ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব পর্ব ২

কোন মন্তব্য নেই
২.একাধিক স্বামী
প্রশ্নঃ একজন পুরুষ যদি একাধিক
স্ত্রী রাখার অনুমতি পায়,
তাহলে ইসলাম একজন নারীকে কেন
একাধিক স্বামী রাখতে নিষেধ করে?
জবাব
অসংখ্য মানুষ যার মধ্যে অনেক
মুসলমানও রয়েছে, প্রশ্ন করেন-মুসলিম
পুরুষ একাধিক স্ত্রী রাখার
অনুমতি পাচ্ছে অথচ নারীর
ক্ষেত্রে সে অধিকার অস্বীকার
করা হচ্ছে, এর যৌক্তিকতা কি?
অত্যন্ত
পরিষ্কারভাবে যে কথাটি প্রথমেই
আমাকে বলে নিতে হবে,
তা হলো ভারসাম্যপূর্ণ ন্যায় বিচার ও
সমতার ভিত্তির ওপরেই
একটি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠিত। মানুষ
হিসেবে আল্লাহ তা’আলা নারী ও
পুরুষকে সমান মান দিয়েই
সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু
সাথে সাথে সামর্থ ও যোগ্যতার
ভিন্নতা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব
কর্তব্যের বিভিন্নতা দিয়ে। শারিরীক
ও মানসিক ভাবে নারী ও পুরুষ সম্পূর্ন
ভিন্ন। জীবনের ক্ষেত্রে তাদের
ভূমিকা এবং দায়িত্ব-কর্তব্যও
বিভিন্ন। ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান
কিন্তু একই রকম নয়।
সূরায়ে নিসার ২২ থেকে ২৪
আয়াতে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে যে,
মুসলিম পুরুষ কোন কোন নারীকে বিবাহ
করতে পারবে না। এর পরে ২৪
আয়াতে আলাদা করে বলা হয়েছে সেই সব
নারীও (নিষিদ্ধ) যারা অন্যের বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ আছে- অর্থাৎ অন্যের
বউ।
ইসলামে নারীর জন্য বহু-স্বামী গ্রহণ
নিষিদ্ধ কেন, নিম্নোদ্ধৃত
বিষয়গুলো তা পরিষ্কার করে দেবে।
ক. একজন পুরুষের একধিক
স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তার
পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের মাতা-
পিতার পরিচয় খুব সহজেই পাওয়া যায়।
শিশুর পিতা কে আর মাতা কে।
অপরদিকে একজন নারী যদি একাধিক
স্বামী গ্রহণ করে তবে এ পরিবার জন্ম
নেয়া শিশুর শুধু মায়ের পরিচয়
পাওয়া যাবে-বাবার নয়। পিতা ও মাতার
সুস্পষ্ট পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলাম
আপোসহীন। আধুনিক
মনোবিজ্ঞানিরা বলেন, যে শিশু তার
মাতা-পিতার পরিচয় জানে না, বিশেষ
করে পিতার- সে শিশু তীব্র মানসিক
জটিলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে। এ
শিশুদের শৈশব নিকৃষ্টতর
এবং আনন্দহীন ।
দেহপসারিণী বা বেশ্যাদের সন্তানরা এর
জলন্ত প্রমাণ। এদের শিশুকাল ও
কৈশোর মর্মান্তিক। বহু
স্বামী গ্রহণকারী পরিবারে জন্ম
পাওয়া শিশুকে নিয়ে কোনো স্কুলে ভর্তী করতে গেলে যদি মাকে প্রশ্ন
করা হয় শিশুর পিতার নাম?
তা হলে সে মাকে দু’জন অথবা তার
বেশি পুরুষের নাম বলতে হবে।
বিজ্ঞানের অগ্রগতি এখন জেনেটিক
পরীক্ষার মাধ্যমে মাতা ও
পিতা উভয়কে সনাক্ত করার কৌশল
আবিষ্কার করেছে। কাজেই
যে বিষয়টা অতীতে অসম্ভব ছিল
বর্তমানে তা খুব সহজেই হতে পারে।
খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যোগ্যতা ও
বৈশিষ্ট, বহুগামীতায় নারীর
চাইতে পুরুষের বেশি।
গ.শারীরিক যোগ্যতায় একজন পুরুষের
পক্ষে কয়েকজন স্ত্রীর স্বামীর
দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন সহজ। একজন
নারী সেই একই অবস্থানে, অর্থাৎ যার
কয়েকজন স্বামী আছে, তাদের
স্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য
তার ওপর বর্তায় তা পালন করা তার
পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। কেননা মাসিক
ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে মানসিক ও
আচরণগত বিভিন্ন পরিবর্তনের
মধ্যে তাকে পড়তে হয়।
ঘ. একজন নারী যার একাধিক
স্বামী থাকবে-তাকে তো একই
সাথে কয়েকজনের যৌন-
সঙ্গী হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমূহ
সম্ভাবনা থাকবে যৌন রোগের
এবং যৌনতার
মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অন্যান্য মারাত্মক
ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ার।
উপরন্তু তার মাধ্যমেই সে সব
রোগে তার স্বামীর আক্রান্ত হবে।
এমনকি যদি তার স্বামীদের কারো অন্য
কোনো নারীর সাথে বিবাহ বহির্র্ভূত
যৌন সম্পর্ক নাও থাকে।
পক্ষান্তরে একজন পুরুষ- যার একাধিক
স্ত্রী রয়েছে, স্ত্রীদের
কারো যদি বিবাহ বহির্ভূত অন্য
কারো সাথে যৌন সম্পর্ক
না থাকে তাহলে যৌনতা সংক্রান্ত
কোনো রোগে আক্রান্ত হবার
আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
উপরোল্লেখিত কারণগুলো এমন
যা যে কারো পক্ষে চেনা এবং বুঝে নেয়া সম্ভব।
এছাড়া হয়তো আরো অসংখ্য কারণ
থাকতে পারে যে কারণে অন্তহীন
জ্ঞানের আধার
সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক আল্লাহ
তা‘আলা নারীদের জন্য বহু স্বামী বরণ
নিষিদ্ধ করেছেন।



শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :