চাকরির ইন্টারভিউতে সাফল্যতার টিপস

কোন মন্তব্য নেই
প্রাথমিক ধারনাঃ ইন্টারভিউ
বোর্ডে সাফল্যতা পেতে হলে প্রথমত
চাকরিটি সম্পর্কে আপনার বিস্তৃত
জ্ঞান থাকতে হবে। এ জ্ঞান অর্জনের
জন্য আপনি ওই চাকরি সম্পর্কিত
বিভিন্ন বই পড়তে পারেন। চাকরিটির
কার্যক্ষেত্র পরিদর্শন করতে পারেন।
এতে আপনার বাস্তব জ্ঞান
বৃদ্ধি পাবে। ইন্টারভিউর
ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পূর্ব
অভিজ্ঞতা থাকলে তো কোনো কথাই
নেই। তাহলে তো আপনি ইন্টারভিউর
জন্য সম্পূর্ণ পারফেক্ট।
ইন্টারভিউতে সাফল্যতার টিপসঃ
• ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢোকার সময়
সালাম বা মে আই কাম ইন স্যার
বলে নিন। অতি চটপটে ভাব
বা অতি বিনয়ী ভাব কোনোটাই
দেখাতে যাবেন না। যতক্ষণ
না আপনাকে বসতে বলা হয়, ততক্ষণ
অপেক্ষা করুন। বসতে বলার পর থ্যাংক
ইউ জানিয়ে দিন।
প্রয়োজনে অনুমতি নিয়ে বসুন।
• চেয়ারে বসার সময়
আলতোভাবে বসবেন। চেয়ার একটু
সরিয়ে বা শব্দ করে বসা একদম
চলবে না। চেয়ারের
পিঠে আলগা করে হেলান
দিয়ে শিরদাঁড়া সোজা করে স্বস্তিকর
ভঙ্গিতে বসুন।
• কথাবার্তার মধ্যেই মানুষ তার মনের
ভাব সুস্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে।
সেজন্য প্রতিটা চাকরিপ্রার্থীকে
বিশুদ্ধ উচ্চারণের ওপর অধিক জোর
দেয়া আবশ্যক।
বাচনভঙ্গি ভালো হলে সহজেই
নিয়োগকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ
করা যায়।
• মনের
মধ্যে ভীতি কিংবা দুর্বলতা কাজ
করলে ইন্টারভিউতে কখনো ভালো করা যায়
না। এতে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস
কমে যায়। হতাশার মধ্যে নির্ভুল
উত্তর দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই
ইন্টারভিউর আগে আপনাকে দৃঢ় মনোবল
সম্পন্ন হতে হবে। নিজের ওপর অগাধ
বিশ্বাস রখতে হবে। তাহলেই
আপনি সফল হতে পারবেন।
• চেয়ারের পিঠে কাঠ কাঠ
ভঙ্গিতে অথবা আরাম কেদারায় বসার
মতো হাত পা ছড়িয়ে বসবেন না।
বসে পা নাচাবেন না। অতিরিক্ত
নড়াচড়া করবেন না। নিয়োগকর্তার
সামনে কখনো এমন কোনো আচরণ
করা উচিত নয়,
যাতে নিয়োগকর্তা তাকে অভদ্র
হিসেবে চিহ্নিত করেন (কারণ অভদ্রদের
কেউই পছন্দ করে না)। কিন্তু ভদ্র
চাকরি প্রার্থীর ওপর
নিয়োগকর্তারা অনেকটা দুর্বল থাকেন।
প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তার ওপর
সুনজর রাখেন। সুতরাং ইন্টারভিউর
সময় নিজের শালীন আচার-আচরণের
ওপর খেয়াল রাখা উচিত।
• কাগজপত্রের ফাইলটি টেবিলের ওপর
রাখুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ফাইলে ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে রাখুন।
যেমন- পরীক্ষার সার্টিফিকেট, মার্কস
শিট, অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট
ইত্যাদি। ইন্টারভিউ বোর্ডের
কোনো সদস্য কাগজপত্র
দেখতে চাইলে সহজেই একের পর এক
পাবেন।
• হাঁচি পেলে রুমাল বের
করে মুখে ঢেকে হাঁচি দিবেন।
কাশি পেলে মাথা ঘুরিয়ে হাত দিয়ে মুখ
ঢেকে কাশি দেবেন। হাঁচি বা কাশির পর
মুহুর্তেই সরি বলবেন।
• কোনো প্রশ্নের উত্তর
জানা না থাকলে আমতা আমতা করবেন
না। সরাসরি স্মার্টভাবে বলুন,
সরি এটা আমার জানা নেই।
প্রশ্নকর্তা অপেক্ষায়
রেখে কোনো প্রশ্নের উত্তর মনে করার
চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন।
• ইন্টারভিউয়ের শেষে কখনোই প্রশ্ন
করতে যাবেন না। যে চাকরিটি আপনার
হবে কি? এতে ইন্টারভিউ
গ্রহণকারীরা দুবলর্তা হিসেবে গ্রহণ
করতে পারেন।
• ইন্টারভিউর ক্ষেত্রে পোশাক
পরিচ্ছদের ওপর খুব সচেতন
থাকা উচিত। একজন
নিয়োগকর্তা প্রথমেই নজর দেবেন
সাক্ষাৎকার দাতার পোশাক পরিচ্ছদের
ওপর। পোশাক-পরিচ্ছদ দেখেই
তিনি সাক্ষাৎকারদাতার স্মার্টনেস,
বাহ্যিকগুণাবলী, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
অনেকটা মেপে নেন। ইন্টারভিউ দেবার
সময় পরনে ফর্মাল পোশাক থাকাটাই
ভালো।
• নিয়োগ কর্তার
সামনে নিজেকে স্মার্ট
করে তুলে ধরা ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত
স্মার্ট করে তুলে ধরাটাও শেষে ক্ষতির
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জীবনের
প্রতিটা ক্ষেত্রে একটা লিমিট
রেখে পথে চলা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই :