ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব- ৬

কোন মন্তব্য নেই
৬. আমিষ খাদ্য গ্রহণ
প্রশ্নঃ একটি পশুকে হত্যা করা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত
নিষ্ঠুর কাজ। তাহলে মুসলমানরা কেন
এতো পশু হত্যা করে, আমিষ খাদ্য
গ্রহন করে।
জবাব
‘নিরামিষবাদ” বিশ্বব্যাপী এখন
একটা আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।
অনেকেই এমনকি এটাকে যুক্ত
করেছে ‘পশু অধিকারের’ সাথে। সন্দেহ
নেই জনগণের একটি বিশাল অংশ
মনে করেন মাংস ভক্ষণ এবং অন্যান্য
উৎপাদিত আমিষ দ্রব্যসামগ্রী ‘পশু
অধিকার’ কে হরণ করে।
ইসলাম আদেশ করে সকল সৃষ্টি জীবের
প্রতি দয়া ও অনুকম্পার নীতি গ্রহণ
করতে। একই সাথে ইসলাম এ বিশ্বাসও
লালন করে যে, এ পৃথিবীর যাবতীয় ফুল-
ফল তথা উদ্ভিদ ও
পশুপাখি এবং জলজপ্রাণী, সৃষ্টিই
করা হয়েছে মানুষের জন্য। এর পরের
দায়িত্ব মানুষের, এসব সম্পদ
ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায় সঙ্গত
ভাবে ব্যবহার করা এবং আল্লাহর এই
নেয়ামত (বিশেষ অনুগ্রহ) ও আমানত
সমূহের যথাযথ সংরক্ষণ তাদেরই
দায়িত্বের অন্তর্ভূক্ত।
এ বিতর্কের সম্ভাব্য আরো কিছু দিক
পর্যালোচনা করে নেয়া যাক।
ক. একজন মুসলিম সম্পূর্ণ
নিরামিষভোজীও হতে পারে
একজন মুসলমান সম্পূর্ন
নিরামিষভোজী হয়েও প্রথম শ্রেণীর
মুসলিম থাকতে পারেন।
এটা বাধ্যতামূলক কিছু নয় যে, একজন
মুসলমানকে আমিষ খাদ্য খেতেই হবে।
খ. জ্যোতির্ময় কুরআন
মুসলমানদেরকে আমিষ খাবারের
অনুমতি দেয়
মুসলমানদের পথ প্রদর্শক আল-
কুরআনের নিম্নোদ্ধৃত আয়াত সমূহ তার
প্রমান। বলা হচ্ছেঃ
(আরবী)--------------------------
হে ঈমান ধারণকারীরা! পূরণ
করো তোমাদের প্রতি সকল অর্পিত
দায়িত্ব। তোমাদের জন্য হালাল
করা হয়েছে (খাবার জন্য) সকল চতুষ্পদ
জন্তু-অন্য কারো নামে তা জবাই
করা না হয়ে থাকলে। (৫:১)
(আরবী)-----------------------
আর গৃহপালিত পশু তিনি সৃষ্টি করেছেন
তোমাদের জন্য
ওগুলো থেকে তোমরা উষ্ণতা পাও
(গরমের পোশাক) এবং আরো অসংখ্য
উপকারী জিনিষ। আর সেগুলো(গোস্ত)
তোমরা খাও। (১৬:৫)
(আরবী)-------------------
আর গৃহপালিত পশুর মধ্যে তোমাদের
জন্য রয়েছে শেখার মতো উদাহরণ।
ওগুলো দেহ-অভ্যন্তর
থেকে আমরা এমন কিছু উৎপাদন
করি (দুধ) যা তোমরা পান করো।
ওগুলোর মধ্যে অসংখ্য উপকার
আছে তোমাদের জন্য আর
ওগুলো (গোস্ত) তোমরা খাও।
(২৩:২১)
গ. মাংস পুষ্টিকর এবং আমিষে ভরপুর
আমিষ খাদ্য প্রোটিনের অন্যতম
শ্রেষ্ঠ উৎস। জৈবীক ভাবেই
তা প্রোটিন সমৃদ্ধ।
আটটি অতি প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড
যা দেহের দ্বারা সমন্বিত হয় না। তাই
খাদ্যের মাধ্যেমে তা সরবরাহ
করতে হয়। মাংসের
মধ্যে আরো আছে লৌহ, ভিটামিন বি-১
এবং নিয়াসিন।
ঘ. মানুষের দাঁত সব রকম খাদ্য
গ্রহনে সক্ষম করে বিন্যস্ত
আপনি যদি পর্যবেক্ষণ করেন
তৃণভোজী প্রাণীর দাঁতের বিন্যাষ-যেমন
গরু, ছাগল, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদি।
আপনি দেখে আশ্চর্য হবেন যে, তা সব
একই রকম। এসব পশুর দাঁত
ভোঁতা (সমতল) যা তৃণ জাতীয় খাদ্য
গ্রহণের জন্য উপযোগী।
আপনি যদি লক্ষ্য করেন
মাংসাশী পশুদের দন্ত বিন্যাস অর্থাৎ
বাঘ, সিংহ, লিউপার্ড, শৃগাল,
হায়েনা ইত্যাদি-এগুলোর দাঁত
ধারালো যা মাংসের জন্য উপযোগী।
মানুষের দাঁত লক্ষ্য
করে দেখলে দেখা যাবে সমতলের
ভোঁতা দাঁত যেমন
আছে তেমনি ধারালো এবং চোখা দাঁতও
আছে। অর্থাৎ মানুষের দাঁত মাংস ও তৃণ
উভয় ধরনের খাদ্য গ্রহনের জন্য
উপযোগী। এক কথায় ‘সর্বভূক’।
কেই হয়তো প্রশ্ন
করতে পারে সর্বশক্তিমান আল্লাহ
যদি চাইতেন মানুষ শুধু
তরিতরকারী খাবে তাহলে আমাদের
মুখে ধারালো দাঁত ক’টি দিলেন কেন? এর
দ্বারা এটাই কি প্রমাণিত হয়না যে, খোদ
সৃষ্টিকর্তাই চান যে, মানুষ সব ধরনের
খাবার গ্রহণ করুক।
ঙ. আমিষ ও নিরামিষ দুই ধরণের খাদ্যই
মানুষ হজম করতে পারে।
তৃণভোজী প্রাণির হজম প্রক্রিয়া শুধু
তৃণ জাতীয় খাদ্যই হজম করতে পারে।
মাংসাশী প্রাণীর হজম
প্রক্রিয়া পারে শুধু মাংস হজম করতে।
কিন্তু মানুষের হজম প্রক্রিয়া তৃণ ও
মাংস উভয় ধরনের খাদ্যই হজম
করতে সক্ষম।
সর্বশক্তিমান আল্লাহ যদি চাইতেন
আমরা শুধু নিরামিষ ভক্ষণ
করি তাহলে তিনি আমাদেরকে এমন হজম
শক্তি দিলেন কেন যা দিয়ে তৃণ ও মাংস
উভয় ধরনের খাদ্যই হজম করা যায়?
চ. হিন্দু ধর্ম-গ্রন্থ আমিষ খাদ্য
গ্রহণের অনুমতি দেয়
১. অসংখ্য হিন্দু রয়েছে যারা নিষ্ঠাবান
নিরামিষ ভোজি। তারা আমিষ
খাদ্যকে তাদের ধর্ম বিরোধী মনে করে।
অথচ আসল সত্য হলো, হিন্দু শাস্ত্রই
মাংস খাবার অনুমতি দিয়েছে। গ্রন্থসমূহ
উল্লেখ করেছে- পরম বিজ্ঞ সাধু-
সন্তরা আমিষ খাবার গ্রহণ করতেন।
২. হিন্দুদের আইনের গ্রন্থ
মনুশ্রুতি পঞ্চম অধ্যায় শ্লোক ৩০এ
আছে-খাদ্য গ্রহণকারী যে খাবার খায়,
সেই সব পশুর যা খাওয়া যায়,মন্দ কিছু
করে না।এমনকি সে যদি তা করে দিনের
পর দিন। ঈশ্বর নিজেই সৃষ্টি করেছেন
কিছু ভক্ষিত হবে আর কিছু ভক্ষণ
করবে।
৩. মনুশ্রুতীর পঞ্চম অধ্যায়ের
৩১শ্লোকে আবার বলা হয়েছে- যা মাংস
ভক্ষণ শুদ্ধ উৎসের জন্য। ঈশ্বরের
বিধান হিসেবে বংশ পরম্পরায়
তা জানা আছে।
৪. এরপরে মনুশ্রুতীর পঞ্চম অধ্যায়ের
৩৯ এবং ৪০
শ্লোকে বলা হয়েছেঃ ঈশ্বর নিজেই
সৃষ্টি করেছেন উৎসর্গের পশু উৎসর্গের
জন্যই। সুতরাং উৎসর্গের জন্য হত্যা-
হত্যা নয়।
৫. মহাভারত অনুশীলন পর্ব ৮৮
অধ্যায় বর্ণনা করছে-ধর্মরাজ
যুধিষ্টির ও পিতামহ ভীষ্ম, এদের, এদের
মধ্যে কথোপকথন কেউ যদি শ্রাদ্ধ
করতে চায়
তাহলে সে অনুষ্ঠানে কি ধরনের খাবার
খাওয়ালে স্বর্গীয় পিতৃ পুরুষ
(এবং মাতাগণ) সন্তুষ্ট হবেন।
যুধিষ্টির বলল, হে মহাশক্তির মহাপ্রভু!
কি সেই সব বস্তু সামগ্রী যাহা-
যদি উৎসর্গ করা হয়
তাহলে তারা প্রশান্তি লাভ করবে ?
কি সেই বস্তু সামগ্রী যা (উৎসর্গ
করলে) স্থায়ী হবে? কি সেই বস্তু
যা (উৎসর্গ করলে) চিরস্থায়ী হবে?
ভীষ্ম বলেছেন, তাহলে শোন
হে যুধিষ্টীর! কী সেই সব সামগ্রী।
যারা গভীর জ্ঞান রাখে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান
সম্পর্কে- যা উপযোগী শ্রাদ্ধের জন্য।
আর কি সেই ফল-ফলাদি যা তার
সঙ্গে যাবে। সীম বিচীর সাথে চাল,
বার্লী এবং মাশা এবং পানি আর
বৃক্ষমূল (আদা, আলু বা মূলা জাতীয়)
তার সাথে ফলাহার। যদি স্বর্গীয়
পিতৃদেবদের শ্রাদ্ধে দেয়া হয়। হে রাজা!
তা হলে তারা এক মাসের জন্য সন্তুষ্ট
থাকবে।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে মৎস সহকারে আপ্যায়ন
করলে স্বর্গীয় পিতৃকুল দুই মাসের জন্য
সন্তুষ্ট থাকবে। ভেড়ার মাংস সহকারে-
তিন মাস। খরগোশ সহকারে চারমাস।
ছাগ-মাংস সহকারে ৫ মাস। শুকর-মাংস
সহকারে ছয় মাস। পাখীর মাংস
দিয়ে আপ্যায়িত করলে সাত মাস।
হরিণের মধ্যে ‘প্রিসাতা’ হরিণ শিকার
করে খাওয়ালে আট মাস এবং ‘রুরু’ হরিণ
দিলে নয় মাস। আর গাভীর মাংস
দিলে দশমাস। মহিসের মাংশ দিলে তাদের
সন্তুষ্টি এগারো মাস বজায় থাকে।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে গরুর মাংস
দিয়ে আপ্যায়ন করলে, বিশেষ
করে বলা হয়েছে তাদের
সন্তুষ্টি থাকে পুরো এক বছর।
ঘি মিশ্রিত পায়েশ, স্বর্গীয় পিতৃপুরুষের
কাছে গরুর মাংসের মতোই প্রিয়।
ভদ্রিনাসার (বড় ষাড়) মাংস
দিয়ে আপ্যায়ন করলে পিতৃপুরুষ বার
বছর সন্তুষ্ট থাকেন। পিতৃপুরুষের মৃত্যু
বার্ষিকি গুলোর
যে দিনটিতে সে মারা গেছে সেই রকম
একটি দিন দিন যদি শুক্ল পক্ষের হয়
আর তখন যদি গন্ডারের মাংস
দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আপ্যায়ন
করা যায়- স্বর্গীয় পিতৃ পুরুষের
সন্তুষ্টি অক্ষম হয়ে যায়। ‘কালাসকা’
কাঞ্চন ফুলের পাপড়ি আর লাল ছাগলের
মাংস যদি দিতে পারো তাহলেও তাদের
সন্তুষ্টি অক্ষয় হয়ে যাবে।
অতএব আপনি যদি চান আপনার
স্বর্গীয় পিতৃপুরুষের সন্তুষ্টি অক্ষয়
হয়ে যাক তাহলে লাল ছাগলের মাংস
দিয়ে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আপ্যায়ন
করতে হবে।
ছ.হিন্দু ধর্ম অন্যান্য ধর্মের
দ্বারা প্রভাবিত
হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ তার অনুসারীদের
আমিষ খাদ্য গ্রহনের অনুমতি দেয়।
তথাপি অনেক হিন্দু নিরামিষ
ভোজনকে সংযোজন করে নিয়েছে।
প্রকৃত পক্ষে এটা এসেছে ‘জৈন’ ধর্ম
থেকে।
জ. উদ্ভীদেরও জীবন আছে
বিশেষ কিছু ধর্ম খাদ্য হিসেবে শুধুমাত্র
নিরামিষ খাবার বাধ্যতামূলক
করে নিয়েছে। কারণ তারা জীব হত্যার
সম্পূর্ণ বিরোধী। যদি কেউ কোনো সৃষ্ট
জীবকে হত্যা না করে বেঁচে থাকতে পারে তাহলে নির্দ্বিধায়
বলতে পারি, আমি হবো প্রথম
ব্যক্তি যে এধরনের জীবন যাপন
পদ্ধতিকে বেছে নেবে।
অতীত কালের মানুষ মনে করত
উদ্ভিদের প্রাণ নেই। অথচ আজ
তা বিশ্ববাসীর কাছে দিবালোকের
মতো স্পষ্ট যে, উদ্ভীদেরও প্রাণ
আছে। কাজেই সম্পূর্ণ নিরামিষ
ভোজী হয়েও জীব হত্যা না করার শর্ত
পূরণ হচ্ছে না।
ঝ. উদ্ভীদ ব্যাথাও অনুভব করতে পারে
এর পরেও হয়তো নিরামিষ
ভোজীরা বলবেন, প্রাণ
থাকলে কি হবে উদ্ভীদ ব্যাথা অনুভব
করতে পারে না। তাই পশু হত্যার
চাইতে এটা তাদের কম অপরাধ।
আজকের বিজ্ঞান পরিষ্কার
করে দিয়েছে উদ্ভিদও ব্যাথা অনুভব
করে কিন্তু তাদের সে আর্ত চিৎকার
মানুষই শোনার ক্ষমতা রাখে না ২০
Herts থেকে ২০০০ Herts এর
ওপরে বা নীচের কোনো শব্দ মানুষের
শ্রুতি ধারণ করতে সক্ষম নয়।
একটি কুকুর কিন্তু
শুনতে পারে ৪০,০০০ Herts
পর্যন্ত। এজন্য কুকুরের জন্য নিরব
‘হুইসেল’ বানানো হয়েছে যার
ফ্রীকোয়েন্সী ২০,০০০ Herts এর
বেশী এবং ৪০,০০০ Herts এর
মধ্যে। এসব হুইসেল শুধু কুকুর
শুনতে পারে, মানুষ পারে না। কুকুর এ
হুইসেল শুনে তার
মালিককে চিনে নিতে পারে এবং সে চলে আসে তার
প্রভুর কাছে।
আমেরিকার এক খামারের মালিক অনেক
গবেষণার পর একটি যন্ত্র আবিষ্কার
করেছে যা দিয়ে উদ্ভীদের
কান্না মানুষের শ্রুতিযোগ্য
করে তোলা যায়।
সে বিজ্ঞানী বুঝে নিতে পারত, উদ্ভীদ
কখন পানির জন্য চিৎকার করত।
একেবারে এখনকার গবেষণা প্রমাণ
করে দিয়েছে যে, উদ্ভীদ সুখ ও দুঃখ
অনুভব করতে পারে এবং পারে চিৎকার
করে কাঁদতেও।
ঞ. দু’টি ইন্দ্রীয়ানুভূতী কম সম্পন্ন
প্রাণীকে হত্যা করা কম অপরাধ নয়
এবার নিরামিষ ভোজীরা তর্কে অবতীর্ণ
হবেন যে, উদ্ভীদের মাত্র
দু’টি অথবা তিনটি অনুভূতির ইন্দ্রীয়
আছে আর পশুর আছে পাঁচটি। কাজেই পশু
হত্যার চাইতে উদ্ভীদ হত্যা অপরাধের
দিক থেকে কম।
ধরুন এক ভাই জন্মগত ভাবেই অন্ধ ও
কালো। চোখে দেখেনা কানেও শোনেনা।
অর্থাৎ একজন স্বাভাবিক মানুষের
তুলনায় দুটি ইন্দ্রীয় তার কম। সে যখন
পূর্ণ যৌবনে এসে প্বৌছাল তখন এক
লোক নির্দয়ভাবে তাকে খুন করল।
খুনী ধরা পড়ার পর-
বিচারালয়ে দাঁড়িয়ে আপনি কি বিচারপতিকে বলবেন,
মহামান্য আদালত খুনিকে আপনি পাঁচ
ভাগের তিন ভাগ শাস্তি দিন?
জ্যোতীর্ময় কুরআন বলেছেঃ
(আরবী)-----------------------
হে মানুষ! পৃথিবীতে যা কিছু
আছে তা থেকে পবিত্র ও উত্তম
(জিনিসগুলো) খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করো।
ট. গৃহপালিত পশুর সংখ্যাধিক্য
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যদি ফল-মূল
তরিতরকারী ও শাক শব্জীকেই খাবার
হিসাবে বেছে নেয় তা হলে গবাদী পশুর
জন্য ভু-পৃষ্ঠ ছেড়ে দিয়ে মানুষকে অন্য
কোনো গ্রহে গিয়ে বাস করতে হবে। আর
খাল বিল নদী নালা ও সাগর মহাসাগর
পানি শূন্য হয়ে যাবে মাছ ও অন্যান্য
জ্বলজ প্রাণীর আধিক্য। কেননা উভয়
শ্রেণীর জন্মের হার ও প্রবৃদ্ধি এত
বেশি যে, এক শতাব্দী লাগবে না এ
পৃথিবী তাদের দখলে চলে যেতে।
সুতরাং সৃষ্টিকর্তা বিধাতা প্রতিপালক
আল্লাহ তা’য়ালা খুব ভালো করে জানেন
এবং বোঝেন। তাঁর সৃষ্টিকুলের ভারসাম্য
তিনি কিভাবে রক্ষা করবেন। কাজেই
এটা খুব সহজেই অনুমেয় যে,
তিনি কি কারণে আমাদেরকে মাছ মাংস
খাবার অনুমতি দিয়েছেন।শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের কে জানার সুযোগ দিন ।আপনি জেনেছেন হয়তো সে জানেনা ।আমার ব্লগ বাড়ীতে বেড়াতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সাথে থাকুন সব সময় ।আল্লাহ্ হাফেজ ।

কোন মন্তব্য নেই :