শিক্ষিত মুখের্র দের কাহিনী শুনুন।

কোন মন্তব্য নেই
যদিও ছবির সাথে লেখার বাহ্যিক কোন সম্পর্ক নেই, তবও এদের তৈরি একদল নব্য সেকুল্যারদের অজ্ঞতার নমুনা এবং আমাদের ভাবনা গুলো শুনুন। প্রায় ... ১৪০০ বছর আগে আরব সমাজকে বলা হতো জাহেলী সমাজ। তার কারণ কি ? সেখানে কি জ্ঞানী গুনী লোকের অভাব ছিলো ? আরবদের তৎকালিন সাহিত্য জ্ঞান সম্পর্কে ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত অবাক হন। বিশেষ করে আরবের কবিদের কবিতার মান এবং স্বভাব কবিদের প্রতিযোগিতার যে ইতিহাস আমাদের হাতে আছে, আজকের যুগে তা একেবারে কাল্পনিক। আমাদের রবী ঠাকুর, নজরুল, মধুসূদন বা জসিম উদ্ধিন যার কথাই বলি না কেন, তৎকালিন আরবদের তুলনায় তারা কবিতার জগতে শিশু হিসেবে পরিগনিত হবেন। আরব কবিদের জন্য কবিতার মেলা তৈরি হতো। কোন এক কবি দু লাইন লিখে কাবা ঘরে ঝুলিয়ে রেখে দিতো আর অন্য কবিদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে তার পরবর্তি লাইনগুলো লিখে দিতে। দেখা যেত অন্য কবিরা প্রায় চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতো। আরবদের বড় বড় সরদার যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় এখনো লেখা রয়েছে, তারাও কবি ও কবিতার জগতে দাপটের সাথে অবস্থান করতেন। তাদের প্রতিটি জলশায় কবিতার ছড়াছড়ি থাকতো। বিশেষ করে মক্কার মুশরিকদের যতো নেতারা ছিলো তাদের মধ্যে আবুল হাকেম , শায়বা, উতবা, কবি ইমরুল কায়েসের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। এসব লোকগুলো জ্ঞানে, হেকমতে কোন অংশেই কম ছিলো না। তারপরেও আল্লাহর রাসূল (স) এর সময় আবুল হাকেম কে আবু জাহেল নামে ডাকা শুরু হলো। এভাবে সে ইতিহাসের পাতায় আবু জাহেল নামে প্রসদ্ধি লাভ করল। এবার আমাদের ভেবে দেখা দরকার যে, এতো বড় একজন আরব লিডার যাকে তৎকালিন আরবরা জ্ঞানের বাপ বলে ডাকতো, তারাই আবার তাকে মুর্খের বাপ বলে খেতাব দিয়ে দিল। কি ছিল বেচারা আবু জাহেলের অপরাধ। আমাদের সমাজে আমরা অনেক সময় ব্যাক্তিগত আক্রোশ কিংবা রাজনৈতিক কারনে একজন আরেক জনের নামে মিথ্যা উপাধী লাগাতে পছন্দ করি। কিন্তু আল্লাহর রাসুলের (স) কাছ থেকে এমনটা আশা করা অকল্পনিয়। তাহলে ব্যাপারটা কি একটু ভেবে দেখা দরকার। বস্তুতঃ কোন ব্যাক্তির সামনে মহাসত্য- যা তার সৃষ্টিকর্তার তরফ থেকে প্রেরন করা হয়েছে - জেনে বুঝে অস্বিকার করা এবং এর বিরুদ্ধচারন করা এমন এক ধরনের অপরাধ যা কেবল কোন জাহেল ব্যাক্তির কাছ থেকে আশা করা যেতে পারে। মহানবী (স) যখন তার কোরআনের আন্দোলন চালু করে আল্লাহর বড়ত্বের ঘোষনা দিলেন, তখন সারা আরব জুড়ে ছিল এক বিভীষিকাময় অবস্থা। জাহেলীয়াতের সেই সমাজের চিত্র সম্পর্কে আমাদের সবারই কম বেশি ধারণা আছে। কিন্তু আমরা কি একটি জিনিস উপলদ্ধি করার চেষ্টা করেছি যে, এতো সব সমষ্যার সমাধানের কোন বৈজ্ঞানিক উপায় না বলে, মানুষের ভাত আর কাপরের শ্লোগান না তুলে, সাম্য আর মৈত্রির কথা না বলে তিনি কেবল মানুষকে আল্লাহ গোলামী করার কথা বললেন কেন ? তাও আবার এক আল্লাহর , যা কিনা আজকের প্রগতিশীল বন্ধুদের দৃষ্টিতে চরম সাম্প্রদায়ীকতা বা ধর্মান্ধতা। এক আল্লাহর গোলামী ছাড়া কি মানুষ সমৃদ্ধি আর উন্নতির শিখরে পৌছতে পারে না। এটা এমন এক প্রশ্ন যা আধুনীক কোন মানুষের মন মস্তিষ্ককে এড়িয়ে যেতে পারে না। যদিও এ বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে বিশাল এক পুস্তকের দরকার। সংক্ষেপে যেটুকো বলা যায় যে, মানুষকে তার বিশ্বাসের অুনুকুলে পাল তুলতে হবে। ধরুন আপনি ঈমান আনলেন কোরআনের ওপর কিন্তু বাস্তব জীবন পরিচালনা করবেন অন্য কিতাবের দেখানো পথে তাহলে আপনি জীবন সমষ্যায় জড়িয়ে যাবেন। অর্থ্যাৎ আপনি দুনিয়াতে সফলতা পাবেন না। ব্যাপারটা এরকম যে কোন জেলে বিশ্বাস করে দক্ষিনে বাতাস বইছে কিন্তু এর পরেও সে উত্তরে পাল তুলে দিল, এতে কি সে সফল হতে পারে। এ কারনেই দুনিয়া জুড়ে মুসলমানরা যখন তাদের ঈমান অথবা বিশ্বাসের বিপরিত মতবাদের নিজেদের সমাজ আর রাষ্ট্রকে পরিচালিত করার চেষ্টা করেছে সেখানেই তারা হয় ব্যার্থ হয়েছে, না হয় মহামুসিবতে অবতির্ন হয়েছে। আজকে মুসলিম দুনিয়া জুড়ে যে অস্থিরতা তার একমাত্র কারন এটাই। যারা দুনিয়ার জীবনে সফল হবার মতো মতবাদ আবিস্কার করে নিয়েছে দেখুনতো তারা কিছু অট্রালিকা আর মনোমুগ্ধকর বেহায়াপানা ছাড়া দুনিয়াতে আর কি পাচ্ছে, আখেরাতের কথা নাই বা বললাম। এ হিসেবে আল্লাহর হুকুম হচ্ছে যারা দুনিয়া চাইবে তিনি তাদেরকে দুনিয়া কিছুটা ভোগ দখল করার সুযোগ দেবেন কিন্তু শান্তি আর নিরাপত্তা বলতে যেটা বুঝায় তা থেকে তারা মাহরুম থাকবেন। দলিল দেখতে চান ? বেশি কষ্ট করার দরকার নেই, কেবল মাত্র ইউরোপের জীবন যাত্রার দিকে একটু তাকিয়ে দেখুন। পরিবারিক প্রথা প্রায় বিলুপ্ত। সন্তান শিশুকালে মায়ের কাছে বোঝা, আর বাবা- মা বৃদ্ধকালে সন্তানের কাছে বোঝা। স্বামী আর স্ত্রীর সম্পর্ক সেখানে চুক্তিবদ্ধতার ব্যাপার। রাতের ঘুম যেন সোনার হরিন। ব্যক্তিগত জীবনে খোদা আর খোদাপরস্তী কেবল কিতাবি বিষয়। বিস্তারিত বললে শেষ করা যাবে না। অন্যদিকে যারা নিজেদের জীবন কে আল্লাহর বিধানের অধিন করে দিয়েছেণ তাদের অবস্থা ঠিক উল্টো। এ অবস্থায় শান্তির সংজ্ঞা নির্নয়ে মানুষ যেভাবে ব্যার্থ হয়েছে, ঠিক তেমনি জ্ঞান আর জ্ঞানীর সংজ্ঞা নির্নয়ে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে। ভোগবাদী দুনিয়াজীবিদের কথা আলাদা। তারা তো মানুষকে মানুষ মনে করেনা, ভাবে জানোয়ারে ক্রমবিকাশ হচ্ছে আজকের মানুষের জাত। এ কারনে তারা মানুষের জন্য যে সকল মতবাদের উদ্ভক ঘটিয়েছে, তাতে মানবতা কেবলমাত্র পশুত্তে রূপান্তরিত হবার মাল-মসলা খুজে পেয়েছে। প্রথিবীকে শান্তির আবাসস্থল বানাতে গিয়ে তারা নিউক্লিয়ার ওর্য়াল্ড তৈরি করে ফেলেছে। নৈতিকতা আর মূলবোধের শিক্ষা দিতে গিয়ে মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব বন্টনে ইসলাম প্রদর্শিত ইনসাফের নীতিকে কেবল মাত্র জ্বিদের বশে চরমভাবে প্রত্যাখান করেছে । তাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা আশংকা প্রকাশ করেছেন যে, এ অবস্থা চলতে থাকলে ইউরোপ শেষ হয়ে যাবে। সামজিকতা আর সমাজের বন্ধনকে এড়িয়ে গিয়ে যে প্রগতি অর্জিত হয়, তা কেমন দুগর্তি বয়ে আনে তা উপলদ্ধি করার জন্য ইউরোপের জীবন যাত্রার কিছু পরিসংখ্যান নেওয়া প্রয়োজন। গোটা ইউরোজ জুড়ে সামজিক বন্ধন এতটা করুন হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে নারী জাতীকে তার প্রকৃতি প্রদত্ত সীমার বাইরে বের করে আনা। নারী জাতীকে এতোটা কোমল করে বানানো হয়েছে যে, একে আমরা একটি নিউক্লিয়ার বোমার সাথে তুলনা করতে পারি। একটি শক্তিশালী তেজস্ক্রিয় বোমা নাড়াচাড়াতে যেমন সতর্কতার প্রয়োজন তেমনি নারী অবাধ ব্যবহার ও স্বাধীনতা দেওয়াতেও সেই একই রকম সতর্কতার প্রয়োজন। একটি বোমার বিস্ফোরনে কেবল কিছু মানুষের ক্ষতি হতে পারে, কিন্তু নারী জাতির বহুমাত্রিক ব্যাবহার পুরো সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। একটি পরিবারের অকুন্ঠ বন্ধন হচ্ছে নারী জাতি। নিজের পরিবারের কল্যান এবং পরিমার্জনে নারীর ভূমিকা প্রশ্নাতিত। সেই নারীকে যখন বিনা কারনে উপর্জানের মেশিন বানানো হয় তখন সমাজ তার রক্তের প্রধান সেলকে হাড়িয়ে বসে। পরিবার এবং সমাজে তখন আদর্শিক রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। অথচ গোটা পরিবারের দেখা শুনা এবং তাদের স্নায়ুবিক বৃদ্ধিতে নারীর দায়িত্বশীল ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। আমার এই লেখায় হয়তো নারীবাদীরা আৎকে উঠবেন এই ভেবে যে, নারীকে ঘরের চার দেয়ালে বন্দি করে রাখার এই তত্ত্ব প্রচার করা হচ্ছে। এগুলো গোড়া সংকির্ন এবং সাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা। নারী জাতিকি তার কর্ম ক্ষেত্রে অবস্থান করেও নিজ নিজ দায়িত্ব্য ও কর্তব্য পালন করতে পারে না ? নারী ও পুরুষ দুজন সচেতন হলেই এ সমষ্যার সমাধান সম্ভব এবং সমাজ নির্মানের নারীরাও সমান ভূমিকা নিতে পারে। এ জাতীয় কথা বলাটা এখন কেবলমাত্র ফ্যাসনে রূপ নিয়েছে। কোন রূপ জ্ঞান গবেষনা ছাড়াই ইসলামী মূলবোধ আর শিক্ষা ব্যাবস্থাকে শেকেলে গন্য করছে। সম্প্রতি একটি ব্লগে এদেশের এক সোনার ছেলে ইসলামী শাষন ব্যাবস্থার বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে নিজের জ্ঞানের স্বল্পতাকে এমন ভাবে জাহির করলেন যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারা ইসলামী শাষন ব্যাবস্থা বলতে তালেবানদের শাষন আর সৌদি আরবের অবস্থা তুলে ধরতে ভালো বাসেন। এ জাতীয় জ্ঞান পাপিরা কোন কালেই ইসলাম এবং ইসলামী শাষন ব্যাবস্থা নিয়ে অধ্যায়ন করার দরকার মনে করেনি। তারা কেবল তাদের প্রভুদের লেখা উদ্ধৃতি আর মিডিয়ার রেফারেন্সে কথা বলতে ভালো বাসে। বিজ্ঞান আর আধুনিকতার বিষয়ে লেখা পড়া না করে কিছু লেখাটা এদের কাছে বোকামী বলে মনে হয় কিন্তু ধর্ম সসম্পর্কে লেখার জন্য এই আধুনীক শিক্ষিত জাহেলদের ধর্ম বিষয়ে কোন পড়ালেখা করার দরকার মনে হয় না। বিজ্ঞান সম্পর্কে ভাসা ভাসা জ্ঞান থাকলেও তারা বিজ্ঞানের কোন বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে নিজেদের সযতেœ এড়িয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করে। আর ইসলাম সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান না রেখেও ইসলাম এবং ইসলামী শাষন ব্যাবস্থা কে নিয়ে কটাক্ষপুর্ন মন্তব্য করাটা এদের কাছে প্রগতি আর মুক্ত চিন্তার প্রতিক বলে বিবেচিত হয়। এ জাতীয় বেকুবদের কাছে আমাদের লেখা পৌছায়না কারণ তারা যদিও মুক্ত চিন্তার শ্লোগানের ফেরিওয়ালা কিন্তু তারা অন্যের চিন্তা নিয়ে গবেষনা দুরে থাক, তারা পড়ে দেখতেও রাজি নয়। কারণ এতে তাদের প্রগতি বাদী নেতাদের কুদৃষ্টি পড়তে পারে। ভোগ বিলাসের পথে বাধা এই ধর্মটাকে কোন রকমে মাইনাস করে দিতে পারলেই তো নারী জাতী পুরোপুরি পন্যে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। সমাজের দুর্বল শ্রেণীদের রক্তে প্রাসাদের দেয়ালগুলোকে রাঙ্গিয়ে নেয়া যাবে। মুলবোধের শ্লোগান তুলে যারা মানুষের স্বাভাবিক অধিকার হরন করে (?) তাদের বিরুদ্ধে কথা না বললে যে প্রগতির দুয়ার খুলতেই চায় না। এমতবস্থায় এ জাহেল লোকগুলো কে আপনি কি করে শিক্ষিত আর জ্ঞানীর তালিকায় ফেলতে পারেন। এবার আসা যাক প্রগতি বাদিদের কিছু বক্তব্য আর বিবৃতির পর্যালোচনায়। সম্প্রতি কিছু ব্লগে ইসলাম আর ইসলামী শাষন ব্যাবস্থাকে কটাক্ষ করে প্রতিনিয়ত তাদের পোষ্ট দেয়া হচ্ছে। সর্বনাশা বিষয় হচ্ছে তারা আবার নিজেদের কে মুসলমান হিসেবে প্রচার করছে। কিন্তু তাদের লেখা পড়ে বুঝার উপায় নেই যে, এটা কোন মুসলমান সন্তানের লেখা হতে পারে কিনা। তারা হয়তো বাপ-দাদার ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া মুসলমানী নামটি নিয়ে এখন চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। না পারছে ইসলামী অনুশাষন মেনে নিয়ে ইসলামের পক্ষাবলম্বন করতে, আর না পারছে নিজেদের ইসলামী মিল্লাতের বাইরের অংশ হিসেবে ঘোষনা দিতে। এ এক চরম সাখের করাতে পড়াতে পড়েছে তারা। কিন্তু আমরা বলি কি, কোরআন এবং সুন্নাহর প্রকাশ্য সমালোচনা করার পরে কেউ নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিলে তা হবে চরম বেহায়াপানা। আল্লাহর দ্বীনের কোন এক হিসাবেও এরা মুসলমান নয়, আর এদের মুসলমান থাকার চাইতে না থাকাতেই উম্মাতে মুসলিমার উপকার অনেক বেশি। প্রগতি বাদি এক ব্লগার লিখেছেন- “ইসলামী শাসন চান? ওদের মতই হবে আমাদের দেশে। বৈশাখের অনুষ্ঠানে গেলে রাস্তায জবাই দেয়া হবে হিন্দুয়ানী প্রথা পালন করার শাস্তি হিসেবে। স্কুলে যাবার বায়না ধরলে নিজের মেয়ে কে পাথর মেরে হত্যা করবে বাবা, কারন মেয়ে পরিবারের সম্মানহানী করেছে। স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গেলে পুলিশ এসে পেটাবে মুর্তিপূজার অপরাধে! আরও লক্ষ কোটি 'দারুন' আনন্দ আর শান্তির কথা নাই বা বললাম।” এ হচ্ছে মুসলিম নামধারী সেক্যুলার এক তরুনের ইসলামী শাষন ব্যাবস্থা সম্পর্কে নিজের মূল্যায়ন। সামনে এগিয়ে গিয়ে সে আরো লিখছে- “সৌদি আরব দেশটা আসলেই খারাপ।..... ইসলাম আসার আগে যেমন ছিল, এখনও তেমনি আছে। ওগো ভিতরে কিছুই পরিবর্তিত হয়নাই। সাধে কি আর বিশ্বের এক নম্বর সমকামি দেশ? তার মন্তব্যের জবাবে একজন লিখেছিলেন, “সত্যিই সৌদি আরব দেশটা খুব খারাপ। ইচ্ছে মতো মানুষ খুন করা যায় না। ধর্ষনের সেঞ্চুরী পালনের কোন সুযোগ নাই। আর আমাদের দেশটা কতো সুন্দর ! ইচ্ছে মতো খুন করো, কোন সমষ্যা নাই। ” মন্তব্যের জবাবে সে লিখেছে- শরীয়া আইন তো তোমাদের ভাল লাগবেই। ইচ্ছা মত কাজের বেটি লাগাইবা শরীয়তি উপায়ে। নিজের বোন ছাড়া বাকি যত মাইয়া আছে সবই হালাল। বেধর্মীর মেয়ে হইলে তো মাশাল্লাহ, গনিমতের মাল! আর কি লাগে? ........ নিজের পুতের বৌও হালাল! ৯ বচ্ছরের মাইয়া হালাল! ( পাঠক এখানে হযরত আয়েশা সিদ্দিকার রা সাথে নবী করিম (স) এর বিয়ে এবং তার পালিত পুত্র যায়েদের স্ত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে কঠাক্ষ করা হয়েছে) আহ, শান্তি শান্তি!! তয় এখনই অবশ্য শান্তি প্রতিষ্টার জন্যে আমার কল্লা নামানোর একটা পরিকল্পনা শুরু হয়ে যাবে সেইটাও জানি।” পাঠক লক্ষ করে থাকবেন যে, কত প্রকাশ্যে তারা ইসলামী শিক্ষা এবং তার ইতিহাস নিয়ে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করছে। তারা স্বয়ং হুজুর স ও তার পবিত্রতমা পতিœদের নিয়েও কটুক্তি করছে। এদের এসবের কারনে ধর্মীয় অনুভুতির মামলা হয়েছে কিনা আমরা তা জানি না। কারণ ধর্ম এবং ধর্মীয় ভাবের এক নতুন সংঞ্জ আমাদের সমাজে প্রচলন করা হয়েছে। এ কারনে তারা ইসলামী আইনের উৎস কোরআন এবং সুন্নাহর বিজ্ঞান ভিত্তিক কোন সমালোচনা না করে কোন কোন মুসলিম দেশের বাহ্যিক ব্যাবস্থার প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করে ইসলামের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। এসমস্ত জাহেলরা একবার কেনো ভেবে দেখেনা যে, ইসলামী শাষন বলতে সৌদি আরব বা তালেবানদের শাষনকে বুঝায় না। ইসলামী শাষন বলতে এমন এক ইনসাফ পূর্ণ জীবন বিধানের বাস্তবায়নকে বুঝায় যেখানে মানুষের সামগ্রিক কল্যান এবং শান্তীর পরম নিরাপত্তা বিধান করা হয়। শুধু তাই নয় ইসলামের শাষন আমলেই নারীর জীবন এবং সম্মানের হেফাজত হয়েছিল। নারীকে পন্যের বাজার থেকে মায়ের আসনে বসিয়েছে একমাত্র ইসলাম। যদি তেমনটি না হতো তাহলে আমাদের মুশরিক বন্ধুদের শরীয়াত মোতাবেক কন্যা শিশুকে জীবন্ত পুতে ফেলার রসম আজ রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি পেত। জাহেলীয়াতের কথা বাদ দিন, খোদ আধুনীক দুনিয়ার প্রবাব শালী রাষ্ট্র ভারতের দিকে তাকান। সেখানে এখনো নারী শিশু জন্ম নেয়াটা একধরনে অপরাধ, কই তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কলম উঠে না কেন ? কারণ হিন্দু ধর্মেই একমাত্র নারীদের কে পন্য হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছে। ইসলামের কিছু বিধি বিধান নিয়ে কটাক্ষ যারা করে তারা কি ইউরোপের দেশগুলোর দিকে তাকায় না, সেখানে মৃত্যুদন্ডকে অবৈধ ঘোষনা করার পর খুনের কি মহাৎসব চলছে। খুনের বিপরিতে কাউকে দশ বা চৌদ্দ বছর জেল দিলে কি ইনসাফ হয়ে যায়। নারীকে সমঅধিকার নামে তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নামে কি প্রগতির উদ্ভোদন করা হয়েছে। কোন বিবেকবান ভদ্রলোক কি একথা কল্পনা করতে পারেন যে, তার বোন কিংবা স্ত্রী বাজারে পন্যের মতো ব্যবহার হোক ? যদি তাই না হয়, তাহলে নারীর সতিত্ব হেফাজতে ইসলাম প্রদর্শিত দিক নির্দেশনা গুলোকে কেন সমালোচনা করা হচ্ছে। বিজাতীয় সংস্কৃতি যদি কারো এতটুকো ভালো লাগে তাকে অবশ্যি আনন্দের সাথে তাদের মিল্লাতে শামিল হয়ে ইসলামী তাহজিবের বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত। অন্তত মুসমি পরিচয় বহন করার পর জাহেলীয়াতের কেউ সমর্থক হলে তাকে আমরা কোন অবস্থায়ই জ্ঞানী বলতে পারি না। এ জাতীয় লোকদের এখুনি ইসলাম থেকে হাসি মুখে বের হয়ে যেতে হবে। এতে তারা যেমন দুনিয়াটাকে আনন্দের সাথে ভোগ করতে পারবে, তেমনি আমারাও ধোকা খাওয়া থেকে বেচে যাবো। ইসলাম সম্পর্কে এভাবে খোলা খোলি সমালোচনা এমন সব লোকের পক্ষে সম্ভব যারা হয় ঠেকায় পরে ইসলামী নাম ধারন করেছে, আর না হয় অমুসলিম হয়েও ইসলামী নাম ধারন করে মুসলমান আর ইসলামের বিরুদ্ধে কলম ধরার সাহস করেছে। ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অমুসলিমরা কিছু বললে সেটা দোপে টিকবে না এই উপলদ্ধি থেকেই তারা মুসলিম তরুন সেজে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখছে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তথাপিও আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বলছে বর্তমান আধুনীকতার নামে প্রগতিবাদীদের নব্য পাঠশালায় তালিম নেয়া আমাদের মুসলমান তরুনরাও কিন্তু একি অপরাধে শামিল রয়েছে। যে কারনে ব্যাপারটা এতো গুরুত্ব পেয়েছে। নবী করিম (স) এর সমালোচনা কত নিখুত ভাবে করা হয়েছে তা এই কয়েকটি ছত্রই বলে দিচ্ছে- “নিজের পুতের বৌও হালাল! ৯ বচ্ছরের মাইয়া হালাল! ” এখানে নবী করিম (স) এর সাথে হযরত আয়েশার বিয়ে এবং নবীজির পালক পুত্র যায়েদের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে কটাক্ষ করার সাহস দেখানো হয়েছে। আমরা বুঝিনা তারা ইসলাম সম্পর্কে বিশেষ করে নবী করিম (স) সস্পর্কে কিছু লেখার আগে একবার কেনো তার জীবনি পড়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেনা। প্রথিবীর ইতিহাসে এমন কোন মহামানব আছে যার জীবনি তার সহচর রা এতো নিখুত ভাবে বর্ননা করতে পেরেছে। কোন জ্ঞানপাপী ছাড়া এ জাতীয় দুঃসাহস কেউ দেখাতে পারবে না। এ জাতীয় পাপিষ্টরা যখন ধর্মনিরপেক্ষতা আর প্রগতির কথা বলে তখন কি করে মুসলিম নামধারী মোনাফেকর তাদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তাদের কাতারে শামিল হয়। এ জাতীয় জ্ঞানীদের কে আল্লাহর কালাম আর রাসুলের (স) সুন্নাহ কোন অবস্থায় জ্ঞানী নয় মুর্খ বলতে পছন্দ করে। এরা যুগে যুগে জ্ঞানপাপী আবু জাহেলের উত্তরসূরী হিসেবে জীবন যাপন করবে এবং মৃত্যু পরবর্তি জীবনে তারা আবূ জাহেলের সাথে একই কাতার বন্দি হয়ে হাসরের মাঠে দাড়াতে হবে ইনশায়াল্লাহ। এদের কেও যারা মুসলমান মনে করে তাদের কে একরাম করার সবক শিক্ষা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাকে গোমরাহী এবং দুনিয়াবী ফেতনা বলে প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্দেও জনমত গঠন করার সময় এসেছে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে তার কাজে কবুল করুন এবং দ্বীনের সাহায্যকারী হবার তৌফিক দান করুন। আরো দেখুন post by@ http://www.facebook.com/?ref=logo http://www.facebook.com/photo.php?fbid=168530709956788&set
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান ।এটা আপনার আমার সকলের দ্বায়িত্ব । প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ রুবেল উদ্দিন

কোন মন্তব্য নেই :