যে ৪টি উপায়ে আপনার ফেইসবুক পাসওয়ার্ড চুরি হতে পারে:::

1 টি মন্তব্য
::

বর্তমান যুগে ফেসবুক যেন
প্রত্যেকের নিত্যদিনের সঙ্গী।
প্রতিদিন অন্তত একবার
করে ফেসবুক না দেখলে যেন
চলেই না। আবার
অনেকে তো প্রতি মুহুর্তেই মোবাইল ও বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুকে থাকছেন।
অর্থাৎ, প্রত
িদিনের একটি অপরিহার্য্য
অংশ হয়ে গেছে ফেসবুক।
তারচেয়েও বড় ব্যাপার হলো,
ফেসবুকে ব্যক্তিগত অনেক তথ্য সংরক্ষিত থাকে।এছাড়াও
আপনার ফেসবুকের
নিরাপত্তা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ
যে, কেউ
তা হাতেপেয়ে গেলে এর মাধ্যমে কেবল
আপনার সম্পর্কে তথ্য চুরিই নয়, বরং আপনার চিত্রটাকেই সবার
সামনে নষ্ট করে ফেলতে পারে।
ফেসবুকের পাসওয়ার্ড
চুরি হয়ে গেলে কী হবে তা নিশ্চয়ই
বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। আসুন
জেনে নিই কীভাবে আপনি নিজের
অজান্তেই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড
দিয়ে দিতে পারেন অন্যের
হাতে। ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন, কজ
এবং বিজ্ঞাপন এ কথা বারবারই বলা হয় যে,
ফেসবুকের অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশনের অধিকাংশই
নিরাপদ নয়। কিছুদিন আগে ফার্মভিলের
মতো সর্বাধিক জনপ্রিয় কিছু
অ্যাপ্লিকেশন ও গেমও ওয়াল স্ট্রিট
জার্নালের প্রতিবেদন
অনুসারে স্বীকার করেছে যে, তারা বিজ্ঞাপনের স্বার্থে তাদের
ব্যবহারকারীদের কিছু তথ্য
দিয়েছে। এছাড়াও
অসংখ্যা অ্যাপ্লিকেশনের ভাণ্ডারে হঠাৎই
হয়তো এমন
কোনো অ্যাপ্লিকেশন থেকে আপনাকে রিকোয়েস্ট
বা ইনভাইট
পাঠানো হলো যেটা এমন
পাসওয়ার্ড চুরি করে এবংএখন পর্যন্ত
ধরা পড়েনি।
আসল কথা হলো, এসব অজানা- অচেনা কজ, অ্যাপ্লিকেশন
ইত্যাদি থেকে যত
দূরে থাকা যায় ততই ভালো।
অন্যথায় এসবের মাধ্যমে আপনার পাসওয়ার্ড
বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যাদি হ্যাকারদের
হাতে চলে যাওয়াসহ আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণই
চলে যেতে পারে।
ফেসবুক ইমেইল ফিশিং ইমেইলের মাধ্যমেও
আবার ফেসবুকের
পাসওয়ার্ড চুরির
শিকার হতে পারেন একটু অসতর্ক হলেই। অনেক চালাক
হ্যাকাররা ঠিক ফেসবুক
নোটিফিকেশনের মতো করে ইমেইল
তৈরি করে এবং তা ফেসবুকের
মতোই
কাছাকাছি কোনো ডোমেইনথেকে ইমেইল আকারে পাঠায়। এসব
ইমেইলে থাকা লিংকগুলো ক্লিক
করলে যে সাইটটি ওপেন হবে সেটাও অবিকল
ফেসবুকের
মতোই হবে। কিন্তু মূলত
এটি ফিশিং সাইট। এরফলে, আপনার ইউজারনেম ও
পাসওয়ার্ড নিশ্চিন্তে হ্যাকার
মশাইরা পেয়ে যাচ্ছে। এসব আক্রমণ
থেকে বাঁচতে সবসময় ইমেইলের
লিংকে ক্লিক করার
আগে দেখে নেয়া উচিৎ তা facebook.comঠিকানাতেই
যাচ্ছে কি না। কারণ, যত যা-ই হোক।
ফেসবুকের ঠিকানা ঠিক থাকলেলগইন করতে আর
কোনো ঝামেলা নেই।
ফেসবুক শেয়ার বাটন
থার্ড পার্টি সাইটের বিভিন্ন কন্টেন্ট যেমন পোস্ট, ছবি, ভিডিও
ইত্যাদি ফেসবুকে শেয়ার করার জন্য শেয়ার
বাটন যুক্ত
করা থাকে। মূলত
ব্যবহারকারীর সুবিধার্থেই এই
ফেসবুক শেয়ার বাটনগুলো যুক্ত করা হয়। কিন্তু এই শেয়ার
বাটনও কিন্তু আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড
চুরির কারণ
হতে পারে।
অনেক হ্যাকাররা তাদের
সাইটে শেয়ার বাটন নিজেরা যোগ করে এবং সেখানে ক্লিক
করলে যেই সাইট ওপেন হয়, সেটা ফেসবুকের
মতো দেখতে হলেও
তা আসলে ফিশিং সাইট। আপনি ফেসবুক
মনে করে লগইন
করার চেষ্টা করতে গেলেই আপনার পাসওয়ার্ড চলে যাবে তাদের হাতে।
এক্ষেত্রেও আপনি যদি সতর্ক
থাকেন তাহলে ফিশিং সাইট এড়াতে পারবেন।
কেবল খেয়াল
রাখবেন যেই লিংকে ক্লিক
করছেন, তা facebook.comকি না। পাবলিক কম্পিউটারে লগইন
সাইবার ক্যাফে বা এ জাতীয় পাবলিক
কম্পিউটারে লগইন
করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে।
সাইবার ক্যাফে থেকে লগইন করার
সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে কি-লগার।অনেক
সফটওয়্যার
আছে যেগুলো কম্পিউটারে থাকলে আপনি ব্রাউজিং করার
সময় ব্যবহৃত সব পাসওয়ার্ড
সেইভ করে ফেলে। তবে ফায়ারফক্স বা ক্রোম
ব্যবহার করলে এই ঝুঁকি থাকে না বলেই জানা গেছে।
তবে আরেকটি সাধারণ ভুল
অনেকেই করেন
তা হলো remember me/keep me logged
in বক্সে টিক
দিয়ে লগইন করেন। অথবা পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করার
অনুমতি চাইলে অনেকে না বুঝেই
বা তাড়াহুড়োয় সেইভ
করে ফেলেন। এতে করে আপনার অ্যাকাউন্টের
পাসওয়ার্ড চুরি না হলেও
আপনার অ্যকাউন্টে অন্য কেউ অ্যাক্সেস
পেয়েযাচ্ছে যা সমানভাবেই
ক্ষতিকর।
অতএব, আমাদের সবারই উচিৎ কেবল ফেসবুকই
নয়, বরং ইমেইলসহ যাবতীয় সব
পাসওয়ার্ড নিরাপদ রাখার ব্যাপারে সতর্ক
হওয়া এবং বিশেষ
করে কোনো সাইটেলগইন করার
আগে বা পাসওয়ার্ড দেয়ার
আগে এবং ইমেইলে আসা লিংকে ক্লিক
করারআগে নিশ্চিত হয়ে নেয়া যে ইমেইলটি বা ওয়েবসাইটটি ফিশিং সাইট
নয়। তাহলে ফেসবুকসহ যাবতীয়
সব পাসওয়ার্ড নিরাপদ
রাখা সম্ভব হবে।

বিষয়ঃ  কম্পিউটার/মোবাইল/ইন্টারনেট

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুণ। এই ব্লগে পড়তে কি সমস্যা হয়?আপনার কি টাকা বেশি খরচ হয়ে যায়?