
আমি নিশ্চিত স্ট্যাটাস টি পড়ার পরে আপনার মাথার মধ্যেও আগুন ধরে যাবে। ফ্রেন্ডলিস্টের সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ফেসবুকের এক ভাই একটু আগে মেসেজ দিলেন। পুরো মেসেজ টাএখানে তুলে দিচ্ছিঃ
"ভাই, আপনার কাছে একটা হেল্প চাই। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে আমার এক
বোন (কাজিন) আজ প্রথম ক্লাস করতে গেছে, আইটি ডিপার্টমেন্টে, ফার্স্ট ইয়ার।
ভাই! বোনটা আমার সারাদিন কাঁদল, কাঁদল আমার খালা...
কিছুই করতে পারলাম না ভাই!
ও জাহানারা হলে থাকে।
ওর ডিপার্টমেন্টের বড় আপুরা ওকে ডেকে শারিরীক এবংমানসিকভাবে লাঞ্চিত করে আধমরা করে দিয়েছে।
ওর বড় আপুরা ওকে বলেছে ক্লাসের বড় ভাইদের কাছে গিয়ে তোমার ব্রেস্টের মাপ দিয়ে আসো...ভাই! সব বলতে পারছিনা।
কাল ঐ বড় আপুরা সবাইকেই হলেথাকতে বলেছে, হল ছাড়া যাবেনা। আজ নাকি ওরা কেবল মাংস "ধুইছে", কাল "কশাবে"!
ভাই, আমাদের প্রভাবশালী কোনো মামা/খালু নেই।
আপনি তো ব্লগে লিখেন, এত বড় একটা গ্রুপ চালান-
আপনি চাইলে হয়ত কিছু করতেও পারেন।
আপনার ও বোন আছে, দয়া করে একজন ভাই হিসাবে একটু হেল্পকরেন ভাই..."
ক্লাসের প্রথমদিন নতুনদের উপর র্যাগিং নতুন কিছু নয়।
প্রথমে র্যাগিং দিয়ে শুরু হলেও পরে ভার্সিটির বড় ভাই/নেতাদের মনোরঞ্জনে শরীরটাও বিকিয়ে দিতে হয় টিকে থাকতে হলে।
খবরের কাগজে/ব্লগে এগুলো নিয়ে পড়তে পড়তে অনেকের কাছেহয়ত ডাল-ভাতের মত হয়ে গেছে ব্যাপার টা।
কিন্তু মনে রাখুন-
আজ অন্য কারো বোন লাঞ্ছিত হচ্ছে, কাল হতে পারে আপনার বোন/আত্নীয় টিও।
ফ্রেন্ডলিস্টের সবার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, যে যেভাবেপারেন প্লীজ হেল্প করেন!
আপনাদের ফ্রেন্ডলিস্টে জাহানীরনগর ইউনিভার্সিটির কেউ থাকলে প্লীজ এগিয়ে আসুন।
আগামীকাল ঐ বোনটির লাঞ্ছিত হওয়া যেভাবে পারেন বন্ধ করেন।
আর একটি মেয়েও যেন লাঞ্ছিত না হয়, আর একটি মেয়ের স্বপ্ন যেন অঙ্কুরেই শেষ নাহয়ে যায়।
----------
মাহবুব জামান ভাইয়ের স্টাটাস থেকে ।
Syed Rubel facebook me
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি। প্রকাশক ও সম্পাদক ব্লগার_সৈয়দ রুবেল লেখকজানার আছে অনেক কিছু
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন