পুরুষ বাদ দিয়ে নারীর জগত অসম্পূর্ণ
থাকে বরাবর। কখনও বাবা, কখনও ভাই, কখনও বর, কখনও বন্ধুরূপে পুরুষের সঙ্গে
চলে তার সম্পর্কের, ভাবনার আদান প্রদান। অতএব একান্ত পুরুষালি কিছু সমস্যার
প্রভাব নিশ্চয়ই পড়ে মেয়েদের ওপর...
পুরুষের সমস্যা হতে পারে নানারকম-রূপ থেকে রূপসী বউ, ব্রণ থেকে বিবাহিত জীবন-কিংবা যখন সমস্যার নাম-নারী। এইরকম বেশ কিছু পুরুষালি সমস্যার সমাধান জানানো হয়েছে এই প্রবন্ধে তাই সমাধানগুলো মেয়েলি। এছাড়া এক অন্য অর্থেও আমরা সমাধানগুলোকে মেয়েলি বলতে পারি। যদি কোনো পুরুষ এই সব সমস্যা সম্পর্কে অবহিতই না হন তবে তার বান্ধবী বা স্ত্রী বা বোন এই সংখ্যা পড়ার পর সেই পুরুষটিকে জানিয়ে দিতে পারেন তার সমস্যা ও সেই সঙ্গে সমাধানের কথা।
রূপপুরুষের সমস্যা হতে পারে নানারকম-রূপ থেকে রূপসী বউ, ব্রণ থেকে বিবাহিত জীবন-কিংবা যখন সমস্যার নাম-নারী। এইরকম বেশ কিছু পুরুষালি সমস্যার সমাধান জানানো হয়েছে এই প্রবন্ধে তাই সমাধানগুলো মেয়েলি। এছাড়া এক অন্য অর্থেও আমরা সমাধানগুলোকে মেয়েলি বলতে পারি। যদি কোনো পুরুষ এই সব সমস্যা সম্পর্কে অবহিতই না হন তবে তার বান্ধবী বা স্ত্রী বা বোন এই সংখ্যা পড়ার পর সেই পুরুষটিকে জানিয়ে দিতে পারেন তার সমস্যা ও সেই সঙ্গে সমাধানের কথা।
‘এ এক নিত্যদিনের সমস্যা। আট মাস হল বিয়ে হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই দেখছি যে রোজই আমার দেরি হয়ে যায় অফিসে বেরোতে। কারণ কি? এখনও রোজই একটি-দুটি ব্রণ মাথা চাড়া দিচ্ছে। দাড়ি কামানো দায় হয়ে উঠছে। ব্রণ বাঁচিয়ে দাড়ি কাটতে সময় লেগে যায় বেশ অনেকটা’। এই সমস্যা শুধু এই নতুন স্বামীরই নয়, অবিবাহিত বা বহুদিন বিবাহিত পুরুষেরও হতে পারে।
সবই করলাম আপনার কথামতো কিন্তু ব্রণ কমছে কই? আজ ডান গালের একটা শুকাচ্ছা তো বাঁদিকে কাল দুটো ব্রণ হচ্ছে। এই বড় বড়। রাতে বাঁ-পাশ ফিরে শুতে পারছি না, এত ব্যথা। কিছু একটা করুন। এই সমস্যা হতে পারে যে কোনো পুরুষের!
প্রথমেই ওষুধপত্তর না খেয়ে যা পরামর্শ দিচ্ছি করে দেখুন। রাতে একটা কলা খান ডিনারের শেষ পাতে। আর বেশি তেল ঘি মাখা খাবারে যদি আপনার আগ্রহ থাকে তা হলে কিছুদিন একটু কম খান এগুলো। সেই সঙ্গে কমিয়ে ফেলুন মিষ্টি খাওয়া। সে কমতি পুষিয়ে দিন আপনার মিষ্টি স্বভাব দিয়ে। লক্ষ্য করে দেখুন তো, চুলে খুসকি আছে কি না। থাকলে সেটাও সারিয়ে ফেলুন। নইলে ওর থেকেও ব্রণ বাড়তে পারে। যদি কোনো ময়শ্চারাইজার মাখেন নিয়মিত তবে কিছুদিনের জন্য সেটা বাদ দিন। বদলে ক্লেনজিং লোশন কিছুদিন ব্যবহার করুন। বন্ধু-বান্ধব বা বিশেষ বান্ধবীকে ঠারেঠোরে বলুন না ভালো শা ক্লেয়ার এন্টিসিম্পিল লোশন উপহার দিতে। পর পর তিনমাস এটি ব্যবহার করুন। রুমাল বা তোয়ালে ঘসে ঘসে মুখ মুছবেন না। এ্যাটাচি কেসের এক কোণে ছোট বাক্সে পরিষকার কয়েকটি তুলোর টুকরো রাখুন। রোজ নিয়ম করে বালিশের তোয়ালেতে এত তেল কেন? আপনার বেখেয়ালেই আপনি ভুগছেন। ব্রণ হচ্ছে, অথচ মাখছেন ক্রিম সাবন! শুকনো সাবান যাতে ফ্যাটি এসিড নেই তা ব্যবহার করুন। এত কিছু করে যদি দেখেন ব্রণ কমছে, দুম করে সব যত্ন বন্ধ করবেন না যেন! তিন মাসের মধ্যেই এমন গাল হবে আপনার যে মাছি পেছলে যাবে। কে বলবে কিছুদিন আগে এই গালই ছিল একদিন পামির মালভূমি?
আঠাশ বছরের এক বিজনেস এক্সিকিউটিভের সমস্যা শুনুন। বিয়ের পর থেকেই ওর খালি চুল উঠে যাচ্ছে। সমস্যা ওর তো বটেই ওর বউও খুব বিব্রত এই নিয়ে। বউ-এর ভাবনা সব চুল উঠে যাবে না তো। বউটি চিঠি লিখেছিলেন-কিছু অংশ তুলে দিলাম। ‘ওর অবশ্য খুশকিও হচ্ছে, সেটা নিয়ে ও খুব বিব্রত। এইভাবে চললে তো কিছুদিন পরেই ওকে সৈয়দ কির মানির মতো দেখতে হয়ে যাবে। আমি কি করব?’ এই সমস্যা হতে পারে অনেক পুরুষের।
শামলা- শুকনো চুলের জন্য।
শা- হেনা-তেলতেলে চুলের জন্য।
এবং দুটি হার্বাল হেয়ার পাউডার-
শা- হেয়ার ও শা-কেয়ার। এইগুলো সবই শেহনাজ হার্বাল-এর উৎপাদন। শেষ কথা মনে কোনো অশান্তি বা উদ্বেগ নেই তো! কর্মজীবনে ঝড় ঝাপটা থেকে শুরু করে সেজোপিসির অসুখ-সব খতিয়ে দেখুন। কিছু পুরুষ আবার সমস্যাবিলাসী কি না! দেশের দুর্গতির কথা ভেবে ভেবেই টাক পড়ে গেল, এমন পুরুষও মেলে। তাই এই সতর্কতা।
মাথায় খুসকি হতে পারে যে কোনো পুরুষেরই। তবে অনেক সময়ে তা এত মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যে গাঢ় রঙের শার্ট পরাই মুশকিল হয়ে ওঠে। শার্টের ওপর ছড়িয়ে থাকে গুঁড়ো খুশকি।
খুশকি তাড়াতে সপ্তাহে পাঁচদিনের জন্য যা করবেনঃ সমপরিমাণ আদার রস, লেবুর রস ও রসুনের তেল নিয়ে একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ছড়িয়ে ছড়িয়ে লাগাতে হবে। বেশি চাপ দেবেন না তাতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাবে। আধঘন্টা পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলবেন। বাকি দুদিনও একটি বিশেষ মিশ্রণ চুলে লাগাতে হবে। মেহেন্দি পাউডার, নিম ও তুলসী সমপরিমাণে নিয়ে পেস্টের মতো করে থেঁতো করে চুলে লাগান। যখন দেখবেন মাথায় আর খুশকি নেই তখন হঠাৎ যেন এসব লাগানো বন্ধ করে দেবেন না। মনে রাখবেন, মাথার চামড়ার অপুষ্টি এবং শুষকতা থেকেই খুশকির জন্ম। বালিশের ঢাকা নিয়মিত পাল্টান। যেহেতু ভিটামিনের অভাব না হলে খুশকি হয় না, তাই সেদিকটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। সপ্তাহে একদিন এক বড় চা-চামচ তেল গরম করে মাথার তালুতে ঘসে ঘসে লাগালে তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যাবে। আর পেট পরিষকার না থাকলে সেটা সব সমস্যার মূল বলে জানবেন। মনে কোনো মেঘ জমতে থাকলে সেটাও তাড়ানো দরকার। সমস্ত প্রক্রিয়াটা অন্তত মাস দুয়েক টানা চালাবেন। তবেই আপনি হয়ে উঠবেন মিস্টার ক্লিন!
অমিতের সব চুল পেকে যাচ্ছে। অথচ মাত্র পঁচিশ বছর বয়স! পাকা চুল যেমন ওর সমস্যা তেমনই বহু পুরুষের দুশ্চিন্তা চুল পেকে যাওয়া নিয়ে।
নীল লোহিত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জুলফির কথা ভাবুন! কিংবা মৃনাল সেন! জানেন আবৃত্তিকার প্রদীপ ঘোষ এখনও পঞ্চাশ ছোননি। অথচ তার মাথা তো বরফের দেশ। তাই যদি গ্ল্যামারের প্রশ্ন ওঠে রবি ঠাকুর নামক বাঙালি বাবুর চেয়ে বেশি গ্ল্যামারাস কেউ হতেই পারেন না। মনকে প্রবোধ দিন, সাদা মানে প্রশান্তি আর অভিজ্ঞতার জ্বলজ্বলে প্রমাণ। কারণ চুল একবার পেকে গেলে তাকে আর কাঁচা করা যায় না, কিন্তু রঙ করা যায়। রঙ করার পন্থা তো সবাই জানে। আচ্ছা, আপনার বাবার চুল কি অল্পবয়সে পেকেছিল? কিংবা তার বাবার? পাকা চুল অনেক সময়েই বংশধারা হয়, তবে দেখতে হবে যে কটি কালো চুল বেঁচে আছে তাদের জন্য কি করা যায়। বিউটিশিয়ানের পরামর্শ নিন, হেয়ার স্টাইল পাল্টালে অনেক সময় কাঁচা পাকা চুলে চেহারায় আসে স্বতন্ত্র মাত্রা, ব্যক্তিত্বের অন্য বৈভব। শ্যাম্পুকে একটু সন্দেহের চোখে দেখুন, হার্বাল পাউডার (শা-কেয়ার ও শা হেয়ার) এবং হার্বাল শ্যাম্পু (শা-লক, শা-টোন) ব্যবহার করুন।
দাড়িওয়ালা পুরুষেরা তো বঞ্চিত হন আফটার শেভ-এর সুরভিত সঙ্গ থেকে। তা বলে তাদের কি গন্ধবিলাস থাকতে নেই?
অনেক পুরুষেরই প্রশ্ন কেমন মুখে কেমন দাড়ি মানায়?
গোঁফ রাখলে কি রকম রাখবে। সমস্যা যদি আপনারও হয় তাহলে বাকিটা পড়ুন।
গায়ে দুর্গন্ধ হওয়া একটা প্রচলিত পুরুষালি সমস্যা। শুধুমাত্র সুগন্ধি ব্যবহার করে ঢেকে ফেলা যায় না এ গন্ধ। এর হাত থেকে নিস্তার পেতে কি করবেন, তাই তো?
সমস্যার নাম...পুরুষের ক্ষেত্রে কোন মুখে কোন চশমা মানাবে
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন