পুরুষালি সমস্যা মেয়েলি সমাধান

কোন মন্তব্য নেই

সংকলনঃ এম হাসান
পুরুষ বাদ দিয়ে নারীর জগত অসম্পূর্ণ থাকে বরাবর। কখনও বাবা, কখনও ভাই, কখনও বর, কখনও বন্ধুরূপে পুরুষের সঙ্গে চলে তার সম্পর্কের, ভাবনার আদান প্রদান। অতএব একান্ত পুরুষালি কিছু সমস্যার প্রভাব নিশ্চয়ই পড়ে মেয়েদের ওপর...

পুরুষের সমস্যা হতে পারে নানারকম-রূপ থেকে রূপসী বউ, ব্রণ থেকে বিবাহিত জীবন-কিংবা যখন সমস্যার নাম-নারী। এইরকম বেশ কিছু পুরুষালি সমস্যার সমাধান জানানো হয়েছে এই প্রবন্ধে তাই সমাধানগুলো মেয়েলি। এছাড়া এক অন্য অর্থেও আমরা সমাধানগুলোকে মেয়েলি বলতে পারি। যদি কোনো পুরুষ এই সব সমস্যা সম্পর্কে অবহিতই না হন তবে তার বান্ধবী বা স্ত্রী বা বোন এই সংখ্যা পড়ার পর সেই পুরুষটিকে জানিয়ে দিতে পারেন তার সমস্যা ও সেই সঙ্গে সমাধানের কথা।
রূপ
‘এ এক নিত্যদিনের সমস্যা। আট মাস হল বিয়ে হয়েছে, বিয়ের পর থেকেই দেখছি যে রোজই আমার দেরি হয়ে যায় অফিসে বেরোতে। কারণ কি? এখনও রোজই একটি-দুটি ব্রণ মাথা চাড়া দিচ্ছে। দাড়ি কামানো দায় হয়ে উঠছে। ব্রণ বাঁচিয়ে দাড়ি কাটতে সময় লেগে যায় বেশ অনেকটা’। এই সমস্যা শুধু এই নতুন স্বামীরই নয়, অবিবাহিত বা বহুদিন বিবাহিত পুরুষেরও হতে পারে।
আচ্ছা তাহলে কিছুদিনের জন্য অন্তত দাড়ি রাখলে হয় না? ব্রণ থাকলে কিছুদিন দাড়ি না কামানোই সবচেয়ে ভালো। আর একান্তই যদি দাড়ি কামাতে হয় প্রথমে কোনো ভালো এন্টিসেপটিক সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তা রপর ডেটল জাতীয় কোনো লোশন মেখে মুখের চারপাশ জীবাণু শূন্য ও নরম করে নিন। সাবধানে দাড়ি কামানোর চেষ্টা করুন। মসৃণতা আনার জন্য অনেক পুরুষ গালের নিচু দিক থেকে উপরে রেজার চালান, এটি একান্তই ভুল পদ্ধতি। আর ব্রণশুদ্ধ দাড়ি কামিয়ে কখনই যেন আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করবেন না। কোনো ভালো ব্রণ নিরোধক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যারা ভেষজ প্রসাধনে বিশ্বাসী তারা ‘শা ক্লেয়ার’ বা ‘শা-মিন্ট’ ব্যবহার করতে পারেন। আর মুখ ধোয়ার জন্য রয়েছে ‘শা-ডিউ’ ক্রিম সাবান। দাড়ি কামানোর পর অনেক পুরুষই ভালো করে ব্রাশ ও রেজার ধুয়ে মুছে রাখতে ভুলে যান তাড়াহুড়োর চোটে। খুব অস্বাস্থ্যকর কু-অভ্যাস এটা।
সবই করলাম আপনার কথামতো কিন্তু ব্রণ কমছে কই? আজ ডান গালের একটা শুকাচ্ছা তো বাঁদিকে কাল দুটো ব্রণ হচ্ছে। এই বড় বড়। রাতে বাঁ-পাশ ফিরে শুতে পারছি না, এত ব্যথা। কিছু একটা করুন। এই সমস্যা হতে পারে যে কোনো পুরুষের!
দেখুন তো আপনার ঠিকমতো পেট পরিষ্কার হচ্ছে কি না। পেট পরিষ্কার না হলে কিন্তু ব্রণ বেরুতে পারে।
প্রথমেই ওষুধপত্তর না খেয়ে যা পরামর্শ দিচ্ছি করে দেখুন। রাতে একটা কলা খান ডিনারের শেষ পাতে। আর বেশি তেল ঘি মাখা খাবারে যদি আপনার আগ্রহ থাকে তা হলে কিছুদিন একটু কম খান এগুলো। সেই সঙ্গে কমিয়ে ফেলুন মিষ্টি খাওয়া। সে কমতি পুষিয়ে দিন আপনার মিষ্টি স্বভাব দিয়ে। লক্ষ্য করে দেখুন তো, চুলে খুসকি আছে কি না। থাকলে সেটাও সারিয়ে ফেলুন। নইলে ওর থেকেও ব্রণ বাড়তে পারে। যদি কোনো ময়শ্চারাইজার মাখেন নিয়মিত তবে কিছুদিনের জন্য সেটা বাদ দিন। বদলে ক্লেনজিং লোশন কিছুদিন ব্যবহার করুন। বন্ধু-বান্ধব বা বিশেষ বান্ধবীকে ঠারেঠোরে বলুন না ভালো শা ক্লেয়ার এন্টিসিম্পিল লোশন উপহার দিতে। পর পর তিনমাস এটি ব্যবহার করুন। রুমাল বা তোয়ালে ঘসে ঘসে মুখ মুছবেন না। এ্যাটাচি কেসের এক কোণে ছোট বাক্সে পরিষকার কয়েকটি তুলোর টুকরো রাখুন। রোজ নিয়ম করে বালিশের তোয়ালেতে এত তেল কেন? আপনার বেখেয়ালেই আপনি ভুগছেন। ব্রণ হচ্ছে, অথচ মাখছেন ক্রিম সাবন! শুকনো সাবান যাতে ফ্যাটি এসিড নেই তা ব্যবহার করুন। এত কিছু করে যদি দেখেন ব্রণ কমছে, দুম করে সব যত্ন বন্ধ করবেন না যেন! তিন মাসের মধ্যেই এমন গাল হবে আপনার যে মাছি পেছলে যাবে। কে বলবে কিছুদিন আগে এই গালই ছিল একদিন পামির মালভূমি?
আঠাশ বছরের এক বিজনেস এক্সিকিউটিভের সমস্যা শুনুন। বিয়ের পর থেকেই ওর খালি চুল উঠে যাচ্ছে। সমস্যা ওর তো বটেই ওর বউও খুব বিব্রত এই নিয়ে। বউ-এর ভাবনা সব চুল উঠে যাবে না তো। বউটি চিঠি লিখেছিলেন-কিছু অংশ তুলে দিলাম। ‘ওর অবশ্য খুশকিও হচ্ছে, সেটা নিয়ে ও খুব বিব্রত। এইভাবে চললে তো কিছুদিন পরেই ওকে সৈয়দ কির মানির মতো দেখতে হয়ে যাবে। আমি কি করব?’ এই সমস্যা হতে পারে অনেক পুরুষের।
সমস্ত মেডিকেটেড শ্যাম্পুই সাধারণ শ্যাম্পুর চেয়ে কড়া, তাদের ব্যবহারবিধিও ভিন্ন। তাই শ্যাম্পু মাখার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। আচ্ছা, আপনি কি কোনো রকম ব্যায়াম করেন? নাকি কেবল ভোজন, শয়ন আর অফিস গমনই একমাত্র ব্যায়াম? সেক্ষেত্রে একটু হাল্কা ব্যায়াম দরকার। সপ্তাহে দু’দিন মাথায় একটু ম্যাসাজ করে নিন। শুকনো আঙুলে, তেল না দিয়ে। শ্যাম্পু কিনুন মাথার চুলের চরিত্র অনুযায়ী। মাঝে মধ্যে হেয়ার টনিক বা হেয়ার অয়েলও মাখা যেতে পারে। তাতে চুল নরম হবে। ভেজা চুল বেশি রগড়াবেন না। তাতে বেশি চুল উঠে আসে। অনেকেই বুঝতে পারেন না, কি ধরনের শ্যাম্পু তার মাখা উচিত। শুকনো চুলের জন্য এগ বা শিকাকাই, তৈলাক্ত চুলের জন্য লেমন শ্যাম্পু উপযুক্ত। অনেকের বিলিতি শ্যাম্পুর ব্যাপারে একটু দুর্বলতা থাকে, কিন্তু আমাদের উষ্ণ আবহাওয়ায় এবং কালো চুলে ওসব শ্যাম্পু কাজ ভালো করে না। স্বদেশি মাখুন, এদেশি অথচ নামি কোম্পানির শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে ওষুধযুক্ত শ্যাম্পু বিউটিশিয়ানের পরামর্শ ছাড়া মাখবেন না। কয়েকটি হার্বাল শ্যাম্পুর কথা বলছি চেষ্টা করে দেখতে পারেন-
শামলা- শুকনো চুলের জন্য।
শা- হেনা-তেলতেলে চুলের জন্য।
এবং দুটি হার্বাল হেয়ার পাউডার-
শা- হেয়ার ও শা-কেয়ার। এইগুলো সবই শেহনাজ হার্বাল-এর উৎপাদন। শেষ কথা মনে কোনো অশান্তি বা উদ্বেগ নেই তো! কর্মজীবনে ঝড় ঝাপটা থেকে শুরু করে সেজোপিসির অসুখ-সব খতিয়ে দেখুন। কিছু পুরুষ আবার সমস্যাবিলাসী কি না! দেশের দুর্গতির কথা ভেবে ভেবেই টাক পড়ে গেল, এমন পুরুষও মেলে। তাই এই সতর্কতা।
মাথায় খুসকি হতে পারে যে কোনো পুরুষেরই। তবে অনেক সময়ে তা এত মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যে গাঢ় রঙের শার্ট পরাই মুশকিল হয়ে ওঠে। শার্টের ওপর ছড়িয়ে থাকে গুঁড়ো খুশকি।
খুশকি তাড়াতে সপ্তাহে পাঁচদিনের জন্য যা করবেনঃ সমপরিমাণ আদার রস, লেবুর রস ও রসুনের তেল নিয়ে একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ছড়িয়ে ছড়িয়ে লাগাতে হবে। বেশি চাপ দেবেন না তাতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাবে। আধঘন্টা পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলবেন। বাকি দুদিনও একটি বিশেষ মিশ্রণ চুলে লাগাতে হবে। মেহেন্দি পাউডার, নিম ও তুলসী সমপরিমাণে নিয়ে পেস্টের মতো করে থেঁতো করে চুলে লাগান। যখন দেখবেন মাথায় আর খুশকি নেই তখন হঠাৎ যেন এসব লাগানো বন্ধ করে দেবেন না। মনে রাখবেন, মাথার চামড়ার অপুষ্টি এবং শুষকতা থেকেই খুশকির জন্ম। বালিশের ঢাকা নিয়মিত পাল্টান। যেহেতু ভিটামিনের অভাব না হলে খুশকি হয় না, তাই সেদিকটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। সপ্তাহে একদিন এক বড় চা-চামচ তেল গরম করে মাথার তালুতে ঘসে ঘসে লাগালে তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যাবে। আর পেট পরিষকার না থাকলে সেটা সব সমস্যার মূল বলে জানবেন। মনে কোনো মেঘ জমতে থাকলে সেটাও তাড়ানো দরকার। সমস্ত প্রক্রিয়াটা অন্তত মাস দুয়েক টানা চালাবেন। তবেই আপনি হয়ে উঠবেন মিস্টার ক্লিন!
অমিতের সব চুল পেকে যাচ্ছে। অথচ মাত্র পঁচিশ বছর বয়স! পাকা চুল যেমন ওর সমস্যা তেমনই বহু পুরুষের দুশ্চিন্তা চুল পেকে যাওয়া নিয়ে।
নীল লোহিত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জুলফির কথা ভাবুন! কিংবা মৃনাল সেন! জানেন আবৃত্তিকার প্রদীপ ঘোষ এখনও পঞ্চাশ ছোননি। অথচ তার মাথা তো বরফের দেশ। তাই যদি গ্ল্যামারের প্রশ্ন ওঠে রবি ঠাকুর নামক বাঙালি বাবুর চেয়ে বেশি গ্ল্যামারাস কেউ হতেই পারেন না। মনকে প্রবোধ দিন, সাদা মানে প্রশান্তি আর অভিজ্ঞতার জ্বলজ্বলে প্রমাণ। কারণ চুল একবার পেকে গেলে তাকে আর কাঁচা করা যায় না, কিন্তু রঙ করা যায়। রঙ করার পন্থা তো সবাই জানে। আচ্ছা, আপনার বাবার চুল কি অল্পবয়সে পেকেছিল? কিংবা তার বাবার? পাকা চুল অনেক সময়েই বংশধারা হয়, তবে দেখতে হবে যে কটি কালো চুল বেঁচে আছে তাদের জন্য কি করা যায়। বিউটিশিয়ানের পরামর্শ নিন, হেয়ার স্টাইল পাল্টালে অনেক সময় কাঁচা পাকা চুলে চেহারায় আসে স্বতন্ত্র মাত্রা, ব্যক্তিত্বের অন্য বৈভব। শ্যাম্পুকে একটু সন্দেহের চোখে দেখুন, হার্বাল পাউডার (শা-কেয়ার ও শা হেয়ার) এবং হার্বাল শ্যাম্পু (শা-লক, শা-টোন) ব্যবহার করুন।

দাড়িওয়ালা পুরুষেরা তো বঞ্চিত হন আফটার শেভ-এর সুরভিত সঙ্গ থেকে। তা বলে তাদের কি গন্ধবিলাস থাকতে নেই?
দাড়ি থাকলে আফটার শেভ-এর বদলে পুরুষালি কলোন শুধু প্রসাধনী গন্ধদ্রব্য হিসেবে মাখা যেতেই পারে। দাড়ি পরিষকার রাখাটা অবশ্য জরুরি। স্বাস্থ্যের স্বার্থেই। দাড়ি নিয়মিত ট্রিম করলে চুলের গোড়া চিরে যাবে না, মুখ সুন্দর দেখাবে। সাধারণ শ্যাম্পু দিয়ে দাড়ি পরিষকার করা বিধেয়।
অনেক পুরুষেরই প্রশ্ন কেমন মুখে কেমন দাড়ি মানায়?
একেবারে ছোট চেহারার সঙ্গে মুখে দাড়ি একদম মানায় না। দাড়িওয়ালা নেপোলিয়ন-ভাবা যায়? আবার গালে দাগ বা ভাঁজ থাকলে একটু কায়দামাফিক দাড়ি সে ত্রুটিটুকু ঢেকে দিতে পারে। যেমন ঢেকে গেছিল আব্রাহাম লিঙ্কনের গালের খাঁজ। আবার অনেক দাড়ি এক ধরনের ‘কাল্ট’-সংস্কৃতি। যেমন ফ্রেঞ্চকাট, লেরিন কাট- গোল ধাঁচের মুখে দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে মুখকে একটু লম্বাটে দেখাতে এমন দাড়ির জবাব নেই। একটু মঙ্গোলিয় ধাঁচের বোঁচাবুঁচি মুখে ব্যক্তিত্ব আনতে চিলতে দাড়ি তথা ‘নুর’  লা-জওয়াব। আর লম্বা গ্রিক নাক, টানা টানা চোখে, ঢেউ খেলানো চুলের সঙ্গে একটা দাড়িই যায়, সরু করে চোয়াল রেখা বরাবর ছাটা চাপ দাড়ি ১৯০৫ সালের স্বদেশী যুগের রবীন্দ্রনাথের মত। রিটায়ার্ড করে যেসব পুরুষ কাজ পান না তারা দাড়ি রাখতে পারেন-দেবেন্দ্রনাথ, সুরজিৎ সিংহ বার্নালা, চিত্রপরিচালক সথ্যু বা শাম্মী কাপুরের স্টাইলে। তবে দাড়ির স্টাইল বাছার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ছবি আঁকা। আজ্ঞে হ্যাঁ, আপনার দাড়ি কামানো শ্রীমুখের পাঁচ কপি ছবি নিন, আর একটা কালো কালির পেন নিন। ধুলো ঝেড়ে খুঁজে আনুন হারিয়ে যাওয়া ছাত্র জীবনের ইতিহাস বই। তার পাতায় পাতায় এক এক স্টাইলের দাড়ি-গ্যারিবল্ডি, রাসপুটিন থেকে শুরু করে ইয়াসির আরাফাত। দেখুন আর দাড়ি আঁকুন ছবির গালে। ঠিক লেগে যাবে একটা না একটা।
গোঁফ রাখলে কি রকম রাখবে। সমস্যা যদি আপনারও হয় তাহলে বাকিটা পড়ুন।
দুটো ব্যাপার শ্যামলের মধ্যে কাজ করে । প্রথমত উনি গোঁফ কামাতে ভয় পান কারণ উনি নিজে জানেন যে উনি গোঁফ ছাটতে জানেন না। দ্বিতীয়ত উনি বারবার নিজের মুখ নিয়ে মেকআপ-মেকআপ খেলা খেলতে ভালোবাসেন। আপনি যদি এমন করেন তাহলে আপনি আত্মপ্রেমী। একটা কথা জেনে রাখুন এরকমভাবে বারবার মুখ বা মুখোশ পাল্টালে ব্যক্তিত্ব কমে যায়। অবশ্য অভিনেতাদের কথা আলাদা। বারবার মুখ পাল্টানো স্টেজে চলে, দৈনন্দিন জীবন কি স্টেজ? গোঁফের আকারের জন্য কোনো বনেদি ‘বারবার শপ’-এ গিয়ে পরামর্শ নেয়া ভালো। ইদানীং গোঁফের স্টাইলের ওপর বইও বের হয়েছে। মনে রাখবেন গোঁফও একটি ফ্যাশন, যা যুগে যুগে পাল্টায়। এক সময়ের টপ ফ্যাশন হিসেবে চালু হিটলারি গোঁফ বা সালভাদর দালির গোঁফ আজ কেবল অতীত স্মৃতিমাত্র, আজকের গোঁফ খুঁজে পেতে হবে এ যুগের মানুষের মুখেই।
গায়ে দুর্গন্ধ হওয়া একটা প্রচলিত পুরুষালি সমস্যা। শুধুমাত্র সুগন্ধি ব্যবহার করে ঢেকে ফেলা যায় না এ গন্ধ। এর হাত থেকে নিস্তার পেতে কি করবেন, তাই তো?
এটা সত্যিই অস্বস্তিকর সমস্যা। শুধু ঘামের গন্ধ নয়, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, হাত-পা ঘামা-এসবই এই সমস্যার বিভিন্ন দিক, তবে ঘামের গন্ধের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ঘাম যেহেতু শারীরিক নিঃসরণ তাই ঘামের গন্ধের সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার একটা প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে। যেসব খাদ্যবস্তুর গন্ধ খুব উগ্র, সে সবের একটা হাল্কা গন্ধ ঘামেও উঠে আসে। মাড়ি এবং দাঁতের সমস্যার ক্ষেত্রে বাজার চলতি ওষুধ বা গামকিওরের সাহায্য না নিয়ে সোজা ডেন্টিস্টের কাছে যান। সাধারণ সুগন্ধি পাউডার ব্যবহার করলে সুন্দর গন্ধটুকু সামান্য সময়ের জন্য অতিরিক্ত প্রাপ্তি ঠিকই, কিন্তু যদি ঘামাচি-নাশক গন্ধহীন পাউডার ব্যবহার করেন তবে ঘাম কম হবে। মোজা পরার আগে ওডিকোলন মেশানো পানিতে পা ধুয়ে শুকনো করে মুছে তবে মোজা পরবেন। এভাবেই মুক্তি পেতে পারেন দুর্গন্ধ থেকে। সেই সঙ্গে নিয়মিত গোসল করবেন এবং রোজ কাঁচা জামাকাপড় পরবেন।
সমস্যার নাম...পুরুষের ক্ষেত্রে কোন মুখে কোন চশমা মানাবে
ইদানীং অনেকে হালফ্যাশনমাফিক বড় ফ্রেমের চশমা পরতে আগ্রহী। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা চশমার পাওয়ার দেয়ার সময় সর্বদাই ফ্রেমের ব্যাপারে কিছু না কিছু নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ সবসময় মন পছন্দ না হলেও মেনে চলা উচিত, অন্তত চোখ ঠিক রাখতে চোখের মর্যাদা রক্ষার্থে। তারপর ভাবুন কি ফ্রেম পরা যায়। খুব ছোট মুখ হলে বড় চশমা পরাটা ঠিক নয়। যদি না আপনি উডি অ্যালেন-এর মতো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হন। সাধারণত ছেলেদের আয়তাকার ফ্রেমই মানায় বেশি।
 মনোজগত  মার্চ, ২০০৪

ব্লগারের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করুণ   

শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকে জানান । তাদের কে জানতে দিন অজানা বিষয় গুলি।

কোন মন্তব্য নেই :