বয়ঃসরি ঋতুসমস্যা বয়ঃসরি সময় অনেক মেয়েই ঋতুসমস্যায় জর্জরিত হয়ে যান। কিভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করবেন জেনে নিন। ২
কোন মন্তব্য নেই
ব্যথাজর্জর ঋতু
বয়ঃসন্ধিতে পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর সাইকেলের মাঝে [সাধারণত ১৪ দিনে] ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিক্ষেপ সব সাইকেলে প্রথম দিকে হয় না। পরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ধারাবাহিক ক্ষরণে ওভ্যুলেশন আস্তে আস্তে নিয়মিত হয়ে যায়। ওভ্যুলেশন হওয়া সাইকেলে পিরিয়ডের সময় পেটে কোমরে পায়ে একটু-আধটু ব্যথাবেদনা হয় অনেকেরই। কেউ কেউ এই সময় তীব্র যন্ত্রণায় কষ্ট পায়, আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরকম ব্যথাজর্জর ঋতু অনেক সময় ভয়ে আতঙ্কে দুঃসহ হয়ে ওঠে। মায়ের আশ্বাসে ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা বাড়ে, কমে কষ্ট। কেউ কেউ হটব্যাগ নিয়ে স্কুলে-কলেজে না গিয়ে শুয়ে থাকে,অবচেতনে বা সচেতনে চেষ্টা করে আরো মনোযোগ পাওয়ার। মনে রাখুন ব্যথা যতই হোক, স্বাভাবিক কাজকর্ম ব করলে, শুয়ে পড়লে চলবে না। হাঁটাচলা, কাজকর্ম চলুক অন্য দিনগুলোর মতো। খাওয়া-দাওয়া হোক স্বাভাবিক। একটু-আধটু ব্যায়াম, খেলাধুলা বা সাইক্লিং, রোজ যেমনটা হয়, চলবে স্বাভাবিকভাবে।
মোটা হওয়া, রোগা হওয়া
যৌবন এলে যৌবনের নিয়ম মেনে শরীরে চর্বি বেড়ে তার হাড় মাংস অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বেড়ে ওঠায় ওজন কিছুটা বাড়ে হঠাৎ করে। এটাই স্বাভাবিক, এতে ভয় পাওয়ারকারণ নেই। তবে বয়ঃসন্ধিতে ওজন হঠাৎ করে খুব বেড়ে গেলেও, শরীর বিসদৃশভাবে স্থূল হয়ে গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আর অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি বিশেষজ্ঞদের (এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট) পরামর্শ নিতে হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম ও প্রয়োজনে ওষুধপত্র-সবই চলবে বিশেষজ্ঞ যেভাবে বলবেন সেভাবে।
পিউবার্টি মেনোরেজিয়া
যা করবেন
*. ওকে আশ্বস্ত করুন, বলুন‘এরকম হতে পারে, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই’
*. ওর খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিন
*. পিরিয়ড খুব বেশি হলে ওকে বিশ্রামে রাখুন
*. স্যানিটারি ডায়াপার ব্যবহার করতে দিন ওকে, শিখিয়ে দিন ডায়াপার ব্যবহারের পদ্ধতি
*. নজর রাখুন ব্লিডিং ঠিক কতটা হচ্ছে
*. বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, তার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান
*. ওষুধ খাওয়ান বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে, সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়ে
যা করবেন না
*. নিজে আতঙ্কিত হবেন না, ওকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলবেন না
*. ওর গোসল খাওয়ার দিকে নজর দিতে ভুলবেন না
*. পাড়া পড়শিকে বেশি ভিড় করতে বা পরামর্শ দিতে দেবেন না
*. এর ওর কথায় টোটকা করতে বা ওষুধ খাওয়াতে যাবেন না
*. স্যানিটারি ন্যাপকিনেরবদলে নোংরা কাপড় ব্যবহার করতে দেবেন না
*. ওকে বারবার আশ্বাস দিতে ভুলবেন না *. ডাক্তার নন এমন ডাক্তারের পরামর্শ ভুলেও নেবেন না।
সংকলিত

কোন মন্তব্য নেই :