মোবাইল ফোনে প্রতারণার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা!

কোন মন্তব্য নেই
বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের
মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক
গড়ে উঠছে। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর
তারা যখন একের অপরকে দেখেছে তখন
তাদের সাজানো মানুষটির
সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকছে না। তখন
ঘটছে বিপর্যয়। অনেকেই
বিষয়টি কাটিয়ে উঠতে পারলেও অনেকেই
কাটিয়ে উঠতে পারছে না। বিমর্ষতায়
ভুগছে নয়তো মানসিক রোগে আক্রান্ত
হচ্ছে।
ঘটনা:১
বাবা তার মেয়েকে শখ করে দামি মোবাইল
ফোন সেট কিনে দেন সে কখন কোথায়
থাকছে তার খোঁজখবর নেয়ার জন্য।
কিন্তু মোবাইল কাল হয়ে দাঁড়ায়।
স্কুলে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা,
রাতে না ঘুমিয়ে মোবাইল
ফোনে কথা বলতে থাকে মেয়ে। না দেখেই
মোবাইল ফোনে একটা ছেলের
সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় তার। সম্পর্ক
গড়ে ওঠার কয়েক মাস পর তাদের
দু’জনের দেখা হয়। কিন্তু দেখা হওয়ার
পর মেয়েটি জানতে পারে ছেলেটি মোবাইল
ফোনে খুব ভাল কথা বলতে পারলেও
লেখাপড়া কিছুই জানে না। সে পেশায়
রাজমিস্ত্রি। এরপর প্রচণ্ড মানসিক
আঘাত। আশাহত অনুভূতির প্রচণ্ড
চাপ। এ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীনতা।
ঘটনা:২
মোবাইল ফোনের আরও কিছু বিপদজনক
দিক রয়েছে। আপনারা জানেন
কিনা জানিনা। আজকাল মোবাইল
ফোনে প্রেমের অভিনয়ের জন্য পেশাদার
একটি চক্রও গড়ে উঠেছে। যা তরুণ-
তরুণীদের একপ্রকার সর্বসান্ত
করে দিচ্ছে। দেশে এখন রয়েছে পেশাদার
মোবাইল প্রেমিকা, যারা বেশির ভাগ
ক্ষেত্রে বিভিন্ন মোবাইল নম্বরে মিসড
কল দেয়। কোন ছেলে কণ্ঠ ফোন ব্যাক
করলে মিষ্টি কণ্ঠে কথা বলে। কথার
জালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
প্রথম দিকে তারা প্রায়ই
ছেলেটিকে মোবাইলে টাকা পাঠাতে বলে।
এরপর সব ঠিকঠাক
করে ছেলেটিকে তাদের আস্তানায়
আসতে বলে। এরপর তাকে অপহরণ
করে মুক্তিপণ দাবি করে।
এছাড়া ইন্টারনেটে পাওয়া এমন কিছু
মোবাইল নাম্বার। যেসব নাম্বার
গুলোতে ফোন দিলে নির্দিষ্ট টাকার
বিনিময়ে মোবাইল ফোনে স্মার্ট
নারী কণ্ঠের সঙ্গে কয়েক
ঘণ্টা কথা বলা যায়। চাইলে নির্দিষ্ট
টাকার বিনিময়ে তার সঙ্গে ডেটিংও
করা যায়।
এবার শেয়ার
করছি সমস্যা গুলো কী হয় :
ঘটনাটি দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাথীর।
মেয়েটি প্রায় এক বছর ধরে মানসিক
ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে। এ
বয়সে মানসিক ভারসাম্য
হারিয়েছে এটা কি বংশীয় অসুখ?
নাকি অন্যকিছু। বংশীয় কোন অসুখ নয়।
এটা হলো মোবাইল ফোন ব্যবহারের
অসুখ,মেয়েটি খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিল।
ফাইভে ও এইটে দু’টোতেই বৃত্তি পেয়েছে।
কিন্তু এখন অসময়েই ওর জীবন শেষ
হয়ে যাচ্ছে। প্রথম দিকে মেয়েটির বাবা-
মা বিষয়টিকে এত তা গুরুত্ব দেয়নি।
কিন্তু ও হঠাৎযখন
মেয়েটি খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিল।
বান্ধবীদের সঙ্গে আর মেশে না।
টিভি দেখে না। পড়াশোনা করে না। ওর
শরীর আস্তে আস্তে খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
উল্টাপাল্টা কথা বলছে। তখন মেয়েটির
বাবা-মা বিষয়টি জানার চেষ্টা করল।
কিন্তু মেয়ের মুখ দিয়ে একটি কথাও
বলাতে পারেনি। অথচ ওর অবস্থা দিন
দিন খারাপ হচ্ছিল।পরে ওর এক
বান্ধবীর কাছ
থেকে গঠনাটি জানতে পারলো।
গঠনাটি ছিল, মেয়েটি কোনও
একটি ছেলের সাথে মোবাইল
ফোনে সম্পর্ক করেছিল। তারা দেখা ও
করেছিল। কিন্তু দেখা হওয়ার পর
ঘটলো আসল বিপত্তি।
মেয়েটি জানতে পারলো ছেলেটির
একটি বউ, ও ২টি সন্তান রয়েছে।
তারপর থেকে মেয়েটির এই অবস্থা।
আপনি জানেন কী ?
মোবাইল ফোনে প্রেম-পরবর্তী অবসাদ
অনেক ক্ষেত্রে ছেলেটিকে না দেখেই
অল্পবয়সী মেয়েরা মোবাইল ফোনে সুন্দর
কণ্ঠস্বর শুনে পুরুষটির প্রতি আকৃষ্ট
হয়ে পড়ছে। প্রেমের সম্পর্ক
গড়ে তুলছে। কিন্তু পরে যখন
তারা একে অপরকে দেখেছে তখন তাদের
কল্পনার সঙ্গে মিলছে না। এসব
ক্ষেত্রের মেয়েরাই
বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছে। কল্পনার
মানুষটির সঙ্গে না মেলায় এক ধরনের
আশাহত অনুভূতির চাপে ভুগছে মেয়েটি।
এখান থেকেই তার মানসিক রোগের
সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক
ক্ষেত্রে মেয়েটি মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
অনেক মেয়ে পুরুষ বিদ্বেষী হয়ে যাচ্ছে।
আবার কিছু কিছু
ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মোবাইল
ফোনে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র
ধরে ছেলেটি মেয়েটির নানা ধরনের
ছবি তুলে রাখছে। পরে মেয়েটিকে ওইসব
ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। যার
পরিণতিতে মেয়েটি আত্মহত্যার পথ
বেছে নিচ্ছে।


সূত্রঃসুলতান মির্জা।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :