বিবাহের গুরুত্ব - শরীয়তে স্বভাবগত বিধিবিধান

কোন মন্তব্য নেই
বিবাহের গুরুত্ব
ইসলাম স্বভাবগত ধর্ম,
যে ধর্মে মানুষের অনুভূতি, মানবীয়
চাহিদা পূরণের প্রতি এতো অধিক
গুরুত্বারোপ করা হয়েছে যে, এর নজীর
অন্যান্য মতবাদ এবং ধর্মসমূহে কেবল
বিরলই নয়, বরং তাদের জন্য এরূপ
গুরুত্বারোপ করা মোটেই সম্ভব নয়।
এটা কেবল ভিত্তিহীন
দাবী অথবা ইসলাম ধর্মের
প্রতি অযাচিত ভক্তি বিশ্বাসের
প্রতিফলন নয় বরং এটাই বাস্তব,
অকাট্য প্রমানাদির মাধ্যমে সাব্যস্ত
এবং সর্বজনস্বীকৃত। এই ধ্রুব
সত্যটি ইসলামী শরীয়তের হুকুম
আহকাম বিধি নিষেধ, বিশেষ
করে ব্যবহার আচরণ
বিধি বিধানগুলোকে নিরপেক্ষভাবে
পর্যালোচনা করলে দিবালোকের ন্যায়
সুস্পষ্ট হয়। তবে এর জন্য গভীর
জ্ঞান এবং গবেষণামূলক অধ্যয়নের
প্রয়োজন হয়।
শরীয়তে স্বভাবগত বিধিবিধান
শরীয়তে মানুষের স্বভাবগত চাহিদার
প্রতি কতটুকু গুরুত্বারোপ করা হয়েছে,
এ সম্পর্কে পাঠকের অবগতির জন্য
বলা যেতে পারে যে, মানুষের
বৈধভাবে উপার্জিত অর্থ সম্পদ
আল্লাহ পাকের রাস্তায় ব্যয়
করাকে আল্লাহ পাক অত্যন্ত পছন্দ
করেন। হালাল ভাবে উপার্জিত অর্থ
সম্পদের মাধ্যমে গরীবের সেবা করা ও
অভাবীর অভাব দূরীকরণে সাহায্য
করা তাঁর নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয়
আমল। অসংখ্য আয়াত এবং বিশুদ্ধ
হাদীসে এ ব্যাপারে যথেষ্ট
প্রেরণা দেয়া হয়েছে। অনেক
ক্ষেত্রে ফরজ ওয়াজিব বলে নির্দেশ
দেয়া হয়েছে। কিন্তু মানুষের
অনুভুতি এবং সহজাত আকর্ষণের
প্রতি নমনীয়তা পোষণ করত:
পছন্দনীয় আমলের ক্ষেত্রেও এমন
কিছু করতে বারণ করেছেন,
যাতে স্বভাবজাত চাহিদায় আঘাত
আসে এবং অস্বস্তির
সম্ভাবনা দেখা দেয়। পবিত্র
কুরআনে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে।
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺠْﻌَﻞْ ﻳَﺪَﻙَ ﻣَﻐْﻠُﻮﻟَﺔً ﺇِﻟَﻰٰ
ﻋُﻨُﻘِﻚَ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒْﺴُﻄْﻬَﺎ ﻛُﻞَّ ﺍﻟْﺒَﺴْﻂِ
ﻓَﺘَﻘْﻌُﺪَ ﻣَﻠُﻮﻣًﺎ ﻣَﺤْﺴُﻮﺭًﺍ (
١٧:٢٩ ﺍﻻﺳﺮﺍﺀ (
প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত সাআদ
ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. তার সব
সম্পদ দান করে দেয়ার
ইচ্ছা করলে হযরত রাসূলে কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাকে নিষেধ করে বলেন,
ﺇﻧﻚ ﺃﻥ ﺗﺬﺭ ﻭﺭﺛﺘﻚ ﺃﻏﻨﻴﺎﺀ ﺧﻴﺮ
ﻣﻦ ﺃﻥ ﺗﺬﺭﻫﻢ ﻋﺎﻟﺔ ﻳﺘﻜﻔﻔﻮﻥ
ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﻲ ﺃﻳﺪﻳﻬﻢ )ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ )
“তোমার উত্তরসূরী আত্মীয় স্বজন
মানুষের কাছে হাত
পেতে ভিক্ষা করবে এর
চেয়ে তাদেরকে সচ্ছল অবস্থায়
রেখে যাওয়া তোমার জন্য অধিক
উত্তম।
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতের
স্বভাবগত কামনা এবং সর্ব সাধারণের
ভাল মন্দ বিবেচনা করেই এই
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। আর
স্বভাবগত কামনা বাসনার তাকীদেই
তিনি বলেছেন,
ﻣﻬﻤﺎ ﺃﻧﻔﻘﺖ ﻓﻬﻮ ﻟﻚ ﺻﺪﻗﺔ
ﺣﺘﻰ ﺍﻟﻠﻘﻤﺔ ﺗﺮﻓﻌﻬﺎ ﻓﻲ ﻓﻲ
ﺍﻣﺮﺃﺗﻚ )ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ (
“তুমি তোমার পরিবারের জন্য যতটুকু
অর্থই খরচ করো না কেন
এতে তুমি দান খয়রাতের পরিপূর্ণ
প্রতিদান পাবে এমনকি স্বীয় স্ত্রীর
মুখে উঠিয়ে দেয়া লুকমারও যথাযথ
প্রতিদান অবশ্যই পাবে।”
হাদীসের এই অংশটুকু
গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে
প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামী শরীয়ত
মানুষের স্বভাবগত চাহিদার
প্রতি সীমাহীন উদারতা পোষণ করেছে।
উপরোক্ত উদাহরণ ব্যতীত শরীয়তের
যে কোন হুকুমের উপর
গবেষণা করলে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝা যায়
যে, মহা ও অসীম ইলাহী শক্তির সৃষ্ট
মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা মেটানোর
ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের নির্দেশ
মান্য করা আবশ্যক। এতে ভারসাম্য
বজায় থাকে।

সূত্রঃ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তরদাওয়াতি সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুলহক। এর মৌল উদ্দেশ্য মানব জীবনেসকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ওআদর্শের প্রতিফলন ঘটানো।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের ইত্তিবা-অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলারইবাদত আনুগত্যের দাবি পূরণ করাই হলএকজন মুসলমানের ইহকালীন জীবনেরমূল উদ্দেশ্য।।

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :