ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব-৮

কোন মন্তব্য নেই
৮.আমিষ খাদ্য মুসলমানদেরকে প্রচন্ড
উগ্র বানিয়ে ফেলে
প্রশ্নঃ বিজ্ঞান আমাদের বলে,
যে যা খায় তার আচরণে তার
প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। তাহলে ইসলাম
কেন মুসলমানদেরকে আমিষ খাদ্য
গ্রহণের অনুমতি দেয়। যেখানে পশুর
মাংস ব্যক্তিকে হিংস্র ও
দুঃসাহসী করে তুলতে পারে?
জবাব
ক. পশুর মধ্যে শুধু তৃনভোজী পশু
খাওয়া অনুমোদিত। এ
ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ একমত যে,
ব্যক্তি যা আহার করে তার
প্রতিক্রিয়া তার আচরণে প্রকাশ পায়।
বাঘ, সিংহ, নেকড়ে ইত্যাদি হিংস্র
মাংসাশী প্রাণী খাওয়া ইসলাম নিষিদ্ধ
করেছে- এটা তার অন্যতম
একটি কারণ। এ ধরনের হিংস্র
হয়ে উঠতে পারে। সে কারণে ইসলাম শুধু
মাত্র গরু, মহিশ, ছাগল, ভেড়ার
মতো শান্ত ও খুব
সহজে পোষমানা প্রাণীর মাংস
খেতে অনুমতি দেয়। বস্তুত এ কারণেই
মুসলমানরা শান্তিকামী- শান্তিপ্রিয়।
খ. জ্যোতির্ময় কুরআন বলছে- যা কিছু
মন্দ রাসূল তা নিষিদ্ধ করেছেন
(আরবী)------------------------
রাসূল তাদেরকে ভালো কাজ
করতে আদেশ করেন। আর নিষেধ করেন
যাবতীয় মন্দ থেকে এবং তিনি তাদের
জন্য হালাল করেছেন যা কিছূ ভাল,
পবিত্র, পরিচ্ছন্ন। আর হারাম করেছেন
যা কিছু মন্দ অপরিচ্ছন্ন অপবিত্র।
(৭:১৫৭)
(আরবী)---------------------
রাসূল তোমাদেরকে যা কিছু দেন
তা তোমরা গ্রহণ করো। আর যে সব
থেকে নিষেধ করেন সে সব থেকে বিরত
থাকো। (৫৯-৭)
একজন মুসলমানের জন্য তাদের রাসূলের
এই বার্তার যথেষ্ট যে, আল্লাহ চান
না মানুষ এমন কোনো ধরনের মাংস খায়-
যেখানে অন্য কিছু ধরনকে অনুমোদন
দেয়া হয়েছে।
গ. মাংসাশী প্রাণী খাবার ব্যাপারে রাসূল
(স)-এর বাণী
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত বেশ কিছু
সর্বসম্মত শুদ্ধ হাদীসের
মধ্যে ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত মুলিম
শরীফের ‘শিকার ও জবাই’ অধ্যায়ের
৪৭৫ নং হাদীসে, সুনানে ইবনে মাজাহর
১৩ অধ্যায়ের ৩২৩২ থেকে ৩২৩৪
হাদীস সমূহ উল্লেখযোগ্য। রাসূল (স)
খেতে নিষেধ করেছেনঃ
১.তীক্ষ্ণ ধারালো দাঁতওয়ালা হিংস্র
জন্তু। অর্থাৎ মাংসাশী বন্য পশু
প্রধানত বেড়াল ও কুকুর জাতীয় বাঘ,
সিংহ, বেড়াল এবং শেয়াল, কুকুর, নেকড়ে,
হায়না ইত্যাদি।
২. তীক্ষ্ণ দন্ডের অন্যান্য
প্রাণী যেমন ইঁদুর, ন্যাংটি ইদুর, ছুঁচো ও
ধারালো নখওয়ালা খরগোশ ইত্যাদি।
৩. সরিশ্রীপ জাতীয় অন্যান্য
প্রাণী যেমন সাপ কুমীর ইত্যাদি।
৪. ধারালো ঠোঁট ও
নখরওয়ালা শিকারী পাখি যেমন চিল,
শুকুন, কাক, পেচাঁ ইত্যাদি। সন্দেহাতীত
ভাবে প্রমাণ করতে পারে এমন
কোনো বৈজ্ঞানীক দলিল নেই যে, আমিষ
খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষ উগ্র ও
হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।


শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :