কচুয়ায় এএসআই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে সেনা সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ : ওসমানীনগরে গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন

কোন মন্তব্য নেই
বাগেরহাটের কচুয়া থানায় কর্মরতএএসআই আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে এক সেনা সদস্যের ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ওই এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সিলেটের ওসমানীনগরে অপর এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক পাষণ্ডের বিরুদ্ধে। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কচুয়ায় সেনা সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ : বাগেরহাটের কচুয়া থানা পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে কচুয়া হাসপাতাল থেকে ধরে নিয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি ইউনিয়নের মালমগাছা গ্রামে যাওয়ার পথে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ওই গ্রামের চাঁন মিয়ারবাড়িতে ধর্ষিতাকে আটকে রাখার আধাঘণ্টা পরে তিনি একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। গতকাল দুপুরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাচ্চাসহ ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট হাসপাতালেভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বিভাগে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘটনাটি পুলিশ কর্মকর্তার বোকামি বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোড় গ্রামের সেনাসদস্য পলাশ হাওলাদারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বুধবার বিকালে বাগেরহাটের কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার এক আত্মীয়কে দেখতে যান। এ সময় কোনো কারণ ছাড়াই কচুয়া থানার এএসআই আবদুল কুদ্দুস ধরে থানায়নিয়ে যান। পরে মহিলার স্বামীসহস্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে মোটা অংকের উেকাচ দাবি করেন তারা। অন্যথায় তাকে চালান দেয়ার হুমকি দেন। তাকে হাজতে রাত ১২টা পর্যন্ত আটকে রাখেন। এরপর তাকে বাপের বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা মালমগাছা গ্রামে নিয়ে যান। পথে তেলিগাতি ব্রিজের কাছে তাকে এএসআই আবদুলকুদ্দুসসহ ৩ জন মিলে ধর্ষণ করে। এ সময় তিনি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে আকুতি করলেও নরপশুদের মন গলাতে পারেননি। অসুস্থ্য গৃহবধূ ধর্ষণের কারণেযন্ত্রণায় ছটপট করতে থাকলে তড়িগড়ি করে মালমগাছা গ্রামের চাঁন মিয়ারবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় গৃহকর্তা বাড়িতে ছিলেন না। চাঁন মিয়ার অসুস্থ স্ত্রী তাকে রাখতে অস্বীকৃতি জানান। পরে পুলিশের ভয়ভীতি ও চাপের মুখে এবং ওই গৃহবধূর করুণ অবস্থা দেখে ঘরের বারান্দায় আশ্রয় দেন। এ সময় উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটির সময়ে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের জোরপূর্বকসাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে এএসআই কুদ্দুস দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।এর মাত্র আধাঘণ্টাপর ওই গৃহবধূ একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনা বৃহস্পতিবার সকালে জানাজানি হলে অবস্থা বেগতিক দেখে ওই দারোগা বিকালে চাঁন মিয়ারবাড়ি গিয়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটিসহ প্রসূতিকে অপহরণ করতে গেলে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মালমগাছা গ্রামের হেমায়েত খান, মনিরুল ইসলাম শেখ, হায়দার খান, মোস্তফাশেখ, আনছার ফকির, আবদুল লতিফ, ইউপি সদস্য আবুল কালাম, সোহাগ, আবদুল লতিফসহ শতাধিক লোক ঘটনারসত্যতা স্বীকার করেন। তারা পুলিশ কর্তৃক এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তেলিগাতিইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান তরিকুল ইসলাম ঝন্টু এ ব্যাপারেবলেন, এএসআই আবদুল কুদ্দুস বিষয়টি চাপা দিতে অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে এএসআই আবদুল কুদ্দুসেরসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মহিলা অসুস্থ হওয়ায় আমি রাতে তাকে তেলিগাতি ইউনিয়নের চাঁন মিয়ারবাড়িতে রেখে এসেছি। কচুয়া হাসপাতাল থেকে কী অপরাধেতাকে থানায় নেয়া হলো এবং সেখান থেকে তেলিগাতি গ্রামে কী কারণেনেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি সদ্যুত্তোর দিতে পারেননি। তবে ধর্ষণের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুদুল আলম জানান, মহিলাটি ভবঘুরে ও বেওয়ারিশ প্রকৃতির। সে আত্মীয় বাড়ি যাওয়ার কথা বললে তাকে এএসআই কুদ্দুস তেলিগাতির একটি বাড়ি নিয়ে আশ্রয় দেয়। পরে সে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনায় এলাকার কিছু উত্সাহী লোক তার বিরুদ্ধে কুত্সা রটাচ্ছে। ধর্ষণের বিষয়টি সঠিক নয়। এ ঘটনায় তিনিসহ সদর সার্কেলের এএসপি ও কচুয়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
কচুয়া থানার ওসি এএসএম খায়রুল আনাম জানান, থানায় আনার পর গৃহবধূ অসুস্থ এবং আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে চাইলে এএসআই কুদ্দুস তাকে মালমগাছা গ্রামে পৌঁছে দেয়। পরে সেখানে একটি বাচ্চা প্রসব করেন। তাকে ধর্ষণের কোনো আলামত তারা পাননি।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি শোনার সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিন পরিদর্শন করে সদর সার্কেল এএসপির নেতৃত্বে মোরেলগঞ্জ ও কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এঘটনায় কোনো পুলিশ সদস্যের কোনোখারাপ কাজের সংশ্লিষ্টতা পাওয়াগেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।ওসমানীনগরে মহিলাকে বেদম পিটুনি : সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন সুলতানপুর গ্রামের মৃতছামির উদ্দিনের মেয়ে শাহানারা বেগম পৈতৃক সম্পত্তির ওপর অবৈধভাবে দেয়াল নির্মাণকাজে বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষের হুমকির কারণে শাহানারা বেগম চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।
থানার থানাগাঁও গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের মেয়ে শাহানারা বেগম বাবা মায়ের মৃত্যুর পর পৈতৃক সম্পত্তিতে বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকালে আ. খালিকের ছেলে আকাদ্দুছ আলী শাহানারা বেগমের রাস্তার একাংশদখল করে দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শাহানারা বাধা দিলেউভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকাদ্দুছ আলী তার চুল ধরে শরীরের বিভিন্ন অংশে কিলঘুষি লাথি ও টানাহেঁচড়া করেআহত করে। গতকাল শাহানারা বেগম ওসমানীনগর থানায় আকাদ্দুছের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

▓▒|সংগৃহ|▒▓
_______________ _______________ _______________ _

♥♥♥♥সমাপ্ত♥♥♥♥
প্রকাশক : সৈয়দ রুবেল উদ্দিন www.facebook.com/sayed.rubel3

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

ভাল থাকুন সব সময় ।

কোন মন্তব্য নেই :