স্বাস্থ্য তথ্যের টুকিটাকি ( সবাই পড়ুন)

কোন মন্তব্য নেই

স্বাস্থ্য তথ্যের টুকিটাকি

আরিফ মাহমুদ সাহাবুল
মানবদেহের ক্যান্সার এবং অন্যান্য মারাত্মক রোগ ব্যাধি প্রতিরোধ করতে পারে যে উপাদান তার নাম হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট। মজার কথা হল মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে চমৎকার মাত্রায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে মধুই হচ্ছে এন্টি অক্সিডেন্টের সবচেয়ে বড় ও চমৎকার উৎস...
আসছে ভারচুয়াল এন্ডোস্কপি
মানুষের দেহের ভেতরে লুকিয়ে থাকা টিউমার শনাক্ত করতে কিংবা কোথায় টিউমার লুকিয়ে আছে কিংবা কোনো চোরা আঘাতের চিহ্ন তা অনায়াসেই জানা যায় এন্ডোস্কপির সাহায্যে। এন্ডোস্কপি চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর রোগ শনাক্তকারী যন্ত্র বিশেষ। এটিতে থাকে লম্বা সরু একটা টিউব এবং এই টিউবে লাগানো থাকে লেন্স এবং আলো। এন্ডোস্কেপির নমনীয় টিউব ঢুকিয়ে দেয়া হয় মানব দেহের কোনো একটা খোলা পথে যেমন-মুখ বা পায়ু পথ। সেই টিউবটার যে দিকটা দেহের মধ্যে প্রবেশ করানো হয় সেখানে একটা ছোট বাতি বা আলো লাগানো থাকে। এই বাতি বা আলোর সাহায্যে ভেতরের অন্ধকার দূরীভূত হয়ে দেহের ভেতরের সব কিছু সপষ্ট দেখা যায় এবং প্রয়োজন মত পর্যবেক্ষণও করা যায়। এন্ডোস্কপিক টিউবের চলার পথে যদি কোনো অস্বাভাবিক Cell বা কোষ গুচ্ছের সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে টিউবে লাগিয়ে দেয়া হয় খুব ছোট এক ‘ক্লিপার’ যাতে করে পরীক্ষা বা টেস্টের জন্য ঐ কোষ মন্ডলী থেকে কিছুটা নমুনা সংগ্রহ করা যায়। অথবা টিউবে লাগানো হয় কোনো ইলেট্রিক যন্ত্র যা ধ্বংস করে দিতে পারে গজিয়ে ওঠা ঐ অবাঞ্চিত কোষগুচ্ছকে। তবে অধুনা প্রচলিত এন্ডোস্কপি সব সময় কার্যকরী হয় না। এর কিছুটা সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। দেখা গেল এমন একটা জায়গায় টিউমার বা ক্ষত (Ulcer) হয়েছে যা দেহের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন ধরনের অবস্থানের জন্য এন্ডোস্কপ টিউবটি ঐ জায়গায় ঠিকমত পৌঁছতে পারে না, কিন্তু সুখের কথা হল নতুন উদ্ভাবিত ‘ভারচুয়াল এন্ডোস্কপি’ চিকিৎসকদের শুধু জানানই দেয় না যে এক্ষেত্রে এন্ডোস্কপি চলতে পারে, চাইলে ডাক্তার সাহেব একবার সেই যন্ত্রের রিহার্সেলও দিয়ে দিতে পারেন। নিউ জার্সির প্রিন্সটনের সিমেন্স কর্পোরেট রিসার্চ এইভাবে ‘ভারচুয়াল রিয়ালিটিকে’ চিকিৎসা বিদ্যায় কাজে লাগিয়েছেন এই নতুন পদ্ধতিতে প্রথমে কম্পিউটেড টমোগ্রাফিক স্ক্যান বা সিটি স্ক্যানের সাহায্যে তৈরি করা হয় রোগীর অঙ্গ প্রত্যঙ্গের একটি ত্রি-মাত্রিক Computer Model। এবার চিকিৎসক Computer Mouse-এর সাহায্যে একটি ‘ভারচুয়াল এন্ডোস্কপ চালনা করেন Computer Screen-এ ওঠা ত্রি-মাত্রিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ভেতরে। যদি তিনি বোঝেন যে, এন্ডোস্কপ করা সম্ভব এখন তাহলেই তিনি এন্ডোস্কপি পদ্ধতির দিকে এগোবেন। সিমেন্স ‘ফ্লাই-থ্র’ নামে ভারচুয়াল এন্ডোস্কপি সমন্বিত Computer Product মার্কেটে আসছে খুব শীঘ্রই। আর মার্কেটে এলেই এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটি সাহায্য করবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোগীর রোগ নির্ণয়ে এবং প্রয়োজনীয় শল্য চিকিৎসায়।
ডায়াবেটিস যাদের হয় বেশি
ডায়াবেটিস এক প্রকার দীর্ঘমেয়াদি অসুখ। তবে সুখের কথা হল এ রোগটি ছোঁয়াচে নয়। একজনের দেহ থেকে অন্য আরেক জনের শরীরে ডায়াবেটিস সংক্রমিত হয় না। নারী ও পুরুষ উভয়েরই ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই তা আমাদের পাকস্থলী থেকে লিভারে গিয়ে গ্লুকোজে পরিণত হয়। এই গ্লুকোজ লিভার থেকে বের হয়ে শরীরের রক্তে গিয়ে মিশ্রিত হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রক্ত থেকে গ্লুকোজ গ্রহণ করে। এর মধ্যে মস্তিষেকর গ্লুকোজ চলাচল অবশ্যই শরীরকে বহন করতে হয়।
Insuline Hormone আমাদের দেহের গ্লুকোজকে বিভিন্ন অর্গানে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। শরীরে প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি হয়। পাকস্থলীর একটু ডানদিকে এবং পেছনে প্যানক্রিয়াস অঙ্গটি অবস্থিত। প্যানক্রিয়াসের কাজ হলো ইনসুলিন তৈরি করার পাশাপাশি ‘গ্লুকাগোন’ নামে আরেকটি হরমোন তৈরি করা। ইনসুলিন যেমন গ্লুকোজকে ব্যবহার করতে সাহায্য করে তেমনি গ্লুকাগোন হরমোন প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্গ থেকে গ্লুকোজ রক্তে এনে দেয়। যখন শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি দেখা দেয় তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। রক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ তখন কিডনির মাধ্যমে নিঃসরিত হয়ে প্রস্রাবে চলে আসে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের প্রস্রাব টেস্ট প্রথমে করেন। প্রস্রাবে গ্লুকোজের মাত্রা অনুযায়ী প্রস্রাবের রং রকমফের হয়। প্যানক্রিয়াস থেকে নিঃসরিত হরমোন ইনসুলিন শরীরে কোনো কারণে কাজ করতে না পারলে ডায়াবেটিস রোগের সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিস যে কোনো লোকের যে কোনো সময়ে যে কোনো বয়সে হতে পারে। তবে সাধারণত ৪০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। বর্তমানে দেখা যায় কালো মানুষদের চেয়ে ফর্সা মানুষদের মাঝে ডায়াবেটিস বেশি হয়ে থাকে। (WHO) World Health Organization এর মতে ডায়াবেটিস টাইপ-১; আফ্রিকান, আমেরিকান, ইন্ডিয়ান এবং এশিয়ানদের মাঝে মোটামুটি কম মাত্রায় হয়ে থাকে। আবার সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং কিছু ইউরোপিয়ান দেশের জনগণের ডায়াবেটিস টাইপ-১ অধিক হারে দেখা যায়। এছাড়া যাদের বেশি ডায়াবেটিস হয় তারা হল-
  • যাদের বংশে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে
  • স্থূলকায় বা মোটা মানুষদের
  • মাঝারি ও বয়স্ক ব্যক্তিদের।
  • যারা ব্যায়াম করেন না বা যারা বসে বসে কাজ করেন বা যারা অলস জীবন-যাপন করেন।
  • যারা অনেকদিন ধরে এক নাগাড়ে কর্টিসোন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করেন।
  • ভাইরাস জাতীয় রোগ, যেমন-ইনফেকশন মনোনিউক্লিওসিস, মামস এবং ককসাস্কিতে যারা আক্রান্ত হন।
  • হিমোক্রমটসিস বা ম্যালনাট্রিশন বা অপুষ্টিতে ভুগতে থাকলে।
  • সংক্রামক রোগ ব্যাধিতে দীর্ঘদিন ভুগতে থাকলে।
  • গর্ভাবস্থায়
  • আঘাত পেলে (মারাত্মক রকমের)
  • অসম খাবার খেলে
  • ব্যক্তির ওজনের চেয়ে শতকরা ১০ ভাগ বা তারও বেশি ওজন থাকলে।
  • অস্ত্রোপচার হলে
  • অত্যধিক টেনশন বা চিন্তা ভাবনা করলে।
তেল খাওয়া কমিয়ে ফেলুন
তেলে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। রয়েছে মেদ সঞ্চয়ের উপাদান। আর মেদ সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয় নানারকম রোগের বিড়ম্বনা। যা কিনা দৈহিক যাতনার সৃষ্টি ঘটায়। তাই সবাইকে তেল দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন তেল খাওয়া উচিত ১৫-২০ মিলি লিটার বা ছোট চা-চামচের ৩/৪ চামচ। কখনোই ৩০ মিলিলিটারের বেশি তেল খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু আমরা খেয়ালই করি না যে বিভিন্ন রকম খাদ্য বস্তুর মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে কি পরিমাণ তেল প্রবেশ করছে। যেমন স্ট্যান্ডার্ড সাইজের একটি সিঙারা বা পুরি বা পিয়াজু ভাজতে তেল লাগে ২০/২৫ মিলিলিটার। আর এভাবে আমরা প্রতিদিন কতই না তেলে ভাজা খাবার খাই তার হিসেব কি কখনো রেখেছি? দৈনন্দিন নানা খাবার দাবারের মধ্য দিয়ে এমনিতেই তা দেহে চলে যায়। আবার বিভিন্ন পদের তরকারি রান্নার জন্যও যে তা ব্যবহৃত হয় সেখান থেকেও ঢুকছে শরীরে। কাজেই রান্না করার সময় যতটা সম্ভব কম তেল এমনকি সেদ্ধ করে সামান্য তেল দিয়ে রেধে খাবার তৈরি করতে পারলে ভালো হয়। তাই আসুন এ ব্যাপারে আমরা সবাই সচেতন হই-হই সজাগ।
মধুতে প্রচুর ক্যালরি আছে শক্তি আছে
মানবদেহের ক্যান্সার এবং অন্যান্য মারাত্মক রোগ ব্যাধি প্রতিরোধ করতে পারে যে উপাদান তার নাম হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট। মজার কথা হল মধুতে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে চমৎকার মাত্রায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে মধুই হচ্ছে এন্টি অক্সিডেন্টের সবচেয়ে বড় ও চমৎকার উৎস। গবেষকরা এটাও বলেছেন যে মধু যত ঘন হবে তাতে এন্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণও হবে ততো বেশি। অন্যান্য অনেক ফলমূল ও শাক সব্জির মতো মধুতেও এ উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে। তবে তাই বলে বেশি খুশি হয়ে যেন আপনারা অতিরিক্ত পরিমাণে মধু না খান। কারণ মনে রাখার মতো কথা হলো ‘অতিরিক্ত কোনো কিছুই মঙ্গলজনক নয় বরং তা ক্ষতিকর’। মধু মাত্রা ছাড়িয়ে খাবেন না কারণ মধুতে ক্যালরির পরিমাণ খুব বেশি। ১২২ গ্রাম বা ৪ আউন্স পরিমাণ গাজর বা কমলাতে থাকে মাত্র ৪০-৫০ ক্যালরি; অথচ একই পরিমাণ মধুতে থাকে ৩৬০ ক্যালরি। স্বাভাবিকভাবে দৈনিক ১/২ চা চামচ মধু খাওয়া যেতে পারে, তার বেশি নয়। আর যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মধু খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
ছেলেদের স্তন
ছেলেদের স্তন কথাটি শুনে যেন চমকে উঠবেন না। কিশোর বয়সে যে কোনো ছেলে এই অস্বস্তিকর সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী কিশোরীদের বেলায় ঐ বয়সে বুকে স্তনের বিকশিত পূর্বাভাস দেখা যায়। ছেলে এবং মেয়েদের স্তনের টিস্যুগত পার্থক্য আছে।  মেয়েদের স্তনে থাকে ছোট ছোট থলে ও টিউব বা নালী। যাতে পরবর্তীকালে মা হওয়ার পর দুধের নিঃসরণ ঘটে ও শিশুর পুষ্টি যোগায়। ছেলেদের বেলায় এমনটি ঘটে না। তবে স্তন কোষকলার খামোকা কিছু বৃদ্ধি ছেলেদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় একে বলে ‘গাইনোকমিসিয়া’। আবার কিছু কিছু ছেলের বুকে চর্বি জমে তা স্তনের মত লাগতে পারে। একে বলা হয় ‘ফলস গাইনোকমিসিয়া’। কিশোরকালে হরমোনের পরিবর্তন ও আরো পরে বয়সজনিত পরিবর্তনে ছেলেদের স্তন বৃদ্ধি পেতে পারে। হরমোন হচ্ছে শরীরের গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত একটি ক্যামিকেল যা বিশেষ বিশেষ অর্গানে গিয়ে কাজ করে। মানব দেহে থাইরয়েড, অন্ডকোষ ও ওভারি থেকে হরমোন তৈরি হয়। আমরা অনেকেই এই ভুল ধারণার বশবর্তী যে পুরুষদের দেহে পুরুষ হরমোন ও মেয়েদের দেহে কেবলমাত্র মেয়ে হরমোন থাকে। কিন্তু একজন পুরুষের দেহে পুরুষ ও স্ত্রী হরমোন দুটোই থাকতে পারে। অপর পক্ষে একজন মেয়ের শরীরে স্ত্রী ও পুরুষ দু রকমের হরমোনই কমবেশি পরিমাণে থাকে। তবে লিঙ্গ ভিত্তিতে পুরুষ ও স্ত্রী হরমোনের তারতম্য ঘটে। পুরুষের শরীরে দু রকম হরমোনের কম বেশির কারণে পুরুষ স্তন হতে পারে। আবার হরমোনের তারতম্য ছাড়াও কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাদকদ্রব্য, টিউমার এবং বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে পুরুষ স্তন দেখা দিতে পারে। ছেলেদের লিভারের রোগের জটিল অবস্থায় স্তন দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অপরিহার্য।
প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ
প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রণ এমন এক পদ্ধতি যা স্বামী-স্ত্রীকে বুঝতে সাহায্য করে, কখন তাদের যৌনমিলনের ফল স্বরূপ গর্ভাবস্থা সৃষ্টি হবে অথবা হবে না। নারীর ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্ব কোষ নির্গত হয় প্রতি ঋতুচক্রের সময়, এই পদ্ধতিকে বলা হয় ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নির্গমন বা ওভিউলেশন। উক্ত ডিম্ব কোষটি ডিম্বনালীর মাধ্যমে নারীর জরায়ুতে প্রবেশ করে। ডিম্বনালীতে নিষিক্ত হয়ে একটি অনিষিক্ত ডিম্বাণু ১২-২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। নিষিক্ত না হলে পরে সেটি ঋতুস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়। একজন নারী গর্ভবতী হতে পারেন যদি ডিম্বাণুটি নির্গমনের ঠিক আগে বা পরে যৌনমিলন সম্পন্ন হয়। ঋতুচক্রের সময় একটি নারীর শরীরে নানা রকম পরিবর্তন সংঘটিত হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্বামী-স্ত্রী যৌনমিলন করার বা না করার পরিকল্পনা বা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে এটা নির্ভর করে তাদের সন্তান চাওয়া বা না চাওয়ার মনমানসিকতার ওপর।
শিশুর গ্যাস্ট্রো এনটাইরাইটিস
এটি হলো এক প্রকার অন্ত্রের অসুখ। অন্ত্র তথা ডিওডেনাম থেকে শুরু হওয়া যে পাচক নালী মানবদেহের এবডোমেন জুড়ে রয়েছে তারই প্রদাহকে বলে ‘গ্যাস্ট্রোএনটারাইটিস’। এই প্রদাহ বা সংক্রমণের কারণে ডায়রিয়া হয়। এর সঙ্গে থাকতে পারে বমি বা বমি বমি ভাব। তবে শিশু ও নবজাতকের মধ্যে এ জাতীয় প্রদাহ বেশি পরিমাণে দেখা দেয়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া কিংবা প্যারাসাইট দ্বারা হতে পারে। নবজাতকের মধ্যে এর আক্রমণ মারাত্মক রূপ নিতে পারে। কখনো কখনো মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। দ্রুত পানি শূন্যতার সৃষ্টি করে বলে শিশুদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
শিশুকে ডাক্তার দেখাবেন কখন?
যখন ডায়রিয়া ও বমি স্যালাইন খাওয়ার পরও ২৪ ঘন্টা ধরে থাকে।
যখন পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় শিশু উন্নতি হওয়ার চেয়ে অবনতি হতে শুরু করে।
যখন পানি শূন্যতার বিভিন্ন উপসর্গ অব্যাহতভাবে চলতে থাকে যেমন-চোখ গর্তে বসে যাওয়া, প্রস্রাব কম হওয়া, কান্নার পরও চোখে পানি না আসা, অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব দেখা দেবে।
আলসারের কারণে জটিলতা
গ্যাস্ট্রিক আলসার প্রতিরোধ না করলে, চিকিৎসা না করা হলে যেসব জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে সেগুলো হলো-
  • পাকস্থলীর শেষ মাথার নালি সরু হয়ে আসা
  • পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে যাওয়া
  • পাকস্থলী থেকে রক্ত ক্ষরণ হওয়া
  • পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়া।
জন্ডিস বোঝার উপায়
জন্ডিস হলে সাধারণ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। এগুলো হলো-
  • বমি বমি ভাব/ বমি হওয়া
  • ক্ষুধামন্দা/অরুচি
  • খাবার-দাবারে গন্ধ লাগা
  • শরীর চুলকানো খোঁচ পাচড়া ছড়াই
  • শরীর দুর্বল লাগা/ অসুস্থ লাগা
  • শরীর ম্যাজম্যাজ করা/ অলস লাগা
  • হাল্কা জ্বর আসা
  • পেট ব্যথা/ গিট ব্যথা/ গিট ফুলে যাওয়া
  • চামড়ায় দাগ দেখা যাওয়া
  • চোখ হলুদ হওয়া
  • জিহ্বার তলদেশ হলুদ হওয়া
  • পায়খানা সাদাটে/কালো হওয়া
  • সমস্ত শরীর হলুদ বর্ণ ধারণ করা এবং
  • প্রস্রাব হলুদ হওয়া।
 সুত্রঃমনোজগতঃমার্চ, ২০০৪
ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুণ 
শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি।

কোন মন্তব্য নেই :