কবর-মাজার পুজা প্রসঙ্গ

1 টি মন্তব্য
আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা করা সুষ্পষ্ট হারাম। কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও হাদিসে নববী দ্বারা যা দিবালোকের ন্যয় পরিস্কার।
একথা মনে হয় অন্ধ পীর ও মাজারপূজারী ছাড়া সকল মুসলমানরাই জানে।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
"সাবধান ! তোমাদের পূর্বের যুগের লোকেরা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবর সমূহ মসজিদ (সিজদার স্থান) হিসেবে গন্য করতো। তবে তোমরা কিন্তু কবর সমূহকে সিজদার স্থান বানাবে না।আমি এরূপ করতে তোমাদের নিষেধ করে যাচ্ছি" ।
[মুসলিম, ১০৭৭]
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরও বলেন,
"তোমরা স্বীয় ঘরকে কবর বানিয়োনা। (অর্থাৎ কবরের ন্যায় ইবাদত-নামায, তেলাওয়াত ও যিকির ইত্যাদি বিহীন করনা।) এবং আমার কবরেউৎসব করোনা।(অর্থাৎ বার্ষিক, মাসিক বা সাপ্তাহিক কোন আসরের আয়োজন করনা। তবে হ্যাঁ আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দুরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।
(সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০)
কবরের সামনে বাতি প্রজ্জ্বলন করাকে হারাম সাব্যস্ত করে রাসূলে কারীম সাঃ ইরশাদ করেন-
“হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকেবর্ণিত যে, আল্লাহর নবী সাঃঅভিশম্পাত করেছেন (বেপর্দা)কবর যিয়ারতকারীনী মহিলাদের উপর, এবং সেসব লোকদের উপর যারা কবরকে মসজিদ বানায় (কবরকে সেজদা করে) এবং সেখানে বাতি প্রজ্জ্বলিত করে।
(জামি তিরমীযী-২/১৩৬)
@আল্লাহ ছাড়া কারো নামে মান্নত বা কুরবানী করা যায়না। কারণ মান্নত ও কুরবানী হচ্ছে ইবাদত। আর ইবাদত আল্লাহ ছাড়া কারা জন্য করা জায়েজ নয়। অথচ আমরা পীরের নামে ,মৃত বেইক্তির নামে মান্নত করি:( ।
মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-
“আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কুরবানী এবং আমার জীবনও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালকআল্লাহ র জন্যই। তাঁর কোন অংশিদার নেই। আমি তা-ই করতেআদিষ্ট হয়েছি এবংআমিই প্রথম আনুগত্যশীল।
(সূরা আনআম-১৬২-১৬৩)
"আর তার (মুশরেকরা) আল্লাহ ভিন্ন এমন কতিপয়ের ইবাদত করে, যারা তাদের কোন অপকারওকরতে পারেনা এবং তাদের কোন উপকারও করতে পারেনা, ও তারাবলে-এরা হল আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের সুপারিশকারী। (হে রাসূল!) আপনি বলে দিন, তোমরা কি আল্লাহ তায়ালাকে এমন বিষয়ের সংবাদ দিচ্ছ যা আছেবলে তিনি (নিজেও) জানেন না, না আসমানে না জমিনে! তিনি তাদের শিরকী কার্যকলাপ হতেপবিত্র ও অনেক ঊর্দ্ধে "
(সূরা ইউনুস-১৮)
উল্লেখিত কুরআন ও হাদিসের বিবরণমোতাবিক কবর ও মূর্তিপূজার সাযুজ্যতার মাধ্যমে আমরা সহজেই অনুমান করে নিতে পারি আমাদের দেশেরভন্ড মাজারপূজারী ও কবরপূজারীরা কি পরিমাণ শিরকী কর্মকান্ডে লিপ্ত।আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান অন্বেষণ করে সঠিক পথেচলে আল্লাহ-রাসুল(সঃ ) মোহাব্বত অর্জন করার তাওফিক দানকরুন ।

শেয়ার করে আপনার প্রিয় বন্ধু-বান্ধবীদের পড়ার সুযোগ দিন।
আপনি জেনেছেন....হয়তো সে জানেনা ।আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুক --আমিন ।