ত্রিমুখী প্রেমের জ্বালায় আত্মহত্যা হ্যাপীর
স্টাফ রিপোর্টার: ত্রিমুখী প্রেমের জ্বালায় আত্মহত্যা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েরপ্রাণিবিদ্যা বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্রী ফাহমিদা বেগম হ্যাপী। একদিকে সহপাঠী প্রেমিকের অবিশ্বাস অন্যদিকে বড়বোনের বন্ধুর প্রেমের আহ্বানে দিশাহারা হয়ে হ্যাপী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বংশাল থানা পুলিশ ও জবি’র প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, হ্যাপীরসঙ্গে তার সহপাঠী নাজমুল হোসেন রনির দীর্ঘ দিনের প্রেম ছিল। সমপ্রতি এ সম্পর্কের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় হ্যাপীর বড়বোনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লিপি। ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার জন্য তিনি তার বন্ধু বায়েজিদকে হ্যাপীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাকেই বিয়ে করতে হবে বলে চাপ দেন। এ সূত্র ধরে হ্যাপীর প্রতি অবিশ্বাসী হয়ে ওঠে প্রেমিক নাজমুল। হ্যাপীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণাও দেন তিনি। প্রেমিকের এমন সিদ্ধান্তে বিচলিত ও দিশাহারা হয়ে পড়েন হ্যাপী। বড়বোন ও তার বন্ধুর অযাচিত আচরণও বিপর্যস্ত করে তোলে তাকে। একপর্যায়ে গত বুধবারদুপুরে সবার অগোচরে বাসার সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন হ্যাপী। এ ঘটনায়বংশাল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আক্তার হোসেন মিনা বলেন, যে কোন কারণে বড়বোন লিপির প্রতি ছোট বোন হ্যাপীর অভিমান তৈরি হয়েছিল। একারণেই হ্যাপী আত্মহত্যার আগে বড়বোন লিপির উদ্দেশ্যে একটি চিরকুট লিখেছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘যদি কোন অন্যায় করে থাকি, ক্ষমা করে দিও।’ তিনি আরও বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এদিকে হ্যাপীর একাধিক সহপাঠী জানান, সমপ্রতি নাজমুল তার পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় হ্যাপী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে নাজমুল সাংবাদিকদের জানিয়েছে, তাদের মধ্যে খুব ভালো বোঝাপাড়া ছিল। তারা পরস্পরকে প্রচণ্ড ভালবাসতেন। বিয়ের বিষয়েও তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হ্যাপীর পরিবার তা মেনে নেয়নি। বরং হ্যাপীর বড়বোন তার বন্ধু বায়েজিদকে বিয়ে করতে রাজি করানোর জন্য মাঝে মধ্যেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই হ্যাপী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে হ্যাপীর বড়বোন লিপির সঙ্গেযোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি রনি নামে কারও সঙ্গে তার বোনের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন। পরে জানান, রনির মানসিক নির্যাতনের কারণে তার বোন আত্মহত্যা করেছে। বায়েজিদের সঙ্গে ছোট বোনের বিয়েদেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রনি বাঁচার জন্য মিথ্যা কথা বলছে। গল্প সাজিয়ে ঘটনা ভিন্নদিকে নেয়ার চেষ্টা করছে। জবি’র প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর ধরে হ্যাপীও রনির মধ্যে গভীর প্রেম চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের সম্পর্কের মধ্যে বায়েজিদের আগমন ঘটনায় দু’জনার প্রেমের বন্ধন প্রায় ছিন্ন হয়ে যায়। এরই মধ্যে হ্যাপীর জন্মদিন গত ১৫ই ডিসেম্বর রনি ঘটা করে প্রেমের সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দেয়।বিয়ে করতেও অসম্মতি জানায়। এতে হ্যাপী মানসিকভাবে আঘাত পায়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সহপাঠীদের জানিয়েছিল, যদি রনি তাকে বিয়ে নাকরে তাহলে সে আত্মহত্যা করবে। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে হ্যাপীর সপ্তম সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।ওই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করেছিল হ্যাপী। এ বিষয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। রনির সঙ্গে হ্যাপীর সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারেকারও বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগকরেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সকালে হ্যাপীর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের বাদশাগঞ্জের ধর্মপাশা গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে। Hi, friend, how are you? Please join to news, joks and healt page! Link to, http://www.facebook.com/pages/Janar-achea-onek-kicho/122684964517975 many many thanks to you.
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন